প্রত্যেক শিক্ষার্থীর রসায়ন পরীক্ষাগারে বিশেষ সর্তকতা অবলম্বন করা আবশ্যক

নবম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য ২০২১ শিক্ষাবর্ষে চতুর্থ সপ্তাহের জন্য রসায়ন পাঠ্য বই থেকে একটি অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা নবম শ্রেণীর চতুর্থ এ্যাসাইনমেন্ট এর অন্যান্য বিষয়ের সাথে রসায়ন বিষয়ের চতুর্থ অ্যাসাইনমেন্ট সঠিক নিয়মে সম্পন্ন করে জমা দিবে। এখানে ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রত্যেক শিক্ষার্থীর রসায়ন পরীক্ষাগারে বিশেষ সর্তকতা অবলম্বন করা আবশ্যক শীর্ষক একটি প্রতিবেদন লিখতে দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞান বিভাগের বন্ধুরা, তোমরা কেমন আছো? আশা করছি ভালো আছো। বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হওয়ায় প্রায়শই আমাদেরকে ল্যাবরেটরীতে অবস্থান করতে হয়। ল্যাবরেটরীতে বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ রাসায়নিক পদার্থ থাকে। আজকের আলোচনায় থাকছে- প্রত্যেক শিক্ষার্থীর রসায়ন পরীক্ষাগারে বিশেষ সর্তকতা অবলম্বন করা আবশ্যক শীর্ষক প্রতিবেদন।

৯ম শ্রেণির ৪র্থ সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট রসায়ন প্রশ্ন

তোমাদের রসায়ন পাঠ্য বইয়ের প্রথম অধ্যায় রসায়নের ধারণা থেকে চতুর্থ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট নির্ধারিত হয়েছে। নবম শ্রেণীর ২০২১ সালের সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচির আলোকে প্রদত্ত এই অ্যাসাইনমেন্ট অন্যান্য বিষয়ের সাথে যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে সম্পন্ন করবে। 

এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ:

“প্রত্যেক শিক্ষার্থীর রসায়ন পরীক্ষাগারে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা আবশ্যক”- এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন লিখতে হবে।

প্রতিবেদনে অবশ্যই পাঁচ ধরনের রাসায়নিক পদার্থের ঝুঁকির মাত্রা ও সংশ্লিষ্ট সতর্কতামূলক সাংকেতিক চিহ্ন উল্লেখ করে তা থেকে নিরাপদ থাকার উপায় উদাহরণ হিসেবে লিখতে হবে।

নির্দেশনা: পদার্থের ঝুঁকির মাত্রা জানার জন্য পাঠ্যবইসহ অন্যান্য উপকরণ (ইউটিউব, ওয়েবসাইট, পত্রিকা, ইত্যাদি) ব্যবহার করবে। একই ধরনের একাধিক পদার্থের জন্য একটি সতর্কতামূলক সাংকেতিক চিহ্ন অংকন করবে।

পাঁচ ধরনের রাসায়নিক পদার্থ হতে পারে: ১. প্রাকৃতিক গ্যাস (জ্বালানি), ২. ভারি ধাতু (লেড, মার্কারি, আর্সেনিক), ৩. লঘু সালফিউরিক এসিড (H2SO4) ৪. বেনজিন, ন্যাফথালিন ৫. সােডিয়াম হাইড্রোক্সাইডের গাঢ় দ্রবণ;

৯ম শ্রেণির ৪র্থ সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট রসায়ন উত্তর

নবম শ্রেণী চতুর্থ সপ্তাহে রসায়ন পাঠ্যবইয়ের অ্যাসাইনমেন্ট এর প্রশ্নপত্রে প্রদত্ত অ্যাসাইনমেন্ট লেখার নির্ধারিত নির্দেশনা এবং মূল্যায়ন রুবিক্স অনুসরণ করে তোমাদের জন্য পরীক্ষাগারে একজন শিক্ষার্থীর যেসকল বিশেষ সতর্কতা প্রয়োজন এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দেওয়া হল। 

প্রতিবেদনঃ “প্রত্যেক শিক্ষার্থীর রসায়ন পরীক্ষাগারে বিশেষ সর্তকতা অবলম্বন করা আবশ্যক”

তারিখ : ৩০ মার্চ, ২০২১

বরাবর,

প্রধান শিক্ষক

’ক‘ উচ্চ বিদ্যালয়, কুমিল্লা।

বিষয় : প্রত্যেক শিক্ষার্থীর রসায়ন পরীক্ষাগারে বিশেষ সর্তকতা অবলম্বন করা আবশ্যক সম্পর্কিত প্রতিবেদন।

