সৎকর্মে সফলতা ও অসৎ কর্মে বিফলতা- যৌক্তিকতা নিরূপণ
প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ, আশা করছি সবাই ভালো আছো। তোমরা কি ৯ম শ্রেণি ১৫তম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২১ ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয় এর উত্তর সম্পর্কে ধারণা নিতে চাচ্ছো? কিংবা এসাইনমেন্টটি কিভাবে প্রস্তুত করতে হয় সে সম্পর্কে জানতে আগ্রহী? তাহলে বলবো তোমরা ঠিক ওয়েবসাইটে এসেছো। তোমাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটিতে রয়েছে ৯ম শ্রেণির ১৫তম সপ্তাহের ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা অ্যাসাইনমেন্টের বাছাইকরা উত্তর– সৎকর্মে সফলতা ও অসৎ কর্মে বিফলতা- যৌক্তিকতা নিরূপণ।
মূল্যায়নের লক্ষ্যে প্রকাশিত নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ১৫তম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে সম্পন্ন করার পর সংশ্লিষ্ট বিষয়ে শিক্ষকের নিকট জমা দিবে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষকেরা মূল্যায়ন করে যথাযথ নিয়মে সংরক্ষণ করবেন। তোমাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটিতে রয়েছে ৯ম শ্রেণি ১৫তম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২১ ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা এর বাছাইকরা সমাধান।
৯ম শ্রেণির ১৫তম সপ্তাহের ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা অ্যাসাইনমেন্ট ২০২১
সৎকর্মে সফলতা ও অসৎ কর্মে বিফলতা- যৌক্তিকতা নিরূপণ
সৎ উদ্দেশ্য ও সৎকর্ম হচ্ছে ব্যক্তি চরিত্রের দুই প্রধান গুরুত্বপূর্ণ দিক। উদ্দেশ্য সৎ না হলে কোনো অবস্থায়ই কর্ম সৎ হতে পারে না। তাই মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘সৎ উদ্দেশ্য বা নিয়ত ব্যতীত কোনো কর্মই গ্রহণযোগ্য নয়।’ সুতরাং লৌকিকতা প্রদর্শনের জন্য কেউ কোনো এবাদত বন্দেগি করলে তা আল্লাহর দরবারে গৃহীত হয় না, এরূপ এবাদত পালনকারী আল্লাহর পুরস্কার নয়, তিরস্কারই লাভ করে থাকে। সৎকর্ম করা এবং অসৎ কর্ম হতে বিরত থাকা প্রত্যেকের সদিচ্ছা ও সদুদ্দেশ্যের ওপর নির্ভর করে। আল্লাহর পক্ষ হতে মানুষকে এই অধিকার ও স্বাধীনতা প্রদত্ত হয়েছে। পবিত্র হাদিস হতেও এর প্রমাণ পাওয়া যায়। হজরত আবু সাঈদ খুদরী (রা.) ও হজরত জাবের (রা.) কর্তৃক বর্ণিত, নবী কারিম (সা.) বলেছেন,
‘প্রত্যেক ব্যক্তি তার নিজের জন্য দায়ী, যে ইচ্ছা করলে সেসব লোকের পথ অনুসরণ করতে পারে, যাদের ওপর আল্লাহর রহমত বর্ষিত হয়েছে। অথবা সে ঐ সকল পথ অনুসরণ করতে পারে যেগুলোর ওপর আল্লাহর অভিশাপ অবতীর্ণ হওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।’
সৎকর্মে সফলতা ও অসৎ কর্মে বিফলতা- যৌক্তিকতা নিরূপণ।
এতে কোনো সন্দেহ নেই, যে ব্যক্তি ভ্রান্ত পথে পরিচালিত হয় তাকে এর শাস্তি ভোগ করতে হবে এবং যে ব্যক্তি সঠিক ও সৎ পথের অনুসরণ করে সে তার প্রতিদান লাভ করবে। কেননা, আল্লাহ তাআলা প্রত্যেকের উদ্দেশ্য ও কর্ম সম্পর্কে ওয়াকেফহাল, তিনিই তার প্রতিদান দেবেন। আল্লাহ তাআলা যখন সকল বিষয়ে অবগত, তখন মিথ্যা, খোশামোদ-তোশামোদ, লৌকিকতা কিংবা মোনাফেকি প্রদর্শন করে নিজের অমঙ্গল সাধন না করাই ভালো, কেননা ইসলামের শিক্ষা হচ্ছে এই যে, কেবল মোনাফেকি হতে বিরত থাকাটাই যথেষ্ট নয় বরং মোনাফেকদের সংস্রব এবং তাদের সাহায্য-সহযোগিতা হতেও দূরে থাকা আবশ্যক। কারণ মোনাফেকের মন আন্তরিকতা হতে বঞ্চিত এবং কপটতায় পরিপূর্ণ, অসৎ উদ্দেশ্য সাধনই হচ্ছে এদের কাম্য। যেখানে মোনাফেকের আগমন ঘটবে সেখানে সৎ মনোভাবাপন্ন লোকদের পক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে বাস করা কঠিন হয়ে পড়ে।
মোনাফেকদের একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এই যে, তারা নিজেদের অপকর্ম সৎ লোকদের স্কন্ধে চাপিয়ে দিতে বিশেষ পারদর্শী। এই কাজ অতি কৌশলেই তারা সম্পাদন করে থাকে এবং সঙ্গীরা তাদের প্রতারণার শিকারে পরিণত হয়ে নানা প্রকার দুষ্কর্ম করতে দ্বিধাবোধ করে না। মোনাফেকরা হজরত রাসূলে করিম (সা.)-এর আমলে এরূপ বহু ঘটনা ঘটিয়েছিল। তাই আল্লাহ তাআলা কোরআন শরীফের মাধ্যমে রসূলুল্লাহ (সা.)-কে এ ধরনের লোকদের সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা একই সঙ্গে সে সকল লোককেও হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন, যারা মোনাফেকদের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন করে, তাদের সাহায্য-সহযোগিতা করে এবং তাদের অপরাধ গোপন রাখতে ও কর্মফল ভোগ করা হতে তাদের রক্ষা করতে চায়। আল্লাহ তাআলা বলেন,
‘আচ্ছা, তোমরা তো জাগতিক জীবনে তাদের অনুসরণ অথবা জবাবদিহির কথা বলছো, কিন্তু কেয়ামতের দিন আল্লাহর দরবারে তাদের পক্ষ হতে কে জবাবদিহি করবে অথবা কে তাদের কাজ সমাধা করবে?’ (সূরা: নিসা)।
সৎকর্মে সফলতা ও অসৎ কর্মে বিফলতা- যৌক্তিকতা নিরূপণ।
অর্থাৎ, আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী দুনিয়াতে যদি কোনো ব্যক্তি তাদের কথা ও কাজের পার্থক্যকে গোপন করে, তাহলে পরকালে এই পাপ মোচনের কি উপায় থাকবে। সৎকর্ম বা আমালে সালেহ হলো ভালো মানুষের অন্যতম গুণ। সৎকর্মের মাধ্যমেই মানুষের ভেতরের সৎগুণের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। আমরা চোখে মানুষের ভেতরটা দেখতে পাই না। মানুষের দোষ-গুণ বা ভালো-মন্দের প্রতিফলন আমরা দেখতে পাই তার কাজকর্ম ও আচার-ব্যবহারের মধ্যে। এক কথায় বলা যায়, সৃষ্টির কল্যাণে কাজ করাই সৎকর্ম। সৎকর্মশীল ব্যক্তিরা দুনিয়ায় যেমন সম্মানিত হন, তেমনি আল্লাহর কাছেও তাঁরা প্রিয়।
বিশ্বাসী হওয়ার পর ‘মানবসেবা’ একটি অন্যতম ইবাদত ও সৎকর্মের অন্তর্ভুক্ত। ‘মানুষের জন্য মানুষ’-এ স্লোগানে নিজের জীবনকে তৈরি করে অপরের কল্যাণে দৌড়ে যাওয়া, আত্মনিয়োগ করা, তাদের ইমান-আমানের ফিকির করা, অপরের দুঃখে দুঃখিত হওয়া, নিজের স্বার্থের ওপর অন্যের স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়া মানবতার মূল দাবি। রসুল (সা.) সারাটি জীবন মানুষের উপকারে ব্যয় করেছেন। মানবতাকে দুনিয়া ও আখিরাতে মুক্তির পথ বাতলে দিয়েছেন। এছাড়াও দেশের প্রাকৃতিক দূর্যোগ, মহামারিতে অন্যের সাহায্যে এগিয়ে যাওয়া বড় সৎকর্ম। আর্থিক সাহায্য করতে না পারলে দোয়া করে অসহায়দের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করাও সৎকর্মের অন্তর্ভুক্ত।
সৎকর্মের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে মহান আল্লাহ রব্বুল আলামীন পবিত্র কোরআনে সূরা বাকারার ১৭৭নং আয়াতে বলেন,
‘সৎকর্ম শুধু এই নয় যে, পূর্ব কিংবা পশ্চিম দিকে মুখ করবে! বরং বড় সৎকাজ হলো এই যে, ঈমান আনবে আল্লাহর উপর, কিয়ামত দিবসের উপর, ফেরেশতাদের উপর এবং সমস্ত নবী-রসূলগণের উপর; আর সম্পদ ব্যয় করবে তাঁরই মহব্বতে আত্নীয়-স্বজন, এতীম-মিসকীন, মুসাফির-ভিক্ষুক ও মুক্তিকামী ক্রীতদাসদের জন্যে। আর যারা নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত দান করে এবং যারা কৃত প্রতিজ্ঞা সম্পাদনকারী এবং অভাবে, রোগে-শোকে ও যুদ্ধের সময় ধৈর্য্য ধারণকারী তারাই হলো সত্যাশ্রয়ী, আর তারাই আল্লাহভীরু।’
সৎকর্মশীলদের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করে পবিত্র কোরআনে সূরা আলে ইমরানের ১১৪ নং আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন,
‘তারা আল্লাহ ও আখেরাতকে বিশ্বাস করে, সৎকর্মে অন্যদের অনুপ্রাণিত করে, অন্যায় করতে নিষেধ করে এবং তারা সাধ্যমতো সৎকর্ম করে। এরাই সৎকর্মশীল।’
মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে সূরা আল-বাকারার ১৪৮ নং আয়াতে বলেছেন,
‘প্রত্যেকেরই একটি লক্ষ্য আছে; যা তার কর্মধারাকে পরিচালনা করে। অতএব তোমরা সৎকর্মে (নিজের সাথে) প্রতিযোগিতা করো। তোমরা যেখানেই থাকো না কেন, আল্লাহ তোমাদের সকলকে সমবেত করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান। ’
কোরআনে একই সূরার ১৯৫ নং আয়াতে আল্লাহ বলেছেন,
‘আর আল্লাহর পথে মুক্তহস্তে ব্যয় করো। (মুক্তহস্তে ব্যয় না করে) নিজের হাতে নিজের সর্বনাশ করো না। সৎকর্মে ক্রমাগত লেগে থাকো। কারণ আল্লাহ সৎকর্মশীলদের ভালবাসেন।’
সূরা আল-ইমরানের ১৪৮ নং আয়াতে বলেছেন,
‘তারপর আল্লাহ তাদের পৃথিবীতে পুরস্কৃত করেছেন এবং আখেরাতে পুরস্কৃত করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সৎকর্মশীলদের ভালবাসেন।’
আল্লাহ তায়ালা সূরা আন-নিসার ১১৪ নং আয়াতে বলেন,
‘অধিকাংশ গোপন সলাপরামর্শই মানুষের কোনো কল্যাণে আসে না। তবে কেউ যদি গোপনে দান-খয়রাত, সৎকর্ম বা মানুষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি দূর করে শান্তি স্থাপনের পরামর্শ দেয়, তবে তা নিশ্চয়ই ভালো কাজ। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যে কেউ যদি তা করে, তাহলে আমি তাকে মহাপুরস্কারে ভূষিত করবো।’
মহান আল্লাহ সূরা মায়েদার ২নং আয়াতের শেষাংশে বলেন,
‘হে বিশ্বাসীগণ! সৎকর্মে ও আল্লাহ-সচেতনতা সৃষ্টিতে তোমরা পরস্পরকে সহযোগিতা করবে। অন্যায় ও শত্রুতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করা থেকে সবসময় বিরত থাকবে। আল্লাহ-সচেতন হও। কারণ আল্লাহ শাস্তিদানেও কঠোর।’
সূরা হা-মীম আস-সাজদাহ-এর ৪৬নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন,
‘আসলে যে সৎকর্ম করে, সে নিজের ভালোর জন্যেই তা করে। আর যে অপকর্ম করে, তার প্রতিফলও সে-ই ভোগ করবে। তোমার প্রতিপালক তাঁর বান্দাদের ওপর কখনো জুলুম করেন না।’
মহান রব্বুল আলামীন সূরা জাসিয়ার ১৫নং আয়াতে বলেন,
‘আসলে যে সৎকর্ম করে, সে নিজের কল্যাণের জন্যে তা করে। আর কেউ অপকর্ম করলে তার প্রতিফল সে-ই ভোগ করবে। শেষ পর্যন্ত তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কাছেই ফিরে যাবে।’
সূরা বাইয়েনাহ-এর ৭নং আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন,
‘আর নিশ্চয়ই যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্মশীল, তারাই সৃষ্টির সেরা।’
এছাড়াও পবিত্র কোরআনে সূরা হজের ১৪ নম্বর আয়াতে আল্লাহ রব্বুল আলামীন ইরশাদ করেন,
‘যারা ইমান আনে ও সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদের দাখিল করবেন জান্নাতে, যার নিম্নদেশে নদী প্রবাহিত।’
সূরা সাদের ২৮ নম্বর আয়াতে ইরশাদ হয়েছে,
‘যারা ইমান আনে ও সৎকর্ম করে এবং যারা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করে বেড়ায়, আমি কি তাদের সমান গণ্য করব? আমি কি মুত্তাকিদের অপরাধীদের সমান গণ্য করব?’
সূরা জিলজালের ৭ ও ৮ নম্বর আয়াতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে,
‘কেউ অণু পরিমাণ সৎকর্ম করলে সে তা দেখবে এবং কেউ অণু পরিমাণ অসৎকর্ম করলে তা-ও সে দেখবে।’
সুরা ‘আসরের ১-৩ নম্বর আয়াতে আল্লাহ ঘোষণা করেন,
‘মহাকালের শপথ, মানুষ অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত, কিন্তু তারা নয়, যারা ইমান আনে ও সৎকর্ম করে…।’
সূরা মুমিনুন-এর ৫৭-৬১ নং আয়াতে বলা হয়েছে,
‘আসলে যারা তাদের প্রতিপালকের (বিরাগভাজন হওয়াকে) ভয় করে, যারা তাঁর বাণীকে বিশ্বাস করে, যারা তাঁর সঙ্গে কাউকে শরিক করে না, যারা তাঁর কাছেই প্রত্যাবর্তন করতে হবে- এই বিশ্বাস নিয়ে কম্পিত হৃদয়ে অন্তর থেকে দান করে, তারাই সৎকর্মে (নিজের সঙ্গে) আসল প্রতিযোগী, তারাই সৎকর্মে অগ্রগামী।’
সূরা লোকমানের ২-৫ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন,
‘প্রজ্ঞাময় কিতাবের এ ঐশীবিধান সৎকর্মশীলদের জন্যে (করুণাময়ের) রহমত ও পথনির্দেশনা। সৎকর্মশীলরা নামাজ কায়েম করে ও যাকাত আদায় করে। তারা অন্তরের গভীর থেকে পরকালে জবাবদিহিতায় বিশ্বাস করে। তারা তাদের প্রতিপালকের হেদায়েতের পথে আছে আর সেজন্যে তারাই অনন্ত কল্যাণ লাভে ধন্য হবে।’
সূরা মূলকের ২নং আয়াতে আল্লাহ বলে দিয়েছেন,
‘তোমাদের মধ্যে সৎকর্মে কে অগ্রগামী তা পরীক্ষার জন্যেই তিনি জীবন সৃষ্টি ও মৃত্যুর ব্যবস্থা করেছেন। (সেইসাথে তোমরা যাতে অনুধাবন করতে পারো) তিনিই মহাপরাক্রমশালী ও সত্যিকারের ক্ষমাশীল।’
ইসলামিক দৃষ্টিতে সৎকর্ম
দান করা, অন্যের জন্য দোয়া করা, জ্ঞান বিতরণ, সদুপদেশ দেয়া, সুন্দর হাসি (হাসিও দানের কাজ করে), অসহায়কে সাহায্য করা, সময়ের সৎ ব্যবহার, সুসন্তান হিসেবে গড়ে তোলা, কঠিন ও বিপদ- সব মুহূর্তেই ধৈর্য্যধারণ করা, ভালো কাজে উদ্বুদ্ধ করা, মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখা, মিষ্টভাষী হওয়া, ক্ষমা করা, শ্রদ্ধাশীল হওয়া, অন্যের উপর খুশি থাকা, রোগী বা অসুস্থকে দেখতে যাওয়া, পথে থাকা ময়ালা-আবর্জনা বা কাটা-ঢিলা দূর করা, স্ত্রীর প্রতি উদার হওয়া।
فَأَلْهَمَهَا فُجُورَهَا وَتَقْوَاهَا
অতঃপর তাকে তার অসৎকর্ম ও সৎকর্মের জ্ঞান দান করেছেন,
قَدْ أَفْلَحَ مَن زَكَّاهَا
যে নিজেকে শুদ্ধ করে, সেই সফলকাম হয়।
وَقَدْ خَابَ مَن دَسَّاها
এবং যে নিজেকে কলুষিত করে, সে ব্যর্থ মনোরথ হয়।
পাঠ্য বইয়ের সূরা শামস এর আয়াত থেকে বলা যায়,,আল্লাহ তায়ালা সৎ অসৎ সবকিছুর জ্ঞান দান করেছে।আমাদের কে নিজে বুঝতে হবে। আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন,যে নিজেকে শুদ্ধ বা সৎ রাখবে সে সফল হবে। যে নিজেকে অসৎ রাখবে সে কুলষিত ব্যর্থ হবে। তাই,আমাদেরকে সৎ কর্ম করতে হবে এবং সবাই কে বলতে হবে। আর অসৎ কর্ম হতে নিজেকে বাচিয়ে রাখতে হবে।
এটিই তোমাদের ৯ম শ্রেণির ১৫তম সপ্তাহের ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা অ্যাসাইনমেন্টের বাছাইকরা উত্তর– সৎকর্মে সফলতা ও অসৎ কর্মে বিফলতা- যৌক্তিকতা নিরূপণ।
আরো দেখুন-
প্রতি সপ্তাহে সকল স্তরের অ্যাসাইনমেন্ট সংক্রান্ত সকল তথ্য পাওয়ার জন্য বাংলা নোটিশ এর ফেসবুক পেজটি লাইক এবং ফলো করে রাখুন ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করে রাখুন এবং প্লে-স্টোর থেকে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপটি ডাউনলোড করে রাখুন।