নিরাপদভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার পরিকল্পনা
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ পুনরায় চালুকরণ নির্দেশনায় নিরাপদ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম পরিচালনার পরিকল্পনা ২য় ধাপ নিরাপদভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার পরিকল্পনা;
ক. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিতির (শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সংখ্যা নিরূপণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ পুনরায় চালুকরণ নির্দেশনা:
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মােট শিক্ষার্থীর সংখ্যা, অবকাঠামাে এবং ভৌত সুবিধাদির ম্যাপিং করে স্বাস্থ্যবিধি বিবেচনায় রেখে নিম্নোক্ত বিষয়গুলাে বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার পরিকল্পনা প্রণয়ন;
– স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে একই সাথে বা একই শিফটে সর্বোচ্চ কতজন শিক্ষার্থীকে একত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আনা সম্ভব হবে, সকলকে একই সাথে আনা সম্ভব না হলে সেক্ষেত্রে সকলের শিক্ষা নিশ্চিত করতে পরিকল্পনা গ্রহণ;
– স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে আসন ব্যবস্থা কেমন হবে এবং কতজন শিক্ষার্থীকে একই শিফটে এনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে তা পরিকল্পনা করা;
– নিম্নে দেওয়া চিত্র-০১ ও ০২ অনুসরণ করে, শ্রেণিকক্ষের আয়তন ও সংখ্যা অনুপাতে শ্রেণিভিত্তিক কতজন শিক্ষার্থীকে একসাথে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আনা যাবে তার সম্ভাব্য সংখ্যা নির্ধারণ করে পরিকল্পনা গ্রহণ;
(উদাহরণস্বরূপ, ধরা যাক, একটি শ্রেণিকক্ষে ২ টি কলামে ৫টি করে মােট ১০ টি বেঞ্চ/ডেস্ক আছে এবং ডেস্ক/বেঞ্চগুলাের দৈর্ঘ্য ৫ ফুট এর কম।
তবে যেহেতু ডেস্ক/বেঞ্চগুলাের দৈর্ঘ্য ৫ ফুট এর কম, সেহেতু প্রতিটি বেঞ্চে ০১ জন করে মােট ০৬ জন শিক্ষার্থী একসাথে একটি ক্লাশে অংশগ্রহণ করতে পারবে। উল্লেখ্য যে, প্রতিটি কলামে ২য় ও ৪র্থ বেঞ্চ দুটো সরিয়ে ফেলে ১ম, ৩য় ও ৫ম বেঞ্চে (কমপক্ষে ০১টি বেঞ্চ অন্তর অন্তর) ৩ ফুট দুরত্ব নিশ্চিত করতে হবে।
যদি বেঞ্চগুলাে সরিয়ে ফেলার পর্যাপ্ত জায়গা না থাকে, সেক্ষেত্রে ২য় ও ৪র্থ বেঞ্চ দুটো একই জায়গায় রেখে ক্রস (X) মার্ক করে দিতে হবে, যাতে সেখানে কোন শিক্ষার্থী বসতে না পারে।
এভাবেই ৩ ফুট দূরত্ব মানার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
একই নিয়মে যদি বেঞ্চের দৈর্ঘ্য ৫ ফুট বা তার বেশী হয়, তবে প্রতিটি বেঞ্চে ২ জন করে ৬ টি বেঞ্চে মােট ১২ জন শিক্ষার্থী একসাথে একটি ক্লাশে অংশগ্রহণ করতে পারবে (চিত্র-০২ অনুসারে)
– শিক্ষার্থীর সামর্থ্য ও চাহিদা বিবেচনায় এবং অভিভাবকদের মতামতের ভিত্তিতে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ি শিক্ষার্থীদের তালিকা তৈরি করার পরিকল্পনা (কারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসবে, বা কারা বিকল্প উপায়ে লেখাপড়া চালাবে বা দূর-শিখনে যুক্ত হবে সে বিষয়টি পরিকল্পনায় অন্তর্ভূক্ত করা);
– শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিরাপদে পরিচালনার ধারণ ক্ষমতার তুলনায় অধিক শিক্ষার্থী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসতে আগ্রহী হলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কিভাবে সকলকে সুযােগ দেওয়া যেতে পারে সে বিষয়ে পরিকল্পনা করা;
– অন্যদিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ধারণ ক্ষমতার তুলনায় কম শিক্ষার্থী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করলে কিভাবে বাকি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়ােজনীয় পরিকল্পনা গ্রহণ;
