সংস্কৃতি ও সভ্যতা একে অপরের পরিপূরক
মানবিক বিভাগের ২০২২ সালের এইচএসসি ও আলিম পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী বন্ধুরা, আশা করছি সবাই ভালো আছো। তোমরা কি এইচএসসি, আলিম শ্রেণির ৫ম সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট সমাজবিজ্ঞান প্রথম পত্রের উত্তর সম্পর্কে ধারণা নিতে চাচ্ছো? কিংবা এসাইনমেন্টটি কিভাবে প্রস্তুত করতে হয় সে সম্পর্কে জানতে আগ্রহী? তাহলে বলবো তোমরা ঠিক ওয়েবসাইটে এসেছো। তোমাদের জন্য আজকের আর্টিকেলের আলোচ্য বিষয়- সংস্কৃতি ও সভ্যতা একে অপরের পরিপূরক। এই আর্টিকেলটি পড়ে তোমরা এইচএসসি পরীক্ষা ২০২২ ৫ম সপ্তাহের সমাজবিজ্ঞান প্রথম পত্র এ্যাসাইনমেন্ট সমাধান করতে পারবে।
এইচএসসি পরীক্ষা ২০২২ ৫ম সপ্তাহের সমাজবিজ্ঞান প্রথম পত্র এ্যাসাইনমেন্ট
চলমান কোভিড ১৯ অতিমারির কারণে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত হওয়ায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মােতাবেক পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের শিখন কার্যক্রমে পুরােপুরি সম্পৃক্তকরণ ও ধারাবাহিক মূল্যায়নের আওতায় আনয়নের জন্য অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। বিভিন্ন গুচ্ছ বিষয় থেকে ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য পঞ্চম সপ্তাহের সর্বমোট ২০ টি বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশ করেন কতৃপক্ষ যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শিখন মূল্যায়ন করে শিক্ষকগণ তথ্য সংরক্ষণ করবেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে কোভিড ১৯ সংক্রমণ রােধে সরকার ঘােষিত স্বাস্থ্যবিধি যথাযথ প্রতিপালনপূর্বক প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরােধ করা হলাে।
অ্যাসাইনমেন্টঃ সংস্কৃতি ও সভ্যতা একে অপরের পরিপূরক।
শিখনফল/বিষয়বস্তু :
- সংস্কৃতি ও সভ্যতার ধারণা ব্যাখ্যা করতে পারবে।
- সংস্কৃতি ও সভ্যতার পারস্পরিক সম্পর্ক ব্যাখ্যা করতে পারবে।
নির্দেশনা (সংকেত/ধাপ/পরিধি) :
- উদাহরণসহ সংস্কৃতির ধারণা ব্যাখ্যা করতে হবে।
- উদাহরণসহ সভ্যতার ধারণা ব্যাখ্যা করতে হবে।
- সংস্কৃতি ও সভ্যতার বিভিন্ন ধরনের বর্ণনা করতে হবে।
- সভ্যতা ও সংস্কৃতির পারস্পরিক সম্পর্ক উপস্থাপন করতে হবে।
নির্দেশক :
- সংস্কৃতির ধারণা
- সভ্যতার ধারণা
- সংস্কৃতি ও সভ্যতার বিভিন্ন ধরন
- সংস্কৃতি ও সভ্যতার পারস্পরিক সম্পর্ক।
