সর্বশেষ আপটেড

বালু মিশ্রিত খাবার লবণকে খাবার উপযোগী করা সম্ভব

প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ, আশা করছি সবাই ভালো আছো। তোমরা কি নবম শ্রেণীর ৭ম সপ্তাহের রসায়ন অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর সম্পর্কে ধারণা নিতে চাচ্ছো? কিংবা এসাইনমেন্টটি কিভাবে প্রস্তুত করতে হয় সে সম্পর্কে জানতে আগ্রহী? তাহলে বলবো তোমরা ঠিক ওয়েবসাইটে এসেছো। তোমাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটিতে রয়েছে- “বালু মিশ্রিত খাবার লবণকে খাবার উপযোগী করা সম্ভব।”- যে পদ্ধতিতে তুমি লবণকে খাবার উপযোগী করবে তার বিভিন্ন ধাপের বর্ণনা চিত্রসহ প্রতিবেদন।

নবম শ্রেণীর ৭ম সপ্তাহের রসায়ন অ্যাসাইনমেন্ট

অধ্যায় ও অধ্যায়ের শিরোনাম : দ্বিতীয় অধ্যায়- পদার্থের অবস্থা

শিখনফল :

  • কণার গতিতত্ত্বের সাহায্যে পদার্থের ভৌত অবস্থা ব্যাখ্যা করতে পারব।
  • কণার গতিতত্ত্বের সাহায্যে ব্যাপন ও নিঃসরণ ব্যাখ্যা করতে পারব।
  • পদার্থের ভৌত অবস্থা ও তাপের মধ্যে সম্পর্ক ব্যাখ্যা করতে পারব।
  • তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে ব্যাপন হার বৃদ্ধি পরীক্ষার মাধ্যমে দেখাতে পারব।
  • কঠিন পদার্থের গলন ও উর্ধ্বপাতন এবং তরল পদার্থের স্ফুটন প্রক্রিয়া বর্ণনা করতে পারব।
  • কঠিন পদার্থের গলন ও উর্ধ্বতন এবং তরল পদার্থের স্ফুটন প্রক্রিয়া পরীক্ষার মাধ্যমে দেখাতে পারব।

বালু মিশ্রিত খাবার লবণকে খাবার উপযোগী করা সম্ভব।

পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত পাঠ নম্বর/ ও শিরোনাম/ বিষয়বস্তু :

  • পদার্থ ও পদার্থের অবস্থা
  • কণার গতিতত্ত্ব
  • গতিতত্ত্ব পদার্থের ভৌত অবস্থা
  • ব্যাপন ও নিঃসরণের বাস্তব ঘটনা
  • ব্যাপন ও নিঃসরণ
  • মোমবাতির জলন ও মোমের তিন অবস্থা
  • গলন ও স্ফুটন
  • বাষ্পীভবন, ঘনীভবন, উর্ধ্বপাতন প্রক্রিয়া
  • তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে ব্যাপন হার বৃদ্ধি প্রক্রিয়া
  • পাতন উর্ধ্বপাতন

অ্যাসাইনমেন্ট-২ :
“বালু মিশ্রিত খাবার লবণকে খাবার উপযোগী করা সম্ভব।”- যে পদ্ধতিতে তুমি লবণকে খাবার উপযোগী করবে তার বিভিন্ন ধাপের বর্ণনা চিত্রসহ প্রতিবেদন আকারে লেখ।

নির্দেশনা :
বাসায় কাজটি হাতে কলমে সম্পন্ন করবে। প্রয়োজনে খাবার লবনের সাথে কিছু ভালো মিশ্রিত করে নিতে হবে।
সম্পন্ন ধাপগুলো বর্ণনা করবে এবং চিত্র অংকন করবে।

নবম শ্রেণীর ৭ম সপ্তাহের রসায়ন অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর

খাদ্য লবন ও বালির মিশ্রণ হতে এর উপাদানসমূহ পৃথক করা যায় এ পরীক্ষণের দুইটি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে যথাক্রমে পরিস্রাবণ ও বাষ্পীভবন।

বালু মিশ্রিত খাবার লবণকে খাবার উপযোগী করা সম্ভব।
বালু মিশ্রিত খাবার লবণকে খাবার উপযোগী করা সম্ভব

শিরোনাম : বালু মিশ্রিত খাবার লবণকে খাবার উপযোগী করা সম্ভব।

তত্ত্ব : বালু মিশ্রিত লবণে পানি যোগ করা হলে লবণ পানিতে দ্রবীভূত হয়ে যায়, কিন্তু বালু দ্রবীভূত হয় না। পরিস্রাবণ ও বাষ্পীকরণ এর সাহায্যে লবণ ও বালুকে পৃথক করা যায়।

পরীক্ষণটি করার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি : বিকার ২ টি, ফানেল ১টি, ফিল্টার পেপার, কাচদণ্ড ১টি, ত্রিপদীস্ট্যান্ড, তারজালি, স্পিরিট ল্যাম্প, টেস্টটিউব ১টি, বেসিন।

রাসায়নিক দ্রব্য : লবণ ও সিলভার নাইট্রেট (AgNO3) দ্রবণ।

কর্মপদ্ধতি :

  • একটি কাচের বিকারে বালু মিশ্রিত লবণ নিয়ে তাতে অল্প পানি যোগ করে কাচদন্ড দিয়ে নাড়ি। ফলে লবণ পানিতে দ্রবীভূত হয়ে যাবে। কিন্তু বালু পানিতে দ্রবীভূত হবে না।
  • একটি ফিল্টার পেপার পানিতে সামান্য ভিজিয়ে নিয়ে ফানেলের মধ্যে যথাযথভাবে স্থাপন করি।
  • ফানেলটিকে ২য় বিকারে স্থাপন করি।
  • ১ম বিকার থেকে বালু মিশ্রিত লবণের দ্রবণ অল্প অল্প করে ফানেলের মধ্যে ঢালি। ফলে ফিল্টার পেপার দিয়ে পরিস্রাবণের মাধ্যমে লবণ মিশ্রিত পানি ফোটায় ফোটায় ২য় বিকারে পড়তে থাকবে।
  • সম্পূর্ণ দ্রবণ পরিস্রবণ হয়ে গেলে ফানেলটিকে ২য় বিকার থেকে সরিয়ে নিই এবং ফিল্টার পেপার থেকে সামান্য পাতিত পানি দ্বারা বালু ধৌত করে আলাদা করে নিই।
  • ফিল্টার পেপারের বালুতে লবণ আছে কিনা তা জানার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করি।

লবণমুক্ত বালু নিশ্চিতকরণ :

নবম শ্রেণীর ৭ম সপ্তাহের রসায়ন অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর

  • ত্রিপদী স্ট্যান্ডের উপর তারজালি রাখি এবং লবণ মিশ্রিত সম্পূর্ণ পানি বিকারে নিয়ে বিকারটিকে তারজালির ওপর স্থাপন করি ও স্পিরিট ল্যাম্প এর সাহায্যে বিকারটিতে তাপ দিতে থাকি। ফলে পানি বাষ্পীভূত হয়ে উড়ে যাবে কিন্তু লবণ বিকারে থেকে যাবে। এ অবস্থায় বিকারটিতে অল্প পরিমাণ পানি থাকতেই তাপ দেওয়া বন্ধ করি।
  • লক্ষ্য করি বিকারের তলায় কঠিন পরিস্কার লবণ জমা হয়েছে কিনা।

সাবধানতা

  1. পরিস্রাবণ করার সময় মিশ্রণকে ভালোভাবে থিতিয়ে নিয়ে উপরের পরিষ্কার দ্রবণকে প্রথমে ফিল্টার পেপারে ঢালতে হবে, যেন বেশি বালু ফিল্টার পেপারে জমা না হয়। এতে পরিস্রাবণ দ্রুত ও সহজতর হয়।
  2. মিশ্রণকে কাচ দন্ড দ্বারা ভালোভাবে নেড়ে সকল বালু ও দ্রবণ ফিল্টার পেপার এর উপর ঢালতে হবে।
  3. পরিশেষে বাষ্পীকরণ এর সময় শেষ পর্যায়ে কিছু পানি থাকতে তা প্রয়োগ বন্ধ করতে হবে যাতে কাচের বাটিতে ফেটে না যায়।

সিদ্ধান্ত 

বালু মিশ্রিত খাবার লবণকে খাবার উপযোগী করা সম্ভব।

এই ছিল তোমাদের নবম শ্রেণীর ৭ম সপ্তাহের রসায়ন অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর- বালু মিশ্রিত খাবার লবণকে খাবার উপযোগী করা সম্ভব।

আরো দেখুন-

প্রতি সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এবং বাংলা নোটিশ ডটকমের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। নিয়মিত অ্যাসাইনমেন্ট ডাউনলোড করার জন্য  BanglaNotice.com, SoftDows.com এবং dshe.gov.bd এর ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। সেইসাথে এসাইনমেন্ট সংক্রান্ত সকল আপডেট সবার আগে পাওয়ার জন্য বাংলা নোটিশ এর ফেসবুক পেজটি লাইক এবং ফলো করে রাখুন।

আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা নোটিশ ডট কম এর প্রকাশক ও সম্পাদক জনাব আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া। জন্ম ১৯৯৩ সালের ২০ নভেম্বর, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায়। বাবা আবদুল গফুর ভূঁইয়া এবং মা রহিমা বেগম। এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে আবদুল্লাহ আল আরিয়ান বয়স ৫ বছর। মেয়ে ফাবিহা জান্নাত বয়স ১ বছর। আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া এর শিক্ষাজীবন আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে ২০১৮ সালে ম্যানেজমেন্ট এ স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি উত্তরা ইউনিভার্সিটি ঢাকা থেকে বিপিএড সম্পন্ন করেন। আজিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শুরু। এরপর আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজ লাকসাম উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কিছুদিন ক্লাস করার পর। পারিবারিক কারণে নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজ এ কিছুদিন রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করার পর ভালো না লাগায় পুনরায় ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ছাত্র জীবনে তিনি নানা রকম সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। কর্মজীবন কর্মজীবনের শুরুতে তিনি আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় যোগদেন। বেশ কিছুদিন পর তিনি ২০১৯ সালে উন্নত ভবিষ্যতের আশায় কুয়েত পারি জমান। কিন্তু সেখানকার কাজের পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় পুনরায় আবার বাংলাদেশে ফিরে এসে পূর্বের পদে কাজে যোগদান করে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন। এছাড়াও তিনি স্বপ্ন গ্রাফিক্স এন্ড নেটওয়ার্ক নামে একটি মাল্টিমিডিয়া এবং প্রিন্টিং প্রেস প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধীকারী সেই সাথে স্বপ্ন ইশকুল নামক একটি কম্পিউটার ট্রেণিং ইনস্টিটিউট এর মালিকানায় আছেন যেখানে তিনি নিজেই ক্লাস পরিচালনা করেন। লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্ম ছাত্র অবস্থায় তিনি লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্মের সাথে জড়িত আছেন। ২০১১ সালে রাইটার্স এসোসিয়েশন এর ম্যাগাজিনে তার প্রথম লেখা বন্ধু চিরন্তন প্রকাশিত হয়। এর পর তিনি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Close

অ্যাডস্ ব্লকার পাওয়া গেছে!

দয়া করে আমাদের সাপোর্ট করার জন্য আপনার এডস্ ব্লকার ডিজেবল করে পেইজটি রিলোড করুন! ধন্যবাদ