সূত্র/স্মারক নং : কু.উ.বি.২০২১-৩ তারিখ : ২৮ মার্চ, ২০২১।

জনাব,

বিনীত ‍নিবেদন এই যে, আপনার আদেশ নং কু.উ.বি.২০২১-৩ তারিখ : ২৮ মার্চ, ২০২১ অনুসারে “প্রত্যেক শিক্ষার্থীর রসায়ন পরীক্ষাগারে বিশেষ সর্তকতা অবলম্বন করা আবশ্যক” শীর্ষক প্রতিবেদনটি নিম্নে পেশ করছি।

প্রত্যেক শিক্ষার্থীর রসায়ন পরীক্ষাগারে বিশেষ সর্তকতা অবলম্বন করা আবশ্যক

যেখানে বিজ্ঞানের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং গবেষণা করা হয় তাকে পরীক্ষাগার বা গবেষণাগার বলে। তাই যেখানে রসায়নের পরীক্ষা-নিরীক্ষা বা গবেষণা করা হয় তাকে রসায়ন পরীক্ষাগার বা রসায়ন গবেষণাগার বলে।

রসায়ন গবেষণাগারে থাকবে বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য। প্রায় প্রত্যেকটি রাসায়নিক দ্রব্য আমাদের জন্য অথবা পরিবেশের জন্য কম/বেশি ক্ষতিকর। কোনো রাসায়নিক দ্রব্য বিস্ফোরক জাতীয়, কোনো রাসায়নিক দ্রব্য দাহ্য (সহজেই যাতে আগুন ধরে যায়), কোনোটি আমাদের শরীরের সরাসরি ক্ষতি করে আবার কোনোটি পরিবেশের ক্ষতি করে।

রসায়ন পরীক্ষাগারের যে যন্ত্রপাতি বা পাত্র ব্যবহার করা হয় তার বেশিরভাগই কাঁচের তৈরি। তাই এ রসায়ন পরীক্ষাগারে ঢোকা থেকে শুরু করে বের হওয়া পর্যন্ত প্রতিটি পদক্ষেপে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। অসতর্ক হলেই যে কোন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। যেমন- এসিড গায়ে পড়লে শরীরের ক্ষত সৃষ্টি হবে, পোশাকে পড়লে পোশাকটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

এছাড়া রসায়ন গবেষণাগারে অগ্নিকাণ্ড বিস্ফোরণসহ নানা ধরনের ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই শরীরকে রক্ষা করতে হলে নিরাপদ পোশাক বা অ্যাপ্রোন পরতে হবে। যে কোন রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারের আগেই আমাদের জেনে নিতে হবে সে রাসায়নিক দ্রব্য টি কোন প্রকৃতির।

আর সেটি বোঝানোর জন্য রাসায়নিক পদার্থের বোতল বা কৌটার লেভেলে এক ধরনের সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। এ সংক্রান্ত একটি সার্বজনীন নিয়ম চালুর বিষয়কে সামনে রেখে জাতিসংঘের উদ্যোগে পরিবেশ ও উন্নয়ন নামে একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ।

এ সম্মেলনে বিভিন্ন পদার্থের ঝুঁকি এবং ঝুঁকির মাত্রা বুঝানোর জন্য সার্বজনীন সাংকেতিক চিহ্ন নির্ধারণ করা হয়।

নিচে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থের ঝুঁকি, ঝুঁকির মাত্রা ও সাবধানতা সম্পর্কে লেখা হলো –

১. দাহ্য পদার্থ : প্রাকৃতিক গ্যাস (জ্বালানি) দাহ্য পদার্থ। এসব পদার্থের দ্রুত আগুন ধরে যেতে পারে। তাই এদের আগুন বা তাপ থেকে সবসময় দূরে রাখতে হবে।

২. বিষাক্ত পদার্থ : বেনজিন, ন্যাপথালিন পদার্থ বিষাক্ত প্রকৃতির। তাই শরীরে লাগলে বা শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করলে শরীরের নানা ধরনের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। এ ধরনের পদার্থ ব্যবহারের সময় অ্যাপ্রোন, হ্যান্ড গ্লাভস, সেফটি গগলস ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে।

৩. স্বাস্থ্য ঝুঁকিপূর্ণ পদার্থ : এ পদার্থের উদাহরণ হলো বেনজিন, টলুইন, জাইলিন ইত্যাদি। এ ধরনের পদার্থ ত্বকে লাগলে বা শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে শরীরের ভেতরে গেলে শরীরের স্বল্পমেয়াদী বা দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতিসাধন করে। এগুলো শরীরের মধ্যে গেলে ক্যানসারের মতো কঠিন রোগ হতে পারে কিংবা শ্বাসতন্ত্রের ক্ষতিসাধন করতে পারে। তাই এগুলোকে সতর্কভাবে রাখতে হবে এবং ব্যবহারের সময় অ্যাপ্রোন, হ্যান্ড গ্লাভস, সেফটি গগলস ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে।

