সর্বশেষ আপটেড

এন্টিবায়ােটিক সিরাপ ঝাঁকিয়ে খেতে হয় কেন – দুধ কী জাতীয় মিশ্রণ

বন্ধুরা আজ তোমাদের সাথে ৬ষ্ঠ (ষষ্ঠ) শ্রেণির বিজ্ঞান বিষয়ের অষ্টম অধ্যায়: মিশ্রণ এবং একাদশ অধ্যায়: বল এবং সরল যন্ত্র থেকে এন্টিবায়ােটিক সিরাপ ঝাঁকিয়ে খেতে হয় কেন – দুধ কী জাতীয় মিশ্রণ এবং লিভার একটি সরল যন্ত্র এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবো; আজকের পাঠ শেষে এন্টিবায়ােটিক সিরাপ ঝাঁকিয়ে খেতে হয় কেন – দুধ কী জাতীয় মিশ্রণ তা ব্যাখ্যা করতে পারবে এবং ৬ষ্ঠ শ্রেণির ৫ম এসাইনমেন্ট এর বিজ্ঞান বিষয়ের উত্তর করতে পারবে;

আজকের আলোচনা শেষে তোমরা যেসকল প্রশ্নের উত্তর করতে পারবে-

এ্যাসাইনমেন্ট/নির্ধারিত কাজ:

  • ১। এন্টিবায়ােটিক সিরাপ ঝাঁকিয়ে খেতে হয় কেন? এই মিশ্রণকে কী বলে?
  • ২। দুধ কী জাতীয় মিশ্রণ, ব্যাখ্যা কর।
  • ৩। নিচের ছকে ছবিগুলাে দেখে i) ও ii) নং এর উত্তর দাও:
সরল যন্ত্র i) কোন শ্রেণির লিভার যুক্তি দাও কীভাবে যান্ত্রিক সুবিধা বাড়ানো যায়

তাহলে কথা না বাড়িয়ে চলো শুরু করি আমাদের আজকের আলোচনা-

১। এন্টিবায়ােটিক সিরাপ ঝাঁকিয়ে খেতে হয় কেন? এই মিশ্রণকে কী বলে?

উত্তর: এন্টিবায়োটিক সিরাপ ঝাঁকিয়ে খেতে হয়। কারণ-

এটি একটি সাসপেনশন। এটি এক ধরনের মিশ্রণ যা অনেকক্ষণ যাবৎ রেখে দিলে উপাদানসমূহ আংশিকভাবে আলাদা হয়ে যায় ও বোতলের নিচে তলানি পড়ে যায়।

এ অবস্থায় বোতলে থাকা ঔষধ পান করলে তা সঠিকভাবে কাজ করে না।

তাই সেবনের পূর্বে এন্টিবায়োটিক সিরাপ ঝাঁকিয়ে নিতে হয়।

এই মিশ্রণকে Suspension বলা হয়। সাসপেনসনের ক্ষেত্রে উপকরণগুলো চিহ্নিত করা গেলেও সহজে আলাদা করা যায় না।

২। দুধ কী জাতীয় মিশ্রণ, ব্যাখ্যা কর।

উত্তর: দুধ কলয়েড জাতীয় মিশ্রণ। ব্যাখ্যা করা হলো-

কলয়েড হল এমন এক ধরনের মিশ্রণ, যেখানে অতিক্ষুদ্র কোন বস্তুকণা অপর বস্তুকণার মাঝে ভাসমান অবস্থায় থাকে এবং রেখে দিলে কখনোই কোনো তলানি পড়ে না।

দুধ হলো পানি ও চর্বির কলয়েড। যেখানে চর্বির কণাগুলো পানিতে দ্রবীভূত না হয়ে ছড়িয়ে থাকে।

দুধে পানির পরিমাণ বেশি বলে এটিকে অবিচ্ছিন্ন ফেজ বা দশা এবং চর্বির পরিমাণ কম বলে এটিকে ডিসপারসড ফেজ বা দশা বলে৷

এক্ষেত্রে ভাসমান কণাগুলোর আকার ১-১০০০ ন্যানোমিটার হয়ে থাকে।

৩। নিচের ছকে ছবিগুলাে দেখে i) ও ii) নং এর উত্তর দাও:

উত্তর: লিভার হলো একটি সরল যন্ত্র, যাতে একটি শক্ত দণ্ড কোনো অবলম্বনের কোনো কিছুর উপর ভর করে মুক্তভাবে ওঠানামা করে বা ঘোরে।

শক্ত দণ্ডটিকে ঠেকানোর জন্য কোনো অবলম্বনের যে বিন্দুতে মুক্তভাবে ওঠানামা করে বা ঘোরে তা হলো ফালক্রাম।

লিভার কোনো ভারি বস্তুকে কম বল প্রয়োগ করে উঠাতে বা সরাতে সহায়তা করে।

নিচের ছবির আলোকে উত্তর দেওয়া হল: 

সরল যন্ত্র i) কোন শ্রেণির লিভার যুক্তি দাও কীভাবে যান্ত্রিক সুবিধা বাড়ানো যায়
লিভার একটি সরল যন্ত্র, এন্টিবায়ােটিক সিরাপ ঝাঁকিয়ে খেতে হয় কেন - দুধ কী জাতীয় মিশ্রণ ১ম চিত্রের যাঁতি হলো ২য় শ্রেণির লিভার।

কারণ, এই ক্ষেত্রে ভার থাকে মাঝখানে এবং প্রযুক্ত বল ও ফালক্রাম দুই প্রান্তে অবস্থান করে।

 

যাঁতির ক্ষেত্রে ভর (যেমন সুপারি) কে যত বেশি ফালক্রামের কাছে রাখা যাবে,

সুপারি কাটতে তত কম বল প্রয়োগ করতে হবে।

এক্ষেত্রেও ভারবাহুর দৈর্ঘ্য কমিয়ে বা বলবাহুর দৈর্ঘ্য কমিয়ে কাজ সহজ করা হয়।

লিভার একটি সরল যন্ত্র, এন্টিবায়ােটিক সিরাপ ঝাঁকিয়ে খেতে হয় কেন - দুধ কী জাতীয় মিশ্রণ ২য় চিত্রের হাতুড়ি হলো ১ম শ্রেণির লিভার। 
কারণ, এই ক্ষেত্রে ফালক্রামের অবস্থান প্রযুক্ত বল ও ভারের মাঝখানে থাকে।
একটি হাতুড়ির সাধারণত দুই প্রান্ত থাকে।

এক প্রান্ত দিয়ে কাঠে লোহা ঢুকানো হয় এবং অন্য প্রান্তে কাঠ থেকে লোহা বের করা হয়।

হাতুড়ি দিয়ে যখন লোহা বের করা হয় তখন হাত দিয়ে হাতুড়িটির হাতল ধরে বল প্রয়োগ করা হয়।

আবার যেখানে লোহাটি থাকে তার পাশে ঠেস দিয়ে এটি উঠানো হয় যেটি ফালক্রাম হিসেবে কাজ করে।

এক্ষেত্রে লোহা বের করার বাধা ভার হিসেবে কাজ করে।

এখানে ফালক্রামটি মাঝখানে কাজ করে।

এভাবে কাজ করে সুবিধা বাড়ানো যাবে।

এই ছিল তোমাদের জন্য ৬ষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান বিষয়ের অষ্টম অধ্যায়: মিশ্রণ এবং একাদশ অধ্যায়: বল এবং সরল যন্ত্র থেকে এন্টিবায়ােটিক সিরাপ ঝাঁকিয়ে খেতে হয় কেন – দুধ কী জাতীয় মিশ্রণ এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা;

তোমাদের জন্য আজকের টিউনটি পাঠিয়েছে, খাদিজাতুল স্বর্ণা, কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজ

এসাইনমেন্ট সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যার সমাধান পাওয়ার জন্য বাংলা নোটিশ এর ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিন; এখানে দেশের প্রসিদ্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মেধাবী শিক্ষার্থী ও অভিজ্ঞ শিক্ষক মন্ডলী আলোচনার মাধ্যমে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করছে  [Join Now]

আপনার জন্য আরও কিছু তথ্য:

নিয়মিত বাংলা নোটিশ ডট কম ভিজিট করুন এবং ফেসবুক পেইজ Like & Follow করে রাখুন; ইউটিউবে আপডেট পেতে বাংলা নোটিশ ইউটিউব চ্যানেলটি Subscribe করে রাখুন।

আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা নোটিশ ডট কম এর প্রকাশক ও সম্পাদক জনাব আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া। জন্ম ১৯৯৩ সালের ২০ নভেম্বর, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায়। বাবা আবদুল গফুর ভূঁইয়া এবং মা রহিমা বেগম। এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে আবদুল্লাহ আল আরিয়ান বয়স ৫ বছর। মেয়ে ফাবিহা জান্নাত বয়স ১ বছর। আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া এর শিক্ষাজীবন আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে ২০১৮ সালে ম্যানেজমেন্ট এ স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি উত্তরা ইউনিভার্সিটি ঢাকা থেকে বিপিএড সম্পন্ন করেন। আজিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শুরু। এরপর আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজ লাকসাম উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কিছুদিন ক্লাস করার পর। পারিবারিক কারণে নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজ এ কিছুদিন রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করার পর ভালো না লাগায় পুনরায় ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ছাত্র জীবনে তিনি নানা রকম সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। কর্মজীবন কর্মজীবনের শুরুতে তিনি আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় যোগদেন। বেশ কিছুদিন পর তিনি ২০১৯ সালে উন্নত ভবিষ্যতের আশায় কুয়েত পারি জমান। কিন্তু সেখানকার কাজের পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় পুনরায় আবার বাংলাদেশে ফিরে এসে পূর্বের পদে কাজে যোগদান করে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন। এছাড়াও তিনি স্বপ্ন গ্রাফিক্স এন্ড নেটওয়ার্ক নামে একটি মাল্টিমিডিয়া এবং প্রিন্টিং প্রেস প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধীকারী সেই সাথে স্বপ্ন ইশকুল নামক একটি কম্পিউটার ট্রেণিং ইনস্টিটিউট এর মালিকানায় আছেন যেখানে তিনি নিজেই ক্লাস পরিচালনা করেন। লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্ম ছাত্র অবস্থায় তিনি লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্মের সাথে জড়িত আছেন। ২০১১ সালে রাইটার্স এসোসিয়েশন এর ম্যাগাজিনে তার প্রথম লেখা বন্ধু চিরন্তন প্রকাশিত হয়। এর পর তিনি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন।

Related Articles

3 Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Close

অ্যাডস্ ব্লকার পাওয়া গেছে!

দয়া করে আমাদের সাপোর্ট করার জন্য আপনার এডস্ ব্লকার ডিজেবল করে পেইজটি রিলোড করুন! ধন্যবাদ