এইচএসসি পরীক্ষা ২০২২ ৫ম সপ্তাহের সমাজবিজ্ঞান প্রথম পত্র এ্যাসাইনমেন্ট সমাধান
সংস্কৃতি ও সভ্যতা একে অপরের পরিপূরক
সমাজবদ্ধ মানুষের বিশিষ্ট পরিচয় হলো সংস্কৃতি। সংস্কৃতি মানুষের স্বকীয় বৈশিষ্ট্য, যা মানবসমাজকে স্বতন্ত্র মর্যাদায় মণ্ডিত করেছে। সমাজতাত্ত্বিক অর্থে, ‘Culture is the way of life; সুতরাং সংস্কৃতি হলো মানুষের সামগ্রিক জীবনযাপন প্রণালী।
সংস্কৃতি শব্দটির আভিধানিক অর্থ চিৎপ্রকর্ষ বা মানবীয় বৈশিষ্ট্যের উৎকর্ষ সাধন। ইংরেজি Culture-এর প্রতিশব্দ হিসেবে সংস্কৃতি শব্দটি ১৯২২ সালে বাংলায় প্রথম ব্যবহার করা শুরু হয়।
সংস্কৃতি একটি শব্দ যা সামাজিক জীবন বেশিরভাগ অপরিহার্য দিক একটি বড় এবং বিভিন্ন সেট বোঝায়। এটি মূলত মান, বিশ্বাস, ভাষা এবং যোগাযোগের পদ্ধতি এবং মানুষ যেগুলি সাধারণভাবে ভাগ করে নেয় এবং যেগুলি একটি সমষ্টিগত হিসেবে সেই উপাদান বা বস্তুগত বস্তুগুলিকে সংজ্ঞায়িত করার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে যা সেই দল বা সমাজের জন্য সাধারণ। সংস্কৃতি সমাজের সামাজিক কাঠামোগত ও অর্থনৈতিক দিক থেকে আলাদা, কিন্তু এটি তাদের সাথে সংযুক্ত – উভয় ক্রমাগত তাদের তথ্য এবং তাদের দ্বারা জানানো হচ্ছে।
উদাহরণসহ সংস্কৃতির ধারণা
সংস্কৃতি (বা কৃষ্টি) হলো সেই জটিল সামগ্রিকতা যাতে অন্তর্গত আছে জ্ঞান, বিশ্বাস, নৈতিকতা, শিল্প, আইন, রাজনীতি, আচার এবং সমাজের একজন সদস্য হিসেবে মানুষের দ্বারা অর্জিত অন্য যেকোনো সম্ভাব্য সামর্থ্য বা অভ্যাস। ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত ভাষাতত্ত্বের অধ্যাপিকা হেলেন স্পেনসার-ওটেইয়ের মতে, সংস্কৃতি হলো কিছু বুনিয়াদি অনুমান, মূল্যবোধ ও জীবনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির, বিশ্বাস, নীতিমালা, প্রক্রিয়া এবং আচরণিক প্রথার অস্পষ্ট সমষ্টি–যা এক দল মানুষ ভাগ করে নেয় এবং সেই সমষ্টি দলের প্রত্যেক সদস্যের আচরণকে এবং তার নিকট অন্য সদস্যের আচরণের ‘অর্থ’ বা সংজ্ঞায়নকে প্রভাবিত করে (কিন্তু নির্ধারিত করে না)।
সমাজতন্ত্রের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধারণাগুলির মধ্যে একটি হল সংস্কৃতি সমাজতত্ত্বে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধারণাগুলির মধ্যে একটি কারণ সমাজতন্ত্রগুলি স্বীকার করে যে সামাজিক সম্পর্কগুলি বজায় রাখা, সামাজিক ক্রমবর্ধমান ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তা নির্ধারণ করে যে আমরা কিভাবে এই পৃথিবীর অনুভূতি এবং আমাদের স্থানটি এবং আমাদের দৈনন্দিন কর্মের রূপরেখা তৈরি করি। এবং সমাজে অভিজ্ঞতা। এটি উভয় অ বস্তু এবং উপাদান জিনিসগুলি গঠিত হয়।
