বৃত্তি ও উপবৃত্তিসমন্বিত উপবৃত্তি

মাধ্যমিকে উপবৃত্তি প্রাপ্তির যোগ্য শিক্ষার্থী নির্বাচনের মানদন্ড ও নির্বাচন পদ্ধতি

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় ঝরে পড়ার হার রোধকল্পে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সমন্বিত উপবৃত্তি কার্যক্রমের আওতায় ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদান করে আসছে।

বর্তমানে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রদের ২০% এবং ছাত্রীদের ৪০% শতাংশ শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি প্রদান করা হয়।

বেশ কয়েকটি উপজেলায় অনগ্রসর হওয়ায় সে সকল উপজেলায় শতভাগ শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।

  • আরও পড়ুন: যে সকল উপজেলায় ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সকলেই উপবৃত্তি পাবে

যে সকল উপজেলায় ছাত্রদের মধ্যে ২০% পার্সেন এবং ছাত্রীদের মধ্যে ৪০% শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদান করা হয় সে সকল উপজেলায় শিক্ষার্থীদের নির্বাচনের মানদন্ড বেঁধে দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।

নির্ধারিত নিয়ম কানুন ফলো করে এবং কমিটি গঠনের মাধ্যমে উপবৃত্তি প্রাপ্তির যোগ্য শিক্ষার্থী নির্বাচন করতে হবে এবং নির্ধারিত কমিটি গঠনের মাধ্যমে যোগ্য শিক্ষার্থী নির্বাচন করতে হয়।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনার আলোকে আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করব ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি কৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপবৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থী নির্বাচনের মানদন্ড এবং যোগ্য শিক্ষার্থী নির্বাচনের জন্য কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে।

উপবৃত্তি প্রাপ্তির যোগ্য শিক্ষার্থী নির্বাচনের মানদন্ড:

  • ক) উপদ্বীপ উপবৃত্তি প্রাপ্তির জন্য যোগ্য শিক্ষার্থীর পিতা-মাতা অথবা অভিভাবকের বার্ষিক আয় এক লক্ষ টাকার কম হতে হবে;
  • খ) উপবৃত্তি প্রাপ্তির জন্য যোগ্য শিক্ষার্থীর পিতা-মাতা অথবা অভিভাবক মেট্রোপলিটন এলাকায় ৫ শতাংশ, পৌর এলাকায় ১০ শতাংশ বা পল্লী এলাকায় ৭৫ শতাংশ কম জমির মালিক হতে হবে;
  • গ) পঙ্গু, প্রতিবন্ধী এবং এতিম শিক্ষার্থী, অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, রিকশাচালকের সন্তান ,দিনমজুরের সন্তান, নদী ভাঙ্গন কবলিত বাস্তুহারা পরিবারের সন্তান, দুস্থ পরিবারের সন্তান, উপার্জনে অসমর্থ বিকলাঙ্গ(যেমন: পঙ্গু, অন্ধ, বোবা প্রভৃতি পিতা-মাতা-সন্তান, ক্ষুদ্রনীগোষ্ঠী, প্রাক্তন ছিটমহলের বাসিন্দারা এবং তৃতীয় লিঙ্গের শিক্ষার্থী উপবৃত্তি প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে;
  • ঘ) শিক্ষার্থীর শ্রেণী উপস্থিতি গড়ে ন্যূনতম ৭৫ পার্সেন্ট থাকতে হবে;
  • ঙ) শিক্ষার্থী এসএসসি অথবা সমমানের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা পর্যন্ত অবিবাহিত থাকতে হবে;
  • চ) বার্ষিক পরীক্ষা ষষ্ঠ সপ্তম শ্রেণীতে ন্যূনতম ৩৩% অষ্টম নবম শ্রেণীতে ন্যূনতম গড়ে ৪০% এবং দশম শ্রেণীতে নির্বাচনী পরীক্ষায় শিক্ষা বোর্ডের নিয়ম অনুসারে উত্তীর্ণ হয়ে পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে হবে;
  • ছ) ভর্তির পরে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে অধ্যায়ন করতে হবে;

উপবৃত্তি প্রাপ্তির যোগ্য শিক্ষার্থী নির্বাচন:

প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপবৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থী নির্বাচন করার জন্য কমিটি থাকবে। সরকারি ও বেসরকারি দুই ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আলাদা আলাদা কমিটি থাকবে।

  • আরও পড়ুন: ২০২০ সালে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের নতুন উপবৃত্তি সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি

ক. সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপবৃত্তি প্রাপ্তির যোগ্য শিক্ষার্থী নির্বাচন কমিটি গঠন নিম্নরূপ-

৬ সদস্য বিশিষ্ট উপবৃত্তির যোগ্য শিক্ষার্থী নির্বাচন কমিটির মধ্যে-

  • ১: সভাপতি: সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান,
  • ১-৫: সদস্যগণ:
    • কর্মরত শিক্ষকদের মধ্য থেকে একজন শ্রেণি শিক্ষক প্রতিনিধি,
    • শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক মনোনীত একজন শিক্ষার্থী ও অভিভাবক প্রতিনিধি,
    • উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা,
    • স্থানীয় সরকার ইউনিয়ন পৌরসভা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচিত একজন প্রতিনিধি,
  • ৬: সদস্য-সচিব: শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক;

