সর্বশেষ আপটেড

কৃষিজাত দ্রব্য উৎপাদনে কৃষিবিজ্ঞানীদের ভূমিকা ও বেকার কর্মসংস্থান

সুপ্রিয় বন্ধুরা, আজ তোমাদের সাথে কৃষি শিক্ষা বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। আজকের আলোচনার মূল বিষয় হলো- কৃষিজাত দ্রব্য উৎপাদনে কৃষিবিজ্ঞানীদের ভূমিকা এবং এ সমস্ত কৃষিজাত দ্রব্য উৎপাদনের মাধ্যমে মানুষের যে ধরনের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে তার ব্যাখ্যা।

আজকের আলোচনা শেষে তোমরা ৮ম শ্রেণির ৩য় সপ্তাহের কৃষি শিক্ষা অ্যাসাইনমেন্ট এর নির্ধারিত কাজটি খুব সহজে উত্তর লিখতে পারবে আশা করছি।

২০২১ সালের ৮ম শ্রেণির ৩য় সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট এর নির্ধারিত প্রশ্নগুলো হলো-

রুমির বাবা একজন কৃষি বিজ্ঞানী। তিনি মিষ্টি ও উচ্চ ফলনশীল আমের একটি জাত উদ্ভাবন করেন যা বারি-৪ নামে মাঠ পর্যায়ে সফলভাবে উৎপাদিত হচ্ছে।

গত ১৬ই ডিসেম্বর ২০২০ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর এই অবদানের জন্য তাকে রাষ্ট্রপতি পদক প্রদান করে সম্মানিত করেন।

রুমির বাবার এমন সম্মান প্রাপ্তির পিছনে নিম্নলিখিত বিষয়গুলাে তার মনে যে আলােড়ন সৃষ্টি করেছে সে ব্যাপারে তােমার সুচিন্তিত মতামত উল্লেখ কর;

১. ধান, পাট, গম, আখ, চাষযােগ্য কৈ মাছ, মিষ্টি জাতের আম, মাল্টা ইত্যাদি উদ্ভাবনে কাদের নিরলস পরিশ্রম ও গবেষণায় অবদান রয়েছে?

২. কোন কোন প্রতিষ্ঠান গবেষণার মাধ্যমে এসব নতুন জাত উদ্ভাবন করেছেন?

৩. ধান গবেষণা প্রতিষ্ঠান (BRRI) থেকে ধানের কোন কোন জাত উদ্ভাবন করেছেন?

৪. কৃষিবিজ্ঞানীরা ধানছাড়াও অন্যান্য কি কি জাত উদ্ভাবন করেছেন-যা কৃষকেরা মাঠে চাষাবাদ করে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন?

৫. এ সমস্ত কৃষিজাত দ্রব্য উৎপাদনের মাধ্যমে মানুষের কোন ধরনের কর্মসংস্থানের সুযােগ সৃষ্টি হয়েছে?

সম্পূর্ণ মূল্যায়ন নির্দেশনা ও এ্যাসাইনমেন্ট লেখার নির্দেশনা অনুসরণ করে তোমাদের জন্য ৮ম শ্রেণির ৩য় অ্যাসাইনমেন্ট কৃষি শিক্ষা বিষয়ের উত্তর দেওয়া হল।

রুমির বাবার এমন সম্মান প্রাপ্তির পিছনে নিম্নলিখিত বিষয়গুলাে তার মনে যে আলােড়ন সৃষ্টি করেছে সে ব্যাপারে সুচিন্তিত মতামত

প্রশ্ন-১: ধান, পাট, গম, আখ, চাষযােগ্য কৈ মাছ, মিষ্টি জাতের আম, মাল্টা ইত্যাদি উদ্ভাবনে কাদের নিরলস পরিশ্রম ও গবেষণায় অবদান রয়েছে?

উত্তর: ধান, পাট, গম, আখ, চাষযোগ্য কৈ মাছ, মিষ্টি জাতের আম, মাল্টা ইত্যাদি উদ্ভাবনে কৃষি বিজ্ঞানীদের নিরলস পরিশ্রম ও গবেষণায় অবদান রয়েছে। কৃষিতে বিজ্ঞানীদের অবদান অনেক।

বিজ্ঞানীরা দীর্ঘকাল পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বিষয় কৃষির সাথে যুক্ত করে কৃষি কর্মকাণ্ডকে আধুনিকায়ন করেছেন।

কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষকরা যেমন বিজ্ঞানী হতে পারেন, তেমনি কৃষকরাও বিজ্ঞানী হতে পারেন। আদি কৃষির উৎপত্তি সাধারণ মানুষের হাতেই।

কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষকরা জলবায়ু, পরিবেশ, মাটি, পানি, উৎপাদন পদ্ধতি এসব বিষয় বিবেচনায় এনে উচ্চতর গবেষণা করেছেন। তাদের গবেষণার ফলে কৃষিতে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন প্রযুক্তি।

প্রশ্ন-২: কোন কোন প্রতিষ্ঠান গবেষণার মাধ্যমে এসব নতুন জাত উদ্ভাবন করেছেন?

