তথ্য ভান্ডার

আখলাকে হামিদাহর গুরুত্বপূর্ণ গুণটির ব্যাখ্যা

বন্ধুরা আজ তোমাদের জন্য সপ্তম শ্রেণির ৫ম এসাইনমেন্ট এর ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা চতুর্থ অধ্যায় এর আখলাকে হামিদাহর গুরুত্বপূর্ণ গুণটির ব্যাখ্যা নিয়ে আলোচনা করবো; এই আলোচনা থেকে তুমি আখলাকে হামিদাহর গুরুত্বপূর্ণ গুণটির ব্যাখ্যা করতে পারবে। তোমাদের জন্য আজকের আলোচনা থেকে তুমি নিচের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর করতে পারবে-

এ্যাসাইনমেন্ট/নির্ধারিত কাজ:

জনাব ‘ক’ নিয়মিত মার্জিত বেশভূষায় অফিসে আসা-যাওয়া করেন। সহকর্মী ও সেবাগ্রহনকারী সবাই তার ব্যবহারে মুগ্ধ। তার সহকর্মী জনাব ‘খ’ তার এলাকার অসুস্থ-পীড়িত পশু-পাখি, বিরান-বিপন্ন গাছ-গাছালির পরিচর্যার জন্য একটি বহুমুখী ইনস্টিটিউশন পরিচালনা করেন।

  • গ. জনাব ‘ক’ এর মধ্যে আখলাকে হামিদাহর কোন গুণটি বিদ্যামান? ব্যাখা কর।
  • ঘ. জনাব ‘খ’ এর কার্যক্রমটি তােমার পাঠ্যবইয়ের আলােকে বিশ্লেষণ কর।

গ জনাব ‘ক’ এর মধ্যে আখলাকে হামিদাহর কোন গুণটি বিদ্যামান? ব্যাখা কর; এর উত্তর:

জনাব “ক” এর মধ্যে আখলাকে হামিদাহর শালীনতাবোধ গুণটি বিদ্যমান। ব্যাখ্যা করা হলো –

আখলাক আরবী শব্দ। এর অর্থ চরিত্র, স্বভাব, আচরণ, ব্যবহার ইত্যাদি। মানুষের দৈনন্দিন কাজকর্মের মাধ্যমে যেসব আচার-ব্যবহার, চালচলন এবং স্বভাবের প্রকাশ পায়, সেসবের সমষ্টিই হল আখলাক।

আখলাক দুই ধরনের- আখলাকে হামিদাহ এবং আখলাকের জামিমাহ।

মানুষের দৈনন্দিন কাজকর্মের মাধ্যমে যেসব উত্তম আচার-ব্যবহার, চালচলন এবং স্বভাবের প্রকাশ পায়, সেসবের সমষ্টিকে আখলাকে হামিদা বা উত্তম চরিত্র বলা হয়।

যেমন- পরোপকারিতা, শালীনতাবোধ, সৃষ্টির সেবা, আমানত রক্ষা, শ্রমের মর্যাদা, ক্ষমা ইত্যাদি।

শালীনতার আরবি প্রতিশব্দ ‘তাহযিব’, যার অর্থ ভদ্রতা, নম্রতা ও লজ্জাশীলতা। আচার-আচরনে, কথাবার্তায়, বেশভূষায় এবং চালচলনে মার্জিত পন্থা অবলম্বন করাকে শালীনতা বলে।

শালীনতা একটি মহৎ গুণ। এটির গুরুত্ব অপরিসীম।

শালীনতাবোধ মানুষকে অন্যায় ও অশ্লীল কাজ থেকে বিরত রাখে। শালীনতা আল্লাহর অনুগত বান্দা হতে সাহায্য করে। আচার-ব্যবহারের শালীন ব্যক্তিকে সবাই পছন্দ করে।

শালীন পোষাক-পরিচ্ছদ সৌন্দর্যের প্রতীক। শালীন ও ভদ্র আচরণের মাধ্যমে বন্ধুত্ব ও হৃদ্যতা সৃষ্টি হয়। সমাজকে সুন্দর ও সুশৃঙ্খল রাখতে শালীনতার প্রয়োজন সর্বাধিক।

জনাব ‘ক’ নিয়মিত মার্জিত বেশভূষার অফিসে আসা যাওয়া করেন। সহকর্মী ও সেবা গ্রহণকারী সবাই তার ব্যবহারে মুগ্ধ। অতএব তাঁর এ আচরণ শালীনতাবোধ এর পরিচায়ক।

ঘ. জনাব ‘খ’ এর কার্যক্রমটি তােমার পাঠ্যবইয়ের আলােকে বিশ্লেষণ কর; এর উত্তর:

জনাব ‘খ’ এর কার্যক্রমটি হলো সৃষ্টির সেবা। আমার পাঠ্যবইয়ের আলোকে বিশ্লেষণ করা হলো-

ইসলামী পরিভাষায় আল্লাহর সৃষ্টির প্রতি দয়া ও সহানুভূতিশীল হয়ে আদর যত্ন করার নামই হলো সৃষ্টির সেবা।

মহান আল্লাহ এই সুন্দর পৃথিবীতে মানুষকে আশরাফুল মাখলুকাত তথা সৃষ্টির সেরা করে পাঠিয়েছেন।

আর সৃষ্টিকুলের সবকিছু যেমন জীবজন্তু, পশুপাখি, কীটপতঙ্গ, পাহাড়-পর্বত, গাছপালা ইত্যাদি মানুষের উপকারের জন্য সৃষ্টি করেছেন। তাই এসব সৃষ্টির প্রতি সহানুভূতি দেখানো এবং এগুলোর যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণ করা অবশ্য কর্তব্য।

যে সৃষ্টির প্রতি দয়া ও সহানুভূতি প্রদর্শন করে আল্লাহ তার প্রতি খুশি হয়ে রহমত বর্ষণ করেন।

এ সম্পর্কে মহানবী (স.) বলেন-“তোমরা জমিনের অধিবাসীদের প্রতি দয়া প্রদর্শন করবে। তাহলে আসমানের অধিপতি মহান আল্লাহ তোমাদের প্রতি দোয়া করবেন” (তিরমিজি)

পৃথিবীর এই মহাবিশ্বে যা কিছু আছে তা সবই আল্লাহর সৃষ্টি। সৃষ্টি জগতের সবকিছু নিয়ে আল্লাহর সৃষ্টি পরিবার। আল্লাহর সৃষ্টি পরিবারে মানুষই সেরা।

পরিবারে যেমন  পরিবার প্রধান এর অনেক দায়িত্ব ও কর্তব্য থাকে, তেমনই সৃষ্টি জগতের প্রতি মানুষের অনেক দায়িত্ব ও কর্তব্য আছে।

সৃষ্টিকুলের প্রতি এ দায়িত্ব পালন করার নাম সৃষ্টির সেবা।

সৃষ্টির প্রতি মানুষের কর্তব্য গুলোর মধ্যে অসহায় ও দুস্থ মানুষকে সাহায্য ও সহযোগিতা করা যেমন কর্তব্য, তেমনি গাছপালা, পশুপাখি, বৃক্ষলতা এবং পরিবেশের প্রতিও মানুষের কর্তব্য রয়েছে।

সৃষ্টির প্রতি সদয় হলে এবং এদের লালন-পালন ও রক্ষণাবেক্ষণ করলে আল্লাহ খুশি হন।

তেমনি এদের প্রতি অবহেলা করলে, নিষ্ঠুর আচরণ করলে আল্লাহ অসন্তুষ্ট হন।

জনাব ‘খ’ তার এলাকার অসুস্থ পীড়িত পশুপাখি, বিপন্ন গাছগাছালির পরিচর্যার জন্য একটি বহুমুখী ইনস্টিটিউশন পরিচালনা করেন। তার এ কাজ সৃষ্টির সেবার অন্তর্ভুক্ত।

আমরা তার মত সৃষ্টির সেবা করবো। জীবজন্তুকে কষ্ট দিব না। অকারণে কোন বৃক্ষের ক্ষতি করব না।

বৃক্ষ রোপন করব এবং এর যত্ন করবো।

তাহলে আল্লাহ তা’আলা আমাদের উপর সন্তুষ্ট হবেন।

আমাদের চারপাশের কীটপতঙ্গ, গাছপালা, তরুলতা, পশুপাখি সব কিছুর প্রতি মানুষের দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে।