সংস্কৃতি ও সভ্যতা একে অপরের পরিপূরক
সংক্ষেপে, সমাজবিজ্ঞানীরা সংস্কৃতির অস্তিত্বের দিকগুলিকে সংজ্ঞায়িত করে যেমন মূল্যবোধ এবং বিশ্বাস, ভাষা এবং যোগাযোগ এবং অভ্যাস যা জনগণের একটি দল দ্বারা সাধারণভাবে ভাগ করা হয়। এই বিভাগগুলির বিস্তৃতি, সংস্কৃতি আমাদের জ্ঞান, সাধারণ জ্ঞান , অনুমান এবং প্রত্যাশাগুলির মধ্যে রয়েছে। এটি নিয়ম, নিয়ম , আইন এবং নৈতিকতা যে সমাজ শাসন করে; আমরা যে শব্দগুলি ব্যবহার করি এবং কীভাবে আমরা কথা বলি এবং তাদের লিখি (কি সমাজবিজ্ঞানী ” কথোপকথন ” ডাকেন), এবং আমরা যেসব চিহ্নগুলি অর্থ, ধারণা এবং ধারণাগুলি প্রকাশ করতে ব্যবহার করি (যেমন ট্র্যাফিক লক্ষণ এবং ইমোজিস, উদাহরণস্বরূপ)।
এছাড়াও এবং আমরা আচরণ এবং সঞ্চালন (থিয়েটার এবং নাচ চিন্তা) কি হয়। এটি জানায় এবং কিভাবে আমরা পদব্রজে ভ্রমণ, বসতে, আমাদের দেহগুলি বহন করি এবং অন্যদের সাথে যোগাযোগ করি তা বোঝা যায়; আমরা কিভাবে স্থান, সময়, এবং “শ্রোতা” উপর নির্ভর করে আচরণ ; কিভাবে আমরা জাতি, শ্রেণী, এবং লিঙ্গ এবং যৌনতা , অন্যদের মধ্যে সনাক্তকরণ প্রকাশ; এবং যৌথ প্রচেষ্টার আমরা যেমন ধর্মীয় অনুষ্ঠান অংশগ্রহণ , ধর্মনিরপেক্ষ ছুটির উদযাপন , এবং খেলার ইভেন্টে অংশগ্রহণ, উদাহরণস্বরূপ।
বস্তুগত সংস্কৃতি মানুষ যা তৈরি করে এবং ব্যবহার করে সেগুলি দ্বারা গঠিত। সংস্কৃতির এই দিকটি বিভিন্ন ধরণের জিনিস, ভবন, প্রযুক্তি সামগ্রী এবং পোশাক থেকে, চলচ্চিত্র, সঙ্গীত, সাহিত্য এবং শিল্পের মধ্যে অন্যদের মধ্যে রয়েছে।
উদাহরণসহ সভ্যতার ধারণা
একটি সভ্যতা (ইংরেজি: Civilization) হল কোন জটিল সমাজব্যবস্থা যা নগরায়ন, সামাজিক স্তরবিন্যাস, প্রতীকী যোগাযোগ প্রণালী (উদাহরণস্বরূপ, লিখন পদ্ধতি), উপলব্ধ স্বতন্ত্র পরিচয় এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের উপর নিয়ন্ত্রণের মত গুণাবলি দ্বারা বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত।
যখন সংস্কৃতি একটি বিশেষ পর্যায়ে উন্নীত হয়, বিজ্ঞান ও কলার কিছু অগ্রগতি সাধিত হয় এবং জীবনমান কিছুটা উন্নত হয় তখন তাকে সভ্যতা বলে।
সমাজবিজ্ঞানী আরনন্ত্র টয়েনবির মতে, সভ্যতা বলতে নীতি, ধর্মীয়, ঐতিহ্য এবং আদর্শের এবন এক প্রাতিষ্ঠানিক রূপকে বুঝায় যা এক বা একাধিক সমাজকে প্রভাবিত করে।
সমাজবিজ্ঞানী মর্গানের মতে, সভ্যতা হচ্ছে বিবর্তন নামক শীর্ষ ধাপ। যে সমাজে লেখা, ভাষা, বর্ণমালা আছে, ধাতুর ব্যবহার ও লিখিত দলিলের প্রচলন আছে সে সমাজই সভ্য।
ই. বি টেইলরের মতে, সমাজের সদস্য হিসেবে মানুষ যেসব অভ্যাস ও দক্ষতা লাভ করে এবং যেসব জ্ঞান ও বিশ্বাস, শিল্প, আইন, নৈতিকতাবোধ আচার-আচারণ গড়ে তোলে সেগুলোই তার সভ্যতা।
সমাজবিজ্ঞানী মন্টেস্কু ও হান্টিংটনের মতে, সভ্যতা হচ্ছে ভৌগলিক তথা প্রাকৃতিক পরিবেশের আশির্বাদ ফসল। সব মিলিয়ে বলা যায়, সভ্যতা হলো সংস্কৃতির অধিকতর অগ্রসর ও জটিল বিষয় যা বিভিন্ন সমাজে স্পষ্টতই দৃশ্যমান।
সংস্কৃতি ও সভ্যতার বিভিন্ন ধরন
সংস্কৃতি ও সভ্যতা প্রকৃতি দ্বারা মানুষের সামাজিক প্রাণী হয় সংস্কৃতি ও সভ্যতা হচ্ছে সমাজের প্রকৃতি নির্ধারণে দুটি বিষয়। নিম্নে সংস্কৃতি ও সভ্যতার মধ্যে পার্থক্য দেখানো হলো-
- ১। সংস্কৃতি হলো মানুষ যা কিছু করে। অন্যদিকে সভ্যতা হলো মানুষ যা ব্যবহার করে।
- ২। সংস্কৃতি মানুষের ভেতরের রূপ। অন্যদিকে সভ্যতা হলো মানুষের বাহ্যিক আচরণ।
- ৩। সংস্কৃতি পরিমাপের মানদন্ড নাই। অন্যদিকে সভ্যতা পরিমাপের মানদন্ড রয়েছে।
- ৪। সংস্কৃতি ধীর গতিতে এগিয়ে চলে। অন্যদিকে সভ্যতা দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলে।
- ৫। সংস্কৃতির চাহিদা এবং আবেদন তুলনামুলকভাবে কম। অন্যদিকে সভ্যতার চাহিদা এবং আবেদন বেশি।
- ৬। সংস্কৃতি ধ্বংস হয় না। অন্যদিকে সভ্যতা ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।
- ৭। সংস্কৃতি মানুষের জীবন প্রণালী। অন্যদিকে সংস্কৃতির প্রতিফলনই হলো সভ্যতা।
- ৮। সংস্কৃতির মাপকাঠিতে অগ্রসর বিবেচিত হতে হলে দেখতে হবে মানুষের মনের উৎকর্ষ। অন্যদিকে সভ্যতার মাপকাঠিতে মানুষ অগ্রসর বিবেচিত হতে পারে।
- ৯। জীবনযাপনের সকল পদ্ধতি বা কলাকৌশলই সংস্কৃতি। অন্যদিকে উন্নত কলা-কৌশল বা প্রযুক্তি কেবল সভ্যতা।
- ১০। সংস্কৃতি মানুষের নৈতিক, পারমাঙ্গিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিষয় বোঝায়। অন্যদিকে সভ্যতা প্রযুক্তিবিদ্যা, বস্তুগত সংস্কৃতি ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানসমূহের সমষ্টিকে বোঝায়।
- ১১। সংস্কৃতির গুণমান ও উপযোগিতা যাচাই করা যায় না। অন্যদিকে সভ্যতার গুণমান ও উপযোগিতা যাচাই করা যায়।
সংস্কৃতি ও সভ্যতার পারস্পরিক সম্পর্ক
সংস্কৃতি ও সভ্যতা একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে সম্পর্কিত। একজনকবিকে যেমন তার কবিতা থেকে বিচ্ছিন্ন করা যায় না, তেমনি সংস্কৃতিকে সভ্যতা থেকে পৃথক করা যায় না। এরই প্রেক্ষাপটে সংস্কৃতি ও সভ্যতার সম্পর্ক নিম্নে উল্লেখ করা হলো—
- ১. সংস্কৃতি ও সভ্যতা শুধু আন্তনির্ভরশীল নয়, আন্তক্রিয়াশীলও বটে। যেমন—সংস্কৃতির দুটি অংশ বস্তুগত ও অবস্তুগত সংস্কৃতি, আবার বস্তুগত সংস্কৃতির চরম বিকাশই সভ্যতা। এই অর্থে সংস্কৃতি ও সভ্যতার মধ্যে মূলগত কোনো পার্থক্য নেই; বরং ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান।
- ২. সংস্কৃতির উপাদান যেমন সভ্যতার উপাদান দ্বারা প্রভাবিত, তেমনি সভ্যতার উপাদানও সংস্কৃতির বিভিন্ন উপকরণের দ্বারা অনেকখানি প্রভাবিত। যেমন—আরবরা যে পোশাক পরে তা আরব দেশের সংস্কৃতির অংশ।
- ৩. সংস্কৃতিকে সভ্যতার মূল চালিকাশক্তি বলা হয়। এ প্রসঙ্গে ম্যাকাইভার ও পেজ বলেন, সভ্যতা যদি হয় দেহ, তবে আত্মা হলো সংস্কৃতি।
- ৪. অনেক সমাজবিজ্ঞানী বস্তুর ব্যবহারিক দিক ও কলাকৌশলকে সংস্কৃতি বলেছেন। এমনকি বস্তুকেও তাঁরা সংস্কৃতি থেকে বাদ দেননি। আর তাঁদের মতে, মানুষের বিমূর্ত চিন্তার ফসল সভ্যতা।
- ৫. জার্মান দার্শনিক কান্টের মতানুসারে সংস্কৃতি হলো মানুষের অভ্যন্তরীণ বিষয়। পক্ষান্তরে সভ্যতা মানুষের বাহ্যিক আচরণের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।
সুতরাং সংস্কৃতির বিকাশের জন্য সভ্যতা উপযুক্ত উপাদান ও পরিবেশ সৃষ্টি করে। কাজেই সভ্যতা সংস্কৃতির অংশ হিসেবে বিবেচিত।
সম্পর্কের দিক থেকে সংস্কৃতি ও সভ্যতা একটি অপরটির পরিপূরক।
সংস্কৃতি ও সভ্যতা মূলত মানুষের সৃষ্টি এবং এই সৃষ্টির দুটি দিক রয়েছে। যথা—বাহ্যিক ও অন্তর্নিহিত দিক, যা সভ্যতা ও সংস্কৃতি নামে অভিহিত এবং তাদের একটিকে অন্যটি থেকে আলাদা করা যায় না। যথা—
- ১. সংস্কৃতি ও সভ্যতা শুধু আন্তনির্ভরশীল নয় আন্তক্রিয়াশীলও বটে।
- ২. সংস্কৃতির উপাদান যেমন সভ্যতার উপাদান দ্বারা প্রভাবিত, তেমনি সভ্যতার উপাদান ও সংস্কৃতির উপাদান দ্বারা প্রভাবিত।
- ৩. সংস্কৃতিকে সভ্যতার মূল চালিকাশক্তি বলা হয়।
- ৪. অনেকের মতে, মানুষের বিমূর্ত চিন্তার সংস্কৃতির ফসল সভ্যতা।
তাই বলা যায়, সংস্কৃতি ও সভ্যতা একটি অপরটির পরিপূরক।
আরো দেখুন-
প্রতি সপ্তাহে অ্যাসাইনমেন্ট সংক্রান্ত সকল আপডেট পাওয়ার জন্য বাংলা নোটিশ এর ফেসবুক পেজটি লাইক এবং ফলো করে রাখো ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করে রাখ এবং অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপটি ডাউনলোড করুন।