– শুরুতে কোন কোন শ্রেণির কার্যক্রম দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করা হবে তা বিবেচনা করে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অবহিত করার পরিকল্পনা গ্রহণ;
– শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খােলার প্রথম ১৫ দিন কোন একটি শ্রেণি কার্যক্রম পরীক্ষামূলকভাবে চালু করার পরিকল্পনা গ্রহণ (শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সংখ্যা, শ্রেণিকার্যক্রমের সময়, বিষয় ইত্যাদি);
– ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত সকল শ্রেণিকার্যক্রম একইসাথে চালু করতে হলে কতােটি শিফট প্রয়ােজন হতে পারে এবং প্রতিটি শিফটের জন্য কর্মঘন্টা কতটুকু হবে তা নির্ধারণের পরিকল্পনা গ্রহণ;
– কোন কোন শিক্ষক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে ক্লাস পরিচালনা করবেন এবং কোন শিক্ষককে বাড়তি সহায়তা দিয়ে দূর-শিখন কার্যক্রম পরিচালনা করানাে হবে তার পরিকল্পনা করা।
খ. শিক্ষার্থীদের নিরাপদ ও আনন্দঘন শিখন কার্যক্রমের পরিকল্পনা:
স্থানীয় পর্যায়ের পরিস্থিতি বিবেচনা করে উপজেলা/জেলা পর্যায়ের শিক্ষা অফিসের সাথে আলােচনা/পর্যালােচনা সাপেক্ষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি এবং পরীক্ষার ক্ষেত্রে প্রয়ােজনবােধে একাডেমিক ক্যালেন্ডার পরিবর্তনের পরিকল্পনা করা। এক্ষেত্রে জাতীয় পর্যায়ের কোন নির্দেশনা থাকলে সে অনুযায়ী পরিকল্পনা গ্রহণ;
কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যদি প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে তবে তার মেরামত করা অথবা বিকল্প স্থানে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ;
প্রথম ১৫ দিন শিক্ষা কার্যক্রম কেমন হবে, কতােটা সময় শিখন কার্যক্রম এবং কতােটা মনােসামাজিক কার্যক্রমের
ব্যবস্থা থাকবে তার পরিকল্পনা;
– ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত সকল শ্রেণিকার্যক্রম একইসাথে চালু করতে হলে কতােটি শিফট প্রয়ােজন হতে পারে
এবং প্রতিটি শিফটের জন্য কর্মঘন্টা কতটুকু হবে সে বিষয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ;
– কোন কোন শিক্ষক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে ক্লাস পরিচালনা করবেন এবং কোন শিক্ষককে বাড়তি সহায়তা দিয়ে দূর-শিখন কার্যক্রম পরিচালনা করানাে হবে তার পরিকল্পনা করা;
– কোন শিক্ষার্থী সপ্তাহে কতদিন এবং কোন কোন দিন আসবে তা শিক্ষার্থীদের ও তার অভিভাবকদের নিয়মিত অবহিত করতে পরিকল্পনা গ্রহণ;
– শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ধারণ ক্ষমতার তুলনায় বেশি শিক্ষার্থীকে একত্রে আনার ক্ষেত্রে একাধিক শিফটের কারণে যেহেতু শিক্ষার্থীর জন্য কর্মঘন্টা কমে যাবে, এজন্য প্রয়ােজনে শ্রেণিভিত্তিক বিষয়ের অগ্রাধিকার তালিকা তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ;
(তবে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বাের্ডের এ সম্পর্কিত কোন নির্দেশনা থাকলে তা অনুসরণ করে পরিকল্পনা
গ্রহণ করতে হবে।)
– যে সকল শিক্ষার্থী দুর-শিখনের মাধ্যমে শ্রেণিপাঠ নিতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য পরিকল্পনা;
– লেখাপড়ার ধারাবাহিকতা রক্ষায় বিকল্প পরিকল্পনা গ্রহণ;
(যেমন অনলাইন ক্লাস, বাড়ির কাজ, অ্যাসাইনমেন্ট বা প্রজেক্টভিত্তিক শিখনকে প্রাধান্য দিয়ে পরিকল্পনা করা যাতে এর মাধ্যমে যে সকল শিখনফল শ্রেণিকক্ষে অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে না, তা অর্জন করা যায়, এবং এর পাশাপাশি যেসকল শিক্ষার্থী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে না এসে দূর-শিখনে অংশ নিতে ইচ্ছুক তারাও যেন সমানভাবে শিখন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারে।)
