শিক্ষা প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা

নিরাপদভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খােলার জন্য করণীয় সংক্রান্ত পরিকল্পনা

নিরাপদভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খােলার জন্য করণীয় সংক্রান্ত পরিকল্পনা: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ পুনরায় চালুকরণ নির্দেশনায় নিরাপদ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম পরিচালনার পরিকল্পনা ১ম পদক্ষেপ হলো নিরাপদে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খােলার জন্য করণীয় সংক্রান্ত পরিকল্পনা (Safe Operation)।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিরাপদে খােলার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত বিষয়সমূহ বিবেচনায় নিবেন।

ক. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জীবাণুমুক্ত করা:

• শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভবন, চত্ত্বর ও পুরাে এলাকা সম্পূর্ণভাবে জীবাণুমুক্ত করার পরিকল্পনা;

• শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছােট উপকরণগুলাে জীবাণুমুক্ত করার পরিকল্পনা;

• পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের জন্য প্রয়ােজনী উপকরণ সামগ্রী ও উপযুক্ত সরঞ্জাম (সংযুক্তি -২: প্রস্তাবিত সরঞ্জামের তালিকা) তালিকা প্রস্তুত ও সংগ্রহের পরিকল্পনা;

• শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়মিতভাবে জীবাণুনাশক ব্যবহার করে জীবাণুমুক্ত রাখার পদক্ষেপ এবং এ জন্য প্রয়ােজনীয় জনবলের পরিকল্পনা;

খ. নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশনের ব্যবস্থা:

• শিক্ষক শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনুপাতে নতুন স্বাভাবিকতায় (কোভিড-১৯) সকলের জন্য ব্যবহারযােগ্য ও প্রয়ােজনীয় সংখ্যক নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন (ওয়াশ) চাহিদা নিরূপণ (প্রতি ৩০ জন মেয়ে শিক্ষার্থীর জন্য একটি টয়লেট ও ৬০ জন ছেলে শিক্ষার্থীর জন্য একটি টয়লেট ব্যবহার- এই অনুপাতে টয়লেট সংখ্যা বিবেচনা করার চেষ্টা করতে হবে) এবং তা নিশ্চিতকরণের পরিকল্পনা;

• শিক্ষক/কর্মচারি, ছেলে ও মেয়ে শিক্ষার্থী এবং প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যবহার উপযােগী পরিচ্ছন্ন ও পৃথক পৃথক টয়লেটের পরিকল্পনা;

• মেয়ে শিক্ষার্থীদের টয়লেটে মাসিককালীন সময়ের জন্য প্রয়ােজনীয় স্যানিটেশন সরঞ্জামসহ প্রয়ােজনীয় বর্জব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার পরিকল্পনা;

• প্রতিটি টয়লেটে নিয়মিত পানি, সাবানসহ অন্যন্য স্যানিটারি সরঞ্জামসমূহ (সাবান ও পানি অথবা এ্যালকোহলযুক্ত স্যানিটাইজার এবং টিস্যু পেপার) সরবরাহের পরিকল্পনা।

• শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বর্তমান টয়লেটগুলাে এবং হাত-ধােয়ার স্থান থাকলে সেগুলাে সংস্কার করা ও জীবাণুমুক্ত করার মাধ্যমে ব্যবহার উপযােগী করার পরিকল্পনা গ্রহণ;

• নতুন বাস্তবতার চাহিদার প্রেক্ষিতে প্রয়ােজন হলে নতুন করে হাত-ধােয়ার স্থান, টয়লেট প্রতিস্থাপন করার পরিকল্পনা।

গ. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোভিড-১৯ বিস্তার রােধে ব্যবস্থা গ্রহণ:

প্রতিদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশের সময় সংশ্লিষ্ট সকলের (শিক্ষক, শিক্ষার্থী, স্টাফ, পরিচ্ছন্নতাকর্মী) স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণের জন্য প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ। যেমন: কন্টাক্টলেস থার্মোমিটার স্থাপন ও প্রতিদিনের তথ্য সংরক্ষণের পরিকল্পনা গ্রহণ;

