সর্বশেষ আপটেড

নেটওয়ার্কের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার ও সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন প্রণয়ন

অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী বন্ধুরা, আশা করছি তোমরা খুব ভালো আছো। আজ তোমাদের সাথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি। এই আর্টিকেলে তোমাদের জন্য রয়েছে ৮ম শ্রেণির ১৭তম সপ্তাহের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর/ সমাধান : নেটওয়ার্কের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার ও সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন প্রণয়ন।

কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বাের্ড (এনসিটিবি) কর্তৃক প্রণয়নকৃত ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ২০২১ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যসূচির আলােকে নির্ধারিত গ্রিড অনুযায়ী ১৭তম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট বিতরণ করা হলাে। এর পূর্বে গত ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণি ১৬তম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হয়েছে। এখানে ৮ম শ্রেণি ১৭তম সপ্তাহ বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান/ উত্তর- নেটওয়ার্কের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার ও সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন প্রণয়ন নিয়ে আলোচনা করছি।

৮ম শ্রেণি ১৭তম সপ্তাহ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অ্যাসাইনমেন্ট

Class Eight 17th Week Assignment ICT

অ্যাসাইনমেন্ট: নেটওয়ার্কের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার ও সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন প্রণয়ন কর।

নির্দেশনা (সংকেত/ধাপ/পরিধি):

প্রতিবেদনটি তৈরির ক্ষেত্রে লক্ষ রাখতে হবেঃ-

  • ১। প্রারম্ভিক অংশ: মূল শিরােনাম, প্রাপকের নাম ঠিকানা, সূত্র বিষয়ের সংক্ষিপ্ত সার নির্দেশক কথা।
  • ২। প্রধানঅংশ: বিষয় সম্পর্কে | ভূমিকা, মূলপ্রতিবেদন (দৈনন্দিন জীবনে নেটওয়ার্কের ব্যবহার, নেটওয়ার্ক, সার্ভার, ক্লায়েন্ট, মিডিয়া, নেটওয়ার্ক এডাপ্টার, রিসাের্স, ইউজার, প্রটোকল, হাব, সুইচ, রাউটার, মডেম, ল্যান কার্ড), উপসংহার ও সুপারিশ।
  • ৩।পরিশিষ্ট: তথ্য নির্দেশ, গ্রন্থ বিবরণী ও আনুসঙ্গিক বিষয়াদি।

৮ম শ্রেণির ১৭তম সপ্তাহের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর/ সমাধান

তারিখঃ

বরাবর
প্রধান শিক্ষক
জি.এম.হাট উচ্চ বিদ্যালয়
ফুলগাজী, ফেনী

বিষয়ঃ নেটওয়ার্কের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার ও সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি সম্পর্কে প্রতিবেদন প্রণয়ন।

জনাব, বিনীত নিবেদন এই যে, আপনার আদেশ নং ম.উ.বি ৯১৭-৪ তারিখ : ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১ অনুসারে. “নেটওয়ার্কের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার ও সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি সম্পর্কে প্রতিবেদন প্রণয়ন” সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি নিম্নে পেশ করছি।

নেটওয়ার্কের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার ও সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি সম্পর্কিত প্রতিবেদন

