সহজ সমাধান

শিক্ষাবোর্ডের দেওয়া সীমটি নষ্ট হয়ে গেলে কি করবেন? তোলার সঠিক নিয়ম

শিক্ষামন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষার জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডসমূহ দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের EIIN নম্বরের সাথে মিল রেখে একটি করে GP (গ্রামীণফোন) এর সীম প্রদান করে।
এর মাধ্যমে শিক্ষাবোর্ড ও মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন সময় প্রতিষ্ঠানগণের সাথে জরুরী প্রয়োজনে যোগাযোগ করা সহজ হবে।

সম্প্রতি শিক্ষাবোর্ড সমূহ থেকে প্রতিষ্ঠান প্রধানগণের প্রতি শিক্ষাবোর্ড থেকে দেওয়া প্রতিষ্ঠানের EIIN নম্বরের সাথে মিল রাখা সীমটি ব্যবহারের জন্য নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে।

কিন্তু বেশকিছু প্রতিষ্ঠান সীমটি হারিয়ে ফেলায় বা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বিড়ম্বনায় পড়েছেন। বোর্ড নির্দেশনা মেনে সীমটি ব্যবহারের জন্য নতুন করে কিভাবে সীমটি পাবেন সে নিয়ে আমাদের ফেসবুক পেইজে অনেক মেসেজ আসে।

তার প্রেক্ষিতে আজ আপনাদের জন্য বোর্ড প্রদত্ত সীমটি নতুন করে পাওয়ার বিস্তারিত আলোচনা করবো। দয়া করে সাথেই থাকবেন। আমাদের ফেসবুক পেইজে শিক্ষা সংক্রান্ত সকল তথ্য নিয়মিত আপডেট দিয়ে থাকি। আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজটি লাইক ও ফলো করে রাখুন।
চলুন আপনাদের জানিয়ে দেই কিভাবে বোর্ড থেকে প্রদত্ত সীমটি চালু করবেন।

ধাপ-১: সীমের ডায়াগনোসিস করুন:
প্রক্রিয়া শুরু করার আগে প্রাথমিক ট্রিটমেন্ট করুন। সীমটি মোবাইল থেকে খুলে টিস্যু অথবা কাপড় দিয়ে সীমের কার্বন এর অংশটুকু মুছে দিন। তারপর মোবাইলে ইনস্টল করুন। যদি এই প্রক্রিয়া সমাধান হয়ে যায় তাহলে পরবর্তী ধাপে যাওয়ার কোন প্রয়োজন নেই।

ধাপ-২: বোর্ড বরাবরে আবেদন:
আপনার প্রতিষ্ঠানের সীমটি নতুন করে উত্তোলন করার জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষাবোর্ডের অনুমতি প্রয়োজন হবে।

আপনার প্রতিষ্ঠানের প্যাডে সচিব বরাবর বিদ্যালয় পরিদর্শক মাধ্যমে একটি অগ্রায়ণপত্র লিখুন যাতে আপনার প্রতিষ্ঠান প্রধান স্বাক্ষর করবেন।

অগ্রায়ণপত্রের নমূণা:

বরাবর,
সচিব,
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, …………।

বিষয়ঃ বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত EIIN নম্বরের সীমটি নতুন করে উত্তোলণ প্রসঙ্গে।

জনাব,
উপরোক্ত বিষয় ও সূত্রালোকে জানাচ্ছি যে, অত্র বিদ্যালয়ের EIIN নম্বরের ভিত্তিতে প্রদাকৃত সীমটি বেশকিছুদিন ব্যবহার করার পর বিকল হয়ে যায়। বর্তমানে সীমটি ব্যবহার কোন প্রকার যোগাযোগ করা যাচ্ছেনা বিধায় বোর্ড এবং বিভিন্ন দপ্তর থেকে প্রেরিত তথ্য থেকে অত্র বিদ্যালয়টি বঞ্চিত হচ্ছে।
তাই নতুন করে সীমটি ব্যবহারের জন্য উত্তোলনের ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করছি।

প্রধান শিক্ষক (স্বাক্ষর ও সীল)

উপরোক্ত অগ্রায়ণপত্রটি নিয়ে বিদ্যালয়ের পরিদর্শকের নিকট উপস্থিত হয়ে বিদ্যালয় পরিদর্শক মহোদয়ের স্বাক্ষর বা অনুস্বাক্ষরগ্রহণ করে সচিব মহোদয়ের নিকট যাবেন। সচিব মহোদয় আপনার সীমটি নতুন করে উত্তোলণ করার জন্য অনুমতি প্রদান করবেন।

সচিব মহোদয়ের অনুমতি নিয়ে আপনাকে যেতে হবে সংশ্লিষ্ট জেলা গ্রামীণফোন অফিসে সেখানে গিয়ে আপনার অগ্রায়ণ বা ফরওয়ার্ডিং টি উপস্থাপন করলে গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ আপনার সীমটি নতুন করে উত্তোলনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

বুঝতেই পারছেন সীমটি রিপ্লেস করার কতটা প্যারার কাজ। তাই অবশ্যই সচেতনতার নাথে সীমটি ব্যবহার করুন।

এমন আরও সব দরকারি তথ্যের জন্য আমাদের ফেসবুক পেইজটি লাইক দিয়ে সাথেই থাকুন।

আপনার আরও কিছু তথ্য-

See This News in English

আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা নোটিশ ডট কম এর প্রকাশক ও সম্পাদক জনাব আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া। জন্ম ১৯৯৩ সালের ২০ নভেম্বর, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায়। বাবা আবদুল গফুর ভূঁইয়া এবং মা রহিমা বেগম। এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে আবদুল্লাহ আল আরিয়ান বয়স ৫ বছর। মেয়ে ফাবিহা জান্নাত বয়স ১ বছর। আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া এর শিক্ষাজীবন আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে ২০১৮ সালে ম্যানেজমেন্ট এ স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি উত্তরা ইউনিভার্সিটি ঢাকা থেকে বিপিএড সম্পন্ন করেন। আজিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শুরু। এরপর আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজ লাকসাম উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কিছুদিন ক্লাস করার পর। পারিবারিক কারণে নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজ এ কিছুদিন রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করার পর ভালো না লাগায় পুনরায় ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ছাত্র জীবনে তিনি নানা রকম সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। কর্মজীবন কর্মজীবনের শুরুতে তিনি আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় যোগদেন। বেশ কিছুদিন পর তিনি ২০১৯ সালে উন্নত ভবিষ্যতের আশায় কুয়েত পারি জমান। কিন্তু সেখানকার কাজের পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় পুনরায় আবার বাংলাদেশে ফিরে এসে পূর্বের পদে কাজে যোগদান করে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন। এছাড়াও তিনি স্বপ্ন গ্রাফিক্স এন্ড নেটওয়ার্ক নামে একটি মাল্টিমিডিয়া এবং প্রিন্টিং প্রেস প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধীকারী সেই সাথে স্বপ্ন ইশকুল নামক একটি কম্পিউটার ট্রেণিং ইনস্টিটিউট এর মালিকানায় আছেন যেখানে তিনি নিজেই ক্লাস পরিচালনা করেন। লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্ম ছাত্র অবস্থায় তিনি লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্মের সাথে জড়িত আছেন। ২০১১ সালে রাইটার্স এসোসিয়েশন এর ম্যাগাজিনে তার প্রথম লেখা বন্ধু চিরন্তন প্রকাশিত হয়। এর পর তিনি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Close

অ্যাডস্ ব্লকার পাওয়া গেছে!

দয়া করে আমাদের সাপোর্ট করার জন্য আপনার এডস্ ব্লকার ডিজেবল করে পেইজটি রিলোড করুন! ধন্যবাদ