স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুনরায় চালুকরণ নির্দেশনা ডাউনলোড
শিক্ষামন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনায় জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুনরায় চালুকরণ নির্দেশনা প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। ২২ জানুয়ারি ২০২১ (dshe.gov.bd) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনায় জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুনরায় চালুকরণ নির্দেশনা ডাউনলোড করা ও বিস্তারিত জানানোর জন্য বাংলা নোটিশ ডট কম এর পাঠকদের জন্য আজকের এই পোস্ট।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুনরায় চালুকরণ নির্দেশনা ডাউনলোড করতে পোস্টের শেষের ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করুন।
এই নির্দেশিকাটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জারিকৃত নির্দেশনা WHO, UNESCO, UNICEF, World Bank, CDC (USA) আন্তর্জাতিক নির্দেশনা অনুসরণ করে এই নির্দেশনাটি প্রণয়ন করা হয়েছে।
তবে স্থানীয় বাস্তবতার সাথে সামঞ্জস্য বিধান করতে এবং প্রতিটি শিক্ষার্থীর শিখন, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার চাহিদা পূরণ করতে এই নির্দেশিকাটি প্রয়ােজনে প্রাসঙ্গিকীকরণ করা যেতে পারে।
নির্দেশিকাটি প্রণয়নে যে মূলনীতিসমূহ অনুসরণ করা হয়েছে:
নির্দেশিকাটি প্রণয়নে নিম্নলিখিত নীতিসমূহ অনুসরণ করা হয়েছে যাতে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ পুনরায় খােলা যায়-
- শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষাকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেওয়া;
- জাতীয় পর্যায়ের সকল স্বাস্থ্য বিধি ও নির্দেশনা মেনে এবং আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিধিসমূহ বিবেচনায় রেখে সর্বোচ্চ নিরাপদ ও সুরক্ষা নিশ্চিত করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুনরায় চালুকরণ;
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুনরায় চালুকরণ প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের (শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষার্থী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় স্বাস্থ্য ও প্রশাসন এবং কমিউনিটি) সম্পৃক্তকরণ;
- স্থানীয় প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থার সাথে সমন্বয় করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালুকরণ এবং সার্বক্ষণিক যােগাযােগের মাধ্যমে সঠিক তথ্য প্রাপ্তি, বাছাই ও তা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রাসঙ্গিকীকরণ;
- দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত, জেন্ডার, নৃগােষ্ঠী, প্রতিবন্ধিতা বিবেচনা করে সকলের জন্য প্রযােজ্য ব্যবস্থা গ্রহণ;
- প্রতিটি শিক্ষার্থীর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে আনন্দঘন শিখন পরিবেশ নিশ্চিতকরণ;
- প্রতিটি শিক্ষার্থীর পুষ্টি উন্নয়নের মাধ্যমে রােগ প্রতিরােধ করার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে পুষ্টি শিক্ষা এবং পুষ্টিসেবা প্রদান নিশ্চিতকরণ; কোভিড-১৯ পরিস্থিতিকে নতুন স্বাভাবিকতা (New Normal) হিসেবে বিবেচনা করা;
- শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধিন সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (সরকারি/বেসরকারি, আবাসিক/অনাবাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান) জন্য বিবেচনাকরণ;
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানভিত্তিক প্রণীত, যা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পর্যায়ের দায়িত্ব ও কর্তব্যসমূহকে কেন্দ্র করে প্রণীত;
- সর্বোপরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবস্থান, প্রাতিষ্ঠানিক ও আর্থিক সক্ষমতা, জনবল ও দক্ষতা ইত্যাদি বিবেচনায় বাস্তবসম্মতভাবে প্রণীত।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুনরায় চালুকরণ নির্দেশনা প্রণয়নে মুল যেসব স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা সূচকসমূহকে প্রধান্য দেয়া হয়েছে:
এই নির্দেশিকাটি প্রণয়ণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন পর্যায়ে নিম্নলিখিত স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা নির্দেশনাসমূহ অনুসরণ করা হয়েছে যাতে এটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং কর্মীদের নিরাপদে রাখতে এবং কোভিড-১৯ এর বিস্তার রােধে সহায়তা করতে পারে।
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবস্থানকালে সকল শিক্ষার্থী, শিক্ষক, স্টাফ ও সংশ্লিষ্ট সকলের সর্বদা মাস্ক পরিধানের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা;
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কার্যক্রমে নির্দেশিত (৩ ফুট) শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা একসাথে অধিক সংখ্যক মানুষের জমায়েতকে নিরুৎসাহিত করা;
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নির্দিষ্ট সময় পর পর নিয়ম মেনে সাবান দিয়ে হাত ধােয়ার/পরিষ্কারের ব্যবস্থা করা;
- হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার পালন করা ও উৎসাহিত করা; শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মেঝেসহ সকল এলাকা প্রতিদিন নিয়মিত পরিস্কার ও জীবাণুমুক্ত করা;
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত পানি, স্যানিটেশন এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সুবিধা রাখা এবং পরিচ্ছন্ন ও দূষণমুক্ত পরিবেশ রাখার পদ্ধতি অনুসরণ করা;
- শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করা এবং কেউ অসুস্থ/আক্রান্ত থাকলে/হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থার পাশাপাশি কন্টাক্ট ট্রেসিং করে অন্যদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা;
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কমিউনিটির মধ্যে নিয়মিত যােগাযােগ ও সহযােগিতার মাধ্যমে গুজবের আতংক ও মহামারির বিস্তার রােধে শিক্ষার্থীসহ সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুনরায় চালুকরণ নির্দেশিকাটির প্রযোজ্যতা:
