বৃত্তি ও উপবৃত্তিসমন্বিত উপবৃত্তি

সরকারি বৃত্তির টাকা প্রাপ্তি ও বৃত্তির সফটওয়্যার সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নোত্তর

আজ আমরা নতুন চালু হওয়া সমন্বিত উপবৃত্তি সফটওয়্যার এর সরকারি বৃত্তির টাকা প্রাপ্তি ও বৃত্তির সফটওয়্যার সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করবো। শিক্ষার্থীদের সরকারি বৃত্তির টাকা প্রাপ্তি ও বৃত্তির সফটওয়্যার সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নোত্তর গুলো সংগ্রহ করা হয়েছে সমন্বিত উপবৃত্তি কার্যক্রম এর গ্রুপ এডমিন জনাব হাবিব শাহীন এর নিকট থেকে।

২০২০ সালে নতুন ভাবে শুরু হয় পিইসি, জেএসসি/জেডিসি, এসএসসি ও এইচএসসিসহ বিভিন্ন স্তরের মেধা ও সাধারণ বৃত্তির টাকা সমন্বিত উপবৃত্তি কার্যক্রমে সফটওয়্যারের মাধ্যমে প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়। সমন্বিত উপবৃত্তি সফটওয়্যারটি একেবারে নতুন পদ্ধতি হওয়ায় প্রথমবার ডাটা এন্ট্রি ও সার্ভার সংক্রান্ত বিভিন্ন জটিলতার কারনে পেরোল করা বা শিক্ষার্থীদের একাউন্টে টাকা পাঠানোতে সময় লাগে অনেক বেশি এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে এখানো টাকা পাঠানো সম্ভব হয়নি। আজ সমন্বিত উপবৃত্তি কার্যক্রমের এডমিন থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বাংলা নোটিশ ডট কম এর পাঠকদের জন্য সরকারি বৃত্তির টাকা প্রাপ্তি ও বৃত্তির সফটওয়্যার সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নোত্তর তুলে ধরা হল-

প্রশ্ন-১। ২৫ অক্টোবর বৃত্তির পেরোল হওয়ার কথা ছিলো, কিন্তু এখনো টাকা আসেনি কেন?

উত্তরঃ ২৫ অক্টোবর ২০২০ বৃত্তির তথ্য সংশোধনের শেষ দিন ছিলো। কিন্তু সার্ভার সমস্যার কারণে অনেক প্রতিষ্ঠান এই সময়ের মধ্যে তথ্য সংশোধন করার সুযোগ পাননি।

ফলে সংশোধন শেষ না হওয়া পর্যন্ত পেরোল করা সাময়িক স্থগিত থাকে।

যারা HSP MIS এর সাথে সার্বক্ষণিক কাজ করছেন তারা জানেন গত ১৯ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সার্ভারে অতিরিক্ত চাপ থাকার কারণে সার্ভারে গুরুতর সমস্যা দেখা দেয়।

দ্রুত সার্ভার আপগ্রেডের কাজ শুরু করা হয়। ১ নভেম্বর ২০২০ থেকে সার্ভার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।

প্রশ্ন-২। “টাকা আসে নাই? টাকা পাই নাই?”

উত্তরঃ সবার টাকা পাঠানো শেষ হয় নাই, সময়ও শেষ হয়ে যায় নাই। অনেকের টাকা প্রেরণ প্রক্রিয়াধিন। পর্যায়ক্রমে সবার টাকাই পাঠানো হবে। সকল শিক্ষার্থির বৃত্তির টাকা পাঠানো নিশ্চিত করা হবে।

প্রশ্ন-৩। “বৃত্তির টাকা পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছি” অথবা “বৃত্তির টাকা আর কি পাবো”?

উত্তরঃ বৃত্তি হচ্ছে মেধাবি শিক্ষার্থিদের অর্জন। এই সম্মানি পাবার আশা কেন আপনি ছেড়ে দেবেন।

বৃত্তির টাকা নিশ্চয় পাবেন। সরকার এবং আপনাদের দুই অভিভাবক অধিদপ্তর (মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর) আপনাদের সাথে রয়েছে।

এখানে যেহেতু কোন মধ্যসত্ত্বভোগি পক্ষ নেই, সুতরাং বৃত্তির টাকা না পাওয়ার একটি কারণও নেই।

প্রশ্ন-৪। বৃত্তির টাকা কবে পাবো?

উত্তরঃ একটি শত বছরের ম্যানুয়াল সিস্টেমকে ডিজিটাল সিস্টেমে রূপান্তর করতে একটু সময় লাগছে। খুব বেশি সময় আমরা পার করিনি।

মে ২০২০ এর শেষের দিকে বৃত্তির ডাটা এন্ট্রির কাজ শুরু হয় এবং জুন ২০২০ এর শেষের দিকে প্রথম পেমেন্ট পাঠানো হয়। এর মধ্যে ৩০ জুন ঐ অর্থ বছরের বাজেটের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়।

কিন্তু মাউশি কর্তৃপক্ষ অর্থ মন্ত্রনালয় থেকে এ বছরের বাজেটে টাকা ফেরত আনে। বৃত্তির সকল শিক্ষার্থির টাকা বাজেটে বর্তমান রয়েছে। জুন ২০২১ পর্যন্ত এই টাকা পাঠানোর সুযোগ রয়েছে।

ইতিমধ্যে প্রায় ৩ লাখ শিক্ষার্থির টাকা পাঠানো হয়েছে, খুব শীঘ্রই বাকীদের টাকা পৌঁছে যাবে।

প্রশ্ন-৫: টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে মূল বাধা বা চ্যালেঞ্জ কোনটি?

টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে মূল বাধা বা চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ভুল তথ্য। বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থিদের তথ্য এন্ট্রিতে নানা রকম বৃত্তির টাকা পাঠানো কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে।

যেসব ভুল বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেগুলো হলো-

  • ১। শিক্ষার্থির পরীক্ষার আইডি বা রেজিস্ট্রেশন নাম্বার;
  • ২। শিক্ষার্থির নাম (বাংলা ও ইংরেজি);
  • ৩। ব্যাংক হিসাবের নাম ইংরেজিতে আছে কিনা;
  • ৪। ব্যাংক হিসাবের নাম্বার সঠিক আছে কিনা বা ১৩ থেকে ১৭ ডিজিটের মধ্যে আছে কিনা।;
  • ৫। ব্যাংকের ব্রাঞ্চ ঠিক আছে কিনা;
  • ৬। ব্যাংকের নাম ঠিক আছে কিনা;
  • ৭। পরীক্ষার বছর ঠিক আছে কিনা;
  • ৮। শিক্ষার্থি কোন গ্রেডে বৃত্তি পেয়েছে – সাধারণ বা ট্যালেন্টপুল;
  • ৯। বর্তমান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (যে প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত) তথ্য সঠিক আছে কিনা ইত্যাদি;

প্রশ্ন-৬: SCHOLARSHIP ডাটা এন্ট্রিতে যেসব ভুলের কারণে টাকা পাঠানো সম্ভব হয় না-

১। রেজিস্ট্রেশন নাম্বার বা শিক্ষার্থির আইডি, পরীক্ষা বর্ষ, পরীক্ষার নাম (PEC, JSC, SSC, HSC) ভুল। অনেকের এন্ট্রিকৃত তথ্যের সাথে বোর্ডের তথ্যের মিল পাওয়া যায় না।

২। শিক্ষার্থির তথ্যে ট্যালন্টপুলের স্থানে সাধারণ বৃত্তি আবার সাধারণ বৃত্তির স্থানে ট্যালেন্টপুল এন্ট্রি করা হয়েছে।

৩। ব্যাংক একাউন্টে ভুল। অনেকেই ব্যাংক একাউন্ট ১৩ ডিজিটের কম এন্ট্রি করেছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে সকল অনলাইন ব্যাংক একাউন্ট ১৩ থেকে ১৭ ডিজিটের মধ্যে হবে।

৪। হিসাব ধারির নাম ইংরেজিতে এবং সঠিক আছে কিনা সেটি নিশ্চিত করতে হবে।

৫। ব্যাংক একাউন্টের পূর্ণ ডিজিট এন্ট্রি করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। আবার অনেকে ব্যাংক একাউন্টের সংক্ষিপ্ত নাম্বারের পূর্বে বা পরে বেশ কয়েকটা শূন্য দিয়ে ১৩ ডিজিট পূর্ণ করে দিয়েছেন।

এসব একাউন্টেও টাকা পাঠানো সম্ভব হবে না। অতএব ব্যাংক একাউন্টের সঠিক ডিজিটসহ সঠিক ব্যাংক, ব্রাঞ্চ ও একাউন্ট নাম্বার নিশ্চিত করতে হবে।

বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থিদের সঠিক তথ্য ও একাউন্ট নাম্বার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকেই নিশ্চিত করতে হবে।

প্রশ্ন-৭: SCHOLARSHIP এর তথ্যে কিভাবে ভুল পরীক্ষা করবেন ও সংশোধন করবেন-

১। যারা SCHOLARSHIP (মাউশি বা মাদ্রাসা) এর ডাটা এন্ট্রি শেষ করেছেন তারা রিপোর্ট মেনু থেকে আপনার প্রতিষ্ঠানের বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থিদের রিপোর্ট/তালিকা প্রিন্ট করুন।

২। এরপর আপনার অফিসিয়াল ডকুমেন্ট এর সাথে প্রত্যেকটি শিক্ষার্থির নাম, পিতা-মাতার নাম, রেজিস্ট্রেশন নাম্বার বা পরীক্ষার আইডি নাম্বার, শিক্ষাগত তথ্য ইত্যাদি মিলিয়ে দেখুন।

৩। একাউন্ট নাম্বার সঠিক ডিজিটের (১৩-১৭) আছে কিনা পরীক্ষা করুন। ব্যাংক, ব্রাঞ্চ ঠিক আছে কিনা পরীক্ষা করে দেখুন। মোবাইল একাউন্ট থাকলে সংশোধন করে ব্যাংক একাউন্ট সংযোজন করুন।

SCHOLARSHIP এর পেমেন্টের ক্ষেত্রে কেবলমাত্র অনলাইন ব্যাংক একাউন্টের অনুমতি রয়েছে। একাউন্ট নাম্বার শিক্ষার্থির নিজ নামে হতে হবে। পিতা-মাতা বা অন্য কারো নামের একাউন্ট গ্রহণযোগ্য নয়।

৪। “বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থিদের তথ্য আপডেট” মেনুতে গিয়ে ভুল থাকলে সংশোধন করুন।

প্রশ্ন-৮: মাদ্রাসায় বৃত্তিপ্রাপ্ত সাধারণ শিক্ষায় অথবা সাধারণ শিক্ষায় বৃত্তিপ্রাপ্ত মাদ্রাসা ভর্তি হলে?

মাদ্রাসার বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থি সাধারণ শিক্ষায় বা কারিগরিতে পাঠরত থাকলে, সাধারণ শিক্ষা থেকে বৃত্তিপ্রাপ্ত মাদ্রাসায় অথবা কারিগরিতে ভর্তি হলে অথবা কারিগরি থেকে বৃত্তি পেয়ে মাদ্রাসা বা সাধারণ শিক্ষায় ভর্তি হলে তাদের বৃত্তির টাকা কিভাবে পাঠানো হবে বা কোন অধিদপ্তর থেকে পাঠানো হবে সেটি অনেকের কাছে সুস্পষ্ট নয়।

বিষয়টি নিয়ে প্রতিষ্ঠান পর্যায় থেকে অসংখ্য জিজ্ঞাসা এসেছে। কিন্তু এর কোন সদুত্তর আমাদের কাছে নেই। একমাত্র সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরই এর সঠিক সদুত্তর ও নির্দেশনা দিতে পারবে।

এক্ষেত্রে আমাদের বক্তব্য এই যে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ লিখিতভাবে এবং অফিসিয়ালি সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের কাছে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনা চাইতে পারেন।

G2P সিস্টেমে পেমেন্ট পাঠানোর ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্তটি অত্যন্ত জরুরি।

এই সিদ্ধান্তটি যত বিলম্বিত হবে উপরোক্ত শিক্ষার্থিদের পেমেন্ট পেতে তত বিলম্ব হবে। এ কারণে আমরা আশা করছি যে, সংশ্লিষ্ট সকল অধিদপ্তর সমন্বিত সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনার মাধ্যমে এই সমস্যার আশু সমাধান করবেন।

যেভাবে G2P পদ্ধতিতে বৃত্তির টাকা পাঠানো হয়;

G2P পদ্ধতিতে যেভাবে বৃত্তির টাকা পাঠানো হয় তা নিচের চিত্রে দেখানো হলো। আশা করি অনেকের অনেক প্রশ্নের সমাধান মিলবে এতে।

মনে রাখতে হবে, শুধুমাত্র ডাটা এন্ট্রি বা সংশোধন শেষ হলেই তাৎক্ষণিক টাকা চলে যায় না, সরকারি ট্রেজারি রুলস অনুসরণ করেই এই টাকা পাঠানো হয়।

তথ্য সঠিক থাকলে G2P পদ্ধতিতে প্রতিদিন কয়েক লক্ষ শিক্ষার্থির/ভাতাভোগির টাকা পাঠানো সম্ভব। G2P পদ্ধতির মূল চ্যালঞ্জই হচ্ছে নির্ভুল তথ্য পাওয়া।

G2P পেমেন্ট সিস্টেমের শেষ ধাপের কাজগুলো iBAS থেকেই হয়ে থাকে।

যেমনঃ বিল সাবমিশন, বিল অনুমোদন, EFT তৈরি ও বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো।

পেমেন্ট স্ট্যাটাস রিপোর্ট:

Scholarship MIS এর পে-রোল রিপোর্টের মধ্যে পেমেন্ট স্ট্যাটাস রিপোর্ট সংযোজন করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যা নিম্নরূপঃ

  • ১। JSC-2019-G : এই শিক্ষার্থি JSC তে ২০১৯ সালে General বা সাধারণ বৃত্তি পেয়েছে।
  • ২। Not PAID : এই শিক্ষার্থির তথ্য ভুলের কারণে এখনো টাকা পাঠানো যায় নি।
  • ৩। Bounced Back : এই শিক্ষার্থির টাকা পাঠানো হয়েছিলো কিন্তু একাউন্ট নাম্বার বা অন্য কোন ভুল থাকার কারণে ফেরত এসেছে।
  • ৪। Success : এই শিক্ষার্থির টাকা পাঠানো হয়েছে এবং সফলভাবে শিক্ষার্থির একাউন্টে টাকা জমা হয়েছে।
  • ৫। In Progress : এই শিক্ষার্থির টাকা প্রেরণের জন্য পে-রোল বা বিল প্রস্তুত করা হয়েছে, কিন্তু এখনো প্রেরণ করা হয় নি।
  • Scholarship Data Comparison Report:

এই রিপোর্টটি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক এন্ট্রি করা ডাটা এবং বোর্ডের ডাটার তুলনামূলক তথ্য উপস্থাপন করে।

এসব শিক্ষার্থির তথ্য বোর্ডের ডাটার সাথে একেবারে মিলে নাই বিশেষ করে রেজিস্ট্রেশন নাম্বার বা স্টুডেন্ট আইডি মিলে নাই সেগুলো Unmatch এবং যেগুলোর মিল আছে Match তালিকায় দেখায়।

এই রিপোর্টটি খুব ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করলে অনেক ভুলের নির্দেশনা পাওয়া যাবে।

পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে বা নতুন ইউজার ও পাসওয়ার্ড পেতে হলে কি করবেন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে বা নতুন ইউজার ও পাসওয়ার্ড পেতে প্রতিষ্ঠান প্রধান বা প্রতিষ্ঠানের অফিসিয়াল ইমেইল অথবা প্রতিষ্ঠানের প্যাডে স্বাক্ষরসহ আবেদন করতে হবে।

প্রতিষ্ঠান প্রধান ছাড়া অন্য কাউকে ইউজার ও পাসওয়ার্ড সরবরাহ করা হবে না।

যারা এখনো ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড নিয়ে সমস্যায় আছেন তারা সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরে ইমেইল করুন এবং ইমেইলে যেসব তথ্য দিতে হবে তাহলো-

  • ১। প্রতিষ্ঠানের EIIN;
  • ২। প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা;
  • ৩। প্রতিষ্ঠান প্রধানের নাম, মোবাইল ও ইমেইল এড্রেস;
  • ৪। সরকারি/বেসরকারি/MPO/Non MPO;

কিছু সাধারণ নির্দেশনা-

বৃত্তির তথ্য এন্ট্রি, আপডেট ও রিপোর্ট প্রেরণের ক্ষেত্রে স্ব স্ব অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুসরণ করুন। অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে দেখুন।

MIS খোলা আছে, সব সময় খোলা থাকবে। কোন তথ্য ভুল থাকলে সংশোধন করুন এবং এন্ট্রি বাকি থাকলে এন্ট্রি করুন।

G2P পেমেন্ট সিস্টেমে যোগ্য শিক্ষার্থির টাকা পাবার গ্যারান্টি রয়েছে। এ সিস্টেমে কারো টাকা অন্য কেউ আত্মসাৎ করতে পারে না, পেমেন্ট সরকারি কোষাগার থেকে সরাসরি শিক্ষার্থির একাউন্টে প্রেরিত হয়।

পে-রোল রিপোর্টের চেয়ে Scholarship Data Comparison Report নিয়ে বেশি চর্চা করুন।

কারণ “Unmatch” তালিকা কখনোই পেমেন্টে যাবে না। “Match” তালিকার মধ্যেও তুলনামূলক তথ্যগুলো পরীক্ষা করুন। ভুল থাকলে দ্রুত সংশোধন করুন।

বৃত্তির অর্থ প্রেরণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষার্থি এবং সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বিত অংশগ্রহণের প্রয়োজন। আমরা সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি।

আপনার জন্য আরও কিছু তথ্য:

দেশের সরকারি বেসরকারি যেকোন তথ্য সবার আগে পেতে বাংলা নোটিশ ডট কম এর ফেসবুক পেইজ লাইক ‍ও ফলো করে রাখুন এবং বাংলা নোটিশ এই ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করে রাখুন;

 

আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা নোটিশ ডট কম এর প্রকাশক ও সম্পাদক জনাব আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া। জন্ম ১৯৯৩ সালের ২০ নভেম্বর, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায়। বাবা আবদুল গফুর ভূঁইয়া এবং মা রহিমা বেগম। এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে আবদুল্লাহ আল আরিয়ান বয়স ৫ বছর। মেয়ে ফাবিহা জান্নাত বয়স ১ বছর। আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া এর শিক্ষাজীবন আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে ২০১৮ সালে ম্যানেজমেন্ট এ স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি উত্তরা ইউনিভার্সিটি ঢাকা থেকে বিপিএড সম্পন্ন করেন। আজিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শুরু। এরপর আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজ লাকসাম উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কিছুদিন ক্লাস করার পর। পারিবারিক কারণে নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজ এ কিছুদিন রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করার পর ভালো না লাগায় পুনরায় ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ছাত্র জীবনে তিনি নানা রকম সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। কর্মজীবন কর্মজীবনের শুরুতে তিনি আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় যোগদেন। বেশ কিছুদিন পর তিনি ২০১৯ সালে উন্নত ভবিষ্যতের আশায় কুয়েত পারি জমান। কিন্তু সেখানকার কাজের পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় পুনরায় আবার বাংলাদেশে ফিরে এসে পূর্বের পদে কাজে যোগদান করে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন। এছাড়াও তিনি স্বপ্ন গ্রাফিক্স এন্ড নেটওয়ার্ক নামে একটি মাল্টিমিডিয়া এবং প্রিন্টিং প্রেস প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধীকারী সেই সাথে স্বপ্ন ইশকুল নামক একটি কম্পিউটার ট্রেণিং ইনস্টিটিউট এর মালিকানায় আছেন যেখানে তিনি নিজেই ক্লাস পরিচালনা করেন। লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্ম ছাত্র অবস্থায় তিনি লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্মের সাথে জড়িত আছেন। ২০১১ সালে রাইটার্স এসোসিয়েশন এর ম্যাগাজিনে তার প্রথম লেখা বন্ধু চিরন্তন প্রকাশিত হয়। এর পর তিনি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন।

Related Articles

5 Comments

  1. আমার ব্যাংক একাউন্টে এখনো বৃত্তির টাকা আসেনি;
    আমি এখন কি করতে পারি?

    1. 2017 সালে জেএসসি বৃত্তি প্রাপ্তরা বর্তমান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম কি লিখবে।কলেজের নাম লিখলে ইআইএন নাম্বার দেয়া যায় না স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্কুলের ইআইএন নাম্বার চলে আসে। কি করনীয়।

  2. মোঃ জয়নুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক, খানপুকুর খোলাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় পঞ্চগড় says:

    আমাদের প্রতিষ্ঠানের একজন ছাত্র ব্যাংকের নাম আলাদা দিয়েছে। ব্যাংক শাখার নাম ও জেলার নাম ঠিক আছে। কিন্তু টাকা paid দেখাচ্ছে। এখন করনীয় কী? জানালে উপকৃত হতাম।
    ভুল যা হয়েছে- ব্যাংকের নাম অগ্রণী ব্যাংক পঞ্চগড় শাখা হয়েছে হিসাব নম্বর 3348101081376
    ব্যাংকের সঠিক নাম হবেঃ পূবালী ব্যাংক,পঞ্চগড় শাখা হিসাব নম্বর 3348101081376
    বিদ্যালয়ের নাম খানপুকুর খোলাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় পঞ্চগড় EIIN 126065
    বিভাগ রংপুর, জেলা পঞ্চগড়, উপজেলা পঞ্চগড় সদর, ইউনিয়ন ধাক্কামারা

  3. 2017 সালে জে এস সি বৃত্তিপ্রাপ্ত। সমস্ত তথ্যাদি সঠিক আছে। ডাটা ম্যাচ করেছে। কোন এরর রিপোর্ট নেই। স্কলারশিপ ডাটা কম্পারিজন রিপোর্ট ওকে আছে। তারপরও not paid & not proceed দেখাচ্ছে। কি করনীয়।

  4. আসসালামু আলাইকুম। কিছু ছাত্রের payment status এ not paid এবং status details এ not processed লেখা আছে। এখন করনীয় কি?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Close

অ্যাডস্ ব্লকার পাওয়া গেছে!

দয়া করে আমাদের সাপোর্ট করার জন্য আপনার এডস্ ব্লকার ডিজেবল করে পেইজটি রিলোড করুন! ধন্যবাদ