৪. পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর : ভারি ধাতু (লেড, মার্কারি, আর্সেনিক) পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। অর্থাৎ এ ধরনের পদার্থগুলো উদ্ভিদ ও প্রাণী উভয়ের জন্যই বিপজ্জনক। তাই এগুলোকে ব্যবহারের সময় যথেষ্ট সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। আবার, ব্যবহারের পরে যেখানে-সেখানে না ফেলে তা একটি নির্দিষ্ট স্থানে রাখতে হবে। এসব পদার্থকে যথাসম্ভব পুনরুদ্ধার করে আবার ব্যবহার করার চেষ্টা করতে হবে। তাহলে এগুলো সহজে পরিবেশে ছড়িয়ে পড়তে পারবে না।

৫. ক্ষত সৃষ্টিকারী : এ চিহ্নধারী পদার্থ শরীরে লাগলে শরীরে ক্ষত সৃষ্টি করে। শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে গ্রহণ করলে তা শরীরের ভেতরের অঙ্গেরও ক্ষতিসাধন করতে পারে। হাইড্রোক্লোরিক এসিড, সালফিউরিক এসিড, সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইডের গাঢ় দ্রবণ এ জাতীয় পদার্থের উদাহরণ।

তাই, রসায়ন পরীক্ষাগারে ব্যবহৃত অ্যাপ্রোনের হাতা হবে হাতের কবজি পর্যন্ত। আর লম্বায় হাটুর নীচ পর্যন্ত। এটি সাদা রঙের হয়ে থাকে। হাতকে সুরক্ষার জন্য ব্যবহৃত হয় হ্যান্ড গ্লাভস, চোখকে রক্ষা করার জন্য সেফটি গগলস ব্যবহার করা হয়। রসায়নাগারে অবস্থানের সময় প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে নিজের নিরাপত্তা রক্ষার ব্যাপারে সচেতন হতে হবে এবং যাবতীয় সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে ।

প্রতিবেদনের বিষয় : প্রত্যেক শিক্ষার্থীর রসায়ন পরীক্ষাগারে বিশেষ সর্তকতা অবলম্বন করা আবশ্যক

প্রতিবেদন লিখার সময় : সকাল ০৯:২৫ মিনিট

প্রতিবেদন তৈরির তারিখ : ২৬ মে ২০২১

প্রতিবেদনের স্থান : কুমিল্লা

প্রতিবেদকের নাম ও ঠিকানা :  খাদিজাতুল স্বর্ণা,

প্রতিবেদকের স্বাক্ষর : ……………………..

বন্ধুরা এই ছিল তোমাদের জন্য ৯ম শ্রেণির রসায়ন বিষয়ের ৪র্থ সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট এর নমূনা উত্তর প্রত্যেক শিক্ষার্থীর রসায়ন পরীক্ষাগারে বিশেষ সর্তকতা অবলম্বন করা আবশ্যক শীর্ষক প্রতিবেতনটি।

খাদিজাতুল স্বর্ণা, কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজ

নবম শ্রেণির ৪র্থ এ্যাসাইনমেন্ট এর অন্যান্য বিষয়ের উত্তর:

প্রতিসপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট এবং অ্যাসাইনমেন্ট সংক্রান্ত যেকোন সহযোগিতা পেতে নিচের Download From PlayStore বাটনে ক্লিক করে বাংলা নোটিশ ডট কম এন্ড্রয়েড অ্যাপটি ডাউনলোড করে নাও।

আরো দেখুন-

তোমাদের অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ সম্পন্ন করার জন্য বাংলা নোটিশ ফেসবুক গ্রুপে দেশের বিভিন্ন নামকরা বিদ্যালয়ের অভিজ্ঞ শিক্ষক ও মেধাবী শিক্ষার্থীরা নিয়মিত আলোচনা করছে। তুমিও যোগ দিয়ে বিভিন্ন তথ্য পেতে পারো- গ্রুপ লিংক- facebook.com/groups/banglanotice

নিয়মিত বাংলা নোটিশ ডট কম ভিজিট করুন এবং ফেসবুক পেইজ Like & Follow করে রাখুন; ইউটিউবে আপডেট পেতে বাংলা নোটিশ ইউটিউব চ্যানেলটি Subscribe করে রাখুন।

বাংলা নোটিশ এর প্রশ্ন উত্তর অংশে যোগদিয়ে তোমার মনে থাকার কি কোন বিশেষ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারো। যোগ দেওয়ার জন্য নিচের প্রশ্নোত্তর বাটনে ক্লিক করুন। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *