সর্বশেষ আপটেড

প্রাথমিক চিকিৎসা পরিস্থিতির সম্মুখীন হলে আমি যে যে পদক্ষেপ গ্রহণ করবো

অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী বন্ধুরা, আশা করছি তোমরা খুব ভালো আছো। আজ তোমাদের সাথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি। এই আর্টিকেলে তোমাদের জন্য রয়েছে ৮ম শ্রেণির ১৮তম সপ্তাহের শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর/ সমাধান : প্রাথমিক চিকিৎসা পরিস্থিতির সম্মুখীন হলে আমি যে যে পদক্ষেপ গ্রহণ করবো তা উপস্থাপন।

কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বাের্ড (এনসিটিবি) কর্তৃক প্রণয়নকৃত ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট শিক্ষার্থীদের জন্য ২০২১ খ্রিঃ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যসূচির আলােকে নির্ধারিত গ্রিড অনুযায়ী ১৮তম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে প্রকাশিত হয়েছে।

৮ম শ্রেণির ১৮তম সপ্তাহ শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য অ্যাসাইনমেন্ট

এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ :

রিতা ও জুঁই দুই বান্ধবী। প্রতিদিনের মতো তারা স্কুলের মাঠে খেলা করছিল। হঠাৎ রিতা পড়ে গিয়ে হাতে প্রচন্ড ব্যথা পায়। কিছুক্ষণ পরে দেখা যায় রিতার হাত ফুলে গিয়েছে এবং প্রচন্ড ব্যথা অনুভব করে। এমতাবস্থায় জুঁই তার অন্যান্য বান্ধবীদের ডেকে এনে রিতা কে ডাক্তারের কাছে নেওয়ার পূর্বে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে। এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হলে তুমি কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে সে সম্পর্কে তোমার পাঠ্য পুস্তকের আলোকে মতামত উপস্থাপন কর।

নির্দেশনা :

  • পাঠ্যপুস্তক থেকে ধারণা নেয়া যেতে পারে।
  • পূর্ববর্তী বা পরবর্তী শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক থেকেও ধারণা নেয়া যেতে পারে।
  • বিষয় শিক্ষকের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।
  • ইন্টারনেটের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে।

৮ম শ্রেণির ১৮তম সপ্তাহের শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর/ সমাধান

রিতা ও জুঁই দুই বান্ধবী। প্রতিদিনের মতো তারা স্কুলের মাঠে খেলা করছিল। হঠাৎ রিতা পড়ে গিয়ে হাতে প্রচন্ড ব্যথা পায়। কিছুক্ষণ পরে দেখা যায় রিতার হাত ফুলে গিয়েছে এবং প্রচন্ড ব্যথা অনুভব করে। এমতাবস্থায় জুঁই তার অন্যান্য বান্ধবীদের ডেকে এনে রিতা কে ডাক্তারের কাছে নেওয়ার পূর্বে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে। এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হলে আমি যে যে পদক্ষেপ গ্রহণ করবো সে সম্পর্কে পাঠ্য পুস্তকের আলোকে মতামত উপস্থাপন করা হলঃ

হঠাৎ আঘাত পেলে শরীরের ওই নির্দিষ্ট জায়গায় অতিরিক্ত চাপে ফুলে যায়। এ ধরনের আঘাতে যে সমস্যা হয় তাকে সাধারণত সফট টিস্যু ইনজুরি বলে। আঘাত হাতে-পায়ের , নার্ভ বা লিগামেন্টের অবস্থানগত পরিবর্তনের জন্য ব্যথা হয়।

হঠাৎ রিতা পড়ে হাতে আঘাত পেলে কী করণীয় –

আঘাত পাওয়ার কারণেঃ

  • আঘাতপ্রাপ্ত জায়গা ফুলে যায়
  • প্রচণ্ড ব্যথা হয়

ওই অংশটি লাল হয়ে যায় এবং গরম থাকে। এটা হয় কোনো দুর্ঘটনায় আঘাত পেলে, খেলাধুলার সময় আঘাত পেলে, মাংসপেশিতে হঠাৎ টান লাগলে কিংবা পা পিছলে পড়ে গেলে। আর এসব কারণে সফট টিস্যু ইনজুরি হয়। আঘাতের তীব্রতা বেশি হলে হাড় ভেঙে যেতে পারে। হাড় ভেঙে গেছে সন্দেহ হলে অবশ্যই এক্স-রে করাতে হবে এবং প্রয়োজন হলে চিকিৎসা নিতে হবে।

এরকম অবস্থানে আমি থাকলে যা করতামঃ

আমি প্রথমে আক্রান্ত জায়গায় বরফ ব্যবহার করবো ১৫-২০ মিনিট ধরে। তারপর, ভিজা গামছার ভেতর বরফ নিয়ে আক্রান্ত অংশে মুড়িয়ে নিবো। আমি খেয়াল করব, যদি বেশি ঠান্ডা লাগে, ৩ মিনিট পর উঠিয়ে ফেলবো। শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে আবার ১২-১৪ মিনিট ধরে পেঁচিয়ে রাখবো। আক্রান্ত অংশ ফুলে গেলে ক্রেব ব্যান্ডেজ দিয়ে পেঁচিয়ে রাখবো, যাতে আর ফুলতে না পারে। তারপর, আক্রান্ত অংশ বালিশ বা অন্য কিছু দিয়ে উঁচু করে রাখবো, যাতে হৃৎপিণ্ড বরাবর থাকে। এই অবস্থায় হালকা ব্যায়াম, হালকা মালিশ, আলট্রাসাউন্ড থেরাপি ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে। রোগীকে ৬-৭ দিন পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হয়। লক্ষ রাখতে হবে রোগী আবার যেন আঘাত না পায়। ব্যথা ভালো না হলে চিকিৎসকের পরামর্শে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসাসহ অন্য চিকিৎসা নিতে হবে।

এই ছিলো তোমাদের ৮ম শ্রেণির ১৮তম সপ্তাহের শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর/ সমাধান : প্রাথমিক চিকিৎসা পরিস্থিতির সম্মুখীন হলে আমি যে যে পদক্ষেপ গ্রহণ করবো তা উপস্থাপন।

আপনার জন্য আরো কিছু তথ্য-

সকল স্তরের শিক্ষা সংক্রান্ত সঠিক তথ্য, সরকারি-বেসরকারি চাকুরি বিজ্ঞপ্তি, চাকুরির পরীক্ষা, এডমিট কার্ড, পরীক্ষার রুটিন, সরকারি বেসরকারি বৃত্তি, উপবৃত্তি ও প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত তথ্য সবার আগে পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজটি Follow করে রাখুন। ইউটিউবে সর্বশেষ আপডেট পেতে বাংলা নোটিশ ডট কম এর ইউটিউব চ্যানেলটি Subscribe করে রাখুন। আপনার প্রতিষ্ঠানের যেকোন বিজ্ঞপ্তি, খবর, নোটিশ ও জাতীয় রাজনৈতিক বিষয়ে লেখা প্রকাশ করতে চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা নোটিশ ডট কম এর প্রকাশক ও সম্পাদক জনাব আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া। জন্ম ১৯৯৩ সালের ২০ নভেম্বর, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায়। বাবা আবদুল গফুর ভূঁইয়া এবং মা রহিমা বেগম। এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে আবদুল্লাহ আল আরিয়ান বয়স ৫ বছর। মেয়ে ফাবিহা জান্নাত বয়স ১ বছর। আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া এর শিক্ষাজীবন আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে ২০১৮ সালে ম্যানেজমেন্ট এ স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি উত্তরা ইউনিভার্সিটি ঢাকা থেকে বিপিএড সম্পন্ন করেন। আজিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শুরু। এরপর আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজ লাকসাম উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কিছুদিন ক্লাস করার পর। পারিবারিক কারণে নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজ এ কিছুদিন রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করার পর ভালো না লাগায় পুনরায় ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ছাত্র জীবনে তিনি নানা রকম সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। কর্মজীবন কর্মজীবনের শুরুতে তিনি আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় যোগদেন। বেশ কিছুদিন পর তিনি ২০১৯ সালে উন্নত ভবিষ্যতের আশায় কুয়েত পারি জমান। কিন্তু সেখানকার কাজের পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় পুনরায় আবার বাংলাদেশে ফিরে এসে পূর্বের পদে কাজে যোগদান করে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন। এছাড়াও তিনি স্বপ্ন গ্রাফিক্স এন্ড নেটওয়ার্ক নামে একটি মাল্টিমিডিয়া এবং প্রিন্টিং প্রেস প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধীকারী সেই সাথে স্বপ্ন ইশকুল নামক একটি কম্পিউটার ট্রেণিং ইনস্টিটিউট এর মালিকানায় আছেন যেখানে তিনি নিজেই ক্লাস পরিচালনা করেন। লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্ম ছাত্র অবস্থায় তিনি লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্মের সাথে জড়িত আছেন। ২০১১ সালে রাইটার্স এসোসিয়েশন এর ম্যাগাজিনে তার প্রথম লেখা বন্ধু চিরন্তন প্রকাশিত হয়। এর পর তিনি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Close

অ্যাডস্ ব্লকার পাওয়া গেছে!

দয়া করে আমাদের সাপোর্ট করার জন্য আপনার এডস্ ব্লকার ডিজেবল করে পেইজটি রিলোড করুন! ধন্যবাদ