খ. বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপবৃত্তি প্রাপ্তির যোগ্য শিক্ষার্থীর নির্বাচন কমিটি গঠন হবে নিম্নরূপ:

  • ১. সভাপতি: সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি অথবা গভর্নিং বডির সভাপতি;
  • ২-৫. সদস্য (চারজন):
    • – পরিচালনা কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধিদের মধ্যে থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক মনোনীত একজন শিক্ষক প্রতিনিধি;
    • – অভিভাবক প্রতিনিধি দলের মধ্য থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্তৃক মনোনীত একজন প্রতিনিধি;
    • – স্থানীয় সরকারের ইউনিয়ন পৌরসভা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচিত একজন প্রতিনিধি;
    • – উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা;
  • ৬. সদস্য সচিব: সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান;

উপরোক্ত গঠন পদ্ধতি অনুসরণ করে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত নতুন শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রণয়ন করে যথাসময়ের মধ্যে স্বাক্ষর ও সিল গ্রহণপূর্বক মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে প্রেরণ করে শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজ টি লাইক এবং ফলো করে রাখুন এবং প্রতিদিন অন্তত একবার বাংলা নোটিশ ডটকমের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন

আপনার জন্য আরও কিছু তথ্যঃ

সকল স্তরের শিক্ষা সংক্রান্ত সঠিক তথ্য, সরকারি-বেসরকারি চাকুরি বিজ্ঞপ্তি, চাকুরির পরীক্ষা, এডমিট কার্ড, পরীক্ষার রুটিন, সরকারি বেসরকারি বৃত্তি, উপবৃত্তি ও প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত তথ্য সবার আগে পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজটি Follow করে রাখুন। ইউটিউবে সর্বশেষ আপডেট পেতে বাংলা নোটিশ ডট কম এর ইউটিউব চ্যানেলটি Subscribe করে রাখুন।

আপনার প্রতিষ্ঠানের যেকোন বিজ্ঞপ্তি, খবর, নোটিশ ও জাতীয় রাজনৈতিক বিষয়ে লেখা প্রকাশ করতে চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন;

দেশের অন্যতম প্রিয় অনলাইন পোর্টাল সর্বদাই সত্য ও বস্তুনির্ভর তথ্য প্রকাশে বদ্ধপরিকর। আপনার যেকোন অভিযোগ আপত্তি ও পরামর্শ সাদরে গ্রহণ করা হবে।

ক্যাটাগরি ভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেখুন

আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা নোটিশ ডট কম এর প্রকাশক ও সম্পাদক জনাব আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া। জন্ম ১৯৯৩ সালের ২০ নভেম্বর, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায়। বাবা আবদুল গফুর ভূঁইয়া এবং মা রহিমা বেগম। এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে আবদুল্লাহ আল আরিয়ান বয়স ৫ বছর। মেয়ে ফাবিহা জান্নাত বয়স ১ বছর। আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া এর শিক্ষাজীবন আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে ২০১৮ সালে ম্যানেজমেন্ট এ স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি উত্তরা ইউনিভার্সিটি ঢাকা থেকে বিপিএড সম্পন্ন করেন। আজিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শুরু। এরপর আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজ লাকসাম উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কিছুদিন ক্লাস করার পর। পারিবারিক কারণে নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজ এ কিছুদিন রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করার পর ভালো না লাগায় পুনরায় ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ছাত্র জীবনে তিনি নানা রকম সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। কর্মজীবন কর্মজীবনের শুরুতে তিনি আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় যোগদেন। বেশ কিছুদিন পর তিনি ২০১৯ সালে উন্নত ভবিষ্যতের আশায় কুয়েত পারি জমান। কিন্তু সেখানকার কাজের পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় পুনরায় আবার বাংলাদেশে ফিরে এসে পূর্বের পদে কাজে যোগদান করে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন। এছাড়াও তিনি স্বপ্ন গ্রাফিক্স এন্ড নেটওয়ার্ক নামে একটি মাল্টিমিডিয়া এবং প্রিন্টিং প্রেস প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধীকারী সেই সাথে স্বপ্ন ইশকুল নামক একটি কম্পিউটার ট্রেণিং ইনস্টিটিউট এর মালিকানায় আছেন যেখানে তিনি নিজেই ক্লাস পরিচালনা করেন। লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্ম ছাত্র অবস্থায় তিনি লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্মের সাথে জড়িত আছেন। ২০১১ সালে রাইটার্স এসোসিয়েশন এর ম্যাগাজিনে তার প্রথম লেখা বন্ধু চিরন্তন প্রকাশিত হয়। এর পর তিনি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Close

অ্যাডস্ ব্লকার পাওয়া গেছে!

দয়া করে আমাদের সাপোর্ট করার জন্য আপনার এডস্ ব্লকার ডিজেবল করে পেইজটি রিলোড করুন! ধন্যবাদ