উত্তর: আমাদের দেশেও বিভিন্ন গবেষণা ইনস্টিটিউট গবেষণার মাধ্যমে এসব নতুন জাত উদ্ভাবন করেছেন। কৃষিতে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে গবেষণার জন্য উন্নত দেশের মতো আমাদের দেশেও বিভিন্ন গবেষণা ইনস্টিটিউট রয়েছে।

এসব ইনস্টিটিউট ও প্রতিষ্ঠানে বিজ্ঞানীরা কৃষির বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছেন। বর্তমানে বাংলাদেশের চারটি পূর্ণাঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও একটি পূর্ণাঙ্গ ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় চালু রয়েছে।

প্রায় সকল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষি বিজ্ঞান পড়ানোর পাশাপাশি শিক্ষকগণ গবেষণা করে থাকেন। তাদের গবেষণায় প্রাপ্ত উন্নত জাত ও উৎপাদন প্রযুক্তি সম্পর্কে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ও মাঠকর্মীরা কৃষকদেরকে অবহিত করেন।

প্রশ্ন-৩: ধান গবেষণা প্রতিষ্ঠান (BRRI) থেকে ধানের কোন কোন জাত উদ্ভাবন করেছেন?

উত্তর: ধান গবেষণা প্রতিষ্ঠান (BRRI) থেকে ধানের যে যে জাত উদ্ভাবন করেছেন-

বন্যার শেষে ধান চাষের জন্য বিলম্ব জাত হিসেবে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ‘কিরণ’ ও ‘দিশারি’ নামের দুইটি ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে।

সম্প্রতি বন্যাকবলিত এলাকার জন্য ব্রি ধান-৫১ ও ব্রি ধান-৫২ নামে আরো দুইটি জাতের ধান উদ্ভাবন করেছে। এই দুই জাতের ধান পানির নিচে ১০-১৫ দিন টিকে থাকতে পারে।

বন্যা যেমন কৃষকদের একটি বড় সমস্যা, খরা ও লবণাক্ততা আরো বড় সমস্যা। এজন্য বিজ্ঞানীরা ব্রি ধান-৫৬, ব্রি ধান-৫৭ নামের খরা সহনশীল ধান উদ্ভাবন করেছেন।

উপকূল অঞ্চলের লবণাক্ততার সমস্যা দূর করার জন্য ব্রি ধান-৫৪ ও ব্রি ধান-৪৭ উদ্ভাবন হয়েছে।

প্রশ্ন-৪: কৃষিবিজ্ঞানীরা ধানছাড়াও অন্যান্য কি কি জাত উদ্ভাবন করেছেন-যা কৃষকেরা মাঠে চাষাবাদ করে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন?

উত্তর: কৃষিবিজ্ঞানীরা ধানছাড়াও অন্যান্য যে যে জাত উদ্ভাবন করেছেন- যা কৃষকেরা মাঠে চাষাবাদ করে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেনঃ

ফুলের পরাগায়নের সময় পিতৃগাছের গুণাগুণ যুক্ত হওয়ার সুযোগ থাকে কিন্তু অঙ্গজ প্রজননে সে আশঙ্কা থাকে না।

ফসলের বীজ ও নতুন নতুন জাত উন্নয়ন, বীজ সংরক্ষণ, রোগ-বালাইয়ের কারণ সনাক্তকরণ, ফসলের পুষ্টিমান বাড়ানো- এ সকল কাজই কৃষিবিজ্ঞানীরা করে থাকেন।

বিজ্ঞানীদের পরামর্শে কৃষকেরা কলা, আম, লিচু, কমলা, গোলাপ ইত্যাদির উৎপাদনে অঙ্গজ প্রজনন ব্যবহার করে থাকেন।

কৃষি বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত প্রযুক্তি গুলো কৃষকরা গ্রহণ করেছেন বলে, উচ্চ ফলনশীল ধান, গম, ভুট্টা, যব এইসব শস্যের উৎপাদনশীলতা আগের তুলনায় অনেক গুন বেড়ে গিয়েছে।

কৃষি বিজ্ঞানীরা নানা ধরনের ফুল, ফল, শাকসবজি ও বৃক্ষ বিদেশ থেকে এনে এদেশের কৃষিতে সংযোজন করেছেন।

এগুলোর সাথে সংকরায়ন করে দেশীয় পরিবেশ সহনীয় নতুন জাত উদ্ভাবন করেছেন, যেগুলো এ দেশের কৃষিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

প্রশ্ন-৫: এ সমস্ত কৃষিজাত দ্রব্য উৎপাদনের মাধ্যমে মানুষের কোন ধরনের কর্মসংস্থানের সুযােগ সৃষ্টি হয়েছে?