ভূমিকাঃ

“আমরা প্রযুক্তির ব্যবহার করছি না বরং আমরা প্রযুক্তির মধ্যে ডুবে আছি।” এই উক্তিটি থেকে বলতে পারি প্রযুক্তি ছাড়া আমরা দৈনন্দিন জীবনে কোনোকিছু কল্পনা করতে পারি না। আর এই প্রযুক্তির যাথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত হবে যদি কেবল যদি নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা ঠিক থাকে। বলতে গেলে,নেটওয়ার্ক একটি জালের মতো যা পুরো বিশ্বকে ঘিরে ছড়িয়ে আছে। বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি। শিল্প বিপ্লবের পর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নয়ন পৃথিবীতে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নজিরবিহীন উন্নতির ফলে গোটা বিশ্ব আজ গ্লোবাল ভিলেজে পরিণত হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি দূরকে এনেছে চোখের সামনে, পরকে করেছে আপন, আর অসাধ্যকে সাধন করেছে। তথ্যপ্রযুক্তি বর্তমান বিশ্বের সকল প্রকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের মূল হাতিয়ার। যে জাতি তথ্যপ্রযুক্তিতে যত বেশি দক্ষ, তাদের সার্বিক অবস্থাও তত বেশি উন্নত। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত হতে এবং জ্ঞান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বিশ্ব পরিমণ্ডলে নিজ অবস্থান সুদৃঢ় ও উজ্জ্বল করতে হলে তথ্যপ্রযুক্তির কোনো বিকল্প নেই। কারণ একবিংশ শতাব্দীর সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ দুইই আবর্তিত হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তিকে ঘিরে।তথ্য প্রযুক্তির অভাবনীয় উন্নতি সাধন হবে যদি কেবল যদি নেটওয়ার্ক ইকোনমিক উন্নয়ন সাধন হয়।

নেটওয়ার্কঃ

যখন একাধিক কম্পিউটার পরস্পরে কোনো তার বা বেতার (wired or wireless) মাধ্যমে সংযুক্ত (connected) হয়ে থাকে তখন সেটাকেই বলা হয় নেটওয়ার্ক৷সাধারণ দুটি কম্পিউটার পরস্পরে সংযুক্ত থাকাটাকেও নেটওয়ার্ক বলা হয় আবার হাজার লক্ষ কম্পিউটার ডিভাইস পরস্পরে সংযুক্ত থাকলে সেটাও একটি নেটওয়ার্ক। আর এভাবেই, যখন কম্পিউটার গুলো পরস্পরে কোনো মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে থাকে তখন তারা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ (communication), ডাটার আদান প্রদান, সংশোধন, আদান প্রদান ইত্যাদি করতে পারেন৷

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এর মধ্যে একসাথে একাধিক,হাজার,লক্ষ কম্পিউটার ডিভাইস পরস্পরে সংযুক্ত হয়ে থাকে৷ আর নেটওয়ার্ক এর মধ্যে connected থাকা প্রত্যেক computer device গুলোকে বলা হয় “node”. “Node (একটি কম্পিউটার)” নেটওয়ার্ক এর সাথে সংযুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে একটি মাধ্যমের প্রচেষ্টা। এই মাধ্যম গুলোর মধ্যে তার বা বেতার যেকোনো মাধ্যম হতে পারে।

সার্ভার:

সার্ভার নাম শুনেই বুঝতে পারছ এটা serve করে অর্থাৎ সার্ভার হচ্ছে শক্তিশালী কম্পিউটার যেটি নেটওয়ার্কের অন্য কম্পিউটারকে নানা রকম সেবা দিয়ে থাকে। একটি নেটওয়ার্কে কিন্তু একটি নয় অনেকগুলো সার্ভার থাকতে পারে।

ক্লায়েন্ট :

কেউ যদি অন্য কারো কাছ থেকে কোনো ধরনের সেবা নেয়, তখন তাকে ক্লায়েন্ট বলে। কম্পিউটার নেটওয়ার্কেও ক্লায়েন্ট শব্দটির অর্ধ মোটামুটি সেরকম। যে সব কম্পিউটার সার্ভার থেকে কোনো ধরনের তথ্য নেয় তাকে ক্লায়েন্ট ৰলে ৷ যেমন মনে কর, তুমি তোমার কম্পিউটার থেকে নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ই-মেইল পাঠাতে চাও। তাহলে তোমার কম্পিউটার হবে ক্লায়েন্ট। নেটওয়ার্কের যে কম্পিউটারটি “ইমেইল পাঠানোর কাজটুকু তোমার জন্য করে দেবে সেটা হবে সার্ভার”– এ ক্ষেত্রে এ সার্ভারটি হল ইমেইল সার্ভার।

মিডিয়া :

যে বস্তু ব্যবহার করে কম্পিউটারগুলো জুড়ে দেওয়া হয় সেটা হচ্ছে মিডিয়া। বৈদ্যুতিক তার, কো-এক্সিয়াল তার, অপটিক্যাল ফাইবার ইত্যাদি মিডিয়া হতে পারে। কোনো মিডিয়া ব্যবহার না করেও তার বিহীন (যেমন- Wi-Fi) পদ্ধতিতে কম্পিউটারকে নেটওয়ার্কে জুড়ে দেওয়া যায়।

নেটওয়ার্ক এডাপ্টার :

একটি কম্পিউটারকে সোজাসুজি নেটওয়ার্কের সাথে জুড়ে দেয়া যায় না। সেটি করার জন্য কম্পিউটারের সাথে একটি নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস কার্ড (NIC)লাগাতে হয়। সেই কার্ডগুলো তখন মিডিয়া থেকে তথ্য নিয়ে ব্যবহার করার জন্য কম্পিউটারকে দিতে পারে। আবার কম্পিউটার থেকে তথ্য নিয়ে সেটি নেটওয়ার্কে ছেড়ে দিতে পারে।

রিসোর্স :

ক্লায়েন্টের কাছে ব্যবহারের জন্য যে সকল সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়, তার সবই হচ্ছে রিসোর্স। কম্পিউটারের সাথে যদি একটি প্রিন্টার কিংবা একটি ফ্যাক্স মেশিন লাগানো হয় সেটি হচ্ছে রিসোর্স। কম্পিউটার দিয়ে কেউ যদি সার্ভারে রাখা একটি ছবি আর্কার সফটওয়ার ব্যবহার করে সেটিও রিসোর্স। যারা নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে তারা শুধু যে রিসোর্স গ্রহণ করে তা নয়, তোমার কাছে যদি কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকে বা মজার ছবি থাকে এবং সেটি যদি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অন্যরাও ব্যবহার করতে থাকে তাহলে তোমার কম্পিউটারও একটি রিসোর্স হয়ে যাবে।

ইউজার :

সার্ভার থেকে যে ক্লায়েস্ট রিসোর্স ব্যবহার করে, সে-ই ইউজার (user) বা ব্যবহারকারী।

প্রটোকল :

ভিন্ন ভিন্ন কম্পিউটারকে একসাথে যুক্ত করতে হলে এক কম্পিউটারের সাথে অন্য কম্পিউটারের যোগাযোগ করার জন্য কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে হয়। এসব নিয়ম মেনেই তথ্য আদান-প্রদান করতে হয়। যারা নেটওয়ার্ক তৈরি করে তারা আগে থেকেই ঠিক করে নেয়, কোন ভাষায়, কোন নিয়ম মেনে এক কম্পিউটার অন্য কম্পিউটারের সাথে যোগাযোগ করবে। এই নিয়মগুলোই হচ্ছে প্রটোকল। যেমন— ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য প্রটোকল হলো hyper text transfer protocol ( http)।

হাব (Hub) :

সাধারণত তারযুক্ত নেটওয়ার্কে থাকা অনেকগুলো আইসিটি যন্ত্র তথা কম্পিউটার, খ্রিস্টার ইত্যাদিকে একসাথে যুক্ত করতে হাব ব্যবহার করা হয়। হাব এক যন্ত্রকে অন্য যন্ত্রের সাথে যোগাযোগ করার সুযোগ দেয়। বলা যায়, একই নেটওয়ার্কে হাব দ্বারা সংযুক্ত সকল কম্পিউটার একটি আরেকটির সাথে যোগাযোগ করতে পারে। হাব বললেই আমরা ইন্টারনেট হাব বা নেটওয়ার্ক হাৰকেই বুঝে থাকি। তবে ইদানীং আমরা অনেক USB হাবও দেখে থাকি।