সকলের জন্য মাস্ক পরা বাধ্যতামুলক করতে প্রয়ােজনীয় পরিকল্পনা করা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য স্তরবিশিষ্ট মাস্ক তৈরির প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য ও নির্দেশনা প্রদানের পরিকল্পনা করা;

প্রতিষ্ঠান পুনরায় চালুকরণ বিষয়ে শিক্ষক ও স্টাফদের সচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণের পরিকল্পনা;

(প্রশিক্ষণে যেসকল বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে তা হলাে – পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যবিধি, শারীরিক দুরত্বের বিধি, হাত ধােয়ার সঠিক নিয়ম, মাস্ক পরার নিয়ম, হাঁচি-কাশির শিষ্ঠাচার, কফ ও থুথু ফেলার শিষ্ঠাচার ইত্যাদি)।

স্থানীয় প্রশাসন ও স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে সমন্বয় করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালুকরণের পরিকল্পনা;

স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের সহায়তা কোভিড-১৯ সংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্য শিক্ষার্থীদের জন্য সহজ ভাষায় প্রস্তুতকরণ ও নিয়মিত হালনাগাদকরণের পরিকল্পনা;

শিক্ষার্থীরা যাতে স্বাস্থ্যবিধি মােতাবেক শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে শিক্ষাকার্যক্রমে অংশ নিতে পারে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলাফেরা করতে পারে এজন্য প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থার পরিকল্পনা গ্রহণ;

ছক -৩: শিক্ষার্থীদের নিরাপদ শিখনের জন্য প্রয়ােজনীয় সুবিধাদি নিরূপণের মানদণ্ডসমূহ:

উপরােল্লিখিত সুবিধাদি কীভাবে কতজনের জন্য নিরাপদ, তা নিরূপণ করার জন্য নিম্নের মানদণ্ডগুলাে বিবেচনা করতে
হবে:

শারীরিক দূরত্ব :

শ্রেণিকক্ষ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চত্বরে ও খােলা জায়গায় ১ মিটার বা ৩ ফুট দুরত্বে শিক্ষার্থীদের বসার বা বিচরণের ব্যবস্থা করতে হবে।

এমনকি বেঞ্চে বসার ক্ষেত্রেও ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। দূরত্ব বজায় রাখার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশের পথসহ, শ্রেণিকক্ষ, টয়লেটসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেসব স্থা হতে পারে সেসকল স্থানে চিহ্ন একে/মাটিতে দাগিয়ে/টেপ বা দড়ি দিয়ে মার্কিং করা এবং তা অনুসরণ করতে বলতে হবে।

প্রবেশ পথের চারপাশে ১ (এক) মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে বিভিন্ন চিহ্ন, মাটিতে দাগানাে, টেপ, দড়ি এবং অন্যান্য উপায় ব্যবহার করা যাতে শারীরিক দূরত্ব বজায় থাকে।

মাস্ক পরিধান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবস্থানকালে পুরাে সময় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মীদের মাস্কের ব্যবহার বাধ্যতামুলক করতে হবে।

WHO এর গাইডলাইন অনুযায়ী বাধ্যতামূলকভাবে ১২ বছর ও তার উর্দ্ধে সকলকে মাস্ক ব্যবহারে উৎসাহিত করা। এই গাইডলাইন অনুযায়ী ৫ বছর বয়স পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মাস্ক পরার কোন প্রয়ােজন নেই এবং ৬-১১ বছর বয়স পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য রােগ বিস্তারের ঝুঁকির উপর নির্ভর করে মাস্ক পরার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ।

অন্যদিকে কম রােগ প্রতিরােধ ক্ষমতাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য এ নিয়ম কিছুটা ভিন্নভাবে বিবেচনা করা।

হাঁচি কাশির শিষ্টাচার:

হাঁচি-কাশি দেবার সময় কনুই দিয়ে নাক ও মুখ ঢেকে ফেলতে হবে। হাঁচি-কাশি দেওয়ার পর নিয়ম মেনে হাত ধােয়া। যত্রতত্র কফ-থুথু না ফেলা।

স্যানিটেশন ও ওয়াশ ব্যবস্থা:

