সর্বশেষ আপটেড

সূর্যকে পরিক্রমণকালে পৃথিবীর চারটি অবস্থায় বাংলাদেশের ঋতু পরিবর্তন

২০২১ সালের মানবিক বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী বন্ধুরা কেমন আছো সবাই? তোমাদের জন্য এসএসসি ২০২১ ভূগোল ও পরিবেশ ২য় অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান বা উত্তর লেখার সুবিধার্থে সূর্যকে পরিক্রমণকালে পৃথিবীর চারটি অবস্থায় বাংলাদেশের ঋতু পরিবর্তন সংক্রান্ত একটি নমুনা আর্টিকেল নিয়ে আজকে হাজির হলাম। এই আর্টিকেলটি অনুসরণ করার মাধ্যমে তোমরা ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারণ করা ভূগোল ও পরিবেশ ৩য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান বা উত্তর খুব সহজে সম্পন্ন করতে পারবে।

তোমরা জানো ইতোমধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক প্রণীত এসএসসি ২০২১ এর সংশোধিত সংক্ষিপ্ত সিলেবাস এর আলোকে সকল সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমূহের মানবিক শাখা থেকে ফরম ফিলাপের শিক্ষার্থীদের জন্য তৃতীয় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টে ভূগোল ও পরিবেশ বিষয়ের একটি নির্ধারিত কাজ প্রদান করেছেন।

এখানে তোমাদের তৃতীয় সপ্তাহে নির্ধারিত সিলেবাস এর আলোকে অর্জিত শিখনফলের মাধ্যমে ভূগোল ও পরিবেশ এর দ্বিতীয় অ্যাসাইনমেন্ট সূর্যকে পরিক্রমণকালে পৃথিবীর চারটি অবস্থায় বাংলাদেশের ঋতু পরিবর্তন সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন রচনা করতে হবে।

আমরা আজকে তোমাদের জন্য ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের জন্য এসএসসি ২০২১ তৃতীয় সপ্তাহের ভূগোল ও পরিবেশ বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান বা নমুনা উত্তর নিয়ে এলাম।

এসএসসি পরীক্ষা ২০২১ ভূগোল ও পরিবেশ ৩য় সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট এর বাছাইকরা নমুনা উত্তর বা সমাধান

যেকোনো বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর লেখার আগে প্রথমেই সেই অ্যাসাইনমেন্ট ভালোভাবে পড়ে নিতে হবে। তাই তোমাদের জন্য প্রথমেই ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষার ভূগোল ও পরিবেশ বিষয়ের তৃতীয় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট নিচের ছবিতে এবং তারপর বিস্তারিত উল্লেখ করা হলো।

স্তরঃ এস.এস.সি পরীক্ষা ২০২১, বিভাগঃ মানবিক, বিষয়ঃ ভূগোল ও পরিবেশ, বিষয় কোডঃ ১১০, মোট নম্বরঃ ১৬, অ্যাসাইনমেন্ট নম্বর-০২

অধ্যায় ও শিরােনামঃ দ্বিতীয় অধ্যায়: মহাবিশ্ব ও আমাদের পৃথিবী;

অ্যাসাইনমেন্টঃ সূর্যকে পরিক্রমণকালে পৃথিবীর চারটি অবস্থায় বাংলাদেশে বিরাজমান ঋতু পরিবর্তন বিষয়ক একটি প্রতিবেদন প্রণয়ন;

শিখনফল/বিষয়বস্তুঃ পরিবর্তনের কারণ ও প্রভাব বিশ্লেষণ করতে পারবে;

নির্দেশনা (সংকেত/ধাপ/পরিধি):

  • ১. প্রয়ােজনে পাঠ্যপুস্তুক, শিক্ষক (ফোনে/অনলাইনে), ইন্টারনেট থেকে তথ্য সংগ্রহ করা যেতে পারে;
  • ২. ঋতু পরিবর্তনের কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে। ঋতু পরিবর্তন প্রক্রিয়ায় পৃথিবীর চারটি অবস্থার চিত্রসহ ব্যাখ্যা করতে হবে;
  • ৩. সূর্যকে পরিক্রমণকালে পৃথিবীর চারটি অবস্থায় বাংলাদেশে বিরাজমান ঋতুর ব্যাখ্যা করতে হবে;

এসএসসি পরীক্ষা ২০২১ ভূগোল ও পরিবেশ ৩য় সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট এর বাছাইকরা নমুনা উত্তর

২০২১ সালের বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের মানবিক শাখার শিক্ষার্থীদের ভূগোল ও পরিবেশ বিষয়ের দ্বিতীয় এসাইনমেন্ট উল্লেখিত নির্দেশনা সমূহ অনুস্বরণ করে তোমাদের জন্য একটি নমুনা প্রতিবেদন দেয়া হলো।

এই আর্টিকেলটি অধ্যায়ন করার মাধ্যমে তোমরা ২০২১ সালের ভূগোল ও পরিবেশ বিষয়ের তৃতীয় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে সহযোগিতা পাবে।

অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর লেখার ক্ষেত্রে তোমরা কোন ভাবেই এটি হুবুহু কপি করে দিবে না। এখান থেকে অর্জিত জ্ঞান কাজে লাগিয়ে তোমরা নিজের মতো করে সৃজনশীল পদ্ধতিতে অ্যাসাইনমেন্ট লেখার চেষ্টা করবে। অন্যথায় তোমাদের অ্যাসাইনমেন্ট বাতিল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সূর্যকে পরিক্রমণকালে পৃথিবীর চারটি অবস্থায় বাংলাদেশে ঋতু পরিবর্তন

ঋতু পরিবর্তনঃ

তাপমাত্রার পার্থক্য অনুসারে সারা বৎসর কে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়।এ প্রতিটি ভাগকে একেকটি ঋতু বলে। তাপমাত্রার পার্থক্য অনুসারে সারাবছরকে চারটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হলো- গ্রীষ্মকাল, শরৎকাল,
শীতকাল ও বসন্তকাল। আমরা জানি, সমগ্র পৃথিবীকে দুটো গোলার্ধে ভাগ করা হয়েছে। নিরক্ষরেখার উপরের দিকের অংশকে উত্তর গোলার্ধ এবং নিচের দিকের অংশকে দক্ষিণ গোলার্ধ ধরা হয়। উত্তর গোলার্ধে যখন গ্রীষ্মকাল, দক্ষিণ গোলার্ধে তখন শীতকাল। এরকম ঋতু পরিবর্তনের কারণসমূহ নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ-

  • পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে দিবারাত্রি তারতম্যের জন্য উত্তাপের হ্রাস বৃদ্ধিঃ
    ঘূর্ণনের কারণে সূর্য পৃথিবীর যে গোলার্ধের নিকট অবস্থান করে তখন সেই গোলার্ধে দিন বড় এবং রাত ছোট। পৃথিবী দিনের বেলায় তাপ গ্রহণ করে ফলে ভূপৃষ্ঠে উত্তপ্ত হয় এবং রাতের বেলায় বিকিরণ করে শীতল হয়। তখন একটি স্থানে বড়দিনে ভূপৃষ্ঠ যে তাপ গ্রহণ করে ছোট রাতে সে তাপ পুরোটা বিকিরণ করতে পারেনা। ঐ স্থানে সঞ্চিত তাপের কারণে আবহাওয়া উষ্ণ হয় এবং তাতে গ্রীষ্মকালে আবহাওয়া পরিলক্ষিত হয়। বিপরীত গোলার্ধে রাত বড় এবং দিন ছোট হওয়াতে দিনের বেলায় যে তাপ গ্রহণ করে রাতের বেলায় সব তাপ বিকিরণ করে ঠান্ডা অনুভূত হয় তখন শীতকাল।