হাবের মধ্য দিয়ে যখন তথ্য বা উপাত্ত এক যন্ত্র থেকে অন্য যন্ত্রে যার, হাব তখন সেগুলো পড়তে পারে না। এক কম্পিউটার থেকে অন্য একটি কম্পিউটারে তথ্য বা উপাত্ত পাঠালে হাব তার সাথে সংযুক্ত সকল কম্পিউটারে ঐ তথ্য বা উপাত্ত পাঠিয়ে দেয়। এমনকি যে কম্পিউটার থেকে তথ্য পাঠানো হলো, তাকেও হাব আবার ঐ তথ্য পাঠিয়ে দেয়। অর্থাৎ হাব নির্দিষ্ট ঠিকানা অনুযায়ী তথ্য পাঠাতে পারে না। বর্তমানে কম গতি ও বেশি সুবিধা পাওয়া যায় না বলে হাবের ব্যবহার অনেক কমে গেছে।

সুইচ (Switch) :

এটিও হাবের মতো একটি ক্ষুদ্র আইসিটি যন্ত্র । বর্তমানে যেকোনো নেটওয়ার্ক তৈরি করতে বেশিরভাগ সময় সুইচ ব্যবহার করা হয়। হাবের সাথে সুইচের প্রধান পার্থক্য হলো সুইচ তারের সাখে যুক্ত প্রত্যেকটি আইসিটি যন্ত্রকে পৃথকভাবে শনাক্ত করতে পারে কিন্তু হাব তা পারে না। ফলে সুইচ দিয়ে তৈরি নেটওয়ার্কের যেকোনো আইসিটি ब (Node) সরাসরি অন্য যন্ত্রের সাথে যোগবোপ করতে পারে। সুইচের সাথে যুক্ত যন্ত্রগুলো শুধু যাকে ফেঁটা বা উপাত্ত পাঠাতে চার তাকেই উপাত্ত পাঠায়।

সুইচ তার সাথে সংযুক্ত প্রত্যেকটি আইসিটি বস্ত্রের একটি করে ঠিকানা বরাদ্দ করে এবং ঐ ঠিকানা অনুবারী তথ্যের আদান-প্রদান করে। অর্থাৎ কোনো একটি ঠিকানা থেকে অন্য কোনো ঠিকানার উপাত্ত বা ডেটা পাঠাতে চাইলে সুইচ এক ঠিকানার তথ্য অন্য ঠিকানায় পৌঁছে দেয়। এ বরাদ্দকৃত ঠিকানাকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ভাষায় MAC Media Access Control address নামে ডাকা হয়। উপরের শ্রেণিতে এ বিষয়ে আমরা আরো ব্যাপকভাৰে জনৰ। আলাদা আলাদা ঠিকানা ব্যবহারের কারণে সুইচ হারে চেৱে অনেক দ্রুত গতিতে কাজ করতে পারে। এজন্য নেটওয়ার্ক তৈরিতে সুইচই এখন সবার পছন্দ।

রাউটার (Router) :

Router শব্দটি এসেছে Route শব্দ থেকে। রাউটার একটি গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র, যা হার্ডওয়ার ও সফটওয়্যারের সমন্বর তৈরি। এটি নেটওয়ার্ক তৈরির কাজে ব্যবহার করা হয়। ইন্টারনেট অসংখ্য নেটওয়ার্কের সমন্বয়ে তৈরি। বর্তমানে ইন্টারনেটে অসংখ্য রাউটার রয়েছে। রাউটার এর প্রধান কাজ ডেটা বা উপাত্তকে পথ নির্দেশনা দেওয়া। ধরো অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থিত কোনো বন্ধুকে ই-মেইলের মাধ্যমে কেউ একটি ছবি পাঠাতে চায় ৷ ছৰিটি করেকটি ডেটা প্যাকেটে বিভক্ত হয়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে কম্পিউটারে পৌঁছাৰে। প্রতিটি
ডেটা প্যাকেটে গন্তব্যস্থলের ঠিকানা সংযুক্ত থাকে। ইন্টারনেট যেহেতু জালের মতো গোটা পৃথিবী জুড়ে বিস্তৃত, তাই বিভিন্ন ডেটা প্যাকেট বিভিন্ন পথে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে। একটি ডেটা প্যাকেট কোনো একটি রাউটার-এ পৌছালে পরবর্তী কোন পথে অগ্রসর হলে ডেটা সহজে এবং দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছাবে তার পথনির্দেশ দেয় ঐ রাউটার।

মডেম (Modem) :

ইন্টারনেটের মাধ্যমে নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকার জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র হলো মডেম। Modulator-47 Mo এবং Demodulator হতে Dem এই অংশ দুটির সমন্বয়ে Modem শব্দটি তৈরি হয়েছে। মডেম তার দ্বারা সংযুক্ত বা তারবিহীন (wireless) প্রযুক্তিতে ব্যবহৃত হতে পারে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে ডেটা বা উপাত্ত পাঠানোর জন্য এক ধরনের সিগনাল দরকার হয়। মডেম এমন একটি নেটওয়ার্ক য (Network device), যা কম্পিউটার হতে প্রাপ্ত ডিজিটাল সিগনালকে রূপান্তর করে Network কে প্রেরণ করে। আবার নেটওয়ার্ক হতে প্রাপ্ত সিগনালকে রূপান্তর করে কম্পিউটারে প্রেরণ করে।

পূর্বে নিম্নগতির ভায়াল-আপ মডেম ব্যবহার করা হতো। বর্তমানে এর পরিবর্তে দ্রুতগতির কেবল বা DSL (Digital Subscribers Line) মডেম ব্যবহার হচ্ছে। এছাড়া বর্তমানে প্রচুর পরিমাণে Wi-Fi (Wireless Fidelity) মডেম ব্যবহৃত হচ্ছে।

ল্যান কার্ড (LAN Card) :

দুটো ৰা অধিকসংখ্যক কম্পিউটারকে একসাথে যুক্ত করতে যে যন্ত্রটি অবশ্যই প্রয়োজন হয়, তা হলো ল্যান কার্ড। অর্থাৎ আমরা যদি কোনো নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে চাই, তবে অবশ্যই ল্যান কার্ডের প্রয়োজন হবে। নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত এক আইসিটি যন্ত্র থেকে অন্য যন্ত্রে কোনো তথ্য বা উপাত্ত পাঠাতে কিংবা গ্রহণ করতে ল্যান কার্ডের প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে ল্যান কার্ডের ভূমিকা ইন্টারপ্রেটারের মতো। বর্তমানে পাওয়া যায় এমন প্রায় সব কম্পিউটার বা ল্যাপটপ বা আইসিটি যন্ত্রের মাদারবোর্ডের সাথেই ল্যান কার্ড সংযুক্ত (Bullt-in) থাকে। তারপরও কিছু আইসিটি যন্ত্রে আলাদা করে ল্যান কার্ড সংযুক্ত করতে হয়। প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে এখন তারবিহীন ল্যান কার্ড খুবই জনপ্রিয়।

নেটওয়ার্কের ব্যবহারঃ

মানুষ সামাজিক জীব। আদিকাল থেকে মানুষ নানা ধরনের বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য একসঙ্গে সামাজিকভাবে থাকতে লিখেছে। সমাজের সবার কিছু দায়িত্ব থাকে এবং সবাই মিলে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে শিখে। সভ্যতার বিকাশের পর সামাজিকভাবে একসঙ্গে থাকার বিষয়টিও নতুন মাত্রা পেয়েছে। বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তিতে যে নেটওয়ার্কের জন্ম হয়েছে, সেটিও আমাদের ঘীবনে একটা নতুন মাত্রা যোগ করেছে। আমরা অতীতে যে কাজগুলো করতাম, আজকাল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে সেই একই কাজ অন্যভাবে করতে শিখেছি। নেটওয়ার্কের সবচেয়ে বড় ব্যবহার হচ্ছে তথ্যকে কার্যকরভাবে ব্যবহার করা।

আগে একটি তথ্য সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া অসম্ভদ্ধ ও কঠিন একটি কাজ ছিল। এখন মুহূর্তের মধ্যে একটি তথ্য শুধু যে নিজের পরিচিতদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারি তা নয়, সেটি সারা দেশে, এমনকি সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিতে পারি। শুধু তাই নয়, একসময় তথ্য ছিল সম্পদের মতো। যার কাছে তথ্য যত বেশি, সে তত ক্ষমতাশালী নেটওয়ার্কের কারণে এ ধারণাটা পুরোপুরি পাল্টে গেছে। এখন তথ্য সবার জন্য উন্মুক্ত। বিশেষ বিশেষ প্রতিষ্ঠান বিশেষ বিশেষ তথ্যকে নিজের জন্য আলাদাভাবে সংরক্ষণ করে কিন্তু অন্যান্য সাধারণ তথ্য এখন সবার জন্য উক্ত। একজন খুব সাধারণ মানুষ আর সবচেয়ে ক্ষমতাশালী মানুষ দুজনেরই পৃথিবীর তথ্যভাণ্ডারে সমান অধিকার। দুজনেই একই তথ্যভান্ডার থেকে একই তথ্য সংগ্রহ করতে পারে।

নেটওয়ার্ক দিয়ে তথ্যকে উপস্থাপন করার কারণে সারা পৃথিবীতেই নতুন একধরনের কর্মকাণ্ড শুরু হয়েছে। একসময় যে তথ্যগুলো কাগজে সংরক্ষণ করতে হতো, এখন সেটি ডেটাবেসে সংরক্ষণ করা হয়। আগে নেই তথ্যগুলো কাগজ ঘেটে মানুষকে খুঁজে বের করতে হতো; কাজটি ছিল নিরানন্দময় এবং সময় সাপেক্ষ। এখন কম্পিউটারে আঙুলের টোকায় নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে যে কেউ ডেটাবেসে তথ্য রাখতে পারে, প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করতে পারে।

নেটওয়ার্কের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার ও সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন প্রণয়ন

একসময় যে কাজটি করার জন্যে অনেক ধরনের কাগজপত্রে অনেক ধরনের তথ্য রাখার প্রয়োজন হতো, এখন সেটি কোনো শক্তিশালী কম্পিউটারের ডেটাবেসে রাখা হয়। কাগজপত্রের ব্যবহার দিনে দিনে কমে যাচ্ছে। এর একটি উদাহরণ হচ্ছে বিমানের টিকেট। এক সময় বিমানের যাত্রীদের টিকিট হাতেনিয়ে বিমানবন্দরে যেতে হতো। এখন সারা পৃথিবীতে ই-টিকিটের প্রচলন হয়েছে এবং বিমানের কোনো যাত্রীকে আর বিমানের টিকিট হাতে করে নিতে হয় না। বিমানের কর্মকর্তারা যাত্রীর পরিচয় থেকে সরাসরি তার টিকিটের তথ্য পেয়ে যান এবং যাত্রীদের বিমান ভ্রমণের ব্যবস্থা করে দেন। সেই দিনটি আর বেশি দূরে নয়, যখন কাউকে আর নিজের পাসপোর্টটি সাথে নিয়ে ভ্রমণ করতে হবে না। যখন প্রয়োজন হবে, তখন তার অঙ্কুলের ছাপ কিংবা চোখের রেটিনা স্ক্যান করে ডেটাবেস থেকে তার সকল তথ্য বের করে নিয়ে আসা হবে।

নেটওয়ার্কের অন্য ব্যবহারটি হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি সংক্লান্ত সকল প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ভাগাভাগি করে নেওয়ার সুযোগ। একসময় সকল প্ররোজনীয় সফটওয়্যার প্রত্যেকটি কম্পিউটারেই অলাদাভাবে রাখার প্রয়োজন হতো। কাজেই ব্যক্তিগতভাবে একজন মানুষ কোনো মূল্যবান সফটওয়্যার না কিনেই বিনামূল্যে বা অত্যন্ত কম মূল্যে সেটি ব্যবহার করতে পারে। শুধু যে একটি সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারে তা নয়, একজন মানুষ তার ব্যক্তিগত সবকিছুই নিজের কম্পিউটারে না রেখে অন্য কোথাও রেখে দিতে পারে। যেকোনো সময় পৃথিবীর যেকোনো জায়গা থেকে সেটি ব্যবহার করতে পারে, সেরকম ব্যবস্থাও রয়েছে। এরকম একটি জনপ্রিয় সেবার নাম ড্রপবক্স (Dropbox) এবং এই বইটিও সুপবক্স ব্যবহার করে লেখা হয়েছে।

