সর্বশেষ আপটেড

বাংলা শব্দগঠনের উপায় বর্ণনা এবং ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ গল্প থেকে সাধিত শব্দ বিশ্লেষণ

প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ, আশা করছি তোমরা খুবই ভালো আছো। তোমরা কি ১০ম শ্রেণির ১ম সপ্তাহের বাংলা এসাইনমেন্টের উত্তর বা সমাধান সম্পর্কে ধারণা নিতে চাচ্ছো? কিংবা এসাইনমেন্টটি কিভাবে প্রস্তুত করতে হয় সে সম্পর্কে জানতে আগ্রহী? তাহলে বলবো তোমরা ঠিক ওয়েবসাইটে এসেছো। তোমাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটিতে রয়েছে ১০ম শ্রেণির ১ম সপ্তাহের বাংলা এসাইনমেন্ট সমাধান ২০২২– বাংলা শব্দগঠনের উপায় বর্ণনা এবং ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ গল্প থেকে সাধিত শব্দ বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এখান থেকে শুরু হচ্ছে-

১০ম শ্রেণির ১ম সপ্তাহের বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২

এসাইনমেন্ট শিরোনাম: বাংলা শব্দগঠনের উপায় বর্ণনা এবং ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ গল্প থেকে সাধিত শব্দ বিশ্লেষণ।

নির্দেশনা:

১. উপসর্গ, প্রত্যয় ও সমাস বাংলা শব্দগঠনের এই তিন উপায় সম্পর্কে বর্ণনা করতে হবে।
২. ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধ থেকে উপসর্গ ও প্রত্যয় সাধিত শব্দ শনাক্ত করে বিশ্লেষণ করতে হবে ।
৩. ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধ থেকে সমাস সাধিত শব্দ শনাক্ত করে বিশ্লেষণ করতে হবে।

১০ম শ্রেণির ১ম সপ্তাহের বাংলা এসাইনমেন্ট সমাধান ২০২২

১. উপসর্গ, প্রত্যয় ও সমাস বাংলা শব্দগঠনের এই তিন উপায় সম্পর্কে বর্ণনা

উপসর্গ:

বাংলা ভাষায় কিছু কিছু অব্যয়সূচক শব্দাংশ বাক্যে পৃথকভাবে স্বাধীন কোনো পদ হিসেবে ব্যবহৃত না হয়ে বিভিন্ন শব্দের শুরুতে আশ্রিত হয়ে ব্যবহৃত হয়। এগুলোকে বলা হয় উপসর্গ। এগুলোর নিজস্ব কোন অর্থ নেই, তবে এগুলো শব্দের পূর্বে ব্যবহৃত হয়ে শব্দের অর্থের পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংকোচন সাধন করে।

উপসর্গ কোন শব্দ নয়, শব্দাংশ। এটি শুধুমাত্র শব্দের শুরুতে যোগ হয়। খেয়াল রাখতে হবে, উপসর্গ শুধুমাত্র শব্দেরই আগে বসে, কোন শব্দাংশের আগে বসে না। সুতরাং যে শব্দকে ভাঙলে বা সন্ধিবিচ্ছেদ করলে কোন মৌলিক শব্দ পাওয়া যায় না, তার শুরুতে কোন উপসর্গের মতো শব্দাংশ থাকলেও সেটা উপসর্গ নয়। এক্ষেত্রে নতুন শব্দের সঙ্গে মৌলিক শব্দটির কোন অর্থগত সম্পর্ক নাও থাকতে পারে। শব্দের শুরুতে যোগ হয়ে এটি- নতুন শব্দ তৈরি করতে পারে, অর্থের সম্প্রসারণ করতে পারে, অর্থের সংকোচন করতে পারে এবং অর্থের পরিবর্তন করতে পারে।

উপসর্গের নিজস্ব অর্থবাচকতা বা অর্থ নেই, কিন্তু অন্য কোন শব্দের আগে বসে নতুন শব্দ তৈরির ক্ষমতা বা অর্থদ্যোতকতা আছে। যেমন, ‘আড়’ একটি উপসর্গ, যার নিজস্ব কোন অর্থ নেই। কিন্তু এটি যখন ‘চোখে’র আগে বসবে তখন একটি নতুন শব্দ ‘আড়চোখে’ তৈরি করে, যার অর্থ বাঁকা চোখে। অর্থাৎ, এখানে আড় উপসর্গটি চোখে শব্দের অর্থের পরিবর্তন করেছে। আবার এটিই ‘পাগলা’র আগে বসে তৈরি করে ‘আড়পাগলা’, যার অর্থ পুরোপুরি নয়, বরং খানিকটা পাগলা। এখানে পাগলা শব্দের অর্থের সংকোচন ঘটেছে। আবার ‘গড়া’ শব্দের আগে বসে তৈরি করে ‘আড়গড়া’ শব্দটি, যার অর্থ আস্তাবল। এখানে আবার শব্দের অর্থ পুরোপুরিই পরিবর্তিত হয়ে গেছে। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে, উপসর্গের নিজস্ব অর্থবাচকতা না থাকলেও তার অর্থদ্যোতকতা আছে। উপসর্গ অন্য কোন শব্দের আগে বসে নতুন শব্দ তৈরি করতে পারে।

নিচে বাংলা উপসর্গগুলোর প্রয়োগ দেখানো হলো:-

উপসর্গঅর্থউদাহরণ/ প্রয়োগ
নিন্দিতঅকেজো (নিন্দিত কাজ করে যে), অচেনা, অপয়া
অভাবঅচিন (চিন-পরিচয়ের অভাব), অজানা, অথৈ
ক্রমাগতঅঝোর (ক্রমাগতভাবে ঝরতে থাকা), অঝোরে
অঘাবোকাঅঘারাম, অঘাচন্ডী
অজনিতান্ত/ মন্দঅজপাড়াগাঁ (একেবারে নিতান্তই পাড়াগাঁ), অজমূর্খ, অজপুকুর
অনাঅভাবঅনাবৃষ্টি (বৃষ্টির অভাব), অনাদর
ছাড়াঅনাছিষ্টি (সৃষ্টিছাড়া), অনাচার
অশুভঅনামুখো (অশুভ, মুখ যার অশুভ)
অভাবআলুনি (লবনের অভাব), আকাঁড়া, আধোয়া

প্রত্যয়:-

যেসব বিষয় নিয়ে আজকের আলোচনা হয়েছে সেগুলো হল প্রাতিপদিক, ক্রিয়ামূল বা ধাতু, প্রকৃতি, প্রত্যয়, নাম প্রকৃতি, ক্রিয়া প্রকৃতি, কৃৎ প্রত্যয়, তদ্ধিত প্রত্যয়, কৃদন্ত পদ, তদ্ধিতান্ত পদ, গুণ, বৃদ্ধি, ইৎ, কৃৎ প্রত্যয়,বাংলা কৃৎ প্রত্যয়, সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয়, তদ্ধিত প্রত্যয়, বাংলা তদ্ধিত প্রত্যয়,সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়, বিদেশি তদ্ধিত প্রত্যয় ইত্যাদি।

মূলশব্দ বা মৌলিক শব্দের সঙ্গে যে অতিরিক্ত শব্দাংশ যুক্ত হয়ে নতুন নামপদ গঠন করে, তাকে প্রত্যয় বলে। অর্থাৎ, প্রাতিপদিক ও ধাতুর সঙ্গে যেই শব্দাংশ যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে, তাদেরকেই প্রত্যয় বলে। উপরের উদাহরণে, লাজুক শব্দের প্রকৃতি ‘লাজ’-এর সঙ্গে প্রত্যয় ‘উক’ যুক্ত হয়ে গঠিত হয়েছে ‘লাজুক’ শব্দটি।

১ নং সূত্র:

শব্দের শেষে যদি ”ব” প্রত্যয় যুক্ত থাকে তাহলে আমরা মূল শব্দের সাথে “ষ্ণ” যুক্ত করবো। উদাহরণ দিলে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে। উদাহরণ:

  • মানব=মনু+ষ্ণ । এটি তদ্ধিত প্রত্যয়।
  • দানব=দনু+ষ্ণ । এটি তদ্ধিত প্রত্যয় ইত্যাদি।

২ নং সূত্র:

শব্দের শেষে যদি ”মা” এবং ”ম”প্রত্যয় থাকে তাহলে আমরা মূল শব্দের সাথে “ইমন” যুক্ত করবো। উদাহরণ দিলে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে। উদাহরণ:

  • নীলিমা=নীল+ইমন । এটি তদ্ধিত প্রত্যয়।
  • পূর্ণিমা =পূর্ণ +ইমন । এটি তদ্ধিত প্রত্যয়।
  • দ্রাঘিমা =দীর্ঘ +ইমন । এটি তদ্ধিত প্রত্যয়।
  • মহিমা =মহৎ +ইমন । এটি তদ্ধিত প্রত্যয়।

৩ নং সূত্র:

শব্দের শেষে যদি ‘ইক’ প্রত্যয় থাকে তাহলে আমরা মূল শব্দের সাথে “ষ্ণিক” যুক্ত করবো। উদাহরণ দিলে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে। উদাহরণ:

  • সাহিত্যিক=সাহিত্য+ষ্ণিক । এটি তদ্ধিত প্রত্যয়।
  • সামাজিক =সমাজ +ষ্ণিক । এটি তদ্ধিত প্রত্যয়।
  • হৈমন্তিক =হেমন্ত +ষ্ণিক । এটি তদ্ধিত প্রত্যয়।
  • ধার্মিক =ধর্ম +ষ্ণিক । এটি তদ্ধিত প্রত্যয়।

৪ নং সূত্র:

শব্দের শেষে যদি ‘মান’প্রত্যয় থাকে তাহলে আমরা মূল শব্দের সাথে “মতুপ/শানচ” যুক্ত করবো। উদাহরণ দিলে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে। উদাহরণ:

  • কীর্তিমান =কীর্তি+মতুপ/শানচ । এটি তদ্ধিত প্রত্যয়।
  • বুদ্ধিমান =বুদ্ধি +মতুপ/শানচ । এটি তদ্ধিত প্রত্যয়।
  • শ্রীমান =শ্রী+মতুপ/শানচ । এটি তদ্ধিত প্রত্যয়।
  • বর্তমান=√বৃত+মতুপ/শানচ । এটি কৃৎপ্রত্যয়।
  • বর্ধমান =√বৃধ+মতুপ/শানচ । এটি কৃৎপ্রত্যয়।

আপনারা হয়তো লক্ষ্য করেছেন, এখান ” মতুপ” ও “শানচ” দুটোই ব্যবহার করা হয়েছে। এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন হতে পারে দুইটার কোনটি ইউজ করব। এখানে উত্তর হচ্ছে যেকোনো একটি ব্যবহার করলেই হবে। এতে কোন সমস্যা নেই। যেহেতু যেকোনো একটি ব্যবহার করলেই হবে তাই আমরা উদাহরণে দুটোই ব্যবহার করে দেখিয়েছি।

সমাস :

১: সমাস নির্ণয় করার আগে সমস্তপদটির অর্থ জানতে হবে। সমস্তপদের অর্থ না জেনে সমাস নির্ণয় করা প্রায় অসম্ভব। এখানে আর‌ও একটি কথা বলে রাখা ভালো, কোনো শব্দের প্রচলিত অর্থ ও মূল অর্থ আলাদা হলে মূল ও আদি অর্থটিই সমাস নির্ণয়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে হবে। যেমন: গবেষণা শব্দের ব্যাসবাক্য হবে গো-এর এষণা, অর্থাৎ গোরু খোঁজা। বর্তমানে এই অর্থে শব্দটির ব্যবহার হয় না, কিন্তু সমাসে এই অর্থটিই ধরতে হবে। এর কারণ, সমাসবদ্ধ শব্দটি যখন তৈরি হয়েছিল, তখন এই ভাবেই হয়েছিল।

২: সমাস নির্ণয়ের দ্বিতীয় ধাপে ব্যাসবাক্য নির্ণয় করতে হবে। ব্যাসবাক্য নির্ণয় করতে গিয়ে ঘাবড়ে যাওয়ার কিছু নেই। যদি সমাসবদ্ধ শব্দটির অর্থ জানা থাকে, তাহলে শব্দের মূল অর্থটিকে বিশ্লেষণ করলেই ব্যাসবাক্যটি পাওয়া যায়। এখানে খেয়াল রাখতে হবে, সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত ও সবচেয়ে যথাযথ বিশ্লেষণটি করতে হবে। যথাসম্ভব কম শব্দ ব্যবহার করতে হবে। এক একটি ব্যাসবাক্যকে চাইলে বড়ো করা যায়, কিন্তু তা করা যাবে না।

৩: সমাস নির্ণয়ের তৃতীয় ধাপে দেখতে হবে অর্থপ্রাধান্য কোন পদটির আছে। অর্থপ্রাধান্য নির্ণয় করা খুব কঠিন কাজ নয়। একটি উদাহরণ দিলেই বোঝা যাবে। যেমন: হিমশীতল = হিমের মতো শীতল। অর্থাৎ বরফের মতো ঠাণ্ডা। এখন দেখতে হবে সমস্তপদটি কাকে বোঝাচ্ছে, বরফকে, নাকি শীতলকে। হিমশীতল বললে কি বরফ বোঝায়? নাকি খুব ঠাণ্ডা বোঝায়? লক্ষণীয় বিষয়: পরপদটি বিশেষণ, সমস্তপদটিও বিশেষণ। তাই এভাবেও বোঝা যাচ্ছে পরপদের প্রাধান্য।

আর একটি উদাহরণ নিয়ে দেখি: আকণ্ঠ = কণ্ঠ পর্যন্ত। আকণ্ঠ বললে কণ্ঠকে বোঝায়, নাকি কণ্ঠ পর্যন্ত বিস্তৃতি বোঝায়? সহজেই বুঝতে পারছি আকণ্ঠ বলতে কার‌ও গলা বোঝাচ্ছে না, পর্যন্তের ভাবটিই প্রাধান্য পাচ্ছে।

৪: চতুর্থ ধাপে এসে সমাসের নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। পূর্বপদ, পরপদ বা অন্যপদের অর্থপ্রাধান্য পেয়ে যাওয়ার পর আমরা সমাসকে মূল ভাগগুলিতে বিভক্ত করে ফেলতে পারবো। পরপদ প্রধান হলে তৎপুরুষ, কর্মধারয়, দ্বিগু বা নিত্য সমাস হবে। অন্যপদ প্রধান হলে বহুব্রীহি হবে ও উভয়পদ প্রধান হলে দ্বন্দ্ব হবে। অব্যয়ীভাব হবে নির্দিষ্ট কয়েকটি ক্ষেত্রে। সমাসের মূল তিনটি আলোচনায় এই বিষয়ে বলেছি।

২. ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধ থেকে উপসর্গ ও প্রত্যয় সাধিত শব্দ শনাক্ত ও বিশ্লেষণ

উপসর্গ সাধিত শব্দ প্রত্যয় সাধিত শব্দ

  • অসুবিধে= অ+সুবিধে
  • বৈষ্ণব= বিষ্ণু+ ষ্ণ
  • অভিব্যক্তি= অভি+ব্যাক্তি
  • অপ্রয়ােজনীয়= অ+প্রয়ােজনীয়
  • সৌন্দর্য = সুন্দর+ষ্ণ
  • অতিপ্রাকৃত= অতি + প্রাকৃত
  • সুনির্দিষ্ট সু+ নির্দিষ্ট

৩. ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধ থেকে সমাস সাধিত শব্দ শনাক্ত ও বিশ্লেষণ