সূর্যকে পরিক্রমণকালে পৃথিবীর চারটি অবস্থায় বাংলাদেশে ঋতু পরিবর্তন

  • পৃথিবীর গোলাকার আকৃতিঃ
    পৃথিবী গোল, তাই পৃথিবীর কোথাও সূর্যরশ্মি লম্বাভাবে পড়ে আবার কোথাও তীর্যকভাবে পড়ে। ফলে তাপমাত্রার পার্থক্য হয় এবং ঋতু পরিবর্তিত হয়।
  • পৃথিবীর উপবৃত্তাকার কক্ষপথঃ
    আবর্তন পথ উপবৃত্তাকার হওয়ায় বছরের বিভিন্ন সময় সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব কমবেশি হয়। এতে তাপমাত্রার পার্থক্য হয়, তাই ঋতু পরিবর্তিত হয়।
  • পৃথিবীর কক্ষপথের কৌণিক অবস্থানঃ
    সূর্যকে পরিক্রমণ এর সময় নিজ কক্ষতলের সঙ্গে পৃথিবীর মেরু রেখা সমকোণে না থেকে ৬৬.৫°কোণে হেলে একই দিকে অবস্থান করে। এতে বছরে একবার পৃথিবীর উত্তর মেরু দক্ষিণ মেরু সূর্যের নিকটবর্তী হয়। যে গোলার্ধে যখন সূর্যের দিকে ঝুঁকে থাকে সেগুলোতে সূর্য লম্বভাবে কিরণ দেয়। তার তাপমাত্রা তখন বেশি হয় এবং দূরে গেলে তাপমাত্রা কম হয়, ফলে ঋতু পরিবর্তন ঘটে।
  • বার্ষিক গতির কারণেঃ
    পৃথিবীর বার্ষিক গতির জন্য সূর্যকিরণ বিভিন্ন স্থানে কমবেশি পড়ার কারণে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা পার্থক্য ঘটছে। ফলে জলবায়ুর বিভিন্নতা হয়। একে ঋতু পরিবর্তন বলে।

আমরা জানি, পৃথিবীতে চারটি ঋতু- গ্রীষ্মকাল, শরৎকাল, শীতকাল ও বসন্তকাল। আমরা এখন দেখব ঋতু কীভাবে পরিবর্তিত হয়। সূর্যকে পরিক্রমণ কাল এ পৃথিবীর চারটি অবস্থা থেকে ঋতু পরিবর্তনের ব্যাখ্যা পাওয়া যায়।

সূর্যকে পরিক্রমণকালে পৃথিবীর চারটি অবস্থায় বাংলাদেশের ঋতু পরিবর্তন

উত্তর গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল ও দক্ষিণ গোলার্ধে শীতকালঃ

২১ মার্চের পর থেকে পৃথিবী তার নিজ কক্ষপথে এগিয়ে চলার সঙ্গে সঙ্গে উত্তর মেরু ক্রমশ সূর্যের দিকে হেলতে থাকে। এর সঙ্গে সঙ্গে যতদিন যায় তত উত্তর মেরুতে আলোকিত অংশ বাড়তে থাকে। এভাবে ২১ শে জুন এ গিয়ে সূর্য কর্কটক্রান্তি রেখার উপর লম্বভাবে কিরণ দিতে থাকে। ফলে ২১ শে জুন উত্তর গোলার্ধে বড় দিন এবং ছোট রাত হয়। ঐদিনই সূর্যের উত্তরায়ন এর শেষ এবং তার পরের দিন থেকে পুনরায় সূর্য দক্ষিণ দিকে আসতে থাকে।

দিন বড় হওয়ার কারণে উত্তর গোলার্ধে ২১শে জুনের দেড় মাস পূর্ব থেকে গ্রীষ্মকাল শুরু হয় এবং পরের দেড় মাস পর্যন্ত গ্রীষ্মকালে স্থায়ী হয়। এই সময়ে দক্ষিণ গোলার্ধে ঠিক বিপরীত অবস্থা দেখা যায় অর্থাৎ শীতকাল অনুভূত হয়।এ সময় সূর্য হেলে থাকার কারণে এ গোলার্ধে সূর্য কম সময় ধরে কিরণ দেয়। ফলে দিন ছোট এবং রাত বড় হয়। দিনে ভূপৃষ্ঠ যতটুকু উত্তপ্ত হয়, রাতে তাপ বিকিরণের ফলে তা ঠান্ডা হয়ে যায়। এখানে তখন শীতের আবহাওয়া বিরাজ করে। দক্ষিণ গোলার্ধে এ সময়কে শীতকাল বলে (চিত্র ১)।

উত্তর গোলার্ধে শরৎকাল ও দক্ষিণ গোলার্ধে বসন্তকালঃ

২১ শে জুন থেকে দক্ষিণ মেরু সূর্যের দিকে হেলতে থাকে। উত্তর গোলার্ধের অংশগুলো কম কিরন পেতে থাকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে অংশগুলো বেশি সূর্যকিরণ পেতে থাকে। এভাবে ২৩ সেপ্টেম্বর সূর্য নিরক্ষরেখার উপর লম্বভাবে কিরণ দেয়। তাই এ সময় পৃথিবীর সর্বত্র দিন ও রাত্রি সমান হয়। দিনের বেলায় যে তাপ আসে রাত সমান হওয়ায় একই পরিমান তাপ বিকিরিত হওয়ার সুযোগ পায়। ফলে আবহাওয়াতে ঠান্ডা গরমের পরিমাণ সমান থাকে। এই সময় উত্তর গোলার্ধে শরৎকাল ও দক্ষিণ গোলার্ধে বসন্তকাল বিরাজ করে। ২৩ এ সেপ্টেম্বরের দেড় মাস আগে থেকেই উত্তর গোলার্ধের শরতকালের সূচনা হয় এবং দেড় মাস পর পর্যন্ত এই শরৎকাল স্থায়ী থাকে।

উত্তর গোলার্ধে শীতকাল ও দক্ষিণ গোলার্ধের গ্রীষ্মকালঃ

২৩ সেপ্টেম্বরের পর দক্ষিণ গোলার্ধ ক্রমশ সূর্যের দিকে হেলতে থাকে। এসময় দক্ষিণ গোলার্ধ সূর্যের কাছে আসতে থাকে। উত্তর গোলার্ধ দূরে সরতে থাকে। ফলে দক্ষিণ গোলার্ধে সূর্য লম্বভাবে এবং উত্তর গোলার্ধে কোণ করে কিরণ দিতে থাকে। এতে উত্তর গোলার্ধে দিন ছোট ও দক্ষিণ গোলার্ধে দিন বড় এবং রাত ছোট হতে থাকে। এর মধ্যে ২২ শে ডিসেম্বর সূর্য মকরক্রান্তির উপর লম্বভাবে কিরণ দেয়। সেই দিন উত্তর গোলার্ধে ছোট দিন ও বড় রাত হওয়াতে শীতকাল। ঐ দিনেই সূর্যের দক্ষিণায়নের শেষ এবং তার পরের দিন থেকে পুনরায় সূর্য উত্তর দিকে আসতে থাকে। ২২ এ ডিসেম্বরের দেড় মাস পূর্বেই উত্তর গোলার্ধে শীতকাল শুরু হয় এবং পরের দেড় মাস পর্যন্ত বিরাজ করে। এই সময়টাতে দক্ষিণ গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল।

সূর্যকে পরিক্রমণকালে পৃথিবীর চারটি অবস্থায় বাংলাদেশের ঋতু পরিবর্তন

উত্তর গোলার্ধে বসন্তকাল ও দক্ষিণ গোলার্ধে শরৎকালঃ

পৃথিবী তার কক্ষপথে চলতে চলতে ২২ এ শে ডিসেম্বরের পর থেকে ২১ শে মার্চ পর্যন্ত এমন স্থানে ফিরে আসে যখন সূর্য নিরক্ষরেখার উপর লম্বভাবে কিরণ দিতে থাকে।ফলে ২১ শে মার্চ পৃথিবীর সর্বত্র দিন রাত্রি সমান হয়। দিনের বেলায় সূর্যকিরণের কারণে ভূপৃষ্ঠের বায়ুরস্তর গরম হয় এবং রাত্রিবেলায় বিকিরিত হয়ে ঠান্ডা হয়। এসময় উত্তর গোলার্ধে বসন্তকাল ও দক্ষিণ গোলার্ধে শরৎকাল। ২১ এ মার্চ পৃথিবীর সর্বত্র দিন রাত্রি সমান হয় এবং ঐ দিনটিকে বাসন্ত বিষুব বা মহাবিষুব বলে (চিত্র ২)

ঋতু পরিবর্তন প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের বিরাজমান ঋতুঃ

বাংলাদেশ পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত এবং এ দেশের মধ্য দিয়ে কর্কটক্রান্তি রেখা বয়ে গেছে তাই আবহাওয়ার পরিবর্তন অবস্থা প্রধানত চার ভাগে বিভক্ত। বিভিন্ন ঋতুর বর্ণনা নিম্নে আলোচনা করা হলঃ

