দেহ ও মনের সার্বিক উন্নতির লক্ষ্যে প্রয়োজন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সুষম উন্নয়ন
প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ, আশা করছি সবাই ভালো আছো। তোমরা কি ৯ম শ্রেণি দ্বাদশ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২১ শারিরীক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য এর উত্তর সম্পর্কে ধারণা নিতে চাচ্ছো? কিংবা এসাইনমেন্টটি কিভাবে প্রস্তুত করতে হয় সে সম্পর্কে জানতে আগ্রহী? তাহলে বলবো তোমরা ঠিক ওয়েবসাইটে এসেছো। তোমাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটিতে রয়েছে ৯ম শ্রেণির দ্বাদশ সপ্তাহের শারিরীক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য অ্যাসাইনমেন্টের বাছাইকরা উত্তর- “দেহ ও মনের সার্বিক উন্নতির লক্ষ্যে প্রয়োজন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সুষম উন্নয়ন, মানসিক বিকাশ সাধন, সামাজিক গুণাবলী অর্জন ও খেলাধুলার মাধ্যমে চিত্তবিনোদন”- উক্তিটি বিশ্লেষণ পূর্বক একটি প্রবন্ধ। (সর্বোচ্চ ২০০ শব্দ)
মূল্যায়নের লক্ষ্যে প্রকাশিত নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের দ্বাদশ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে সম্পন্ন করার পর সংশ্লিষ্ট বিষয়ে শিক্ষকের নিকট জমা দিবে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষকদের মূল্যায়ন করে যথাযথ নিয়ম সংরক্ষণ করবেন। তোমাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটিতে রয়েছে ৯ম শ্রেণি দ্বাদশ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২১ শারিরীক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য এর বাছাইকরা সমাধান– দেহ ও মনের সার্বিক উন্নতির লক্ষ্যে প্রয়োজন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সুষম উন্নয়নl
৯ম শ্রেণি দ্বাদশ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২১ শারিরীক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য
“দেহ ও মনের সার্বিক উন্নতির লক্ষ্যে প্রয়োজন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সুষম উন্নয়ন, মানসিক বিকাশ সাধন, সামাজিক গুণাবলী অর্জন ও খেলাধুলার মাধ্যমে চিত্তবিনোদন”- উক্তিটি বিশ্লেষণ পূর্বক একটি প্রবন্ধ লিখ। (সর্বোচ্চ ২০০ শব্দ)
সংকেত :
- শারীরিক শিক্ষার সংজ্ঞা
- শারীরিক শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
- শারীরিক শিক্ষার কর্মসূচি
নির্দেশনা :
- ১। প্রয়োজনে নিজের পাঠ্যপুস্তক ব্যতীত অন্য সহায়ক বই (উপরের/নিচের শ্রেণীর) ও ইন্টারনেটের সাহায্য নেয়া যেতে পারে।
- ২। প্রয়োজনে সহপাঠী/গুরুজনদের সাহায্য নেয়া যেতে পারে।
- ৩। পাঠ্যপুস্তক এর প্রতিটি পাঠ ভালোভাবে পড়তে হবে।
- ৪। বানান ও বাক্য গঠনে সচেতন হতে হবে।
- ৫। উপস্থাপনে বৈচিত্র থাকতে হবে।
৯ম শ্রেণি দ্বাদশ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২১ শারিরীক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য এর বাছাইকরা সমাধান
নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য দ্বাদশ সপ্তাহের শারিরীক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ে এর অ্যাসাইনমেন্ট লেখার নির্দেশনা অনুসরণ করে একটি বাছাই করা নমুনা উত্তর প্রস্তুত করে দেয়া হলো। এটি অনুযায়ী নবম শ্রেণীর শারিরীক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ের এসাইনমেন্ট এর উত্তর লিখলে তোমরা সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়ার নিশ্চয়তা রয়েছে।
দেহ ও মনের সার্বিক উন্নতির লক্ষ্যে প্রয়োজন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সুষম উন্নয়ন, মানসিক বিকাশ সাধন, সামাজিক গুণাবলী অর্জন ও খেলাধুলার মাধ্যমে চিত্তবিনোদন।
শৈশব থেকে আমাদের দেহ ও মনকে সুস্থ রাখার জন্য যে শিক্ষা দেওয়া হয় তাকে শারীরিক শিক্ষা বলা হয়। শারীরিক শিক্ষা বলতে খেলাধুলো, যোগা, ওয়ার্কআউট, প্রাণায়াম এবং ধ্যানের মতো ক্রিয়াকালাপকে। জীবনে যেমন প্রতিটি শিক্ষার গুরুত্ব রয়েছে ঠিক তেমনি রয়েছে শারীরিক শিক্ষা। শারীরিক শিক্ষা দেহ ফিট এবং সুস্থ রাখে। শৈশব কাল থেকেই এই শিক্ষার প্রয়োজন রয়েছে।
শারীরিক শিক্ষার সংজ্ঞা
শারীরিক শিক্ষা হল শরীরচর্চা শিক্ষা অর্থাৎ শারীরিক অনুশীলন, খেলাধুলো এবং স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে নিয়মিত নির্দেশ প্রক্রিয়াকে বোঝায়। শারীরিক শিক্ষা শব্দটি সাধারণত স্কুল ও কলেজ শিক্ষার সঙ্গে জড়িত। এই শিক্ষার মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীকে তার স্বাস্থ্য, মন এবং সুস্থ শরীর সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সুস্থ শরীর এবং সুস্থ মন পেতে চাইলে একজন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি প্রত্যেকটি ব্যক্তির নিয়মিত শারীরিক শিক্ষা অনুশীলন করা উচিত। আমরা যদি শারীরিক শিক্ষার গুরুত্ব না বুঝি অথবা এই সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান না থাকে তাহলে আমরা দেহের সঠিক যত্ন নিতে পারব না। যার কারণে শরীর সুস্থ থাকতে সক্ষম হবে না।
বয়সের বয়সের পাশাপাশি হজম শক্তির পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধী শক্তি হ্রাস শুরু হয়। এবং বিভিন্ন ধরণের রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বাড়তে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের শারীরিক অনুশীলন এবং যোগব্যায়াম করা উচিত। তাই শারীরিক শিক্ষা শিশুদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শারীরিক শিক্ষা একটি শক্তিশালী শরীর এবং একটি শান্ত মন তৈরি করতে পারে। এখন প্রতিটি দেশ শৈশব সময় থেকেই যোগ এবং প্রাণায়াম গ্রহণ করেছে।
শারীরিক শিক্ষা ও শিক্ষার সম্পর্ক সম্বন্ধে সি. এ. বুচার (C.A.Bucher) বলেছেন- ‘শারীরিক শিক্ষা, শিক্ষার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। শারীরিক শিক্ষা হলো সুনির্দিষ্ট শারীরিক কাজকর্মের মাধ্যমে শারীরিক, মানসিক, আবেগিক এবং সামাজিক দিক দিয়ে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে পৌঁছানোর চেষ্টা।’ এ আলোচনা থেকে বোঝা যায় শিক্ষা ও শারীরিক শিক্ষা একে অপরের পরিপূরক।
ডি. কে. ম্যাথিউস বলেছেন, শারীরিক কার্যকলাপের দ্বারা অর্জিত শিক্ষাই শারীরিক শিক্ষা।
হপ স্মিথ ও ক্লিফটন বলেছেন, বিজ্ঞানসম্মত ও কৌশলগত অঙ্গসঞ্চালনের নাম শারীরিক শিক্ষা।
জে. বি. ন্যাশের ভাষায়, ‘শারীরিক শিক্ষা গোটা শিক্ষার এমন একদিক যা মাংসপেশির সঠিক সঞ্চালন ও এর প্রতিক্রিয়ার ফল হিসেবে ব্যক্তির দেহের ও স্বভাবের পরিবর্তন ও পরিবর্ধন সাধন করে।
শারীরিক শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
সাধারণভাবে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এই ধারণার মধ্যে আমরা কোনো পার্থক্য করি না। অনেক সময় একের জায়গায় অন্যটিকে ব্যবহার করি। কিন্তু এই দুই ধারণা সমার্থক নয়। এদের মধ্যে পার্থক্য আছে। লক্ষ্য হলো চূড়ান্ত গন্তব্যস্থল আর উদ্দেশ্য হলো সেই গন্তব্যস্থলে পৌছানোর সংক্ষিপ্ত ও নির্দিষ্ট পদক্ষেপসমূহ। যেমন- সিঁড়ি বেয়ে ছাদে ওঠার ক্ষেত্রে লক্ষ্য হলো ছাদ, আর সিঁড়ির এক একটি ধাপ হলো উদ্দেশ্য। লক্ষ্যের অস্তিত্ব মানুষের কল্পনায়, তার রুপায়ণ সম্ভব হয় না। কিন্তু উদ্দেশ্য হলো বাস্তব। মানুষ উদ্দেশ্য লাভ করতে পারে এমনকি তার পরিমাপও সম্ভব।
শারীরিক শিক্ষার লক্ষ্য
শারীরিক শিক্ষার প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে ব্যক্তির সর্বাত্মক উন্নতি সাধন করা, সুস্থদেহে সুন্দর মন গড়া। শারীরিক শিক্ষার প্রধান কাজ হলো শিশুকে আনন্দ ও খেলাধূলার মাধ্যমে স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠতে সাহায্য করা ও কর্মক্ষম করে গড়ে তোলা। বিভিন্ন শারীরিক শিক্ষাবিদগণ শারীরিক শিক্ষার লক্ষ্য হিসেবে নিম্নলিখিত মত ব্যক্ত করেছেন।
উইলিয়ামস-এর মতে, ‘শারীরিক শিক্ষার লক্ষ্য হলো ব্যক্তির শারীরিক, সামাজিক ও অন্যান্য দিকের সুষম উন্নতি ঘটিয়ে ব্যক্তিসত্তার সর্বাঙ্গীণ বিকাশ সাধনের চেষ্টা করা’।
বুক ওয়াল্টার বলেছেন ‘শারীরিক শিক্ষার লক্ষ্য হলো শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক দিক সমূহের সুসমন্বিত বিকাশ সাধন।’ এই বিকাশ সাধনের উপায় হলো স্বাস্থ্যবিধি মেনেচলা ও নিয়মনীতি অনুসারে পরিচালিত খেলাধুলা, ছন্দোময় ব্যায়াম এবং জিমন্যাস্টিকস্ ইত্যাদি ক্রিয়াক্রর্মে অংশগ্রহণ।
এম. জি. ম্যাসন ও এ. জি. এল ভেল্টার বলেছেন-
- ১. শিশুকে সুন্দর ভাবে বেঁচে থাকার জন্য তাকে সুস্থভাবে গড়ে তোলা।
- ২. শিশুর সৃজনশীল প্রতিভার উন্মেষ ঘটানো।
- ৩. সামাজিক মূল্যবোধ সম্পন্ন ব্যক্তি হিসেবে গড়ে উঠতে সাহায্য করা।
- ৪. নৈতিক, আবেগিক, মানসিক ও সাংস্কৃতিক গুণাবলি অর্জনে অনুপ্রণিত করা।
- ৫. খেলাধুলার মাধ্যমে নেতৃত্বদানের গুণাবলি অর্জন করা।
শারীরিক শিক্ষার উদ্দেশ্য
শারীরিক শিক্ষাবিদগণ শারীরিক শিক্ষার লক্ষ্যে পৌছানোর জন্য বেশ কয়েকটি অন্তর্বর্তী পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেছেন। এগুলোই শারীরিক শিক্ষার উদ্দেশ্য হিসেবে স্বীকৃত। বিশেষজ্ঞগণ কিছু উদ্দেশ্য সম্পর্কে একমত হলেও কিছু উদ্দেশ্য নিযে মতের ভিন্নতাও প্রকাশ করেছেন। কয়েকটি প্রাথমিক উদ্দেশ্য সম্পর্কে অধিকাংশ বিশেষজ্ঞের মতামত থেকে শারীরিক শিক্ষার উদ্দেশ্যগুলো চিহ্নিত করা সম্ভব। বিভিন্ন চিন্তাবিদদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে মতামত বিবেচনা করে শারীরিক শিক্ষার উদ্দেশ্যকে চারটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে যথা-
- ১. শারীরিক সুস্থতা অর্জন।
- ২. মানসিক বিকাশ সাধন।
- ৩. চারিত্রিক গুণাবলি অর্জন।
- ৪. সামাজিক গুণাবলি অর্জন।
১. শারীরিক সুস্থতা অর্জন
- ক. খেলাধুলার নিয়মকানুন মেনে ভালো করে খেলতে পারা।
- খ. কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য হাসিল করা।
- গ. স্নায়ু ও মাংসপেশির সমন্বয় সাধনের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
- ঘ. দেহ ও মনের সুষম উন্নতি করা।
- ঙ. সুস্বাস্থ্যের মাধ্যমে শারীরিক সক্ষমতা অর্জন করা।
- চ. সহিষ্ণুতা ও আত্মবিশ্বাস অর্জন করা।
২.মানসিক বিকাশ সাধন
- ক. উপস্থিত চিন্তাধারার বিকাশ সাধন।
- খ. নৈতিকতা সম্পর্কে জ্ঞানার্জন।
- গ. সেবা ও আত্মত্যাগে উদ্বুদ্ধ হওয়া।
- ঘ. বিভিন্ন দলের মাঝে বন্ধুত্বপূর্ণ ও প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব গড়ে ওঠা।
৩. চারিত্রিক গুণাবলি অর্জন
- ক. আনুগত্যবোধ ও নৈতিকতা বৃদ্ধি পাওয়া।
- খ. খেলাধুলার মাধ্যমে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত হওয়া।
- গ. খেলোয়াড় ও বন্ধুত্বসূলব মনোভাব গড়ে ওঠা।
- ঘ. প্রতিদ্বন্ধীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের মনোভাব গড়ে ওঠা।
- ঙ. আত্মসংযমী হওয়া ও আবেগ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করা।
৪. সামাজিক গুণাবলি অর্জন
- ক. নেতৃত্বদানের সক্ষমতা অর্জন ও সামাজিক গুণাবলি অর্জন করা।
- খ. বিনোদনের সাথে অবসর সময় কাটানোর উপায় জানা।
- গ. বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের যোগ্যতা অর্জন করা
- ঘ. সকলের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ ও সেবামূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করা।
শারীরিক শিক্ষাবিদদের মতামত থেকে এটা স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে, শারীরিক শিক্ষার উদ্দেশ্য সাধারণ শিক্ষার মতোই ব্যক্তিসত্তার সর্বোচ্চ ও সুষম বিকাশ সাধন করে থাকে এবং পরিকল্পিতভাবে খেলাধুলায় পারদর্শিতা অর্জনে সাহায্য করে।
শারীরিক শিক্ষার কর্মসূচি
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খেলাধুলা, ব্যায়াম, স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ও বিনোদনমূলক যে সমস্ত কার্যকলাপ পরিলক্ষিত হয় তাকে শারীরিক শিক্ষার কর্মসূচি বলে। একজন শারীরিক শিক্ষক যে সমস্ত কার্য সম্পাদন করেন তাই এই কর্মসূচির অন্তর্ভূক্ত।
এ কর্মসূচিকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়-
১. অত্যাবশ্যকীয় কর্মসুচি (Compulsory Service Programme)
২. অন্তঃক্রীড়াসূচি (Intramural Sports)
৩. আন্তঃক্রীড়াসূচি (Extramural Sports)
১.অত্যাবশ্যকীয় কর্মসূচী (Compulsory Service Programme):
একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে সরকারী নির্দেশাবলী, শারীরিক শিক্ষা বিষয়ক ক্লাস, প্রতিযোগিতা, সমাবেশ ও স্থানীয় নির্দেশনা ইত্যাদি সবই অত্যাবশ্যকীয় কর্মসূচির অন্তর্ভূক্ত। এই কর্মসূচিগুলো একজন শারীরিক শিক্ষকের অবশ্যই পালন করতে হয়। সরকারি নির্দেশনালী বলতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কৃর্তক জারিকৃত শারীরিক শিক্ষা বিষয়ক যে সমস্ত নির্দেশনা, যেমন- প্রাত্যহিক সমাবেশ করতে হবে, প্রতিদিন/সপ্তাতে ৩টি ক্লাস নিতে হবে, আন্তঃস্কুল ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে হবে। জাতীয় দিবসগুলোতে খেলাধুলা করাতে হবে ইত্যাদিকে বুঝায়। স্থানীয় নির্দেশনা বলতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিজস্ব নিয়মকানুম সমূহকে বুঝিয়ে থাকে যেমন- স্কুল ক্যাম্পাস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা, বার্ষিক ক্রীড়ায় অংশগ্রহণ করা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগদান করা, দৈহিক উন্নতির পরিমাপের পরীক্ষা নেওয়া, টিফিন প্রোগ্রাম পরিচালিত করা ইত্যাদি।
২. অন্তঃক্রীড়াসূচি (Intramural Sports) :
ইন্ট্রামুরাল একটি ল্যাটিন শব্দ। Intra অর্থ ভিতরে এবং Muralis অর্থ দেয়াল। তাহলে পুরো অর্থ দাঁড়ায় দেয়ালের ভেতরে অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানের চারি দেয়ালের মধ্যে বা নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা আকারে যে সমস্ত খেলাধুলা হয় তাকে ইন্ট্রামুরাল স্পোর্টস বলা হয় । যেমন- বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, নবম শ্রেণী বনাম দশম শ্রেণী ক্রিকেট ম্যাচ, অথবা যষ্ঠ শ্রেণি ক ও খ শাখার মধ্যে প্রতিযোগিতা ইত্যাদি। যদি হাউজ থাকে তাহলে হাউজে হাউজে যে প্রতিযোগিতা হয় তাও এর আওতায় পড়ে। এ ছাড়াও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ছাত্র-শিক্ষক বা বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে বা ১ম বর্ষ বনাম ২য় বর্ষের মধ্যে যে সমস্ত প্রতিযোগিতা হয় সেগুলোও ইন্ট্রামুরাল স্পোর্টসের অন্তর্গত অর্থাৎ নিজেরদের মধ্যে যে খেলাধুলা বা প্রতিযোগিতা হয় তাকে ইন্ট্রামুরাল স্পোর্টস বলে।
৩. আন্তঃক্রীড়াসূচি (Extramural Sports) :
Extra অর্থাৎ বাইরে, Muralis অর্থ দেয়াল র্অথাৎ দেয়ালের বাইরে যে সমস্ত খেলাধুলা হয় তাকে আন্তঃক্রীড়াসূচি (Extramural Sports) বলা হয় । যে সমস্ত খেলাধুলা বা প্রতিযোগিতা এক স্কুলের সাথে অন্য স্কুল, এক কলেজের সাথে অন্য কলেজের মধ্যে খেলা হয় তাকে আন্তঃক্রীড়া প্রতিযোগিতা বলা হয়। যেমন- আন্তঃস্কুল, আন্তঃকলেজ, আন্তঃক্লাব ইত্যাদি প্রতিযোগিতা বুঝায়। এ সমস্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নিজ দলের যোগ্যতা যাচাই করা যায়। এ ধরনের প্রতিযোগিতায় বিভিন্নমানের খেলোয়াড়রা অংশগ্রহণ করে। ফলে ভালো খেলোয়াড়ের সাহচর্যে এসে তাদের আচার-ব্যবহার, উন্নতমানের কৌশল ইত্যাদি থেকে অনেক কিছু শেখা যায়। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দলগত সমঝোতা ও উৎকর্ষ বাড়ে, প্রতিযোগিতার মনোভাব ও সৌহার্দ্য বৃদ্ধি পায়।
দেহ ও মনের সার্বিক উন্নতির লক্ষ্যে প্রয়োজন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সুষম উন্নয়ন
আরো দেখুন-
প্রতি সপ্তাহে অ্যাসাইনমেন্ট সংক্রান্ত সকল আপডেট পাওয়ার জন্য বাংলা নোটিশ এর ফেসবুক পেজটি লাইক এবং ফলো করে রাখো ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করে রাখ এবং অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপটি ডাউনলোড করুন।
সাপ্তাহিক অ্যাসাইনমেন্ট এবং শিক্ষা সংক্রান্ত যেকোন তথ্য পাওয়ার প্রক্রিয়াকে আরো সহজ করতে আপনাদের জন্য একটি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ প্রস্তুত করা হয়েছে। ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে গুগল প্লে স্টোর থেকে বাংলা নোটিশ অ্যাপ ইন্সটল করে নিন।
দ্বাদশ সপ্তাহে ৯ম শ্রেণির অন্যান্য বিষয়ের উত্তর
[ninja_tables id=”10691″]সকল স্তরের সব সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট সমূহের বাছাই করা উত্তরসমূহ দেখার জন্য নিচের বাটনে ক্লিক করে বাংলাদেশের সেরা অ্যাসাইনমেন্ট সংক্রান্ত তথ্য পাওয়ার গ্রুপে যোগ দিন। এখানে দেশের সকল প্রান্তের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মেধাবী শিক্ষার্থী ও অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলী নিয়মিত আলোচনার মাধ্যমে তাদের অ্যাসাইনমেন্ট সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যার সমাধান করছেন।
সকলের সমন্বিত সহযোগিতার মাধ্যমে একটি সেরা এসাইনমেন্ট তৈরি করার জন্য সুযোগটি গ্রহণ করুন আপনিও-