সমাজে ন্যায় বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে হযরত উমর (রাঃ) এর খেলাফত
৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী বন্ধুরা, তোমাদের জন্য ৬ষ্ঠ শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের পঞ্চম অধ্যায় আদর্শ জীবন চরিত থেকে সমাজে ন্যায় বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে হযরত উমর (রাঃ) এর খিলাফত থেকে কী কী শিক্ষা লাভ করতে পারি? তােমার পাঠ্য বইয়ের আলােকে বিশ্লেষণ করার চেষ্টার করবো; এই আলোচনা শেষে তোমরা সমাজে ন্যায় বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে হযরত উমর (রাঃ) এর শিক্ষা ও খেলাফত থেকে আমাদের লাভ বা অর্জন সমূহ নিয়ে লিখতে পারবে।
তাহলে চলো শুরু করা যাক-
এই আলোচনা শেষে তোমরা ৮ম শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের ৫ম এসাইনমেন্ট এর নিচের প্রশ্নের উত্তর করতে পারবে-
১। সমাজে ন্যায় বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আমরা হযরত উমর (রাঃ) এর খিলাফত থেকে কী কী শিক্ষা লাভ করতে পারি? তােমার পাঠ্য বইয়ের আলােকে বিশ্লেষণ কর:
হযরত ওমর (রা.)-ছিলেন মুসলিম জাহানের দ্বিতীয় খলিফা।
ইসলামের প্রথম খলিফা আবু বক্কর সিদ্দিক (রা.)-এর ইন্তেকালের পরে তার অন্তিম ইচ্ছা অনুযায়ী হযরত ওমর (রা.)-৬৩৪ খ্রিস্টাব্দে ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা নির্বাচিত হন, তা অধিকাংশ সমর্থন করেন।
তিনি ৫৮৩ খ্রিস্টাব্দে কুরাইশ বংশের আদি গোত্রে জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাকনাম আবু হাফ্স, পিতার নাম খাত্তাব, মাতার নাম হানতামা।
ইসলাম গ্রহণের পর তিনি ফারুক(সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারী) উপাধিতে ভূষিত হন। বাল্যকালে তিনি উট চরাতেন, যৌবনের শুরুতে যুদ্ধবিদ্যা, কুস্তি, বক্তৃতা ও বংশ তালিকা সম্পর্কে পারদর্শী ছিলেন।
হযরত মুহাম্মদ (স.)-এর নবুয়তপ্রাপ্তির সময় কুরাইশ বংশের ১৭ জন ব্যক্তি লেখাপড়া জানতেন, তিনি তাঁদের মধ্যে ছিলেন অন্যতম।
হযরত ওমর (রা.) খলিফা নির্বাচিত হওয়ার পর মুসলিম সাম্রাজ্য বিস্তারের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকে।
এসময় রোম, পারস্য, সিরিয়া, মিশর ও ফিলিস্তিন মুসলিম সাম্রাজ্যভুক্ত হয়।
তিনি রাজ্যশাসনে রাসুল (স.)-এর আদর্শ অনুসরণ করতেন। তিনি আইনের চোখে সকলকে সমান ভাবে দেখতেন।
এমনকি মদপানের অপরাধে স্বীয়পুত্র আবু শামাকে শাস্তিদানে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেননি।
ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় তিনি ছিলেন যেমন কঠোর, তেমনি মানুষের দুঃখ-কষ্টে ছিলেন অতি কোমল।
তিনি সাধারণ প্রজাদের অবস্থা জানার জন্য রাতের আঁধারে একাকী বের হয়ে পড়তেন। প্রয়োজনে তিনি নিজের কাঁধে খাদ্য সামগ্রী বহন করে গরিব-দুঃখী মানুষের মাঝে বিতরণ করতেন।
হযরত ওমর (রা.)-এর সরলতা ও কর্তব্য জ্ঞান ছিল তাঁর জীবনাদর্শ। ন্যায়-পরায়নতা ও একনিষ্ঠতা ছিল তার শাসনামলের মূলনীতি। তারমধ্যে কঠোরতা ও কোমলতার ব্যাপক সমন্বয় ঘটেছিল।
আমরা হযরত ওমর (রা.)-এর মহান আদর্শ মেনে চলবো এবং সে অনুসারে জীবন গড়বো।
এই ছিল ৮ম শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের ৫ম এসাইনমেন্ট এর সমাজে ন্যায় বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আমরা হযরত উমর এর খেলাফত থেকে কী কী শিক্ষা লাভ করতে পারি? তােমার পাঠ্য বইয়ের আলােকে বিশ্লেষণ।
তোমাদের জন্য এই টিউনটি পাঠিয়েছে, খাদিজাতুল স্বর্ণা, কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজ
-
আরও পড়ুন: “প্রজাহিতৈষী হিসেবে একজন মহান শাসকের মূর্ত প্রতীক ছিলেন খলিফা উমর (রাঃ)”-ব্যাখ্যা কর
এসাইনমেন্ট সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যার সমাধান পাওয়ার জন্য বাংলা নোটিশ এর ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিন; এখানে দেশের প্রসিদ্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মেধাবী শিক্ষার্থী ও অভিজ্ঞ শিক্ষক মন্ডলী আলোচনার মাধ্যমে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করছে [Join Now]
আপনার জন্য আরও কিছু তথ্য:
- মাধ্যমিকের ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণির ৫ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট প্রকাশিত
- ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা:
- ১
- ২
- গণিত:
- বিজ্ঞান:
The wabsait is so nice so beautiful iam digonto