কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে মাস্ক পড়ার গুরুত্ব বিষয়ক প্রতিবেদন
নবম শ্রেণির প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ, আশা করছি তোমরা খুবই ভালো আছো। তোমরা কি নবম শ্রেণির ২১তম সপ্তাহের বাংলা এসাইনমেন্টের উত্তর বা সমাধান সম্পর্কে ধারণা নিতে চাচ্ছো? কিংবা এসাইনমেন্টটি কিভাবে প্রস্তুত করতে হয় সে সম্পর্কে জানতে আগ্রহী? তাহলে বলবো তোমরা ঠিক ওয়েবসাইটে এসেছো। তোমাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটিতে রয়েছে নবম শ্রেণির ২১তম সপ্তাহের বাংলা এসাইনমেন্টের উত্তর বা সমাধান- কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে মাস্ক পড়ার গুরুত্ব বিষয়ক প্রতিবেদন।
নবম শ্রেণির ২১তম সপ্তাহের বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট
অ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশের গ্রেড অনুযায়ী নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সর্বশেষ অ্যাসাইনমেন্ট অর্থাৎ ২১ তম সপ্তাহের প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। নবমশ্রেণির ২১তম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশের মাধ্যমে নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমূহের নবম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ২০২১ শিক্ষাবর্ষের অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রমের সমাপ্তি হলো।
এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ মনে করো, তুমি সুমন/সুমনা। একটি দৈনিক পত্রিকার সংবাদ প্রতিনিধি। কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে মাস্ক পরার গুরুত্ব উল্লেখ করে সংবাদপত্রে প্রকাশের উপযোগী একটি প্রতিবেদন তৈরি কর।
নবম শ্রেণির ২১তম সপ্তাহের বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট এর উত্তর
কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে মাস্ক পরার গুরুত্ব
সুমনা, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১
করোনাভাইরাস বলতে ভাইরাসের একটি শ্রেণিকে বোঝায় যেগুলি স্তন্যপায়ী প্রাণী এবং পাখিদেরকে আক্রান্ত করে। মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাস শ্বাসনালীর সংক্রমণ ঘটায়। এই সংক্রমণের লক্ষণ মৃদু হতে পারে, অনেকসময় যা সাধারণ সর্দিকাশির ন্যায় মনে হয়।হাঁচি ও কাশির মাধ্যমে সৃষ্ট পানিকণার ফলে আক্রান্তর সংস্পর্শে অপর ব্যক্তি আক্রান্ত হতে পারে।
বিশ্বের বহু দেশেই সংক্রমণ ঠেকানোর একটি জনপ্রিয় ব্যবস্থা হচ্ছে মাস্ক ব্যবহার। মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত বিশ্বব্যাপী বহুল আলোচিত প্রাণঘাতী অসুখ করোনাভাইরাস। সভ্যতার ইতিহাসে খুব কম উদাহরণ রয়েছে, যেখানে একটা রোগ এতো দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্বে প্রতি ১০ জনে একজন এরই মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমিত বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যানে জানা গেছে।
বাংলাদেশে শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ। শনাক্তের দিক থেকে পঞ্চদশ আর মৃতের সংখ্যায় বাংলাদেশ রয়েছে ২৯তম অবস্থানে। যদিও পরিসংখ্যান বলছে, অন্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে সুস্থতার হার বেশি। মৃত্যু হার কম। তবুও বিপুল জনঘনত্বের দেশে মানুষ একবার রাস্তায় বেরোলে গায়ে গায়ে ঠেসাঠেসি অনিবার্য।
সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি রয়ে যায়। পাশাপাশি অপ্রয়োজনীয় ঘোরাফেরাও হচ্ছে প্রচুর। বেড়েছে ছোটখাটো অনুষ্ঠানাদি, আত্মীয়-স্বজনের বাসায় বেড়াতে যাওয়ার প্রবণতা। বাস বা অন্যান্য যানবাহনে গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। হাট-বাজারে মানুষ গাদাগাদি করে কেনাকাটা করছে। রেস্টুরেন্টে বসে আড্ডা দিচ্ছে।
দেখা যায়, বেশিরভাগ মানুষ মুখে মাস্ক পরছে না। সরকারিভাবে সতর্ক করা হচ্ছে, ‘করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে ঘরের বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করুন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও বারবার করে বলে আসছে, ‘মাস্ক পরলে ‘জীবাণু’র ড্রপলেট থেকে সুরক্ষা পাওয়া সম্ভব।’ বিজ্ঞানীরাও দাবি করছেন, ‘করোনা বাতাসের মাধ্যমেও ছড়ায়।’ তাই মাস্ক ব্যবহার আরও জরুরি। বাইরে পা দিলেই মাস্ক জরুরি। বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত্র প্রায় ৪০ শতাংশ রোগীই উপসর্গহীন।
কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে মাস্ক পড়ার গুরুত্ব বিষয়ক প্রতিবেদন
এদের শরীরে ভাইরাস বাসা বাঁধলেও রোগ লক্ষণ ফুটে ওঠে না। মুশকিল হলো, এরা কিন্তু অন্যের মধ্যে রোগ ছড়িয়ে দিতে পারে। রোগ লক্ষণ থাকে না বলে এদের চিহ্নিত করাও কঠিন। এই সমস্যা সমাধানে বাড়ির বাইরে পা দিলেই মাস্ক ব্যবহার করা জরুরি। সাম্প্রতিক গবেষণায় প্রকাশ করেন, করোনা মোকাবিলায় মাস্কের বিকল্প নেই।
মাস্ক ছাড়া বাইরে বেরোলে করোনায় সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে বেড়ে যায়। মাস্কই হলো করোনা থেকে বাঁচার অন্যতম পথ। কথা বলার সময়, হাঁচি, কাশির সময় মুখ-নাক থেকে বেশকিছু তরলবিন্দু বেরিয়ে আসে। এই তরলবিন্দুকে বলে ড্রপলেট। একজন করোনা আক্রান্তের ড্রপলেটে থাকে ভাইরাস। আক্রান্ত মানুষটা কথা বললে, হাঁচলে বা কাশলে ড্রপলেট বের হয়। যেগুলো বাতাসে ৩-৪ ঘণ্টা ভেসে থাকতে সক্ষম।
সেই ড্রপলেট কোনো সুস্থ ব্যক্তির নাক, মুখ, চোখ হয়ে শরীরে প্রবেশ করলেই বিপদ! তখন সুস্থ মানুষটার দেহের অন্দরে প্রবেশ করে করোনাভাইরাস। মানুষটা করোনায় আক্রান্ত হন। অথচ মাস্ক পরলে মাইক্রো-ড্রপলেট থেকে রক্ষা পাওয়ার সম্ভাবনা বহুগুণ বেড়ে যায়।
কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে মাস্ক পড়ার গুরুত্ব বিষয়ক প্রতিবেদন
ভাইরাস ঠেকাতে মাস্ক তাই অন্যতম এক পরিধানের অনুষঙ্গ। সংক্রমিত ব্যক্তি ঠিকঠাকভাবে কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে মাস্ক পরলে, তার নাক, মুখ থেকে ড্রপলেট বেরোলেও মাস্ক আটকে দেয়। আক্রান্তের কাছাকাছি চলে আসা সুস্থ মানুষের পক্ষে তখন রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে এ মাস্ক। কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে মাস্ক ভ্যাকসিন না আসা পর্যন্ত প্রতিরোধে এখন থেকে প্রয়োজন মিলিটারির মতো অনুশাসন।
সাবধানতা হিসেবে গ্লাভস ও মাস্ক পরা, ঘন ঘন হাত ধোয়া। কমপক্ষে ছয় ফুটের সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করা। মাস্ক ছাড়া লোকজন কিংবা যারা জোরে কথা বলে তাদের সামনে না যাওয়া। যানবাহন ও বাজারে সর্বত্র ভিড় পরিহার করা। টাকা বা কাগজ গোনার সময় আঙুল দিয়ে জিহ্বা বা ঠোঁট স্পর্শ না করা। চুলসহ শরীর যথাসম্ভব আবৃত রাখা। বাইরে থেকে বাড়িতে ফিরে সব পরিধেয় ধুতে দেওয়া। হাত-মুখ না ধুয়ে ঘরের কোনো কিছু নাধরা ইত্যাদি প্রাত্যহিক কাজ এখন জরুরি হয়ে পড়েছে। এখনো করোনার কার্যকর ওষুধের অভাব রয়েছে। এ অবস্থায় শুধু ব্যক্তিগত সচেতনতাই পারে করোনা প্রতিরোধ করতে।
আরো দেখুন-
- ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণির ২১তম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশ
- কোভিড-১৯: বারবার হানা দেওয়ার সক্ষমতা সম্পন্ন একটি ভাইরাস!
- করোনাভাইরাস কে হারানোর জন্য কিছু নতুন উদ্ভাবন প্রয়োজন – বিল গেটস
সকল স্তরের শিক্ষা সংক্রান্ত সঠিক তথ্য, সরকারি-বেসরকারি চাকুরি বিজ্ঞপ্তি, চাকুরির পরীক্ষা, এডমিট কার্ড, পরীক্ষার রুটিন, সরকারি বেসরকারি বৃত্তি, উপবৃত্তি ও প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত তথ্য সবার আগে পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজটি Follow করে রাখুন।
ইউটিউবে সর্বশেষ আপডেট পেতে বাংলা নোটিশ ডট কম এর ইউটিউব চ্যানেলটি Subscribe করে রাখুন। আপনার প্রতিষ্ঠানের যেকোন বিজ্ঞপ্তি, খবর, নোটিশ ও জাতীয় রাজনৈতিক বিষয়ে লেখা প্রকাশ করতে চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।