সর্বশেষ আপটেড

ভূত্বক ও ভূ-অভ্যন্তরের গঠন কাঠামো – HSC 2022 5th Week Geography

মানবিক বিভাগের ২০২২ সালের এইচএসসি ও আলিম পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী বন্ধুরা, আশা করছি সবাই ভালো আছো। তোমরা কি এইচএসসি, আলিম শ্রেণির ৫ম সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট ভূগোল প্রথম পত্রের উত্তর সম্পর্কে ধারণা নিতে চাচ্ছো? কিংবা এসাইনমেন্টটি কিভাবে প্রস্তুত করতে হয় সে সম্পর্কে জানতে আগ্রহী? তাহলে বলবো তোমরা ঠিক ওয়েবসাইটে এসেছো। তোমাদের জন্য আজকের আর্টিকেলের আলোচ্য বিষয়- ভূত্বক ও ভূ-অভ্যন্তরের গঠন কাঠামো। এই আর্টিকেলটি পড়ে তোমরা এইচএসসি পরীক্ষা ২০২২ ৫ম সপ্তাহের ভূগোল প্রথম পত্র এ্যাসাইনমেন্ট সমাধান করতে পারবে।

এইচএসসি পরীক্ষা ২০২২ ৫ম সপ্তাহের ভূগোল প্রথম পত্র এ্যাসাইনমেন্ট

চলমান কোভিড ১৯ অতিমারির কারণে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত হওয়ায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মােতাবেক পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের শিখন কার্যক্রমে পুরােপুরি সম্পৃক্তকরণ ও ধারাবাহিক মূল্যায়নের আওতায় আনয়নের জন্য অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। বিভিন্ন গুচ্ছ বিষয় থেকে ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য পঞ্চম সপ্তাহের সর্বমোট ২০ টি বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশ করেন কর্তৃপক্ষ যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শিখন মূল্যায়ন করে শিক্ষকগণ তথ্য সংরক্ষণ করবেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে কোভিড ১৯ সংক্রমণ রােধে সরকার ঘােষিত স্বাস্থ্যবিধি যথাযথ প্রতিপালনপূর্বক প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরােধ করা হলাে।

এইচএসসি পঞ্চম সপ্তাহের ভূগোল অ্যাসাইনমেন্ট

অ্যাসাইনমেন্ট-০১ : পৃথিবীর গঠন, অধ্যায়-দ্বিতীয়

অ্যাসাইনমেন্ট শিরোনাম : ভূত্বক ও ভূ-অভ্যন্তরের গঠন কাঠামো;

শিখনফল ও বিষয়বস্তু :

  • ১। পৃথিবীর বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ গঠন ব্যাখ্যা করতে পারবে;
  • ২। পৃথিবীর ভূমিরূপ অবস্থান ও গঠন কাঠামো বর্ণনা করতে পারবে;

নির্দেশনা/সংকেত/ধাপ/পরিধি :

  • ১। বিভিন্ন ভূমিরূপ এর চিত্র;
  • ২। ভূ-অভ্যন্তরের স্তর চিহ্নিতকরণ;
  • ৩। অভ্যন্তর গঠন বর্ণনা;
  • ৪। ভূ-অভ্যন্তরের উপাদান বিশ্লেষণ;

এইচএসসি পরীক্ষা ২০২২ ৫ম সপ্তাহের ভূগোল প্রথম পত্র এ্যাসাইনমেন্ট সমাধান

যথাযথ মূল্যায়ন অনুসরণ পূর্বক তোমাদের জন্য এইচএসসি পরীক্ষা ২০২২ ৫ম সপ্তাহের ভূগোল প্রথম পত্র প্রথম এ্যাসাইনমেন্ট সমাধান করা হলো।

ভূত্বক ও ভূ-অভ্যন্তরের গঠন কাঠামো; HSC 2022 5th Week Geography

বিভিন্ন ভূমিরূপ এর চিত্রঃ

ভূমিরূপ বলতে ভূপৃষ্ঠের সৃষ্ট নানা ধরনের ভূ-প্রাকৃতিক গঠন অর্থাৎ সমভূমি, মালভূমি, পর্বত ইত্যাদি বোঝায়। এই ভূমিরূপ গুলো কয়েক হাজার মিলিয়ন বছর ব্যাপী নানা প্রাকৃতিক শক্তির দ্বারা ক্ষয়প্রাপ্ত, সঞ্চিত, অবনমিত হয়ে সৃষ্টি হয়েছে।ভূমিরূপের এই পরিবর্তন প্রক্রিয়া বর্তমানেও কার্যকর রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও ক্রিয়াশীল থাকবে। সদা পরিবর্তনশীল ভূমিরূপ সমূহ কে গঠন বৈশিষ্ট্য ও প্রকৃতির উপর নির্ভর করে মোট তিন ভাগে বিভক্ত করা হয়। এগুলো হলোঃ

  • ১।পর্বত
  • ২। মালভূমি এবং
  • ৩। সমভূমি

১। পর্বতঃ

ভূপৃষ্ঠের অতিউচ্চ, সুবিস্তৃত এবং খাড়া ঢাল বিশিষ্ট শিলাস্তুপকে কে পর্বত বলে। পর্বত সাধারণত 600 মিটার এর অধিক উচ্চতা বিশিষ্ট হয়। তবে পর্বতের উচ্চতা সমুদ্র সমতল থেকে কয়েক হাজার মিটার পর্যন্ত হতে পারে। কোনো কোনো পর্বত বিচ্ছিন্নভাবে অবস্থান করে। যেমন পূর্ব আফ্রিকার কিলিমাঞ্জারো পর্বত গঠনে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় একসঙ্গে কাজ করে। একে ওরোজেনেসিস বলে।গ্রিক শব্দ ‘আরোস’ অর্থ পর্বত, এবং ‘জেনেসিস’ অর্থ সৃষ্টি হওয়া। দুটি শব্দের সমন্বয়ে সৃষ্টি হয়েছে ওরোজেনেসিস শব্দটি,যা বাংলায় পর্বত গঠন প্রক্রিয়া বলা হয়।ভূ অভ্যন্তরস্থ বিপুল শক্তির প্রয়োগ হওয়ার ফলে পর্বতের বৈশিষ্ট্যপূর্ণ অবয়বের সৃষ্টি হয়।

নিচে পর্বতের একটি উদাহরণ দেওয়া হলোঃ

ভঙ্গিল পর্বতঃ জার্মান ভূবিজ্ঞানী কোবার এর মতে, প্রাচীন বিশালাকৃতি অবনমিত সমুদ্র খাতকে মহীখাত বলে।তার মতে মহীখাতের দুই পার্শ্বস্ত ভূভাগ ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে পলির আকারে মহীখাত এর সঞ্চিত হয়ে এইভাবে ভূগর্ভের পলির যে নিম্নমুখী চাপ পড়ে তার প্রভাবে মহীখাত এর দুই পার্শ্বস্ত ভূভাগ পরস্পরের দিকে এগিয়ে এলে সঞ্চিত পাললিক শিলা ভারপ্রাপ্ত হয়ে ভঙ্গিল পর্বতের সৃষ্টি করে।

ভঙ্গিল পর্বত

পর্বতের বৈশিষ্ট্যঃ

  • ১। দুটি পরস্পর মুখি প্লেট সীমানায় সংকোচ জনিত চাপে পাললিক শিলাস্তরে ভাজঁ সৃষ্টি হয়ে ভঙ্গিল পর্বত গঠিত হয়ে থাকে।
  • ২। ভঙ্গিল পর্বতের শিলা কাঠামো ভাজঁ ও চ্যুতিযুক্ত।
  • ৩। সাধারণত ভঙ্গিল পর্বত পাললিক শিলা দ্বারা গঠিত তবে উৎপত্তির বিভিন্ন পর্যায়ে আগ্নিয়ে রূপান্তরিত শিলা ও দেখা যায় ।

