মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের বিভিন্ন সনদ বাংলা থেকে ইংরেজি করার ফরম ও নিয়মাবলি
মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের বিভিন্ন সনদ বাংলা থেকে ইংরেজি করার ফরম ও নিয়মাবলি নিয়ে আজকে আমার আলোচনা করবো মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড ঢাকা থেকে ১৯৯০ সালের পূর্বে যেসকল পরীক্ষার্থী দাখিল, আলিম, ফাজিল ও কামিল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিল তাদের সনদ বাংলায় হাতে লেখা সনদ প্রদান করা হতো।
কিন্তু বর্তমানে সময়ের প্রয়োজনে বিভিন্ন কাজে দাখিল, আলিম, ফাজিল ও কামিল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিল সনদ ইংরেজি করতে হয়।
মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের বাংলায় লেখা সনদ ইংরেজি করার নিয়মাবলি ও ফরম নিয়ে আজকে আলোচনা করবো। এর মাধ্যমে আপনি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের বিভিন্ন সনদ বাংলা থেকে ইংরেজি করার ফরম ও নিয়মাবলি জানানো হবে।
মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের বিভিন্ন সনদ বাংলা থেকে ইংরেজি করার ফরম ও নিয়মাবলি
আজকের আলোচনায় প্রথমে আপনাদের জানাবো কিভাবে মাদ্রাসা বোর্ডের হাতে লেখা বাংলা সনদ সমূহ ইংরেজি কপি সংগ্রহ করবেন এবং কিভাবে আবেদন করতে হবে।
মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের সনদ বাংলা থেকে ইংরেজি করার আবেদন ফরম সংগ্রহ-
আপনার সনদটি বাংলা থেকে ইংরেজি করার জন্য প্রথমে মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে অথবা এই পোষ্টের নিচে থাকা ডাউনলোড বাটন থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। এখানে সাময়িক/দ্বি-নকল/ফ্রেশ/সনদ/নম্বরপত্র/প্রবেশপত্র/যাচাই, ইংরেজি অনুবাদের জন্য আবেদনটি পিডিএফ এবং ওয়ার্ড ফরম্যাটে দেওয়া হয়েছে।
আবেদনপত্র কম্পিউটারে কম্পোজ করার জন্য ওয়ার্ড ফরম্যাট আর হাতে লেখার জন্য পিডিএফ ফাইল থেকে প্রিন্ট করে নিবেন।
তবে মাদ্রাসা বোর্ড পরীক্ষার্থীকে নিজ হাতে সঠিকভাবে ফরম পূরণ করার নির্দেশনা প্রদান করেছে। উল্লেখ্য ইংরেজি অনুবাদের জন্য প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অবশ্যই ইংরেজিতে আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে)
মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড এর সনদ বাংলা থেকে ইংরেজি ও ফ্রেশ কপি নেওয়ার আবেদন সংক্রান্ত নিয়মাবলী:
১) প্রার্থীর আবেদনপত্রে অবশ্যই যে প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে সে প্রতিষ্ঠান প্রধানের সুপারিশ, স্বাক্ষর ও সীলমোহর থাকতে হবে।
২) প্রত্যেক শ্রেণির সনদ/নম্বরপত্রের জন্য পৃথক পৃথক আবেদন দাখিল করতে হবে।
৩) সনদ/নম্বরপত্রের জন্য ৯ নং অনুচ্ছেদে বর্ণিত প্রয়োজনীয় ফি একমাত্র সোনালী ব্যাংকের ড্রাফটের মাধ্যমে অত্র বোর্ডে ও রেজিস্ট্রারের অনুকূলে জমা দিতে হবে।
৪) ব্যাংক ড্রাফটের (ডিমান্ড ড্রাফট) উপরিভাগে প্রাপকের নাম অর্থাৎ রেজিস্ট্রার, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা।
লেখার ঠিক পরেই ব্যাংক কর্তৃপক্ষ টাকা জমাকারী অর্থাৎ যার পক্ষে টাকা জমা করা হলো তার নাম স্পষ্টভাবে উল্লেখ করে
দিবেন।
৫) দ্বি-নকল সনদ/নম্বরপত্র/রেজিস্ট্রেশন কার্ড/প্রবেশপত্রের ক্ষেত্রে আবেদনকারীকে অবশ্যই ক্সদনিক পত্রিকায় নাম, পিতার নাম, গ্রুপ, কেন্দ্র, রোল নম্বর ও পাশের সাল ইত্যাদি উল্লেখ পূর্বক মূল সনদ/একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট/নম্বরপত্র/প্রবেশপত্র হারিয়ে/পুড়ে গিয়েছে মর্মে থানায় ডিজি ও পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে।
পত্রিকার নাম ও তারিখ উল্লেখ করে উক্ত বিজ্ঞপ্তির কাটিং ও জিডির কপি আবেদনপত্রের সাথে জমা দিতে হবে।
৬) সনদ/একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট/নম্বরপত্র/প্রবেশপত্র হাতে হাতে নিতে হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক আবেদনকারীর ছবি এবং স্বাক্ষর সত্যায়িত থাকতে হবে।
মাদ্রাসা প্রধান এবং প্রার্থী ব্যতিত অন্য কারো নিকট সনদ সরবরাহ করা হবে না।
৭) মূল সনদ কেবল অধ্যক্ষ/তত্ত্বাবধায়ক-এর নিকট (মূল টেবুলেশনশিট প্রদর্শন সাপেক্ষে) সরবরাহ করা হয়ে থাকে।
৮) যে কোন সাময়িক সনদপত্র/দ্বি-নকল সনদ/নম্বরপত্র ইত্যাদি নিতে হলে, প্রবেশপত্র, মার্কশিটের সত্যায়িত ফটোস্ট্যাট কপি আবেদনের সাথে দাখিল করতে হবে।
৯) মূল সনদ/একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট/নম্বরপত্র/প্রবেশপত্র/রেকর্ড যাচাইয়ের প্রয়োজনীয় ফিসের হার প্রতিটি নিন্মরূপ।
মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড এর সনদ বাংলা থেকে ইংরেজি ও ফ্রেশ কপি নেওয়ার আবেদন ফি সমূহ:
ক) সাময়িক সনদঃ জেডিসি/দাখিল/আলিম/ফাযিল/কামিল=৫০০.০০ টাকা
খ) ফ্রেস/দ্বি-নকল/ইংরেজি অনুবাদ সনদ/নম্বরপত্র/ট্রান্সক্রিপ্টঃ
- এবতেদায়ী সমাপনী= ১০০.০০ টাকা
- জেডিসি/দাখিল/আলিম/ফাযিল/কামিল= ৫০০.০০ টাকা
গ) রেকর্ড যাচাইঃ
- এবতেদায়ী সমাপনী/জেডিসি/দাখিল/আলিম/ফাযিল/কামিল= ১৫০.০০ টাকা
- সংস্থা কর্তৃক যাচাই= ১০০.০০ টাকা
ঘ) ফ্রেশ/দ্বি-নকল প্রবেশপত্রঃ জেডিসি/দাখিল/আলিম/ফাযিল/কামিল= ৩০০.০০ টাকা
সাময়িক/দ্বি-নকল/ফ্রেশ/সনদ/নম্বরপত্র/প্রবেশপত্র/যাচাই, ইংরেজি অনুবাদের জন্য আবেদনপত্র
মেটিক পাস এর সার্টিফিকেট লাগবে টাকা দিয়ে কিনবো