গ্রীষ্মকালঃ

এপ্রিল মাসের মধ্যভাগ থেকে জুন মাসের মধ্যভাগ পর্যন্ত অর্থাৎ বাংলা বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ এ দুই মাস গ্রীষ্মকাল হয়। এ সময় সূর্য কর্কটক্রান্তির উপর লম্বভাবে কিরণ দেয় তাই প্রচন্ড গরম থাকে। এ ঋতুতে দিন বড় হয় আর রাত ছোট হয় ফলে উষ্ণতা বৃদ্ধি পায়। গ্রীষ্মের দাবদাহে নদী-নালা, খাল-বিলসহ জলাশয়ের পানি শুকিয়ে যায়। এসময় পশ্চিমা মৌসুমি বায়ু দেশের উপর দিয়ে বইতে শুরু করে। আবার পশ্চিম ও উত্তর পশ্চিম দিক থেকে শীতল ও শুষ্ক বায়ুও প্রবাহিত হয়। মহাসাগর থেকে আগত মেঘতারিত বায়ু প্রবাহের সঙ্গে শীতল ও শুষ্ক বায়ু মুখোমুখি সংস্পর্শে এলে তা প্রবল ঝড়ের রূপ নেয় যা ‘কালবৈশাখী’ নামে পরিচিত। এছাড়া বাংলাদেশের ফলের ঋতু বলা হয় গ্রীষ্মকালকে। কারন -আম, জাম, জামরুল, কাঁঠাল, আনারস, পেয়ারা, লিচু, তরমুজ প্রভৃতি সুস্বাদু ফল এ ঋতুতেই জন্মে।

শরৎকালঃ

বর্ষার অবসানে শরৎ এক অপূর্ব শোভা ধারণ করে আবির্ভূত হয়। বাংলা বর্ষের ভাদ্র, আশ্বিন  এ দুই মাস অর্থাৎ আগস্ট মাসে মধ্যভাগ থেকে অক্টোবর মাসে মধ্যরাত পর্যন্ত শরৎকাল এর বিস্তৃতি। এ সময় দিন রাত সমান প্রায় থাকে তাই শীত ও গরমের পরিমাণ পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় না। এ সময় নীল আকাশে সাদা মেঘে ভেসে বেড়ায়, তবে তখনও মাটিতে বর্ষার সরসতা।ভাদ্র মাসে তাপমাত্রা আবার বৃদ্ধি পায়, আর্দ্রতা ও সর্বোচ্চে পৌঁছে। শরতের ভোর বেলায় ঘাসের ডগায় শিশির জমে। শরতের শেষে রোদের তেজ আস্তে আস্তে কমতে থাকে।

হেমন্তকালঃ

শরতের শেষে হেমন্তকাল। অক্টোবরের মধ্যভাগ থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে অর্থাৎ বাংলা কার্তিক অগ্রহায়ণ মাস জুড়ে হেমন্তকাল। মূলত হেমন্তকাল হচ্ছে শরৎ ও শীতকালের মধ্যবর্তী একটি পরিবর্তনশীল পর্যায়। দিনের দৈর্ঘ্য কম হওয়ায় দিনের শেষে তাপমাত্রার ব্যাপক পতনে ফলে নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় থেকেই বিকেলে হিম পড়তে শুরু করে।মাঝে মাঝে কুয়াশাও দেখা যায় এ সময় চাষিরা ধান কেটে ঘরে তোলে এবং ঘরে ঘরে নবান্ন উৎসব শুরু হয়।

শীতকালেঃ

এ সময় সূর্য দক্ষিণ গোলার্ধে অবস্থান করে বলে বাংলাদেশে সূর্যের রশ্মি তীর্যকভাবে পতিত হয় এবং তাপমাত্রার পরিমাণ থাকে কম।শীতকালে দিনের দৈর্ঘ্য বড় আর রাত্রি ছোট হয়। মূলত ডিসেম্বর থেকে মধ্য ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অর্থাৎ বাংলা বর্ষপঞ্জী অনুসারে পৌষ ও মাঘ এ দু মাস শীতকাল হলেও বাস্তবে নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ঠান্ডা অনুভূত হয়। জানুয়ারি মাসে গড় তাপমাত্রা দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ১১-১২ ডিগ্রী সেলসিয়াস হয়ে থাকে। শীতকালে ভারতের উত্তর-পশ্চিমাংশে উচ্চ তাপ কেন্দ্রের সৃষ্টি হয়।উচ্চ তাপ কেন্দ্র থেকে পূর্বমুখী শীতল বায়ুর একটি প্রবাহ গতিশীল হয় এবং বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম কোন দিয়ে দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করায় প্রচুর ঠান্ডা অনুভূত হয়। ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল থেকে আগত জলীয়বাষ্প পূর্ণ বায়ুর প্রভাবে শীতকালে কিছুটা বৃষ্টিপাত হয়।

বন্ধুরা এই ছিল তোমাদের জন্য ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষায় ভূগোল ও পরিবেশ ৩য় সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট এর বাছাইকরা নমুনা উত্তর বা সমাধান বা আর্টিকেল। আশা করছি এটা অনুসরণ করার মাধ্যমে তোমরা সূর্যকে পরিক্রমণকালে পৃথিবীর চারটি অবস্থায় বাংলাদেশে বিরাজমান ঋতু পরিবর্তন বিষয়ক একটি প্রতিবেদনটি সুন্দর ভাবে প্রস্তুত করতে পারবে।

প্রতি সপ্তাহে সকল স্তরের অ্যাসাইনমেন্ট সংক্রান্ত সকল তথ্য পাওয়ার জন্য বাংলা নোটিশ এর ফেসবুক পেজটি লাইক এবং ফলো করে রাখুন ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করে রাখুন এবং প্লেস্টোর থেকে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপটি ডাউনলোড করে রাখুন।

আরো দেখুন-

আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা নোটিশ ডট কম এর প্রকাশক ও সম্পাদক জনাব আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া। জন্ম ১৯৯৩ সালের ২০ নভেম্বর, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায়। বাবা আবদুল গফুর ভূঁইয়া এবং মা রহিমা বেগম। এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে আবদুল্লাহ আল আরিয়ান বয়স ৫ বছর। মেয়ে ফাবিহা জান্নাত বয়স ১ বছর। আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া এর শিক্ষাজীবন আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে ২০১৮ সালে ম্যানেজমেন্ট এ স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি উত্তরা ইউনিভার্সিটি ঢাকা থেকে বিপিএড সম্পন্ন করেন। আজিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শুরু। এরপর আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজ লাকসাম উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কিছুদিন ক্লাস করার পর। পারিবারিক কারণে নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজ এ কিছুদিন রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করার পর ভালো না লাগায় পুনরায় ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ছাত্র জীবনে তিনি নানা রকম সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। কর্মজীবন কর্মজীবনের শুরুতে তিনি আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় যোগদেন। বেশ কিছুদিন পর তিনি ২০১৯ সালে উন্নত ভবিষ্যতের আশায় কুয়েত পারি জমান। কিন্তু সেখানকার কাজের পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় পুনরায় আবার বাংলাদেশে ফিরে এসে পূর্বের পদে কাজে যোগদান করে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন। এছাড়াও তিনি স্বপ্ন গ্রাফিক্স এন্ড নেটওয়ার্ক নামে একটি মাল্টিমিডিয়া এবং প্রিন্টিং প্রেস প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধীকারী সেই সাথে স্বপ্ন ইশকুল নামক একটি কম্পিউটার ট্রেণিং ইনস্টিটিউট এর মালিকানায় আছেন যেখানে তিনি নিজেই ক্লাস পরিচালনা করেন। লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্ম ছাত্র অবস্থায় তিনি লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্মের সাথে জড়িত আছেন। ২০১১ সালে রাইটার্স এসোসিয়েশন এর ম্যাগাজিনে তার প্রথম লেখা বন্ধু চিরন্তন প্রকাশিত হয়। এর পর তিনি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Close

অ্যাডস্ ব্লকার পাওয়া গেছে!

দয়া করে আমাদের সাপোর্ট করার জন্য আপনার এডস্ ব্লকার ডিজেবল করে পেইজটি রিলোড করুন! ধন্যবাদ