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (সরকারি/বেসরকারি, আবাসিক/অনাবাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান) এই নির্দেশিকা ব্যবহার করতে পারবে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুনরায় চালুকরণের ধাপ:
স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুনরায় চালুকরণ সংক্রান্ত এই নির্দেশিকাটিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুনরায় চালু করার জন্য যে ধাপগুলােকে বিবেচনা করা হয়েছে তা হলাে:
- ১. নিরাপদ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য পরিকল্পনা;
- ২. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রস্তুতকরণ;
- ৩. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিরাপদে চালুকরণ;
- ৪. শিক্ষা কার্যক্রম চলাকালীন করােনার বিস্তার রােধে পদক্ষেপসমুহ;
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুনরায় চালুকরণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানভিত্তিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ:
সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সারা দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কবে থেকে পুনরায় চালু হবে তা কেন্দ্রীয়ভাবে সরকার কর্তৃক ঘােষণা করা হবে।
তবে পুর্ব প্রস্তুতি হিসেবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ বেশ কিছু উদ্যোগ বিশেষ করে বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রণয়ন, অর্থ সংস্থান এবং প্রয়ােজনীয় সামগ্রী সংগ্রহ করবেন।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খােলা সংক্রান্ত সরকারি ঘােষণা অনুসরণের পাশাপাশি প্রধান শিক্ষক, অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ ও ব্যবস্থাপনা কমিটিকে নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন এলাকার কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিশ্লেষণ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুনরায় খােলার বিষয়ে প্রয়ােজনীয় উদ্যোগ বিষয়ে সভা করবেন।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালুকরণের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগের পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সে আলােকে প্রণীত নিম্নবর্ণিত নির্দেশনাটি প্রধান শিক্ষক, অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তাগণ পরিস্থিতি বিশ্লেষণের কাজে ব্যবহার করবেন।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এলাকার কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করােনা সংক্রমণের বিস্তার বিবেচনায় নিরাপদে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খােলার ক্ষেত্রে নিম্নে বর্ণিত নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বিশ্লেষণ করে দেখা যেতে পারে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পারবে কি-না; শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ রাখার প্রভাব সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের উপর কীভাবে পড়েছে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খােলা হলে এবং চালু রাখলে, তা ঐ এলাকার সংক্রমণ আরও বাড়িয়ে দিতে পারে কি-না ইত্যাদি ভালাে ভাবে বিশ্লেষণ করে দেখতে হবে।
সকল পরিস্থিতি ও তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মােতাবেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু রাখতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়ােজন সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবেন।
১. পরিকল্পনা নিরাপদ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম পরিচালনার পরিকল্পনা:
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা ও বাজেট তৈরি:
একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ নিম্নোক্ত নির্দেশনা মােতাবেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খােলার পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা (বাজেটসহ) প্রণয়নসহ বাস্তবায়ন ও মনিটরিং পর্যায়েও কাজ করবে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুনরায় খােলা সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়সমূহ যথাযথভাবে বিবেচনা করে পরিকল্পনাটি প্রণয়ন করতে হবে। এ জন্য নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রসমূহের উপর ভিত্তি পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে।
(**আবাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলে কেবলমাত্র শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে এই নির্দেশিকা অনুযায়ী পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা যেতে পারে।
তবে আবাসিক কার্যক্রম শুরুর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলােচনা সাপেক্ষে একটি পৃথক ও পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা করতে হবে।)
আরও বিস্তারিত জানার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুনরায় চালুকরণ নির্দেশনা ডাউনলোড করে নিন।
সকল স্তরের শিক্ষা সংক্রান্ত সঠিক তথ্য, সরকারি-বেসরকারি চাকুরি বিজ্ঞপ্তি, চাকুরির পরীক্ষা, এডমিট কার্ড, পরীক্ষার রুটিন, সরকারি বেসরকারি বৃত্তি, উপবৃত্তি ও প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত তথ্য সবার আগে পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজটি Follow করে রাখুন।
ইউটিউবে সর্বশেষ আপডেট পেতে বাংলা নোটিশ ডট কম এর ইউটিউব চ্যানেলটি Subscribe করে রাখুন।
আপনার প্রতিষ্ঠানের যেকোন বিজ্ঞপ্তি, খবর, নোটিশ ও জাতীয় রাজনৈতিক বিষয়ে লেখা প্রকাশ করতে চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন
দেশের অন্যতম প্রিয় অনলাইন পোর্টাল সর্বদাই সত্য ও বস্তুনির্ভর তথ্য প্রকাশে বদ্ধপরিকর। আপনার যেকোন অভিযোগ আপত্তি ও পরামর্শ সাদরে গ্রহণ করা হবে।
ক্যাটাগরি ভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেখুন–