সর্বশেষ আপটেড

৯ম শ্রেণির ২১তম সপ্তাহের শারীরিক শিক্ষা এসাইনমেন্ট সমাধান বা উত্তর

নবম শ্রেণির প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ, আশা করছি তোমরা খুবই ভালো আছো। তোমরা কি ৯ম শ্রেণির ২১তম সপ্তাহের শারীরিক শিক্ষা এসাইনমেন্ট সমাধান বা উত্তর সম্পর্কে ধারণা নিতে চাচ্ছো? কিংবা এসাইনমেন্টটি কিভাবে প্রস্তুত করতে হয় সে সম্পর্কে জানতে আগ্রহী? তাহলে বলবো তোমরা ঠিক ওয়েবসাইটে এসেছো। তোমাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটিতে রয়েছে নবম শ্রেণির ২১তম সপ্তাহের শারীরিক শিক্ষা এসাইনমেন্টের উত্তর বা সমাধান

৯ম শ্রেণির ২১তম সপ্তাহের শারীরিক শিক্ষা এসাইনমেন্ট

অ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশের গ্রেড অনুযায়ী নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সর্বশেষ অ্যাসাইনমেন্ট অর্থাৎ ২১ তম সপ্তাহের প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। নবমশ্রেণির ২১তম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশের মাধ্যমে নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমূহের নবম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ২০২১ শিক্ষাবর্ষের অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রমের সমাপ্তি হলো।

অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ :

করোনা (কোভিড-১৯) কারণে আরাফ ইদানিং বাসা থেকে বের হয় না। তার কোন বন্ধু-বান্ধব বা আত্মীয়-স্বজন বেড়াতে আসে না। বিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য তার প্রবল ইচ্ছা জাগে। প্রতিদিন অনলাইন ক্লাসের জন্য মায়ের মোবাইল ব্যবহারের সুযোগে গেম খেলে অতিরিক্ত সময় কাটায়। বর্তমানে তার মেজাজ খিটখিটে থাকে ও সে প্রায়ই অসুস্থ বোধ করে। ফলে পরিবারের সবার সাথে মাঝে মাঝে খারাপ আচরণ করে।

আরাফের মত উদ্ভূত পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য তোমার ও তোমার পরিবারের গৃহীত পদক্ষেপসমূহ বর্ণনা কর।

সংকেত :

  • মানসিক আচরণ
  • অবসাদ

৯ম শ্রেণির ২১তম সপ্তাহের শারীরিক শিক্ষা এসাইনমেন্ট সমাধান বা উত্তর

করােনার সময়ে অভিভাবকরা যে বিষয়ে তাঁদের উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছেন তা হচ্ছে, করােনাকালীন শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ সময় ধরে ইন্টারনেট ব্যবহারজনিত আসক্তি। আর এটি আরাফাতের মধ্যেও পরিলক্ষিত হয়েছে। ১৭ মার্চ ২০২০ থেকে করােনা মহামারিজনিত কারণে সারা দেশের স্কুল-কলেজগুলাের সরাসরি শ্রেণিপাঠদান বন্ধ রয়েছে। পড়াশােনা চালিয়ে নিতে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে ইন্টারনেটভিত্তিক বিভিন্ন সােশ্যাল প্ল্যাটফর্মের ব্যবহার শুরু হয় এপ্রিল মাস থেকেই। দেশের অগ্রগণ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলাে শিক্ষকদের দ্রুত এই নতুন পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাহনাভাওক পাঠদান কর্মসূচি শুরু করে।

করােনার বিস্তারের কারণে হােম কোয়ারেন্টিন, লকডাউন, জুম, গুগল মিট ইত্যাদির সঙ্গে আমাদের ছাত্রসমাজের দ্রুত পরিচয় ঘটে। করােনা ছড়িয়ে পড়ার আগে শিক্ষার্থীরা সীমিত পর্যায়ে শুধু বন্ধু বা পারিবারিক যােগাযােগ আর গেমস খেলার জন্য বিভিন্ন ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করত। অনলাইনে পড়াশােনা শুরু হওয়ায় তাদের সেসব যন্ত্রের ওপর নির্ভরশীলতা বেড়ে গিয়েছে। পড়াশােনার স্বার্থেই অনেক অভিভাবক সন্তানের হাতে ডেস্কটপ, ল্যাপটপ, ট্যাব বা স্মার্ট মােবাইল তুলে দিয়েছেন।আরাফাতের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা ও শিক্ষার্থীদের বাসায় অবস্থানের কারণে ইন্টারনেট ও ডিজিটাল ডিভাইসগুলাের ব্যবহার কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। অনলাইনে সংযুক্ত হওয়ার ফলে শিক্ষার্থীরা তাদের বন্ধু এবং সহপাঠীদের সঙ্গে একসঙ্গে শিখতে পারছে।

৯ম শ্রেণির ২১তম সপ্তাহের শারীরিক শিক্ষা এসাইনমেন্ট সমাধান বা উত্তর

ইন্টারনেট ব্যবহারের ব্যাপ্তি বৃদ্ধি পাওয়ায় শিক্ষার্থীদের জন্য বিনােদনমূলক কার্যক্রম, সামাজিক দক্ষতা বৃদ্ধির অনুশীলন, তথ্য আদান-প্রদানসহ অনেক মূল্যবান | ক্ষেত্রের সুযােগ সৃষ্টি হয়েছে। ইন্টারনেট ব্যবহারের সময়কে ‘স্ক্রিন টাইম’ বলা হয়। ইন্টারনেটের সুদূরপ্রসারী ব্যবহার থাকা সত্ত্বেও অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম’ শিক্ষার্থীদের জন্য ক্ষতিকর। এর ব্যবহার যখন মাত্রা ছড়িয়ে যায় তখন এটা ‘আসক্তি’র পর্যায়ে পড়ে। এখানে সপ্তাহে ৩৮ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় ইন্টারনেট ব্যবহার ও ইন্টারনেট ব্যবহার করতে না পারার কারণে বিষন্নতা, আবেগ ধরে রাখতে ব্যর্থ হওয়াকে ‘আসক্তি’ হিসেবে পশ্চিমা গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে। ইন্টারনেট ও ডিজিটাল সামগ্রী হাতের কাছে পেয়ে আরাফাতের মতাে শিক্ষার্থীরা অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে আমাদের ছাত্রসমাজ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

ঘণ্টার পর ঘণ্টা ডিজিটাল ডিভাইসের স্ক্রিন বা মনিটরের দিকে তাকিয়ে থাকায় চোখের ওপর বাড়তি চাপ পড়ে। ফলে অল্প বয়সী বাচ্চাদের আজকাল ভারী চশমা ব্যবহার করতে দেখা যায়। ইন্টারনেট আসক্তির কারণে শিক্ষার্থীদের অনিদ্রা, ক্ষুধামান্দ্য, হজমে সমস্যা, ঘাড় ও কোমর ব্যথা, মােটা হয়ে যাওয়াসহ নানা ধরনের শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। এই আসক্তি তাদের খিটখিটে মেজাজ, অল্পতেই ধৈর্যচ্যুতি, টেনশন বােধ, বিষন্নতা, পারিবারিক সৌজন্যবােধের অভাবজনিত বিভিন্ন মানসিক সমস্যা তৈরি করছে। উপরােক্ত সমস্যা গুলাে আরাফাতের আচরণে লক্ষ্য করা যায়।

আরাফাতের মতাে উদ্ভুত পরিস্থিতি থেকে উত্তরনের জন্য আমাদের যা যা করতে হবে তা নিচে উল্লেখ কথা হলাে :

  • ১. ইন্টারনেটের অপব্যবহার রােধ এবং এর আসক্তি থেকে পরিত্রাণের জন্য শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ আমাদের শিক্ষকদেরও এগিয়ে আসতে হবে।
  • ২. শিক্ষার্থীদের বুঝাতে হবে নিজের ভালাের জন্য এই ‘আসক্তি থেকে তাদের দ্রুত মুক্তি পেতে হবে।
  • ৩. মন ভালাে করার জন্য ডিজিটাল ডিভাইসের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনতে সহায়তা করতে হবে।
  • ৪. ইন্টারনেট আসক্তি দূর করতে ধীরে ধীরে কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের সময়সীমা নির্ধারণ করে দিতে হবে।
  • ৫. তাদের বুঝতে হবে যে ইন্টারনেট আসক্তি তােমার পরিবার এবং বন্ধুদের সান্নিধ্য থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলছে।

আরাফাতের মতাে শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে অভিভাবকদের ও যে যে বিষয়ে নজর দিতে হবে তা হলােঃ

  • ১. শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট ও ডিজিটাল ডিভাইস আসক্তি কমাতে সবচেয়ে বেশি প্রয়ােজন পরিবারের সহযােগিতা। তাই তাকে সর্বক্ষণ সহযােগিতা করতে হবে।
  • ২. তাকে পত্রিকা পড়ানাে, বই পড়ানাে, টিভিতে খবর দেখানাে, গল্প করার মাধ্যমে বাস্তবজগতে নিয়ে আসতে হবে।
  • ৩. ইন্টারনেটের কুফল থেকে সন্তানদের বাঁচাতে খেলাধুলা ও পরিবারের সদস্যদের সময় দেওয়া একান্ত প্রয়ােজন।
  • ৪. সন্তান কখন কী করছে, কোথায় যাচ্ছে, কার সঙ্গে চলছে সে বিষয়ে খোঁজ নিতে হবে।
  • ৫. সপ্তাহে অন্তত একদিন তাকে বাইরে বেড়াতে নিয়ে যান।

ইতিবাচক সামাজিক মূল্যবােধ, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবােধ, সহানুভূতি, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, বিশ্বস্ততা ইত্যাদি একজন শিক্ষার্থীকে ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিরাপদ রাখতে সহায়তা করবে বলে আমি মনে করি। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সঠিকভাবে তৈরি করার জন্য এই মহামারি পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পরিবারের ও শিক্ষকদের সহনশীল আচরণ করা প্রয়ােজন। ইন্টারনেট ব্যবহারের ফলে শিক্ষার্থীরা যেমন প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জন করতে পারছে, তেমনি পর্যাপ্ত ইন্টারনেট ব্যবহারে সে যেন যত্নশীল থাকতে পারে সে ব্যাপারে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। আশা করি ডিজিটাল বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নাগরিকরা ইন্টারনেটের কুপ্রভাব থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে পরিবারের ও সমাজের মধ্যে মুখ উজ্জ্বল করে সামনে এগিয়ে যাবে। সর্বশেষ বলা যায়, উপরােক্ত দিকগুলাে বাস্তবায়ন করতে পারলে আরাফাতের সমস্যা গুলাে পরিত্রান করতে সম্ভব হবে।

আরো দেখুন-

সকল স্তরের শিক্ষা সংক্রান্ত সঠিক তথ্য, সরকারি-বেসরকারি চাকুরি বিজ্ঞপ্তি, চাকুরির পরীক্ষা, এডমিট কার্ড, পরীক্ষার রুটিন, সরকারি বেসরকারি বৃত্তি, উপবৃত্তি ও প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত তথ্য সবার আগে পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজটি Follow করে রাখুন।

ইউটিউবে সর্বশেষ আপডেট পেতে বাংলা নোটিশ ডট কম এর ইউটিউব চ্যানেলটি Subscribe করে রাখুন। আপনার প্রতিষ্ঠানের যেকোন বিজ্ঞপ্তি, খবর, নোটিশ ও জাতীয় রাজনৈতিক বিষয়ে লেখা প্রকাশ করতে চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা নোটিশ ডট কম এর প্রকাশক ও সম্পাদক জনাব আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া। জন্ম ১৯৯৩ সালের ২০ নভেম্বর, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায়। বাবা আবদুল গফুর ভূঁইয়া এবং মা রহিমা বেগম। এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে আবদুল্লাহ আল আরিয়ান বয়স ৫ বছর। মেয়ে ফাবিহা জান্নাত বয়স ১ বছর। আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া এর শিক্ষাজীবন আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে ২০১৮ সালে ম্যানেজমেন্ট এ স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি উত্তরা ইউনিভার্সিটি ঢাকা থেকে বিপিএড সম্পন্ন করেন। আজিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শুরু। এরপর আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজ লাকসাম উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কিছুদিন ক্লাস করার পর। পারিবারিক কারণে নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজ এ কিছুদিন রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করার পর ভালো না লাগায় পুনরায় ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ছাত্র জীবনে তিনি নানা রকম সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। কর্মজীবন কর্মজীবনের শুরুতে তিনি আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় যোগদেন। বেশ কিছুদিন পর তিনি ২০১৯ সালে উন্নত ভবিষ্যতের আশায় কুয়েত পারি জমান। কিন্তু সেখানকার কাজের পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় পুনরায় আবার বাংলাদেশে ফিরে এসে পূর্বের পদে কাজে যোগদান করে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন। এছাড়াও তিনি স্বপ্ন গ্রাফিক্স এন্ড নেটওয়ার্ক নামে একটি মাল্টিমিডিয়া এবং প্রিন্টিং প্রেস প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধীকারী সেই সাথে স্বপ্ন ইশকুল নামক একটি কম্পিউটার ট্রেণিং ইনস্টিটিউট এর মালিকানায় আছেন যেখানে তিনি নিজেই ক্লাস পরিচালনা করেন। লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্ম ছাত্র অবস্থায় তিনি লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্মের সাথে জড়িত আছেন। ২০১১ সালে রাইটার্স এসোসিয়েশন এর ম্যাগাজিনে তার প্রথম লেখা বন্ধু চিরন্তন প্রকাশিত হয়। এর পর তিনি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Close

অ্যাডস্ ব্লকার পাওয়া গেছে!

দয়া করে আমাদের সাপোর্ট করার জন্য আপনার এডস্ ব্লকার ডিজেবল করে পেইজটি রিলোড করুন! ধন্যবাদ