  • মহাকাব্য =মহা যে কাব্য
  • নীলদর্পন= নীল যে দর্পন
  • মহাকাশ=মহা যে আকাশ
  • মন্ত্রমুগ্ধ= মন্ত্র দ্বারা মুগ্ধ
  • ত্রুটিবিচ্যুতি = ত্রুটি ও বিচতি

এই ছিল তোমাদের ১০ম শ্রেণির ১ম সপ্তাহের বাংলা এসাইনমেন্ট সমাধান ২০২২– বাংলা শব্দগঠনের উপায় বর্ণনা এবং ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ গল্প থেকে সাধিত শব্দ বিশ্লেষণ।

আরো দেখুন-

সকল স্তরের শিক্ষা সংক্রান্ত সঠিক তথ্য, সরকারি-বেসরকারি চাকুরি বিজ্ঞপ্তি, চাকুরির পরীক্ষা, এডমিট কার্ড, পরীক্ষার রুটিন, সরকারি বেসরকারি বৃত্তি, উপবৃত্তি ও প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত তথ্য সবার আগে পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজটি Follow করে রাখুন। ইউটিউবে সর্বশেষ আপডেট পেতে বাংলা নোটিশ ডট কম এর ইউটিউব চ্যানেলটি Subscribe করে রাখুন। আপনার প্রতিষ্ঠানের যেকোন বিজ্ঞপ্তি, খবর, নোটিশ ও জাতীয় রাজনৈতিক বিষয়ে লেখা প্রকাশ করতে চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা নোটিশ ডট কম এর প্রকাশক ও সম্পাদক জনাব আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া। জন্ম ১৯৯৩ সালের ২০ নভেম্বর, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায়। বাবা আবদুল গফুর ভূঁইয়া এবং মা রহিমা বেগম। এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে আবদুল্লাহ আল আরিয়ান বয়স ৫ বছর। মেয়ে ফাবিহা জান্নাত বয়স ১ বছর। আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া এর শিক্ষাজীবন আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে ২০১৮ সালে ম্যানেজমেন্ট এ স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি উত্তরা ইউনিভার্সিটি ঢাকা থেকে বিপিএড সম্পন্ন করেন। আজিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শুরু। এরপর আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজ লাকসাম উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কিছুদিন ক্লাস করার পর। পারিবারিক কারণে নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজ এ কিছুদিন রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করার পর ভালো না লাগায় পুনরায় ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ছাত্র জীবনে তিনি নানা রকম সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। কর্মজীবন কর্মজীবনের শুরুতে তিনি আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় যোগদেন। বেশ কিছুদিন পর তিনি ২০১৯ সালে উন্নত ভবিষ্যতের আশায় কুয়েত পারি জমান। কিন্তু সেখানকার কাজের পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় পুনরায় আবার বাংলাদেশে ফিরে এসে পূর্বের পদে কাজে যোগদান করে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন। এছাড়াও তিনি স্বপ্ন গ্রাফিক্স এন্ড নেটওয়ার্ক নামে একটি মাল্টিমিডিয়া এবং প্রিন্টিং প্রেস প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধীকারী সেই সাথে স্বপ্ন ইশকুল নামক একটি কম্পিউটার ট্রেণিং ইনস্টিটিউট এর মালিকানায় আছেন যেখানে তিনি নিজেই ক্লাস পরিচালনা করেন। লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্ম ছাত্র অবস্থায় তিনি লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্মের সাথে জড়িত আছেন। ২০১১ সালে রাইটার্স এসোসিয়েশন এর ম্যাগাজিনে তার প্রথম লেখা বন্ধু চিরন্তন প্রকাশিত হয়। এর পর তিনি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Close

অ্যাডস্ ব্লকার পাওয়া গেছে!

দয়া করে আমাদের সাপোর্ট করার জন্য আপনার এডস্ ব্লকার ডিজেবল করে পেইজটি রিলোড করুন! ধন্যবাদ