নেটওয়ার্কের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার ও সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন প্রণয়ন

পৃথিবীতে ক্লাউড কম্পিউটারের প্রচলন ধীরে ধীরে বেড়ে যাচ্ছে। তোমরা কিংবা তোমাদের পরিচিত কেউ যদি botmail, yahoo বা gmail ব্যবহার করে কোনো ই-মেইল পাঠিয়ে থাকো তাহলে সেটি ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবহার করে করা হয়েছে। কিংবা তুমি যদি বাংলা সার্চ ইঞ্জিন পিপীলিকাতে কোনো বাংলা তথ্য খুঁজে দেখো, তাহলে সেটিও ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবহার করে করা হয়েছে। নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে সারা পৃথিবীতে সামাজিক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মানুষের সাথে মানুষের এক ধরনের যোগাযোগ শুরু হয়েছে।

সামাজিক নেটওয়ার্কে একে অন্যের সাথে ছবি, ভিডিও বা তথ্য বিনিময় করতে পারে, ইমেইল পাঠাতে বা গ্রহণ করতে পারে, মেসেজ দেওয়া নেওয়া করতে পারে। এই মুহূর্তে পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক নেটওয়ার্কের মধ্যে রয়েছে ফেসবুক ও টুইটার। নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে আজকাল টেলিফোন করা যায়। টেলিফোনে শুধু যে কণ্ঠস্বর শোনা যায় তা নয়, আমরা যার সাথে যোগাযোগ করছি তাকে দেখতেও পারি। অফিসের কাজে ফাইল দেওয়া নেওয়া করতে হয়, সেগুলোর প্রক্রিয়া করতে হয়। নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে এখন এই ফাইল প্রক্রিয়া করার কাজগুলোও অনেক দক্ষতার সাথে করা হয়।

মানুষের বিনোদনের জন্য নেটওয়ার্কের ব্যবহার অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। একসময় একটি সিনেমা দেখার জন্য মানুষকে সিনেমা হলে যেতে হতো কিংবা সিডি কিনে দেখতে হতো। এখন সরাসরি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে একজন দর্শক সিনেমাটি ডাউনলোড করে দেখে নিতে পারে। নেটওয়ার্কের ব্যবহার বিনোদনের জগতে নতুন একটি মাত্রা যুক্ত করেছে।

রাষ্ট্রপরিচালনা, নিরাপত্তা এমনকি যুদ্ধবিগ্রহেও নেটওয়ার্ক ব্যবহৃত হয়। নতুন পৃথিবীতে সম্পদ হচ্ছে তথ্য। যে যত দক্ষতার সাথে তথ্য ব্যবহার করতে পারবে, নতুন পৃথিবীতে সে-ই হবে তত শক্তিশালী। আর তথ্য ব্যবহার করার জন্য দরকার শক্তিশালী নেটওয়ার্ক। তাই ভবিষ্যতে আমরা নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে নতুন নতুন পদ্ধতির ব্যবহার দেখব সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

উপসংহার :

নেটওয়ার্কের ক্রমবিকাশের মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তির যথাযথ ক্রম বিকাশ হবে। নেটওয়ার্কের গুরত্ব বলতে তথ্য প্রযুক্তির গুরত্ব দুটোই একে অপরের পরিপূরক। তথ্যপ্রযুক্তির ক্রমবিকাশে পৃথিবীর প্রভূত উন্নতি সাধিত হয়েছে। সাইবার মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট এবং নতুন মোবাইল অ্যাপলিকেশনের হাত ধরে অনলাইন আজ বিশ্বের অবিচ্ছেদ্য একটি শক্তিশালী গণমাধ্যম। বিশ্বের অধিকাংশ কাজেই মোবাইলের মতো সহজে পৌঁছে যাবে ইন্টারনেটের সুফল। ব্যবসায়, বিপণন, ভার্চুয়াল যোগাযোগ এ তিন পথই এখন তথ্যপ্রযুক্তির প্রধান প্রযুক্তি ইন্টারনেটের দখলে। পরবর্তী সময়ে এই তথ্যপ্রযুক্তিই বিশ্বের পুরো কার্যক্রমকে নিয়ন্ত্রণ করবে। গবেষকরা জানিয়েছেন- তথ্যপ্রযুক্তির বৈপ্লবিক উন্নতির মাধ্যমে বিশ্বের অনুন্নত জাতিগোষ্ঠীর মানুষেরা আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠবে।