প্রতি ৩০ জন মেয়ে শিক্ষার্থীর জন্য একটি টয়লেট ও ৬০ জন ছেলে শিক্ষার্থীর জন্য একটি টয়লেট ব্যবহার- এই অনুপাতে টয়লেট সংখ্যা বিবেচনা করতে হবে।

টয়লেটে মাসিককালীন পরিচ্ছন্নতা ও স্যানিটারি প্যাড ব্যবহারের পর বর্জব্যবস্থা সুনির্দিষ্ট থাকতে হবে।

হাত ধােয়ার ব্যবস্থা:

ঘন ঘন হাত ধােয়ার জন্যও শারীরিক দুরত্বের মাপ বজায় রেখে সাবান ও পানিসহ কল/হাত ধােয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে। হাত ধােয়ার জায়গা ৩ ফুট/১মিটার দূরত্ব মেনে তৈরি করতে হবে।

জীবাণুমুক্তকরণের সময়সীমা: শ্রেণিকক্ষ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আঙিনা, চত্ত্বর, লাইব্রেরি ও ক্যান্টিন এসব জায়গা দিনে অন্তত একবার বা প্রতি শিফট শুরুর আগে ও শেষ হওয়ার পরে পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করতে হবে।

আলাে-বাতাস বা ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা:

শ্রেণিকক্ষ, লাইব্রেরি ও অন্যান্য কক্ষে আলাে-বাতাস চলাচলার ব্যবস্থা রাখতে হবে।

যেখানে সুযােগ আছে সেখানে বাতাসের প্রবাহ ও বাতাস চলাচল বৃদ্ধির ব্যবস্থা করা (উন্মুক্ত জানালা, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের সুযােগ থাকলে তা ব্যবহার করা ইত্যাদি)

শিক্ষার্থী ও শিক্ষক উপস্থিতি অনুপাত:

প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সংখ্যানুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শুরু ও শেষের সময়সূচী শিফটে ভাগ করে নিতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মােতাবেক শারীরিক দুরত্বে মেনে প্রতিটি শ্রেণিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা নির্ধারণ করতে হবে।

প্রয়ােজনে দূর শিখন ও সপ্তাহ বিভাজন করে এক এক দলকে এক এক সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসার ব্যবস্থা করতে হবে।

এসব বিবেচনা করে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভৌত সুবিধাদি বিবেচনা করে কাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুনরায় আসার ক্ষেত্রে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

৩. দরিদ্র, পিছিয়ে পড়া ও সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিতে পরিকল্পনা

– শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আনার ক্ষেত্রে দরিদ্র বা পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেয়া ও তাদের তালিকা প্রস্তুতের পরিকল্পনা গ্রহণ (বিশেষত, যাদের পক্ষে দূর-শিখনে বা বিকল্প উপায়ে লেখাপড়া চালানাে সম্ভব নয় এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে স্থায়ীভাবে ঝরে পড়ার সম্ভাবনা আছে);

– শ্রেণি কার্যক্রমে তাদের অংশগ্রহণকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য প্রয়ােজনীয় পরিকল্পনা গ্রহণ করা;

– এসকল শিক্ষার্থীর নিয়মিতকরণে অভিভাবকের সাথে যােগাযােগের পরিকল্পনা;

– প্রয়ােজনীয় শিখন-সামগ্রী, মাস্কসহ অন্যান্য নিরাপত্তা সামগ্রী উপহার হিসেবে সরবরাহ করার পরিকল্পনা গ্রহণ;

– ক্লাসের পড়ালেখা সম্পন্ন করতে অতিরিক্ত সহায়তা কার্যক্রম (Remedial support) পরিচালনার পরিকল্পনা করা।

৪. শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা ও মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সহায়তা:

– শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খােলার আগেই স্কুলের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীর সাথে যােগাযােগ করার পরিকল্পনা

(ফোন করা হতে পারে/শিক্ষার্থীর উদ্দেশ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চিঠি, সম্ভব হলে শিক্ষক বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যবস্থাপনা কমিটির মাধ্যমে হােম ভিজিটের ব্যবস্থা করা);

– শিখন পরিবেশ আনন্দঘন করতে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণে পরিকল্পনা করা;

