সমন্বিত উপবৃত্তি

এইচএসসি বৃত্তিপ্রাপ্তদের বৃত্তির টাকা প্রাপ্তির জন্য করণীয় ও তথ্য এন্ট্রি ফরম

সুপ্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা তোমরা যারা বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের ২০২০ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের উপর ভিত্তি মেধা ও সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পেয়েছো তোমাদের সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আজকে আলোচনা করবো এইচএসসি বৃত্তিপ্রাপ্তদের বৃত্তির টাকা প্রাপ্তির জন্য করণীয় ও তথ্য এন্ট্রি ফরম প্রসঙ্গে।

এরইমধ্যে বাংলা নোটিশ ডট এর পাঠকদের জন্য সকল শিক্ষাবোর্ড এইচএসসি ও আলিম ২০২০ বৃত্তির ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।  

২০২০ সালের অটোপাশ হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে ফলাফলের ভিত্তিতে ঢাকা শিক্ষাবোর্ড, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড, ময়মনসিংহ শিক্ষাবোর্ড, চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড, বরিশাল শিক্ষাবোর্ড, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড, দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ড, সিলেট বোর্ড, যশাের শিক্ষাবোর্ড থেকে মোট ১১২৫ জনকে মেধাবৃত্তি (ট্যালেন্টপুল) এবং ৯৩৭৬ জনকে সাধারণ বৃত্তির জন্য মনোনীত করা হয়েছে। 

২২ এপ্রিল সকল শিক্ষাবোর্ড এইচএসসি ও আলিম ২০২০ বৃত্তির ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত বৃত্তির ফলাফলে ২০২০ সালের এইচএসসি বৃত্তি প্রাপ্তদের অনুসরণীয় নীতিমালা ও টাকা প্রাপ্তির পদ্ধতি জানানো হয়েছে। 

দেশের সকল শিক্ষাবোর্ডের এইচএসসি বৃত্তিপ্রাপ্তদের টাকা প্রাপ্তির নিয়ম ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনাবলী নিয়ে আজকে আমরা আলোচনা করবো। 

আজকের আলোচনায় থেকে তোমরা এইচএসসি বৃদ্ধিপ্রাপ্ত কিভাবে ব্যাংক একাউন্টে টাকা নিবে এবং বৃত্তির টাকা পাওয়ার জন্য কি করতে হবে সকল বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবে। তাহলে কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক। 

কাজ-১: বৃত্তির রেজাল্ট ডাউনলোড করা রেজাল্ট দেখা ও প্রিন্ট করা;

এইচএসসি ২০২০ এ তুমি বৃত্তি প্রাপ্ত হয়েছে কিনা সেই বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে বৃত্তির রেজাল্ট ডাউনলোড করে দেখে নাও।

তোমাদের জন্য নোটিশ ডট কম এ All Education Board HSC Scholarship Result 2020 PDF প্রকাশিত হয়েছে। 

নিচের ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে সকল শিক্ষা বোর্ডের ২০২০ সালের এসএসসি ফলাফলের ওপর নির্ধারিত মেধা ও সাধারণ বৃত্তির ফলাফল দেখে নাও। 

এখান থেকে ফলাফলটি দেখার পর তুমি ফলাফল এর প্রথম পৃষ্ঠাগুলো মানে গেজেটের কপি এবং তোমার নামটি যে পৃষ্ঠাতে এই পৃষ্ঠা প্রিন্ট করে সংরক্ষণ করে রাখ।

কাজ-২: বৃত্তির তথ্য প্রাপ্তির জন্য ব্যাংক একাউন্ট খোলা

তোমরা যারা ২০২০ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় বৃত্তি প্রাপ্ত হয়েছো তোমাদের বৃত্তির টাকা সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে G2P EFT পদ্ধতিতে প্রদান করা হবে।

তাই তোমরা অবশ্যই নিজেদের নামে অথবা অভিভাবকের নামে একটি অনলাইন চালু আছে এরকম ব্যাংকে একাউন্ট খুলে তা সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করতে হবে। 

বাংলাদেশের যে কোন তফসিলে অনলাইন ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট তুমি জমা দিতে পারো। যেকোনো ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং হলেও কোন সমস্যা নেই।

তুমি চাইলে সরকারি কোন ব্যাংক অথবা বেসরকারি যেকোনো একটি ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে পারো। 

স্টুডেন্ট একাউন্ট খোলার জন্য তোমার যে সকল কাগজপত্র প্রয়োজন হবে তা হল- 

১. বর্তমানে তুমি যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি অবস্থায় আছ সে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের প্রত্যয়নপত্র। অথবা তোমার স্টুডেন্ট আইডি কার্ড। 

২. শিক্ষার্থীর দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং অভিভাবকের দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।  সম্ভব হলে ছবিগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান থেকে সত্যায়িত করে নিবে। 

৩. শিক্ষার্থীর অভিভাবক এর জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি; 

কাজ-৩: ভর্তিকৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বৃত্তিপ্রাপ্তির তথ্য সরবরাহ করা

তুমি যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে ভর্তি আছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অফিসে তোমার বৃত্তিপ্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়ে দাও।

প্রয়োজনে বাংলা নোটিশ ডট কম এর প্রদত্ত বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের তথ্যাদি সফট্ওয়ারে এন্ট্রি করতে তথ্য সংগ্রহ ফরমটি ফরমটি ডাউনলোড করে সাথে গেজেটের কপি যেটি তুমি কিছুক্ষণ আগে প্রিন্ট করেছো সেইটি জমা দাও। 

বৃত্তির ডাটা এন্ট্রি ফরম
নমূনা ফরম

ফরমটি ডাউনলোড করুন

কাজ-৪: সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচির সফট্ওয়ারে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের তথ্যাদি এন্ট্রি;

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর বর্তমানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট কর্তৃক পরিচালিত সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচি সফটওয়ারের মাধ্যমে সরাসরি শিক্ষার্থীদের একাউন্টে বৃত্তির টাকা প্রদান করে থাকে।

বৃত্তির টাকা প্রাপ্তির জন্য শিক্ষার্থীদের সঠিক তথ্য সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচি সফট্ওয়ারে এন্ট্রি নিশ্চিত করতে হবে না হলে বৃত্তির টাকা প্রাপ্তিতে বিঘ্ন সৃষ্টি হতে পারে। 

শিক্ষার্থীদের তথ্য উপবৃত্তি কর্মসূচি সফট্ওয়ারে এন্ট্রি করার বিষয়টি সহজ করার জন্য BanglaNotice পরিবারের পক্ষ থেকে তোমাদের জন্য একটি তথ্য সংগ্রহ ফরম ডিজাইন করে দেওয়া হয়েছে। 

এই ফরমটি ডাউনলোড করে এখন তো তাদের সঠিকভাবে পূরণ করে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জমা দিলে তোমাদের তথ্য এন্ট্রি সহজ হয়ে যাবে। 

কাজ-৫: সফট্ওয়ারে এন্ট্রিকৃত তথ্য যাচাই

বৃত্তির টাকা প্রাপ্তির জন্য শিক্ষার্থীদের তথ্য এন্ট্রি করার পর সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে তুমি তোমার তথ্যসমূহ সম্বলিত একটি প্রিন্ট সংগ্রহ করে নিচের তথ্যগুলো সঠিক ভাবে যাচাই করে নেবে। 

এন্ট্রি তথ্যে ভুল পরিলক্ষিত হলে সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান কে বিষয়টি অবগত করে তা সমাধান করার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। 

উপরোক্ত কার্যক্রম সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে পারলে তোমার বৃত্তির টাকা প্রাপ্তিতে কোন প্রকার সমস্যা হবেনা আশা করছি। 

তবুও তোমার মনে আরো কোন প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই বাংলা নোটিশ এর ফেসবুক পেইজটি লাইক এবং ফলো করে আমাদের মেসেজ করতে পারো। আমাদেরকে সরাসরি ফোন করেও তুমি তোমার তথ্যটি জেনে নিতে পারো।

চলো এবার এইচএসসি বৃত্তি সংক্রান্ত আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তোমাদের সাথে শেয়ার করি। মনযোগ দিয়ে পড়ে নাও, খুব উপকারে আসবে।

এইচএসসি বৃত্তিপ্রাপ্তরা কে কত টাকা পাবে?

২০২০ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় মেধাবৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা মাসিক ৮২৫ (আটশত পঁচিশ) টাকা ও এককালীন অনুদান (বাৎসরিক) : ১৮০০ (এক হাজার আটশত) টাকা পাবে এবং সাধারণ বৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা মাসিক ৩৭৫ (তিনশত পঁচাত্তর) টাকা এবং এককালীন অনুদান (বাৎসরিক): ৭৫০ (সাতশত পঞ্চাশ) টাকা করে পাবে।

এ বৃত্তি প্রদানের সময় নিম্নে বর্ণিত নিয়ম ও নীতিমালা অবশ্যই মেনে চলতে হবে-

১। (ক) বৃত্তির গেজেটে শিক্ষার্থী যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেছে সেই প্রতিষ্ঠানের নাম থাকবে এবং প্রতিষ্ঠান প্রধানের সার্টিফিকেট প্রদান সাপেক্ষে ভর্তিকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা উত্তোলন করবে।

বৃত্তির মেয়াদ ২০২০ সালের জুলাই মাস হতে কোর্সের মেয়াদকালীন সময় পর্যন্ত।

(খ) সংশ্লিষ্ট ছাত্র/ছাত্রীদের অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।

(গ) সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের সদাচরণ, বিদ্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিতি ও সন্তোষজনক পাঠোন্নতি সাপেক্ষে বৃত্তি প্রদান করা হবে।

(ঘ) এ বৃত্তিগুলাের সংখ্যা, হার ও মেয়াদ আপাত নির্ধারিত। প্রয়ােজনবােধে সরকার কোন কারণ না দেখিয়েই তা পরিবর্তন বা বাতিল করতে পারবে।

বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মঞ্জুরি (অনুমােদন) প্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে বৃত্তি কার্যকর হবে। মঞ্জুরি (অনুমােদন) প্রাপ্ত নয় এমন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ বৃত্তি কোনক্রমেই কার্যকর হবে না।

কারণ সরকারি আইন অনুযায়ী অননুমােদিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী বৃত্তি পাওয়ার যােগ্য নয় এবং অননুমােদিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নকাল পাঠ বিরতি (ব্রেক অব স্টাডি) হিসেবে গণ্য হবে।

৩। সকল বৃত্তিই কেবল নিয়মিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে মেধানুসারে এবং নীতিমালার অন্যান্য শর্ত মােতবেক প্রদান করা হবে। কোন ভাবেই অনিয়মিত শিক্ষার্থী বৃত্তি পাবে না।

৪। সকল বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী বিনা বেতনে অধ্যয়নের সুযােগ লাভ করবে। সরকার অনুমােদিত কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে কোন মাসিক বেতন দাবী করতে পারবে না।

তাদের নিকট মাসিক বেতন দাবী করলে ঐ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

৫। কোন কারনে অর্থ বছরের নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেলে মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এর অনুমােদন ক্রমে সর্বোচ্চ ০১ (এক) বছরের তামাদি (বকেয়া) বৃত্তি প্রদান করা যাবে।

৬। মেধাবৃত্তি ও সাধারণবৃত্তির মাসিক হার, এককালীন অনুদান এবং সময়সীমা নিম্নরূপ:

৭। বৃত্তির গেজেটে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের বৃত্তির বরাদ্দকৃত অর্থ G2P পদ্ধতিতে EFT এর মাধ্যমে ব্যাংক হিসাবে প্রেরণের নিমিত্তে বাংলাদেশ তফসীলভুক্ত অনলাইন সুবিধাসম্পন্ন ব্যাংকে একাউন্ট খুলে হিসাব নম্বর ভর্তিকৃত প্রতিষ্ঠানে ৭ (সাত) দিনের মধ্যে আবশ্যিক ভাবে জমা প্রদানের জন্য শিক্ষার্থীদের নির্দেশ প্রদান করতে হবে।

৮। বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্র/ছাত্রী ছাড়পত্র নিয়ে অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হলে তৎক্ষণাৎ প্রতিষ্ঠান দুটির প্রধানগণ বৃত্তি বদলির ব্যাপারে নিম্নলিখিত তথ্যাদিসহ বাের্ডকে জানাবেন, অন্যথায় প্রয়ােজনীয় অনুমতির অভাবে সংশ্লিষ্ট বৃত্তির টাকা সময়মত উত্তোলন করা না গেলে সে জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধানগণই দায়ী থাকবেন।

বৃত্তি বদলীর বিষয়ে প্রেরিতব্য তথ্য:

ক) বৃত্তির টাকা উত্তোলন ও প্রদান সম্পর্কীয় পূর্ণ বিবরণ;

খ) যে বাের্ড হতে বৃত্তি দেয়া হয়েছে তার নাম, বৃত্তির প্রকার এবং যে বিজ্ঞপ্তি মারফৎ বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে তার নম্বর, তারিখ ও পৃষ্ঠা নম্বরসহ বৃত্তির [ক্রমিক নম্বর ও সংশ্লিষ্ট ছাত্র/ছাত্রীর রােল নম্বর।

গ) পূর্বতন প্রতিষ্ঠান প্রদত্ত ছাড়পত্রের সত্যায়িত অনুলিপি।

৯। বিলম্বে ভর্তি, প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন, বিষয় পরিবর্তন এবং অসুস্থতার কারেণে সর্বোচ্চ ০১ (এক) বছর পাঠ বিরতি গ্রহণযােগ্য।

তবে সে ক্ষেত্রে বৃত্তি নিয়মিতকরণ বাধ্যতামূলক। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর সকল বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজের বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের নিয়মিতকরণ করবে।

১০। বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্র/ছাত্রীগণ কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা অনুরূপ কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রদত্ত অন্য কোন বৃত্তি গ্রহণ করলে বাের্ড প্রদত্ত বৃত্তি বাতিল বলে গন্য হবে।

সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী কোন ছাত্র/ছাত্রী একই সাথে একাধিক বৃত্তি ভােগ করতে পারবেনা।

১১। সরকারি আদেশ মােতাবেক বৃত্তি পাওয়ার যােগ্যতা সর্বনিম্ন জি পি এ ৩.০০ বৃত্তির তালিকা প্রস্তুতের ক্ষেত্রে নিম্ন লিখিত বিষয়গুলাে পর্যায়ক্রমে অনুসরণ করা হয়েছে –

(ক) সংশ্লিষ্ট পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ -এর ভিত্তিতে (৪র্থ বিষয় ব্যতীত) বৃত্তি প্রদান করা হলাে।

(খ) একাধিক শিক্ষার্থী একই জিপিএ পেলে প্রথমে ৪র্থ বিষয় ব্যতীত প্রাপ্ত মােট নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম প্রস্তুত করা হলাে।

(গ) ৪র্থ বিষয় ব্যতীত প্রাপ্ত মােট নম্বর একই হলে ৪র্থ বিষয়সহ প্রাপ্ত মােট নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম প্রস্তুত করা হলাে।

(ঘ) ৪র্থ বিষয়সহ প্রাপ্ত মােট নম্বর একই হলে পর্যায়ক্রমে বাংলা ও ইংরেজিতে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারিত করা হলাে।

(ঙ) পর্যায়ক্রমে বাংলা, ইংরেজি বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বর একই হলে সংশ্লিষ্ট বিভাগে বাধ্যতামূলক ২টি বিষয়ে প্রাপ্ত সর্বমােট নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রমে নির্ধারিত করা হলাে।

১২। এ বিজ্ঞপ্তিতে অনিচ্ছাকৃত কোন ত্রুটি পরিলক্ষিত হলে তা সংশােধন, পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করার ক্ষমতা বাের্ডসংরক্ষণ করে।

প্রয়ােজনবােধে কোন রকম কারণ না দেখিয়ে যে কোন বৃত্তি বাের্ড বাতিল করতে পারে।

সে কারণে বৃত্তির টাকা প্রদানের পূর্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ এই মর্মে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের নিকট হতে লিখিত প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করবেন যে, তারা বাের্ডের বৃত্তি সংন্ত নিয়ম কানুন মেনে চলতে এবং প্রয়ােজন হলে বৃত্তির সম্পূর্ণ অর্থ ফেরত দিতে বাধ্য থাকবে।

১৩। “মেধাবৃত্তি” ও “সাধারণ বৃত্তির ব্যয় বাজেটের “১২৫০২০১-১০৮৭৬২-৩৮২১১১৭” বৃত্তি/স্কলারশীপ খাত হতে নির্বাহ করা হবে।

মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, ঢাকা এর স্মারক নং ৩৭.০২.০০০০.১১৭.৩১.০০১.২১-১০৮২ তারিখ ১২/০৪/২০২১ইং এর পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট বৃত্তির টাকা ২০২০ সনের ১ জুলাই হতে কোর্সের মেয়াদকালীন পর্যন্ত বহাল থাকবে।

বাংলা নোটিশ ডট কম বাংলাদেশের অন্যতম অফিশিয়াল ইনফর্মেশন প্রোভাইডার ওয়েবসাইট।

দেশের সকল স্তরের শিক্ষা, চাকরি, প্রশিক্ষণ, বৃত্তি, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার জন্য আমাদের ফেসবুক পেইজটি লাইক করে রাখুন এবং আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করো।

তোমার বৃত্তিপ্রাপ্ত বন্ধুদের এই বিষয়টি জানানোর জন্য অবশ্যই তোমার ফেইসবুক ওয়ালে খবরটি শেয়ার করে দাও। তোমাদের জন্য সর্বাত্মক শুভকামনা রইল।

দেশের সকল শিক্ষাবোর্ড এর এইচএসসি বৃত্তির ফলাফল ডাউনলোড করে নাও:

আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা নোটিশ ডট কম এর প্রকাশক ও সম্পাদক জনাব আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া। জন্ম ১৯৯৩ সালের ২০ নভেম্বর, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায়। বাবা আবদুল গফুর ভূঁইয়া এবং মা রহিমা বেগম। এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে আবদুল্লাহ আল আরিয়ান বয়স ৫ বছর। মেয়ে ফাবিহা জান্নাত বয়স ১ বছর। আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া এর শিক্ষাজীবন আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে ২০১৮ সালে ম্যানেজমেন্ট এ স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি উত্তরা ইউনিভার্সিটি ঢাকা থেকে বিপিএড সম্পন্ন করেন। আজিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শুরু। এরপর আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজ লাকসাম উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কিছুদিন ক্লাস করার পর। পারিবারিক কারণে নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজ এ কিছুদিন রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করার পর ভালো না লাগায় পুনরায় ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ছাত্র জীবনে তিনি নানা রকম সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। কর্মজীবন কর্মজীবনের শুরুতে তিনি আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় যোগদেন। বেশ কিছুদিন পর তিনি ২০১৯ সালে উন্নত ভবিষ্যতের আশায় কুয়েত পারি জমান। কিন্তু সেখানকার কাজের পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় পুনরায় আবার বাংলাদেশে ফিরে এসে পূর্বের পদে কাজে যোগদান করে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন। এছাড়াও তিনি স্বপ্ন গ্রাফিক্স এন্ড নেটওয়ার্ক নামে একটি মাল্টিমিডিয়া এবং প্রিন্টিং প্রেস প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধীকারী সেই সাথে স্বপ্ন ইশকুল নামক একটি কম্পিউটার ট্রেণিং ইনস্টিটিউট এর মালিকানায় আছেন যেখানে তিনি নিজেই ক্লাস পরিচালনা করেন। লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্ম ছাত্র অবস্থায় তিনি লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্মের সাথে জড়িত আছেন। ২০১১ সালে রাইটার্স এসোসিয়েশন এর ম্যাগাজিনে তার প্রথম লেখা বন্ধু চিরন্তন প্রকাশিত হয়। এর পর তিনি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Close

অ্যাডস্ ব্লকার পাওয়া গেছে!

দয়া করে আমাদের সাপোর্ট করার জন্য আপনার এডস্ ব্লকার ডিজেবল করে পেইজটি রিলোড করুন! ধন্যবাদ