– শিখন পরিবেশ আনন্দঘন করতে বিভিন্ন কার্যক্রমের পরিকল্পনা গ্রহণ করা;
(যেমন- শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভবন রং করা, বিভিন্ন ছবি দিয়ে শ্রেণিকক্ষ ডেকোরেশন করা, টয়লেট/হ্যান্ড ওয়াশিং ফ্যাসিলিটিগুলাে নিয়মিত পরিচ্ছন্ন রাখা, খেলার সরঞ্জামাদি বাড়ানাে, সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের সুযােগ সৃষ্টি ইত্যাদি।)
– শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খােলার প্রথম কয়েকদিন (একাধিক শিফটে/একাধিক দিনে বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আনা হলে প্রযােজ্য) স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের বিশেষভাবে স্বাগত জানানাের বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ;
– প্রথম এক/দুই সপ্তাহ পাঠ্যক্রমভিত্তিক শিখনের উপর গুরুত্ব না দিয়ে বিভিন্ন ধরনের খেলাধূলা ও সহ-শিক্ষাক্রমিক কার্যক্রম পরিচালনার পরিকল্পনা গ্রহণ এবং সে বিষয়ে প্রত্যেক শ্রেণির শ্রেণিশিক্ষকদের অবহিতকরণের জন্য যথাযথ পরিকল্পনা প্রণয়ন;
– শিক্ষার্থীদের মানসিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে তাদের মনোেসামাজিক সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ;
– বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষকগণ যাতে শিক্ষার্থীদের মানসিক ও শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেন এজন্য তাদের প্রশিক্ষণের পরিকল্পনা গ্রহণ।
(শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খােলার আগেই অনলাইনে প্রশিক্ষণের আয়ােজন করতে হবে।)
ম্যাপিং এবং পরিকল্পনায় নিম্নোক্ত ছক এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপদ শিখন পরিবেশের মানদণ্ডসমূহ ব্যবহার করা যেতে পারে।
নিরাপদভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার পরিকল্পনায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীর তথ্য বিশ্লেষণ এর ছক
নিরাপদভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার পরিকল্পনায় বিদ্যমান অবকাঠামো ও সুবিধাদি বিশ্লেষণ
সংশ্লিষ্ট বিষয়ের জানার জন্য বিস্তারিত পড়ুন বাটনে ক্লিক করুন। নিরাপদ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম পরিচালনার পরিকল্পনাটি ডাউনলোড করার জন্য নিচের ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করুন;
আপনার জন্য আরও কিছু তথ্য:
- পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত।
- বাড়ির দেওয়ালে অথবা আশপাশের দেওয়ালে যে সাদা, সবুজ রঙ
সকল স্তরের শিক্ষা সংক্রান্ত সঠিক তথ্য, সরকারি-বেসরকারি চাকুরি বিজ্ঞপ্তি, চাকুরির পরীক্ষা, এডমিট কার্ড, পরীক্ষার রুটিন, সরকারি বেসরকারি বৃত্তি, উপবৃত্তি ও প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত তথ্য সবার আগে পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজটি Follow করে রাখুন।
ইউটিউবে সর্বশেষ আপডেট পেতে বাংলা নোটিশ ডট কম এর ইউটিউব চ্যানেলটি Subscribe করে রাখুন।
আপনার প্রতিষ্ঠানের যেকোন বিজ্ঞপ্তি, খবর, নোটিশ ও জাতীয় রাজনৈতিক বিষয়ে লেখা প্রকাশ করতে চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন
দেশের অন্যতম প্রিয় অনলাইন পোর্টাল সর্বদাই সত্য ও বস্তুনির্ভর তথ্য প্রকাশে বদ্ধপরিকর। আপনার যেকোন অভিযোগ আপত্তি ও পরামর্শ সাদরে গ্রহণ করা হবে।
ক্যাটাগরি ভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেখুন–
আমাদের আরও কিছু ওয়েবসাইট: