শিক্ষার্থীদের বাসায় গিয়ে নেওয়া হবে পরীক্ষা – বাংলা নোটিশ
শিক্ষার্থীদের বাসায় গিয়ে নেওয়া হবে পরীক্ষা – বাংলা নোটিশ: করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে দেশের সাধারণ মানুষের যেমন ক্ষতি হচ্ছে এর থেকে সবথেকে বেশি ক্ষতি হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। করোনা ভাইরাসের কারণে কমিউনিটি ট্রানস্মিশন ঠেকাতে সরকার দেশের প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে। এতে বিপাকে পড়েছে দেশের লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী।
জেএসসি থেকে এইচএসসি সকল পরীক্ষায় পড়েছে সংকটের মুখে। এই সংকট কাটিয়ে উঠতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাসিরনগর উপজেলার মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা রাখতে শিক্ষার্থীদের বাসায় গিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
অষ্টম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষা নেওয়ার জন্য আগামী সোমবার থেকে প্রয়োজনীয় প্রশ্নপত্র তৈরি নির্দেশনা দিয়ে চিঠি দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমা আশরাফী।
শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় সম্পৃক্ততা এবং পার্ট গ্রহণে অনীহা সৃষ্টি থেকে বিরত রাখতেই এমন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানা যায়।
২৭ এপ্রিল ২০২০ ব্রাহ্মণবাড়িয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার জনাব নাজমা আশরাফের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়-
করোনা ভাইরাসের কারণে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান অব্যাহত রাখতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর টিভি চ্যানেলের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
সংসদ টিভি চ্যানেলের এই চেক কার্যক্রম নাসিরনগর উপজেলার শিক্ষার্থীরা শতভাগ অংশগ্রহণ করতে পারছে না। সেইসাথে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষা বিমুখ হয়ে পড়ার প্রবণতা দেখা দিয়েছে।
শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় সম্পৃক্ত রাখতে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রতিটি বিষয়ের উপর পাঁচটি করে একটি প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করতে হবে। প্রস্তুতকৃত প্রশ্নপত্র শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিয়ে তাদের পরীক্ষা নিতে হবে এবং 14 দিন পর খাতা সংগ্রহ করে তা মূল্যায়ন করা হবে।
মাধ্যমিক কর্মকর্তার কাছে চার মেয়ের মধ্যে প্রশ্ন পত্র জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়।
নাসিরনগর উপজেলা প্রশাসন এবং মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের এমন উদ্যোগের প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক বলেন- শিক্ষার্থীদের বাসায় গিয়ে প্রশ্নপত্র দেওয়ার উদ্যোগ প্রশংসার যোগ্য। কিন্তু প্রশ্ন পৌঁছে দিয়ে পরীক্ষা নিয়ে খাতা মূল্যায়ন করার বিষয়টি অনেকটা অসম্ভব হয়ে পড়বে।
শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা সম্পৃক্ততা বাড়াতে বিকল্প পদ্ধতি চালু করার পরামর্শ দেন তারা।
এই প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা ভিন্নমত পোষণ করে বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও শিক্ষকদের নিজ নিজ এলাকায় থাকতে বলা হয়েছিল। সাধারণ শিক্ষক তো দূরের কথা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানেরা কেউ এলাকাতে নেই। তিনি আরো বলেন- প্রতিষ্ঠান ভিন্নতা অনুসারে প্রত্যেক জন শিক্ষককে হয়তো 40 থেকে 50 জন শিক্ষার্থীর বাড়ি যেতে হবে। যেটা কোনোভাবেই কষ্টের কোন কারন হবে না।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আতাউর রহমান এক বিবৃতিতে বলেন- উপজেলা প্রশাসনের এ দরণের নির্দেশনার একটি চিঠি পেয়েছি। চৌঠা মেয়ে আমাদেরকে নিয়ে একটি সভা ডাকা হয়েছে। তখন সবাই এই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। সার্বিক আলোচনা পর্যালোচনার পর হয়তো বিকল্প প্রস্তাব উঠতে পারে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার প্রতি আগ্রহ করে তুলতে এবং নাসিরনগর উপজেলা শিক্ষার্থীদের পাঠগ্রহণ পিছিয়ে পড়ার হার কমাতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস ও উপজেলা প্রশাসন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আজহারুল ইসলাম। তবে তিনি আরো বলেন চৌঠা মে বিস্তারিত আলোচনার পর আরও জানা যাবে।
আপনার জন্য আরও কিছু তথ্যঃ
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন।
ক্যাটাগরি ভিত্তিক সর্বাধিক পঠিত জাতীয় দৈনিক পত্রিকার শিরোনাম দেখুন:
সকল স্তরের শিক্ষা সংক্রান্ত সঠিক তথ্য, সরকারি-বেসরকারি চাকুরি বিজ্ঞপ্তি, চাকুরির পরীক্ষা, এডমিট কার্ড, পরীক্ষার রুটিন, সরকারি বেসরকারি বৃত্তি, উপবৃত্তি ও প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত তথ্য সবার আগে পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজটি Follow করে রাখুন।
ইউটিউবে সর্বশেষ আপডেট পেতে বাংলা নোটিশ ডট কম এর ইউটিউব চ্যানেলটি Subscribe করে রাখুন।
আপনার প্রতিষ্ঠানের যেকোন বিজ্ঞপ্তি, খবর, নোটিশ ও জাতীয় রাজনৈতিক বিষয়ে লেখা প্রকাশ করতে চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন
দেশের অন্যতম প্রিয় অনলাইন পোর্টাল সর্বদাই সত্য ও বস্তুনির্ভর তথ্য প্রকাশে বদ্ধপরিকর। আপনার যেকোন অভিযোগ আপত্তি ও পরামর্শ সাদরে গ্রহণ করা হবে।
ক্যাটাগরি ভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেখুন–