(যেমন- শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভবন রং করা, বিভিন্ন ছবি দিয়ে শ্রেণিকক্ষ ডেকোরেশন করা , টয়লেট/হ্যান্ড ওয়াশিং ফ্যাসিলিটিগুলাে নিয়মিত পরিচ্ছন্ন রাখা)

– কোভিড-১৯ সংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্য বয়সােপযােগী করে শিক্ষার্থীদের জন্য প্রস্তুত করা এবং স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের সহায়তায় তা নিয়মিত হালনাগাদ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা;

(যাতে করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোন ধরনের গুজবের প্রভাব না পড়ে);

– শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খােলার প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানানাের জন্য বিশেষ আয়ােজনের পরিকল্পনা করা, যাতে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসতে আগ্রহী হয়;

– দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের যে মানসিক চাপ তৈরি হয়েছে তা থেকে মুক্ত করানাের জন্য প্রথম এক/দুই সপ্তাহ পাঠ্যক্রমভিত্তিক শিখনের উপর গুরুত্ব না দিয়ে বিভিন্ন ধরনের খেলাধূলা ও সহ-শিক্ষাক্রমিক কার্যক্রম পরিচালনার পরিকল্পনা গ্রহণ এবং শিক্ষকদের অবহিতকরণের পরিকল্পনা;

– শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কার্যক্রমে বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক কার্যক্রম (যেমন- খেলাধুলা, ব্যায়াম, যােগ-ব্যায়াম) সংযুক্ত করা এবং বাড়িতেও অনুশীলনের জন্য উৎসাহিত করার জন্য শিক্ষকদের যুক্ত করার পরিকল্পনা করা;

শিক্ষার্থীদের মানসিক ও শারীরিক কার্যক্রমের কিছু উদাহরণ

  • খেলাধুলা
  • মেডিটেশন
  • যােগব্যায়াম
  • গাছ লাগানাে ও তার পরিচর্যা
  • সঙ্গীত চর্চা
  • ছবি আঁকা
  • সামাজিক সেবামূলক কাজে অংশগ্রহণ

– বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষকগণ যাতে শিক্ষার্থীদের মানসিক ও শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেন এজন্য তাদের প্রশিক্ষণের পরিকল্পনা গ্রহণ;

(শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খােলার আগেই অনলাইনে প্রশিক্ষণের আয়ােজন করা যেতে পারে)।

– শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালুর প্রথম ২ মাসের মধ্যে এমন কোন আনুষ্ঠানিক পরীক্ষা বা মূল্যায়নের ব্যবস্থা রাখা যাবে না যা
শিক্ষার্থীর উপর চাপ তৈরি করতে পারে;

– শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি কার্যক্রমে যাতে স্বাস্থ্যবিধির যথাযথ প্রয়ােগ হয় সে ব্যবস্থা নিশ্চিতে পরিকল্পনা।

৫. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুনরায় চালু বিষয়ক প্রচারণা পরিকল্পনা

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুনরায় চালু বিষয়ে স্থানীয়ভাবে প্রচারণার পরিকল্পনা গ্রহণ (কীভাবে হবে, কে দায়িত্ব প্রাপ্ত হবেন, বাজেট কী হবে)

পরিকল্পনা প্রণয়নের নমুনা ছক:

প্রতিটি পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য নিম্নোক্ত ছকটি ব্যবহার করবেন।

ক. নিরাপদ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার প্রস্তুতি:

পরিকল্পনা অনুযায়ী নিরাপদ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় প্রতিষ্ঠানকে প্রস্তুতকরণের জন্য নিম্নোক্ত কাজগুলাে করতে হবে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জীবাণুমুক্ত করা:

১. প্রয়ােজনীয় পরিষ্কারক সামগ্রী/উপকরণ ক্রয়ের জন্য অর্থ সংগ্রহের পরিকল্পনা;

২. মালামাল সংগ্রহ বা ক্রয় (ক্রয় বিধি অনুসারে) এর জন্য প্রয়ােজনীয় তালিকা প্রস্তুতকরণ (প্রয়ােজনে সংযুক্তিতে দেওয়া তালিকাটি অনুসরণ করা যেতে পারে);

৩. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাঙ্গন, শ্রেণিকক্ষসহ অন্যান্য সকল স্থান নিয়মিত জীবাণুমুক্ত করার;

৪. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খােলার আগে এবং পরবর্তীতে নিয়মিত পরিষ্কারপরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের জন্য দায়িত্ব বন্টন বা প্রয়ােজনীয় ক্ষেত্রে অতিরিক্ত জনবলের পরিকল্পনা;

৫. পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা দলের সদস্যদের জন্য ওরিয়েন্টেশনের পরিকল্পনা।

৬. নিয়মিত পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত রাখার পরিকল্পনা;

৭. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শুরুর আগে ও ছুটির পরের সময়েও জীবাণুমুক্ত রাখার পরিকল্পনা;

৮. শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ব্যবহারের জন্য নিয়মিতভাবে পর্যাপ্ত স্যানিটাইজার হাত-পােয়ার উপকরণ সরাহের পরিকল্পনা

৯. ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধােয়ার সঠিক নিয়ম এর ছবিসহ পােস্টার, কাপড়ের মাস্ক তৈরির পােস্টার, হাঁচি-কাশির শিষ্টাচারের পােস্টারসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধির পােস্টার সংগ্রহ অথবা প্রিন্ট করানাের পরিকল্পনা;

নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশনের প্রস্তুতি:

১০. স্যানিটেশন ও টয়লেটগুলাে সংস্কার করা ও জীবাণুমুক্ত করে ব্যবহার উপযােগী করার পরিকল্পনা;

  • প্রয়ােজনীয় মালামাল ও সরঞ্জাম সংগ্রহ বা ক্রয়;
  • কাজের নির্দেশনা;

১১. শিক্ষক-শিক্ষার্থীর চাহিদা অনুযায়ী প্রয়ােজনে নতুন করে হাত ধােয়ার স্থান নিশ্চিতকরণের পরিকল্পনা;

১২. মেয়ে শিক্ষার্থীদের টয়লেটে পর্যাপ্ত পরিমাণে স্যানিটারি প্যাড/ন্যাপকিন, সাবান, নিয়মিত পানির ব্যবস্থা করা এবং মাসিককালীন সময়ের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য পরিকল্পনা;

১৩. প্রতিটি হাত-ধােয়ার স্থান ও টয়লেটে পর্যাপ্ত স্যানিটারি সরঞ্জাম নিয়মিত সরবরাহের জন্য পরিকল্পনা;

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে কোভিড-১৯ বিস্তার রােধে ব্যবস্থা গ্রহণ;

১৪. কন্টাক্টলেস থার্মোমিটার স্থাপন ও প্রতিদিনের তথ্য সংরক্ষণের পরিকল্পনা;

১৫. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশের ও প্রস্থানের জন্য স্থান সুনির্দিষ্ট করে মার্কিং এর পরিকল্পনা;

১৬. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিরাপদে পরিচালনা করতে শিক্ষক ও স্টাফদের স্বাস্থ্যবিধি বিষয়ক প্রশিক্ষণ;

১৭. স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি স্থান মার্কিং এর পরিকল্পনা;

১৮. স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে সমন্বয় করে হটলাইন নাম্বারসহ প্রয়ােজনীয় তথ্য প্রস্তুত/সংগ্রহের পরিকল্পনা;

১৯. অতিরিক্ত কিছু মাস্ক সংগ্রহ ও সংরক্ষণের পরিকল্পনা;

খ. নিরাপদ শিখন কার্যক্রম পরিচালনার প্রস্তুতি:

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসার জন্য শিক্ষার্থীর চাহিদা নিরূপণ;

১. শিক্ষার্থীর তালিকা তৈরির পরিকল্পনা;

২. শিক্ষকদের অবস্থা বিশ্লেষণ – কতজন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসতে সক্ষম হবেন, কতজন দুর-শিখনে সহায়তা করতে পারবেন তার পরিকল্পনা।

৩. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামাে এবং ভৌত সুবিধাদির ম্যাপিং এর মাধ্যমে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে একসাথে কতজন শিক্ষার্থী নিয়ে ক্লাশ পরিচালনা যাবে তা নির্ধারণ পূর্বক শ্রেণিভিত্তি রুটিন তৈরির পরিকল্পনা।

৪. বিকল্প শিখন পদ্ধতি নির্বাচন, দায়িত্ব বন্টন, শিক্ষক প্রশিক্ষণসহ অন্যান্য প্রয়ােজনীয় কারিগরী সহযােগিতার পরিকল্পনা

শিক্ষার্থীদের নিরাপদ ও আনন্দঘন শিখন কার্যক্রমের প্রস্তুতি:

৫. শিখন পরিবেশ আনন্দঘন করার জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণের পরিকল্পনা;

(যেমন- শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভবন রং করা, বিভিন্ন ছবি দিয়ে শ্রেণিকক্ষ ডেকোরেশন করা, টয়লেট/হ্যান্ড ওয়াশিং ফ্যাসিলিটিগুলাে নিয়মিত পরিচ্ছন্ন রাখা)

৬. প্রথম এক/দুই সপ্তাহ পাঠ্যক্রমভিত্তিক শিখনের উপর গুরুত্ব না দিয়ে বিভিন্ন ধরনের খেলাধূলা ও সহ-শিক্ষাক্রমিক কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে পরিকল্পনা;

গ. দরিদ্র, পিছিয়ে পড়া ও সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণের প্রস্তুতি:

১. দরিদ্র, পিছিয়ে পড়া ও সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রস্তুতকরণ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ফিরিয়ে আনতে নিয়মিত যােগাযােগের পরিকল্পনা;

২. প্রয়ােজন অনুসারে শিখন-সামগ্রী, মাস্কসহ অন্যান্য নিরাপত্তা সামগ্রী উপহার হিসেবে সরবরাহ করার পরিকল্পনা;

৩. ক্লাসের পড়ালেখা সম্পন্ন করতে অতিরিক্ত সহায়তা কার্যক্রম। (Remedial Support) পরিচালনার পরিকল্পনা;

ঘ. শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা ও মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সহায়তার প্রস্তুতি:

১. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খােলার আগেই স্কুলের পক্ষ থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর সাথে যােগাযােগের পরিকল্পনা;

(সম্ভব হলে শিক্ষক বা ব্যবস্থাপনা কমিটির মাধ্যমে ফোন কল/হােম ভিজিট করা);

২. কোভিড-১৯ সংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্য সহজ ভাষায় শিক্ষার্থীদের উপযােগী করে প্রস্তুত করার পরিকল্পনা (ফ্ল্যাশকার্ড/লিফলেট আকারে)

৩. শিক্ষার্থীদের শারীরিক কার্যক্রম (খেলাধুলা, ব্যায়াম, যােগব্যায়াম) পরিচালনার পরিকল্পনা।

৪. ইতিমধ্যে অনলাইনে পরিচালিত পুষ্টি বিষয়ক প্রশিক্ষণে শিক্ষক, কর্মকর্তা অথবা এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের পুষ্টিশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার পরিকল্পনা

৫. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি কার্যক্রমে স্বাস্থ্যবিধির যথাযথ প্রয়ােগ নিশ্চিত করতে প্রয়ােজনীয় পরিকল্পনা;

ঙ. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুনরায় চালু বিষয়ক প্রচারণাঃ

৭. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খােলার আগেই স্কুলের পক্ষ থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর সাথে যােগাযােগ করা;

(সম্ভব হলে শিক্ষক বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যবস্থাপনা কমিটির মাধ্যমে ফোন কল/হােম ভিজিট করা);

৮. কোভিড-১৯ সংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্য বয়সােপযােগী করে শিক্ষার্থীদের জন্য প্রস্তুত করা (ফ্ল্যাশকার্ড/লিফলেট আকারে) ও কমিউনিটিতে প্রচার করা।

৯. স্থানীয় পর্যায়ের প্রচারণায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের গৃহিত পদক্ষেপ/ব্যবস্থা সম্পর্কিত লিফলেট বিতরণ।

১০. নিরাপদে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় অভিভাবক, শিক্ষার্থী, কমিউনিটির করণীয় কী তা প্রচারণায় উল্লেখ করা;

১১. প্রচারণার কাজে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যবস্থাপনা কমিটি, পিটিএ এবং স্টুডেন্ট কেবিনেট-কে সংযুক্ত করা;

আরও পড়ুন:

সংশ্লিষ্ট বিষয়ের জানার জন্য বিস্তারিত পড়ুন বাটনে ক্লিক করুন। নিরাপদ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম পরিচালনার পরিকল্পনাটি ডাউনলোড করার জন্য নিচের ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করুন;

পরিকল্পনাটি ডাউনলোড PDF

নিরাপদভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খােলার জন্য করণীয় সংক্রান্ত পরিকল্পনা

সকল স্তরের শিক্ষা সংক্রান্ত সঠিক তথ্য, সরকারি-বেসরকারি চাকুরি বিজ্ঞপ্তি, চাকুরির পরীক্ষা, এডমিট কার্ড, পরীক্ষার রুটিন, সরকারি বেসরকারি বৃত্তি, উপবৃত্তি ও প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত তথ্য সবার আগে পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজটি Follow করে রাখুন।

ইউটিউবে সর্বশেষ আপডেট পেতে বাংলা নোটিশ ডট কম এর ইউটিউব চ্যানেলটি Subscribe করে রাখুন।

আপনার প্রতিষ্ঠানের যেকোন বিজ্ঞপ্তি, খবর, নোটিশ ও জাতীয় রাজনৈতিক বিষয়ে লেখা প্রকাশ করতে চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দেশের অন্যতম প্রিয় অনলাইন পোর্টাল সর্বদাই সত্য ও বস্তুনির্ভর তথ্য প্রকাশে বদ্ধপরিকর। আপনার যেকোন অভিযোগ আপত্তি ও পরামর্শ সাদরে গ্রহণ করা হবে।

ক্যাটাগরি ভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেখুন

আমাদের আরও কিছু ওয়েবসাইট:

আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা নোটিশ ডট কম এর প্রকাশক ও সম্পাদক জনাব আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া। জন্ম ১৯৯৩ সালের ২০ নভেম্বর, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায়। বাবা আবদুল গফুর ভূঁইয়া এবং মা রহিমা বেগম। এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে আবদুল্লাহ আল আরিয়ান বয়স ৫ বছর। মেয়ে ফাবিহা জান্নাত বয়স ১ বছর। আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া এর শিক্ষাজীবন আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে ২০১৮ সালে ম্যানেজমেন্ট এ স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি উত্তরা ইউনিভার্সিটি ঢাকা থেকে বিপিএড সম্পন্ন করেন। আজিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শুরু। এরপর আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজ লাকসাম উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কিছুদিন ক্লাস করার পর। পারিবারিক কারণে নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজ এ কিছুদিন রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করার পর ভালো না লাগায় পুনরায় ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ছাত্র জীবনে তিনি নানা রকম সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। কর্মজীবন কর্মজীবনের শুরুতে তিনি আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় যোগদেন। বেশ কিছুদিন পর তিনি ২০১৯ সালে উন্নত ভবিষ্যতের আশায় কুয়েত পারি জমান। কিন্তু সেখানকার কাজের পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় পুনরায় আবার বাংলাদেশে ফিরে এসে পূর্বের পদে কাজে যোগদান করে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন। এছাড়াও তিনি স্বপ্ন গ্রাফিক্স এন্ড নেটওয়ার্ক নামে একটি মাল্টিমিডিয়া এবং প্রিন্টিং প্রেস প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধীকারী সেই সাথে স্বপ্ন ইশকুল নামক একটি কম্পিউটার ট্রেণিং ইনস্টিটিউট এর মালিকানায় আছেন যেখানে তিনি নিজেই ক্লাস পরিচালনা করেন। লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্ম ছাত্র অবস্থায় তিনি লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্মের সাথে জড়িত আছেন। ২০১১ সালে রাইটার্স এসোসিয়েশন এর ম্যাগাজিনে তার প্রথম লেখা বন্ধু চিরন্তন প্রকাশিত হয়। এর পর তিনি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Close

অ্যাডস্ ব্লকার পাওয়া গেছে!

দয়া করে আমাদের সাপোর্ট করার জন্য আপনার এডস্ ব্লকার ডিজেবল করে পেইজটি রিলোড করুন! ধন্যবাদ