২। মালভূমিঃ

সমুদ্র সমতল থেকে 300 মিটার বা আরো কিছুটা ঊর্ধ্বে অবস্থিত খাড়া ঢাল যুক্ত সুবিস্তৃত তরঙ্গায়িত মালভূমি নামে পরিচিত। প্রসঙ্গত আকৃতিগত ভাবে মালভূমি অনেকটা টেবিলের ন্যায় দেখতে হওয়ায় একে টেবিল ল্যান্ড বলে। যেমন ভারতের দক্ষিণাত্য ছোটনাগপুর মালভূমি,তিব্বতের পামির মালভূমি ইত্যাদি। উদাহরণঃ মহাদেশীয় মালভূমি।

মহাদেশীয় মালভূমিঃ

মহাদেশীয় অংশজুড়ে প্রাচীন শিলায় গঠিত মালভূমি কে মহাদেশীয় মালভূমি বলে। পাত সংস্থান তত্ত্ব অনুসারে পাত সঞ্চালনের ফলে পৃথিবীর প্রাচীন ভূখণ্ডকে আঙ্গারাল্যান্ড ও গনডোয়ানাল্যান্ড’ ফেটে গিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে মহাদেশীয় মালভূমি গঠিত হয়।

৩। সমভূমিঃ

সমুদ্রপৃষ্ঠের একই সমতলে বা সামান্য উঁচুতে তবে 300 মিটারের কম উঁচুতে অবস্থিত প্রায় সমতল বা সমতল বিস্তীর্ণ স্থলভাগকে সমভূমি বলে।যেমন ভারতের গঙ্গা নদী বিধৌত সমভূমি অঞ্চল, রাশিয়ার সাইবেরিয়ান সমভূমি। সমভূমি কে আবার সাতটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। তার মধ্যে একটি হচ্ছেঃ ক্ষয়জাত সমভূমি।

ক্ষয়জাত সমভূমিঃ নিচু মালভূমি বা পার্বত্য অঞ্চল বহু বছর ধরে বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তি দ্বারা ক্ষয়প্রাপ্ত হয় সমপ্রায় ভূমি সৃষ্টি হয়। যেমন ভারতের ছোটনাগপুর মালভূমির কিছু কিছু অংশ।

ভূ-অভ্যন্তরের স্তর গভীরতার সহ চিহ্নিতকরণঃ

পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ গঠন ও বিভিন্ন স্তর বিন্যাস সম্বন্ধে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করা খুবই কঠিন ব্যাপার।খনিজ সম্পদ আহরণের জন্য এ পর্যন্ত সবচেয়ে গভীরতম কূপ মাত্র 10 কিলোমিটার ভূ-অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছে এবং ক্ষয় কার্যের ফলে মাত্র ২০-২৫ কি. মি. গভীরের শিলা উন্মুক্ত হয়েছে। বিজ্ঞানীরা ভূ-অভ্যন্তর সম্পর্কে জানার জন্য তিন ধরনের তথ্যের উপর নির্ভর করে। প্রথমত, আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত থেকে প্রাপ্ত অভ্যন্তরে শিলার নমুনা।

ভূ-অভ্যন্তরের স্তর

দ্বিতীয়ত, ভূকম্পন তরঙ্গের বৈশিষ্ট্য যা এক ধরনের শিলা স্তর থেকে আরেক ধরনের শিলায় প্রবেশের সময় বেগ ও দিক পরিবর্তন করে থাকে।ভূকম্প তরঙ্গের এক বেগ ও দিক পরিবর্তন পরিমাপের মাধ্যমে ভূ-অভ্যন্তরের শিলাস্তর সমূহের একটি চিত্র পাওয়া যায়।
তৃতীয়ত, পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের বৈশিষ্ট্য এর ঘনত্ব সম্পর্কে ধারণা ও ভূ-অভ্যন্তরের গঠন জানার ক্ষেত্রে সহায়ক হয়েছে।
এ সমস্ত তথ্য এর ভিত্তিতে বিজ্ঞানীরা ভূ-অভ্যন্তরের কয়েকটি শিলামন্ডলে ভাগ করেন । সবচেয়ে ভারী পদার্থ পৃথিবীর কেন্দ্র ভাগে সঞ্চিত হয়েছে এবং তুলনামূলকভাবে কম ঘনত্ব সম্পূর্ণ হালকা পদার্থ দ্বারা উপরের স্তর সমূহের সঞ্চিত হয়েছে। চিত্রে এ পৃথিবীর অভ্যন্তর ভাগের স্তরসমূহ দেখানো হলো।

ভূ-অভ্যন্তর প্রধান স্তর সমূহ হলোঃ

  • ১. অশ্মমন্ডল
  • ২. গুরুমন্ডল ও
  • ৩. কেন্দ্রমন্ডল

ভূ-অভ্যন্তরের গঠন বর্ণনাঃ

ভূ-অভ্যন্তরের প্রধান স্তরসমূহ হলো অশ্মমন্ডল, গুরুমন্ডল ও কেন্দ্রমন্ডল।

অশ্মমন্ডলঃ

পৃথিবীর অভ্যন্তরের তিনটি স্তরে বিভক্ত। স্তর তিনটের মধ্যে সবচেয়ে উপরে অবস্থিত সেটিকেই অশ্মমন্ডল বলে। এটাই পৃথিবীর কঠিন বহিরাবরণ। এটি নানা প্রকার শিলা ও খনিজ উপাদান দ্বারা গঠিত। এর গভিরতা ৩০ কি. মি. হতে প্রায় ৬৪ কি. মি.।

গুরুমন্ডলঃ

কেন্দ্রমন্ডলের বহিঃভাগ অশ্ব মন্ডলের (ভূত্বকের) নিম্ন স্তর পর্যন্ত বিস্তৃত স্তরকে গুরুমন্ডল বলে। এটি পৃথিবীর আয়তনের শতকরা 82 ভাগ এবং ওজনের শতকরা 68 ভাগ দখল করে আছে। গুরুমন্ডল স্তরটি প্রায় ২.৮৮৫ কি. মি. পুরু। এর অর্ধাংশের শিলা কঠিন ও ভঙ্গুর যা প্রায় ১০০ কি. মি. পর্যন্ত বিস্তৃত। ভূত্বক ও গুরুমন্ডল এর বহিঃসীমা পর্যন্ত 100 কিলোমিটার পুরু স্তরকে একত্রে শিলামন্ডল বা অশ্মমন্ডল বলে।

কেন্দ্রমণ্ডলঃ

পৃথিবীর ব্যাসার্ধ প্রায় ৬,৪৩৪ কি. মি.।পৃথিবীর কেন্দ্রের চারদিকে প্রায় ৩,৪৮৬ কি. মি.ব্যাসার্ধের এক গোলক অবস্থিত। এই গোলকটির নাম দেয়া হয়েছে কেন্দ্রমন্ডল। অন্তঃকেন্দ্র ও বহিঃকেন্দ্র কে একত্রে কেন্দ্রমন্ডল বলে। এই স্তরের ঘনত্ব প্রায় ১০,৭৮ গ্রাম বা সে. মি. যা গুরুমন্ডল এর চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ। কেন্দ্রের দিকে ঘনত্ব বাড়তে থাকে। পৃথিবীর আয়তনের দিক থেকে এ স্তর ১৬.২% হলেও এটি মোট ওজনের শতকরা প্রায় ৩২.০ ভাগ দখল করে আছে। এটি পানি অপেক্ষা ১০/১২ গুণ এবং পৃথিবীর অন্যান্য অংশ অপেক্ষা দ্বিগুনের অধিক ঘন। কিন্তু প্রচণ্ড তাপ ও চাপে এটি সম্ভবত কঠিন অবস্থায় নেই। এর কাঠামো স্থিতিস্থাপক ও চটচটে অবস্থায় আছে বলে ধারণা করা হয়। বহিঃকেন্দ্রের পুরুত্ব আনুমানিক ২,২৭০ কিলোমিটার এবং অন্তঃকেন্দ্রের পুরুত্ব ১,২১৬ কিলোমিটার। কেন্দ্রমন্ডলের বাইরের অংশ এবং ভেতরের অংশ কঠিন অবস্থায় আছে বলে অনুমান করা হয়।

ভূ-অভ্যন্তরের উপাদান বিশ্লেষণঃ

অশ্মমন্ডল : অশ্মমন্ডল যেসকল উপাদানে গঠিত তারমধ্যে সিলিকন, এলুমিনিয়াম, লৌহ, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, অক্সিজেন প্রভৃতির নাম উল্লেখযোগ্য।

গুরুমন্ডল : সিলিকন ও ম্যাগনেসিয়াম প্রভৃতি ভারী ধাতু গুলোর সংমিশ্রণে এই মন্ডল টি গঠিত। ঘনত্ব অনুসারে ধাতু গুলোর সংবিন্যাস নিচ থেকে উপরের দিকে ক্রমশ শুরু থেকে লঘু। এর উপরাংশের ১৪৪৮ কি. মি. (৯০০ মাইল) ব্যাসল্ট জাতীয় উপাদানে গঠিত। এই জন্যই এই স্তরকে ব্যাসল্ট অঞ্চল (Basalt Zone) বলা হয়। সিলিকন ও ম্যাগনেসুয়াম দ্বারা এই মন্ডলটি গঠিত বলে একে সিমা (sima)ও বলা হয়।

কেন্দ্রমন্ডল : বৈজ্ঞানিকদের মতে, কেন্দ্রমন্ডল লোহা, নিকেল, পারদ, সীসা প্রভৃতি কঠিন পদার্থ দ্বারা গঠিত। এই স্তরে নিকেল ও লৌহের পরিমাণ বেশি থাকায় একে নাইফ (Nife)বলা হয়।

আরো দেখুন-

প্রতি সপ্তাহে অ্যাসাইনমেন্ট সংক্রান্ত সকল আপডেট পাওয়ার জন্য বাংলা নোটিশ এর ফেসবুক পেজটি লাইক এবং ফলো করে রাখো ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করে রাখ এবং অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপটি ডাউনলোড করুন।

আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা নোটিশ ডট কম এর প্রকাশক ও সম্পাদক জনাব আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া। জন্ম ১৯৯৩ সালের ২০ নভেম্বর, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায়। বাবা আবদুল গফুর ভূঁইয়া এবং মা রহিমা বেগম। এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে আবদুল্লাহ আল আরিয়ান বয়স ৫ বছর। মেয়ে ফাবিহা জান্নাত বয়স ১ বছর। আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া এর শিক্ষাজীবন আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে ২০১৮ সালে ম্যানেজমেন্ট এ স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি উত্তরা ইউনিভার্সিটি ঢাকা থেকে বিপিএড সম্পন্ন করেন। আজিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শুরু। এরপর আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজ লাকসাম উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কিছুদিন ক্লাস করার পর। পারিবারিক কারণে নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজ এ কিছুদিন রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করার পর ভালো না লাগায় পুনরায় ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ছাত্র জীবনে তিনি নানা রকম সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। কর্মজীবন কর্মজীবনের শুরুতে তিনি আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় যোগদেন। বেশ কিছুদিন পর তিনি ২০১৯ সালে উন্নত ভবিষ্যতের আশায় কুয়েত পারি জমান। কিন্তু সেখানকার কাজের পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় পুনরায় আবার বাংলাদেশে ফিরে এসে পূর্বের পদে কাজে যোগদান করে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন। এছাড়াও তিনি স্বপ্ন গ্রাফিক্স এন্ড নেটওয়ার্ক নামে একটি মাল্টিমিডিয়া এবং প্রিন্টিং প্রেস প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধীকারী সেই সাথে স্বপ্ন ইশকুল নামক একটি কম্পিউটার ট্রেণিং ইনস্টিটিউট এর মালিকানায় আছেন যেখানে তিনি নিজেই ক্লাস পরিচালনা করেন। লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্ম ছাত্র অবস্থায় তিনি লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্মের সাথে জড়িত আছেন। ২০১১ সালে রাইটার্স এসোসিয়েশন এর ম্যাগাজিনে তার প্রথম লেখা বন্ধু চিরন্তন প্রকাশিত হয়। এর পর তিনি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Close

অ্যাডস্ ব্লকার পাওয়া গেছে!

দয়া করে আমাদের সাপোর্ট করার জন্য আপনার এডস্ ব্লকার ডিজেবল করে পেইজটি রিলোড করুন! ধন্যবাদ