সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক সচেতনতামূলক তথ্য উপস্থাপন
প্রযুক্তি অবাধ সহজলভ্যতার এই সময়ে আমাদের সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক সচেতনতামূলক তথ্য উপস্থাপন করা আবশ্যক একটি কাজে পরিণত হয়েছে। তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার যত বাড়তে মানুষের মধ্যে প্রযুক্তি অপব্যবহারও সেই হারেই বেড়ে চলেছে। তাই সকলকে এই বিষয়ে অবগত করতে এবং অপরাধ কমাতে সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক সচেতনতামূলক তথ্য উপস্থাপন করা সময়ে দাবী।
আজ আমরা এই আলোচনায় সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক সচেতনতামূলক তথ্য উপস্থাপন কিভাবে করবো। এর জন্য কি কি কাজ করতে হবে সেইগুলো সবিস্তারে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ। বাংলা নোটিশ ডট কম এর অ্যাসাইনমেন্ট সংক্রান্ত ধারাবাহিক আয়োজনের এটি দ্বিতীয় পর্ব।
প্রথম পর্বে আমরা তোমাদের ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান পরিবার ও সমাজে আমার ভূমিকা সংক্রান্ত কাজের বিবরণ দিয়েছি। নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল প্রযুক্তি বিষয়ের নির্ধারিত কাজ বা অ্যাসাইনমেন্ট হিসেবে সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক সচেতনতামূলক তথ্য উপস্থাপন সংক্রান্ত একটি প্রজেক্ট করতে হবে। সেটি করার জন্য ইতমধ্যেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সাইবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রকল্প
৯ম শ্রেণি ছাত্র-ছাত্রী বন্ধুরা তোমরা ডিজিটাল প্রযুক্তি পাঠ্য বইয়ের শিখন অভিজ্ঞতাগুলো অধ্যয়ন করেছো। তোমার শিখন মূল্যায়নের জন্য ছয় মাসের অর্জিত জ্ঞান যাচাই এর জন্য ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন নবম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি বিষয়ের নির্ধারিত কাজ হিসেবে ‘সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক সচেতনতামূলক তথ্য উপস্থাপন’ সংশ্লিষ্ট কাজ করতে হবে।
নবম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি অর্ধ-বার্ষিক অ্যাসাইনমেন্ট এর নির্ধারিত প্রকল্প সম্পন্ন করতে তোমাদের মোট ১০ টি কাজ করতে হবে। প্রথমে শিক্ষার্থীরা কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে সে যে অঞ্চলে বসবাস করছে সে এলাকায় নাগরিকরা যেসব সাইবার ঝুকির মধ্যে আছে সেগুলো খুঁজে বের করে এবং সেগুলোর ভিত্তিতে পরবর্তী অন্যন্য কাজ সমাধান করতে হবে।
সপ্তম শ্রেণির একটি সবুজ প্রকল্পের প্রস্তাবনা প্রণয়ন যারা এখনো করনি তারাতাড়ি এখান থেকে তথ্য নিয়ে সুন্দরভাবে সাজিয়ে ফেলো।
ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন নবম শ্রেণি ডিজিটাল প্রযুক্তি অ্যাসাইনমেন্ট
ষাণ্মাষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন – ২০২৪
নবম শ্রেণি; বিষয়: ডিজিটাল প্রযুক্তি
প্রকল্পের নাম : ‘সাইবার নিরাপত্তা’ বিষয়ক সচেতনতামূলক তথ্য উপস্থাপন
ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির সাথে সাথে এর নিরাপত্তা ঝুঁকিও ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। এলাকার সাধারণ নাগরিক যারা এ ব্যাপারে সচেতন না তারা বিভিন্ন সময় নানামুখী সমস্যায় পড়ছেন।
মোবাইল বা অন্য যেকোন ডিভাইস ব্যবহারে তেমন নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা না থাকায় এলাকার লোকজন প্রায়শঃ সমস্যায় পড়ে ব্যক্তিগত, আর্থিক এমনকি সামাজিক সমস্যায় পড়ছেন।
এই বিষয়ে স্থানীয় লোকজনের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য তোমাদের এগিয়ে আসা জরুরি যার একটি চেষ্টা এই প্রকল্পের মাধ্যমে শুরু করতে হবে।
সেজন্য তোমাদের বিদ্যালয়ের বার্ষিক সম্মেলন বা অনুষ্ঠানে ‘সাইবার নিরাপত্তা’ বিষয়ে স্থানীয় নাগরিকদের মাঝে সচেতনতা তৈরির প্রস্তুতির লক্ষ্যে চারজনের দলগত একটি সৃজনশীল উপস্থাপনা প্রণয়ন করতে হবে।
এই উপস্থাপনায় যে বিষয়গুলো তুলে ধরতে হবে তা অবশ্যই হতে হবে শুধুমাত্র তোমাদের এলাকার নাগরিকদের জন্য সাইবার ঝুঁকি সম্পর্কিত নিরাপত্তা বিষয়ক।
বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য নিয়ে তার তুলনামলূক বিশ্লেষণ করে কোন কোন ঝুঁকিগুলোর জন্য নিরাপত্তা কৌশলসমূহ তোমাদের উপস্থাপনার জন্য বিবেচনা করবে সেটা বাছাই করতে হবে।
প্রতিটি উপস্থাপনার উপর দলভিত্তিক বুকলেট তৈরি করতে হবে যা সম্মেলন বা অনুষ্ঠানের দিন তোমাদের শ্রেণির স্টলে প্রদর্শন করতে হবে। সম্মেলন/অনুষ্ঠানে তোমাদের উপস্থাপনা বিষয়ক একটি প্রচারণার তথ্য স্কুলের গুগল সাইটে প্রদর্শন করতে হবে।
কাজের ধারাবাহিকতা
১: নিজ এলাকার নাগরিকদের জন্য সাইবার ঝুঁকি চিহ্নিত করার জন্য সম্ভাব্য সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকিগুলোর নাম ও কতজন কোন ঝুঁকির কথা উল্লেখ করেছে তার উপাত্ত অন্য দলের সদস্যদের নিকট হতে সংগ্রহ করো;
২: ঝুঁকিগুলোকে ১, ২, ৩… ক্রমানুসারে রূপান্তর করে সংগৃহিত উপাত্তের ভিত্তিতে নিচের নমুনার মতো স্প্রেডশীটে উলেখ করে ফর্মুলা ব্যবহার করে শতকরা কতজন কোন সাইবার নিরাপত্তার ঝুঁকি চিহ্নিত করেছে এবং শতকরার জন্য একটি বার চার্ট বা পাই চার্ট বের করবে;
৩: এই চার্ট হতে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে কোন কোন সাইবার ঝুঁকির জন্য তোমাদের এলাকার নাগরিকদের সচেতনতা প্রয়োজন;
৪: সাইবার ঝুঁকিগুলোর জন্য কী কী সামাজিক প্রভাব পড়তে পারে সেগুলো দলের সদস্যদের মধ্যে আলোচনা করে চিহ্নিত করো;
৫: প্রতিটি সাইবার ঝুঁকি হতে নিরাপদ থাকার সম্ভাব্য কৌশল কী কী হতে পারে সেগুলো নিজ দলে আলোচনা, অন্যদলের সদস্যদের সাক্ষাৎকার ও সুযোগ থাকলে ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করে সেই তথ্যগুলো খাতার কাগজে নিচের ছকের মতো করে নিজ নিজ খাতায় লিখো;
নিজ দলের সদস্যদের থেকে প্রাপ্ত কৌশল | অন্য দলের সদস্যদের থেকে প্রাপ্ত কৌশল | ইন্টারনেট হতে প্রাপ্ত কৌশল |
সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি বিষয়ক স্লাইড বা পোস্টার
৬: প্রতিটি ঝুঁকির জন্য একটি করে স্লাইড বা পোস্টার তৈরি করতে হবে। দলের প্রত্যেকে একটি করে ঝুঁকি বেছে নিতে হবে যেন ঐ ঝুঁকির প্রভাব ও তা হতে নিরাপদ থাকার কৌশলসমূহের তথ্য নিয়ে স্লাইড বা পোস্টার তৈরি করতে হবে।
৭: সকল তথ্য, ছবি, চার্ট, ইনফোগ্রাফ, ভিডিও, সাক্ষাৎকার ইত্যাদি দিয়ে একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি এডিট করার ক্ষেত্রে নিচের সফটওয়্যারের স্ক্রীনশটে ভিডিও এডিটিং টুলগুলো ব্যবহারের ধারাবাহিকতা চিহ্নিত করে সংখ্যার ক্রমানুসারে চিহ্নিত করে দেখাতে হবে। সেই ক্রমানুসারে ভিডিও এডিট করার ধাপগুলো ফ্লোচার্ট নিজ নিজ খাতায় উল্লেখ করো।
৮: সম্মেলন/অনুষ্ঠানে তোমাদের উপস্থাপনা বিষয়ক একটি প্রচারণার নোটিশ স্কুলের গুগল সাইটে প্রকাশ করো অথবা ধাপসমূহ খাতায় লিখো;
৯: পোস্টার ও ভিডিও প্রস্তুতিতে ব্যবহৃত তথ্য ও মিডিয়ার ক্ষেত্রে মেধাসত্ত্ব বা কপিরাইট সংরক্ষণ করতে হবে। এজন্য তোমার ভিডিওর ক্ষেত্রে মেধাসত্ত্বের কোন কোন বিষয়গুলো প্রযোজ্য তা যুক্তিসহ লিখ।
১০: প্রত্যেকে যার যার খাতায় আজকের প্রজেক্টে দলের সদস্য হিসেবে নিজের দ্বারা সম্পন্নকৃত কাজগুলো উল্লেখ করো।