সর্বশেষ আপটেড

যুব সমাজকে আত্মকর্মসংস্থানে উদ্বুদ্ধকরণে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ

৯ম শ্রেণির ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের সুপ্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ, আশা করছি ভালো আছো। তোমাদের নবম শ্রেণি ১৭তম সপ্তাহ ব্যবসায় উদ্যোগ অ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশিত হয়েছে। এই আর্টিকেলে তোমাদের জন্য রয়েছে নবম শ্রেণি ১৭তম সপ্তাহের ব্যবসায় উদ্যোগ অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান– যুব সমাজকে আত্মকর্মসংস্থানে উদ্বুদ্ধকরণে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলাে নিয়ে একটি নিবন্ধ রচনা। মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ো। আশা করছি তোমাদের কাঙ্ক্ষিত উত্তর পেয়ে যাবে।

নবম শ্রেণি ১৭তম সপ্তাহ ব্যবসায় উদ্যোগ অ্যাসাইনমেন্ট

Class Nine 17th Week Assignment Business ventures

অ্যাসাইনমেন্ট: যুব সমাজকে আত্মকর্মসংস্থানে উদ্বুদ্ধকরণে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলাে নিয়ে একটি নিবন্ধ রচনা কর।

সংকেতঃ-

  • ক. সূচনা।
  • খ. আত্মকর্মসংস্থানের ধারণা।
  • গ. আত্মকর্মসংস্থানে সহায়ক প্রশিক্ষণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান।
  • ঘ. আত্মকর্মসংস্থানে সরকারের গৃহীত অন্যান্য পদক্ষেপ।
  • ঙ. উপসংহার।

নির্দেশনা (সংকেত/ধাপ/পরিধি):

  • পাঠ্যপুস্তকের ৩য় অধ্যায় ভালােভাবে পড়ে নিতে হবে।
  • প্রয়ােজনীয় ছবি সংযুক্ত করা যেতে পারে।
  • প্রয়ােজনে অন্যান্য বই, জার্নাল, পেপার।
  • কাটিং এবং সরকারী প্রকাশনার সহায়তা নেয়া যেতে পারে।

নবম শ্রেণি ১৭তম সপ্তাহের ব্যবসায় উদ্যোগ অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান

সূচনা :

আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করে। তাই বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশে আত্মকর্মসংস্থানের গুরুত্ব অনেক। ব্যক্তিগত দক্ষতা এবং ইচ্ছা শক্তি উভয়ই আত্মকর্মসংস্থানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। দেশের চাকুরির সুযোগ সীমিত এবং সরকারি ও বেসরকারি পৃষ্টপোষকতায় অধিক লোকের কর্মসংস্থান দেওয়া সম্ভব নয়। তাই নিজেই নিজের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করাই হচ্ছে একমাত্র বিকল্প পন্থা। অন্যদিকে তরুণ সমাজের কাছে আত্মকর্মস্থানের গ্রহণযোগ্যতা কম। এবং অনেকের কাছে আত্মকর্মস্থানের প্রকৃত ধারনা নেই।

আত্মকর্মসংস্থানের ধারণা :

নিজস্ব পুঁজি অথবা ঋণ করা স্বল্প সম্পদ, নিজস্ব চিন্তা, জ্ঞান, বুদ্ধিমত্তা ও দক্ষতাকে। কাজে লাগিয়ে নূন্যতম ঝুঁকি নিয়ে আত্ম প্রচেষ্টায় জীবিকা অর্জনের ব্যবস্থাকে আত্মকর্মসংস্থান বলে। জীবিকা অর্জনের বিভিন্ন পেশার মধ্যে আত্মকর্মসংস্থান একটি জনপ্রিয় পেশা। আমাদের চারপাশে এমন অনেক আত্মকর্মসংস্থানমূলক কর্মকান্ড দেখা যায়। কলেজ গেইটের পাশে যে চানাচুর বা আমড়া বিক্রি করে সেটিও তাদের আত্মকর্মসংস্থান। এরকম নানাবিধ জীবিকার উপায় আত্মকর্মসংস্থানের ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। হাঁস-মুরগি পালন, নার্সারি, ফুলের চাষ, বেতের সামগ্রি তৈরি, টেইলারিং ও মৌমাছি চাষ ইত্যাদি আত্মকর্মসংস্থানের আওতাভুক্ত।

জামালপুরের আমিনুল ইসলাম কয়েক বছর ধরে ছোট এটি প্রতিষ্ঠানে কম বেতনে চাকরি করে। অল্প টাকায় সংসার চালনো কষ্টসাধ্য তাই সে চিন্তা করল চাকরি ছেড়ে দিয়ে নিজের যে জমি রয়েছে তাতে কৃষিকাজ করবে। আমিনুল কৃষিকাজে খুব দক্ষ না হলেও অনেক কিছুই সে জানে। তাই সে তার মেধা ও জমানো কিছু টাকাকে পুজি করে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি চাষ শুরু করল। মাস দুই এক পর সে স্থানীয় বাজারে ভালো দামে পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে শাকসবজি বিক্রি করে অনেক মুনাফা অর্জন করল। আমিনুল আত্মকর্মসংস্থানে মাধ্যমে এখন সাবলম্বী।

আত্মকর্মসংস্থানে সহায়ক প্রশিক্ষণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান

যে সমাজ ও দেশে উদ্যোক্তার সংখ্যা যত বেশি, সে সমাজ বা দেশ অর্থনৈতিকভাবে তত উন্নত। প্রত্যেক দেশেই জনগনকে বিভিন্ন কাজে স্বাবলম্বী করার জন্য কিছু প্রতিষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ঐসকল প্রতিষ্ঠান আগ্রহী ব্যক্তিদের বিভিন্ন কাজে উদ্বুদ্ধ করেন এবং বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ প্রদান করে থাকেন।

ঐ সকল প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা ভূমিহীন, বিত্তহীন জনগণকে আত্নকর্মসংস্থানমূলক কাজ গ্রহণে উদ্বুদ্ধকরণ, দক্ষতা উন্নয়নের প্রশিক্ষণ দান, ক্ষুদ্র ব্যবসায় স্থাপনের জন্য ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান, ঋণ ব্যবহার তত্ত্বাবধান প্রভৃতি কার্যক্রমের মাধ্যমে দুস্থ লোকদের আয়ের সুযোগ সৃষ্টি করে। এগুলোর মধ্যে যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট, মহিলাবিষয়ক মন্ত্রণালয়, গ্রামীণ মহিলাদের কর্মসংস্থানের প্রকল্প, নট্রামস উল্লেখযোগ্য। এদের সবার উদ্দেশ্য আত্নকর্মসংস্থানে সহায়তা হলেও কার্যক্রমে কিছুটা পার্থক্য আছে। নিম্নে এগুলোর কার্যক্রম ব্যাখ্যা করা হলো-

১. যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র :

এটি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিচালিত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। দেশের প্রতিটি থানায় এর কার্যালয় রয়েছে। এ সকল কেন্দ্রের মাধ্যমে বেকার যুবক য্বুতীদেরকে বিভিন্ন পেশায় প্রশিক্ষণ দেয়া হয়, যেমন- হাঁস মুরগি খামার তৈরি, মৎস্য চাষ, ব্লক বাটিকের কাজ, সবজি বাগান, নার্সারি করা, সেলাইয়ের কাজ, কুটির শিল্পের কাজ, কম্পিউটার চালনা প্রভৃতি। এ সকল বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রশিক্ষণার্থীরা আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ পায়।

২. বাংলাদেশে পল্লী উন্নয়ন বোর্ড :

এটি গ্রামের দুস্থ ও ভূমিহীন নারী-পুরুষদের আত্নকর্মসংস্থানের জন্য বিভিন্ন বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে যাতে প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর তারা স্বাধীনভাবে একটি পেশা বেছে নিয়ে উপার্জন করতে পারে।

৩. বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ম্যানেজম্যান্ট :

এটি শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান। নির্দিষ্ট ফি-এর বিনিময়ে এটি আত্নকর্মসংস্থান ও উদ্যোগ উন্নয়নের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। প্রধান প্রধান কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ক্ষুদ্র শিল্প স্থাপন প্রক্রিয়া ও ব্যবস্থাপনা, নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠাকরণ, মহিলা উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রভৃতি। এছাড়া প্রতিষ্ঠান স্থাপনের পর সফলভাবে তা পরিচালনার জন্য উৎপাদন ব্যবস্থাপনা, মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা, বিপণন কৌশল ইত্যাদি বিষয়ে বিভিন্ন কোর্স ও প্রশিক্ষণ পরিচালনা করে থাকে।

৪. মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয় :

প্রতিষ্ঠানটি মূলত মহিলাদের জন্য উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করে থাকে। বিশেষ করে গ্রামের দুস্থ, শিক্ষিত, অর্ধ-শিক্ষিত মহিলাদেরকে স্বকর্মসংস্থানের সূযোগ করে দেয়া এর মূল উদ্দেশ্য। এটি উদ্যোগী মহিলাদের কারিগরি দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে অনানুষ্ঠানিক কারিগরি ও প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে।

৫. গ্রামীণ মহিলাদের কর্মসংস্থানের প্রকল্প :

এ প্রকল্পের মাধ্যমে পল্লী অঞ্চলের মহিলাদেরকে বিভিন্ন পেশায় প্রশিক্ষণ দেয়া হয় এবং প্রশিক্ষণ শেষে তাদের মধ্যে ঋণ বিতরণ করা হয়। শুধু প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরাই ঋণ পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হয়।

৬. নট্রামস :

এটি শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন ধরনের কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ও কম্পিউটার চালনা শিক্ষা দেয়াই প্রতিষ্ঠানের প্রধান কাজ। এ প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে বহু শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতী আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ করে নিয়েছে।

পরিশেষে বলা যায়, উপরোক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহ বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি গ্রহণ করে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। তাদের এ কার্যক্রমের ফলশ্রুতিতে দেশের তথা অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হচ্ছে।

আত্মকর্মসংস্থানে সরকারের গৃহীত অন্যান্য পদক্ষেপ

আত্মকর্মসংস্থানের জন্য প্রয়োজন ব্যক্তিগত দক্ষতা ও স্বনির্ভর পেশায় নিয়োজিত থেকে জীবিকা অর্জনের প্রবল ইচ্ছা শক্তি। যেহেতু দেশে চাকরির সুযোগ সীমিত এবং ইচ্ছা করলেই সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগে এত অধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সম্ভব নয়। তাই এর বিকল্প হচ্ছে নিজেই নিজের কর্মসংস্থান করা। কিন্তু এ দেশের যুবসমাজের নিকট আত্মকর্মসংস্থানের ধারণা স্বচ্ছ ও যথেষ্ট নয়।

অন্যদিকে দীর্ঘদিনের সামাজিক মূল্যবোধ ও পুঁথিগত পড়াশুনার কারণে যুবসমাজ জীবিকা বলতে চাকরিকে বুঝে থাকে। এ ছাড়া অভিভাবকদের নিকটও সন্তানদের আত্নকর্মসংস্থানে উদ্ধুদ্ধ করার একটি নেতিবাচক প্রবণতা লক্ষ করা যায়। ফলে শিক্ষিত-অশিক্ষিত নির্বিশেষে বেকারের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বর্তমান যুব ও তরুণসমাজ ও আগামী প্রজন্মকে আত্মকর্মসংস্থানে উদ্বুদ্ধ করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। নিম্নে সেগুলি উল্লেখ করা হলো-

যুব সমাজকে আত্মকর্মসংস্থানে উদ্বুদ্ধকরণে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ

  • ১. শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করতে হবে এ বলে যে, কোনো পেশা বা কাজই ছোট ও অপমানের নয়।
  • ২. স্ব স্ব এলাকার আত্মর্কমসংস্থানের উপযুক্ত ক্ষেত্রগুলোর তালিকা প্রণয়ন করে বিদ্যালয় ও ইউনিয়ন পরিষদের দেয়ালে প্রচারের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
  • ৩. স্ব স্ব এলাকার আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে যারা স্বাবলম্বী ও সফল হয়েছে তাদেরকে বিদ্যালয়ে এনে শিক্ষার্থীদেরকে তাদের জীবনকাহিনী শোনাতে হবে।
  • ৪. বিদ্যালয় বা কলেজ থেকে যে সকল শিক্ষার্থী ঝরে পড়ে কিংবা নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসার সুযোগ পায় না তাদেরকে বিভিন্ন উপযুক্ত ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ ও ঋণদানের ব্যবস্থা করতে হবে।
  • ৫. নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষাক্রমে বৃত্তিমূলক, কারিগরি ও কর্মমুখী শিক্ষাকে পর্যাপ্তভাবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
  • ৬. আত্মকর্মসংস্থানকে সামনে রেখে যুব উন্নয়ন ব্যাংক ও শিক্ষা ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করে সহজ শর্তে ঋণদানের ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া ব্যাংকসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে স্বল্পসুদে ঋণদানের ব্যবস্থা করতে হবে।
  • ৭. বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা বর্তমানে সফল উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে তাদেরকে বিদ্যালয় পর্যায়ে সংবর্ধনা ও সম্মাননা দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
  • ৮. প্রিণ্ট মিডিয়া অর্থাৎ দৈনিক পত্রিকাসহ সবধরনের খবরের কাগজে আত্নকর্মসংস্থানের সফল কাহিনী ব্যাপকভাবে প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে।

উপসংহার

যে কোনো কাজে দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ একান্ত প্রয়োজন। প্রশিক্ষণ কর্মদক্ষতা ও যোগ্যতা বৃদ্ধি করে। প্রশিক্ষণ হলো কর্মীদের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধি এবং মানসিকতা বিকাশের অবিরাম ও নিয়মিত প্রচেষ্টা যাতে তাদের যোগ্যতা ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং প্রতিষ্ঠানটিও লাভবান হয়। কোনো কর্মীকে সঠিক কাজে নিয়োগ করার পূর্বে তাকে প্রশিক্ষণ বা ট্রেনিং দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এ প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের নতুন ও পুরাতন সকল কর্মীর জন্যই অপরিহার্য।

কোনো পেশা বা কাজই ছোট ও অপমানের নয়। দীর্ঘদিনের সামাজিক মূল্যবোধ ও পুঁথিগত পড়াশুনার কারণে যুবসমাজ জীবিকা বলতে চাকরিকে বুঝে থাকে। প্রশিক্ষণ কর্মদক্ষতা ও যোগ্যতা বৃদ্ধি করে। প্রশিক্ষণ হলো কর্মীদের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধি এবং মানসিকতা বিকাশের অবিরাম ও নিয়মিত প্রচেষ্টা। প্রশিক্ষণ এর মাধ্যমে কর্মীর দক্ষতা বাড়ে বলে উৎপাদনশীলতাও বাড়ে।

আরো দেখুন-

সকল স্তরের শিক্ষা সংক্রান্ত সঠিক তথ্য, সরকারি-বেসরকারি চাকুরি বিজ্ঞপ্তি, চাকুরির পরীক্ষা, এডমিট কার্ড, পরীক্ষার রুটিন, সরকারি বেসরকারি বৃত্তি, উপবৃত্তি ও প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত তথ্য সবার আগে পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজটি Follow করে রাখুন। ইউটিউবে সর্বশেষ আপডেট পেতে বাংলা নোটিশ ডট কম এর ইউটিউব চ্যানেলটি Subscribe করে রাখুন। আপনার প্রতিষ্ঠানের যেকোন বিজ্ঞপ্তি, খবর, নোটিশ ও জাতীয় রাজনৈতিক বিষয়ে লেখা প্রকাশ করতে চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা নোটিশ ডট কম এর প্রকাশক ও সম্পাদক জনাব আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া। জন্ম ১৯৯৩ সালের ২০ নভেম্বর, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায়। বাবা আবদুল গফুর ভূঁইয়া এবং মা রহিমা বেগম। এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে আবদুল্লাহ আল আরিয়ান বয়স ৫ বছর। মেয়ে ফাবিহা জান্নাত বয়স ১ বছর। আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া এর শিক্ষাজীবন আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে ২০১৮ সালে ম্যানেজমেন্ট এ স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি উত্তরা ইউনিভার্সিটি ঢাকা থেকে বিপিএড সম্পন্ন করেন। আজিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শুরু। এরপর আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজ লাকসাম উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কিছুদিন ক্লাস করার পর। পারিবারিক কারণে নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজ এ কিছুদিন রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করার পর ভালো না লাগায় পুনরায় ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ছাত্র জীবনে তিনি নানা রকম সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। কর্মজীবন কর্মজীবনের শুরুতে তিনি আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় যোগদেন। বেশ কিছুদিন পর তিনি ২০১৯ সালে উন্নত ভবিষ্যতের আশায় কুয়েত পারি জমান। কিন্তু সেখানকার কাজের পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় পুনরায় আবার বাংলাদেশে ফিরে এসে পূর্বের পদে কাজে যোগদান করে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন। এছাড়াও তিনি স্বপ্ন গ্রাফিক্স এন্ড নেটওয়ার্ক নামে একটি মাল্টিমিডিয়া এবং প্রিন্টিং প্রেস প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধীকারী সেই সাথে স্বপ্ন ইশকুল নামক একটি কম্পিউটার ট্রেণিং ইনস্টিটিউট এর মালিকানায় আছেন যেখানে তিনি নিজেই ক্লাস পরিচালনা করেন। লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্ম ছাত্র অবস্থায় তিনি লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্মের সাথে জড়িত আছেন। ২০১১ সালে রাইটার্স এসোসিয়েশন এর ম্যাগাজিনে তার প্রথম লেখা বন্ধু চিরন্তন প্রকাশিত হয়। এর পর তিনি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Close

অ্যাডস্ ব্লকার পাওয়া গেছে!

দয়া করে আমাদের সাপোর্ট করার জন্য আপনার এডস্ ব্লকার ডিজেবল করে পেইজটি রিলোড করুন! ধন্যবাদ