এই ছিল তোমাদের ৮ম শ্রেণির ১৭তম সপ্তাহের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর/ সমাধান : নেটওয়ার্কের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার ও সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন প্রণয়ন।

আপনার জন্য আরো কিছু তথ্য…

সকল স্তরের শিক্ষা সংক্রান্ত সঠিক তথ্য, সরকারি-বেসরকারি চাকুরি বিজ্ঞপ্তি, চাকুরির পরীক্ষা, এডমিট কার্ড, পরীক্ষার রুটিন, সরকারি বেসরকারি বৃত্তি, উপবৃত্তি ও প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত তথ্য সবার আগে পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজটি Follow করে রাখুন। ইউটিউবে সর্বশেষ আপডেট পেতে বাংলা নোটিশ ডট কম এর ইউটিউব চ্যানেলটি Subscribe করে রাখুন। আপনার প্রতিষ্ঠানের যেকোন বিজ্ঞপ্তি, খবর, নোটিশ ও জাতীয় রাজনৈতিক বিষয়ে লেখা প্রকাশ করতে চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা নোটিশ ডট কম এর প্রকাশক ও সম্পাদক জনাব আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া। জন্ম ১৯৯৩ সালের ২০ নভেম্বর, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায়। বাবা আবদুল গফুর ভূঁইয়া এবং মা রহিমা বেগম। এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে আবদুল্লাহ আল আরিয়ান বয়স ৫ বছর। মেয়ে ফাবিহা জান্নাত বয়স ১ বছর। আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া এর শিক্ষাজীবন আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে ২০১৮ সালে ম্যানেজমেন্ট এ স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি উত্তরা ইউনিভার্সিটি ঢাকা থেকে বিপিএড সম্পন্ন করেন। আজিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শুরু। এরপর আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজ লাকসাম উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কিছুদিন ক্লাস করার পর। পারিবারিক কারণে নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজ এ কিছুদিন রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করার পর ভালো না লাগায় পুনরায় ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ছাত্র জীবনে তিনি নানা রকম সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। কর্মজীবন কর্মজীবনের শুরুতে তিনি আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় যোগদেন। বেশ কিছুদিন পর তিনি ২০১৯ সালে উন্নত ভবিষ্যতের আশায় কুয়েত পারি জমান। কিন্তু সেখানকার কাজের পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় পুনরায় আবার বাংলাদেশে ফিরে এসে পূর্বের পদে কাজে যোগদান করে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন। এছাড়াও তিনি স্বপ্ন গ্রাফিক্স এন্ড নেটওয়ার্ক নামে একটি মাল্টিমিডিয়া এবং প্রিন্টিং প্রেস প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধীকারী সেই সাথে স্বপ্ন ইশকুল নামক একটি কম্পিউটার ট্রেণিং ইনস্টিটিউট এর মালিকানায় আছেন যেখানে তিনি নিজেই ক্লাস পরিচালনা করেন। লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্ম ছাত্র অবস্থায় তিনি লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্মের সাথে জড়িত আছেন। ২০১১ সালে রাইটার্স এসোসিয়েশন এর ম্যাগাজিনে তার প্রথম লেখা বন্ধু চিরন্তন প্রকাশিত হয়। এর পর তিনি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Close

অ্যাডস্ ব্লকার পাওয়া গেছে!

দয়া করে আমাদের সাপোর্ট করার জন্য আপনার এডস্ ব্লকার ডিজেবল করে পেইজটি রিলোড করুন! ধন্যবাদ