কারণ এ সবকিছু নিয়েই আমাদের পরিবেশ। আমাদের স্বার্থেই এ পরিবেশ রক্ষা করতে হবে।

পরিবেশ রক্ষায় ও নিজেদের প্রয়োজনে জীবজগৎ ও পরিবেশ এর প্রতি সদাচরণ করা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য।

এই ছিল তোমাদের জন্য সপ্তম শ্রেণির ৫ম এসাইনমেন্ট এর ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের উত্তর; আশা করছি তোমরা সপ্তম শ্রেণির ৫ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট এর উত্তর দিতে পারবে।

তোমাদের জন্য এই তথ্যটি দিয়েছে, খাদিজাতুল স্বর্ণা, কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজ

সপ্তম শ্রেণির ৫ম এসাইনমেন্ট এর অন্যান্য বিষয়ের নমুনা উত্তর:

এসাইনমেন্ট সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যার সমাধান পাওয়ার জন্য বাংলা নোটিশ এর ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিন; এখানে দেশের প্রসিদ্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মেধাবী শিক্ষার্থী ও অভিজ্ঞ শিক্ষক মন্ডলী আলোচনার মাধ্যমে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করছে  [Join Now]

আপনার জন্য আরও কিছু তথ্য:

নিয়মিত বাংলা নোটিশ ডট কম ভিজিট করুন এবং ফেসবুক পেইজ Like & Follow করে রাখুন; ইউটিউবে আপডেট পেতে বাংলা নোটিশ ইউটিউব চ্যানেলটি Subscribe করে রাখুন।

> সপ্তম শ্রেণির সকল এসাইনমেন্ট উত্তরসহ দেখুন <

আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা নোটিশ ডট কম এর প্রকাশক ও সম্পাদক জনাব আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া। জন্ম ১৯৯৩ সালের ২০ নভেম্বর, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায়। বাবা আবদুল গফুর ভূঁইয়া এবং মা রহিমা বেগম। এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে আবদুল্লাহ আল আরিয়ান বয়স ৫ বছর। মেয়ে ফাবিহা জান্নাত বয়স ১ বছর। আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া এর শিক্ষাজীবন আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে ২০১৮ সালে ম্যানেজমেন্ট এ স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি উত্তরা ইউনিভার্সিটি ঢাকা থেকে বিপিএড সম্পন্ন করেন। আজিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শুরু। এরপর আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজ লাকসাম উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কিছুদিন ক্লাস করার পর। পারিবারিক কারণে নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজ এ কিছুদিন রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করার পর ভালো না লাগায় পুনরায় ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ছাত্র জীবনে তিনি নানা রকম সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। কর্মজীবন কর্মজীবনের শুরুতে তিনি আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় যোগদেন। বেশ কিছুদিন পর তিনি ২০১৯ সালে উন্নত ভবিষ্যতের আশায় কুয়েত পারি জমান। কিন্তু সেখানকার কাজের পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় পুনরায় আবার বাংলাদেশে ফিরে এসে পূর্বের পদে কাজে যোগদান করে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন। এছাড়াও তিনি স্বপ্ন গ্রাফিক্স এন্ড নেটওয়ার্ক নামে একটি মাল্টিমিডিয়া এবং প্রিন্টিং প্রেস প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধীকারী সেই সাথে স্বপ্ন ইশকুল নামক একটি কম্পিউটার ট্রেণিং ইনস্টিটিউট এর মালিকানায় আছেন যেখানে তিনি নিজেই ক্লাস পরিচালনা করেন। লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্ম ছাত্র অবস্থায় তিনি লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্মের সাথে জড়িত আছেন। ২০১১ সালে রাইটার্স এসোসিয়েশন এর ম্যাগাজিনে তার প্রথম লেখা বন্ধু চিরন্তন প্রকাশিত হয়। এর পর তিনি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Close

অ্যাডস্ ব্লকার পাওয়া গেছে!

দয়া করে আমাদের সাপোর্ট করার জন্য আপনার এডস্ ব্লকার ডিজেবল করে পেইজটি রিলোড করুন! ধন্যবাদ