উত্তর: এ সমস্ত কৃষিজাত দ্রব্য উৎপাদনের মাধ্যমে মানুষের যে ধরনের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে তা হলোঃ

কৃষি মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে। বেকার সমস্যা সমাধানে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। প্রাচীনকাল থেকে কৃষিকাজ মানুষের প্রধান পেশা। বর্তমানেও এটি পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষের প্রধান উপজীবিকা।

সুতরাং প্রাচীন পেশা হিসেবে এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। কৃষিকাজ মানুষের প্রাথমিক পর্যায়ের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড (Primary economic activity)।

অধ্যাপক জিমারম্যানের (১৯৫১), মতে কৃষিকাজ মানুষের এক বিশেষ ধরনের অর্থনৈতিক প্রচেষ্টা ও একটি উৎপাদনমুখী কাজ।

তাই বলা যায়, এ সমস্ত কৃষিজাত দ্রব্য উৎপাদনের মাধ্যমে বেকার মানুষের কৃষিক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

বন্ধুরা এই ছিল তোমাদের জন্য ৮ম শ্রেণির ৩য় সপ্তাহের কৃষি শিক্ষার এ্যাসাইনমেন্ট এর নমূনা উত্তর কৃষিজাত দ্রব্য উৎপাদনে কৃষিবিজ্ঞানীদের ভূমিকা ও বেকার কর্মসংস্থান; আশা করছি তোমরা অষ্টম শ্রেণির ৩য় অ্যাসাইনমেন্ট সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে পারবে।

উত্তরদাতা: খাদিজা আক্তার স্বর্ণা, কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজ;

৮ম শ্রেণির ৩য় অ্যাসাইনমেন্ট এর অন্যান্য বিষয়ের বাছাইকৃত নমূনা উত্তর:

আরো দেখুন-

সকল স্তরের শিক্ষা সংক্রান্ত সঠিক তথ্য, সরকারি-বেসরকারি চাকুরি বিজ্ঞপ্তি, চাকুরির পরীক্ষা, এডমিট কার্ড,

পরীক্ষার রুটিন, সরকারি বেসরকারি বৃত্তি, উপবৃত্তি ও প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত তথ্য সবার

আগে পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজটি Follow করে রাখুন।

ইউটিউবে সর্বশেষ আপডেট পেতে বাংলা নোটিশ ডট কম এর ইউটিউব চ্যানেলটি Subscribe করে রাখুন।

আপনার প্রতিষ্ঠানের যেকোন বিজ্ঞপ্তি, খবর, নোটিশ ও জাতীয় রাজনৈতিক বিষয়ে লেখা প্রকাশ করতে চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা নোটিশ ডট কম এর প্রকাশক ও সম্পাদক জনাব আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া। জন্ম ১৯৯৩ সালের ২০ নভেম্বর, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায়। বাবা আবদুল গফুর ভূঁইয়া এবং মা রহিমা বেগম। এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে আবদুল্লাহ আল আরিয়ান বয়স ৫ বছর। মেয়ে ফাবিহা জান্নাত বয়স ১ বছর। আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া এর শিক্ষাজীবন আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে ২০১৮ সালে ম্যানেজমেন্ট এ স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি উত্তরা ইউনিভার্সিটি ঢাকা থেকে বিপিএড সম্পন্ন করেন। আজিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শুরু। এরপর আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজ লাকসাম উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কিছুদিন ক্লাস করার পর। পারিবারিক কারণে নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজ এ কিছুদিন রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করার পর ভালো না লাগায় পুনরায় ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ছাত্র জীবনে তিনি নানা রকম সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। কর্মজীবন কর্মজীবনের শুরুতে তিনি আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় যোগদেন। বেশ কিছুদিন পর তিনি ২০১৯ সালে উন্নত ভবিষ্যতের আশায় কুয়েত পারি জমান। কিন্তু সেখানকার কাজের পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় পুনরায় আবার বাংলাদেশে ফিরে এসে পূর্বের পদে কাজে যোগদান করে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন। এছাড়াও তিনি স্বপ্ন গ্রাফিক্স এন্ড নেটওয়ার্ক নামে একটি মাল্টিমিডিয়া এবং প্রিন্টিং প্রেস প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধীকারী সেই সাথে স্বপ্ন ইশকুল নামক একটি কম্পিউটার ট্রেণিং ইনস্টিটিউট এর মালিকানায় আছেন যেখানে তিনি নিজেই ক্লাস পরিচালনা করেন। লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্ম ছাত্র অবস্থায় তিনি লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্মের সাথে জড়িত আছেন। ২০১১ সালে রাইটার্স এসোসিয়েশন এর ম্যাগাজিনে তার প্রথম লেখা বন্ধু চিরন্তন প্রকাশিত হয়। এর পর তিনি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Close

অ্যাডস্ ব্লকার পাওয়া গেছে!

দয়া করে আমাদের সাপোর্ট করার জন্য আপনার এডস্ ব্লকার ডিজেবল করে পেইজটি রিলোড করুন! ধন্যবাদ