তথ্য ভান্ডার

পদার্থের বৈশিষ্ট্য ও বাহ্যিক প্রভাব, শ্রেণি বিন্যাস, ধাতু ও অধাতু, বিদ্যুৎ পরিবাহ

ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী বন্ধুরা তোমাদের জন্য আজ বিজ্ঞান বিষয়ের সপ্তম অধ্যায় পদার্থের বৈশিষ্ট্য ও বাহ্যিক প্রভাব, শ্রেণি বিন্যাস, ধাতু ও অধাতু, বিদ্যুৎ পরিবাহ, গলনাংক ও স্ফুটনাংক সম্পর্কে আলোচনা করব। আজকের পাঠ শেষে তোমরা ষষ্ঠ শ্রেণির চতুর্থ অ্যাসাইনমেন্ট বিজ্ঞান বিষয়ের পদার্থের বৈশিষ্ট্য ও বাহ্যিক প্রভাব, শ্রেণি বিন্যাস, ধাতু ও অধাতু, বিদ্যুৎ পরিবাহ সংক্রান্ত এসাইনমেন্ট সমাধান করতে পারবে এবং আরও বেশকিছু বিষয় জানতে পারবে।

আজকের আলোচনা শেষে তোমরা যেই প্রশ্নগুলোর উত্তর করতে পারবে-

এ্যাসাইনমেন্ট/নির্ধারিত কাজ:

  • ক) বিদ্যুৎ পরিবাহী ও অপরিবাহী পদার্থের নাম লিখ।
  • খ) বিদ্যুৎ পরিবহনে তামার তার ব্যবহারের কারণ কী?
  • গ) উদ্দীপকের ১ম চিত্রে মােম গলে পড়ার পরবর্তী অবস্থা ব্যাখ্যা কর।
  • ঘ) চিত্রের পদার্থ দুটির গলনাংক ও হিমাংক কি একই? পাঠ্যপুস্তকের আলােকে বিশ্লেষণ কর।

তাহলে কথা না বাড়িয়ে চলো মূল আলোচনায় চলে যাই-

ক) বিদ্যুৎ পরিবাহী ও অপরিবাহী পদার্থের নাম লিখ:

উত্তর:

  • ১. বিদ্যুৎ পরিবাহী পদার্থের নাম : অ্যালুমিনিয়াম, সোনা, তামা।
  • ২. বিদ্যুৎ অপরিবাহী পদার্থের নাম : হাইড্রোজেন, নাইট্রোজেন, অক্সিজেন।

খ) বিদ্যুৎ পরিবহনে তামার তার ব্যবহারের কারণ কী?

উত্তর: বিদ্যুত পরিবহনে তামার তার ব্যবহার করা হয়। কারণ –

তামা একটি বিদ্যুৎ পরিবাহী ধাতু। ধাতুসমূহ বিদ্যুৎ পরিবহন করে। তবে সব ধাতুর বিদ্যুৎ পরিবহন ক্ষমতা এক নয়।

ধাতুসমূহের মধ্যে তামার বিদ্যুৎ পরিবাহিতা অন্যান্য ধাতুর তুলনায় বেশি। এটি দামেও সস্তা।

এজন্য বিদ্যুত পরিবহনে তামার তার ব্যবহার করা হয়।

গ) উদ্দীপকের ১ম চিত্রে মােম গলে পড়ার পরবর্তী অবস্থা ব্যাখ্যা কর:

উত্তর: উদ্দীপকের ১ম চিত্রে মোম গলে পড়ার অবস্থাটি তরল অবস্থা। এর পরবর্তী অবস্থা হলো কঠিন।

নিচে তা ব্যাখ্যা করা হলো-

মোমের জ্বলনে পদার্থের তিন অবস্থা দেখা যায়। যেমন- কঠিন, তরল এবং গ্যাসীয়।

কঠিন অবস্থায় তাপে যখন মোম গলে তরলে পরিণত হয়; তখন কিছু অংশ বাষ্পেও পরিণত হয়।

এর পরবর্তী ধাপে মোমের কিছু অংশ নিচে জমে কঠিন মোমে পরিণত হয়।

অর্থাৎ, এ ধাপটিতে পদার্থের কঠিন অবস্থা বিরাজ করে।

কোনো বস্তু যতটুকু জায়গা দখল করে সেটি ঐ বস্তুর আয়তন। সকল কঠিন বস্তুই জায়গা দখল করে, তাই সকল কঠিন বস্তুরই আকার ও আয়তন আছে।

কঠিন পদার্থের আকার ও আয়তন সহজে পরিবর্তন করা যায় না। এরা যথেষ্ট দৃঢ় অর্থাৎ এদের দৃঢ়তা আছে। তবে কিছু কিছু কঠিন পদার্থের দৃঢ়তা কম

যেমন- সরিষার দানা, ভাত, কলা ইত্যাদি।

ঘ) চিত্রের পদার্থ দুটির গলনাংক ও হিমাংক কি একই? পাঠ্যপুস্তকের আলােকে বিশ্লেষণ কর:

উত্তর: চিত্রের পদার্থ দুটির গলনাংক ও হিমাংক একই। পাঠ্যপুস্তকের আলোকে বিশ্লেষণ করা হলো-

যে তাপমাত্রায় কোনো কঠিন পদার্থ তরলে পরিণত হয়, সেই তাপমাত্রাকে ঐ পদার্থের গলনাংক বলে।

আবার, যে তাপমাত্রায় কোনো তরল পদার্থ তরল থেকে জমতে শুরু করে কঠিন অবস্থায় পরিণত হয়, তাকে ঐ তরলের হিমাংক বলে। প্রায় সকল পদার্থের গলনাংক ও হিমাংক সমান।

চিত্রের ১ম পদার্থ হলো মোম। কঠিন মোম ৫৭˚ সেলসিয়াস তাপমাত্রায় গলে তরলে পরিণত হয়।

তাই মোমের গলনাংক ৫৭˚ সেলসিয়াস। এই একই তাপমাত্রায় মোম জমতে শুরু করে কঠিন মোমে পরিণত হয়।

অতএব, মোমের হিমাংকও ৫৭˚ সেলসিয়াস। আবার, চিত্রের ২য় পদার্থ হলো বরফ। বরফের গলনাংক ০˚ সেলসিয়াস এবং হিমাংকও ০˚ সেলসিয়াস।

যেহেতু আলাদা আলাদাভাবে পদার্থ দুটির গলনাংক ও হিমাংক যথাক্রমে ৫৭˚ সেলসিয়াস ও ০˚ সেলসিয়াস; তাই বলা যায়, পরিমাণগতভাবেই পদার্থ দুটির গলনাংক ও হিমাংক একই।

পদার্থের বৈশিষ্ট্য ও বাহ্যিক প্রভাব, শ্রেণি বিন্যাস, ধাতু ও অধাতু, বিদ্যুৎ পরিবাহ নিয়ে এই ছিল আজকের আয়োজন। তোমরা এখান থেকে আইডিয়া সংগ্রহ করে নিজের মত করে খাতায় লিখবে।

তোমাদের জন্য আজকের এই টিউনটি উপহার দিয়েছেন, খাদিজুল স্বর্ণা, কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজ

তোমাদের এস্যাইনমেন্ট সংক্রান্ত যেকোন সমস্যার সমাধান পাওয়ার জন্য বাংলা নোটিশ ডট কম এর ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করো <Join Now>; গ্রুপে দেশের অভিজ্ঞ শিক্ষক ও মেধাবী শিক্ষার্থীরা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করে নিচ্ছে।

প্রতি সপ্তাহের এস্যাইনমেন্ট তোমার ফেসবুক ওয়ালে পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজটি LIKE & FOLLOW করে রাখো;

ইউটিউবে বিভিন্ন তথ্য পেতে বাংলা নোটিশ এর ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করে রাখুন;

তোমার জন্য নির্বাচিত কিছু তথ্য:

আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা নোটিশ ডট কম এর প্রকাশক ও সম্পাদক জনাব আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া। জন্ম ১৯৯৩ সালের ২০ নভেম্বর, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায়। বাবা আবদুল গফুর ভূঁইয়া এবং মা রহিমা বেগম। এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে আবদুল্লাহ আল আরিয়ান বয়স ৫ বছর। মেয়ে ফাবিহা জান্নাত বয়স ১ বছর। আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া এর শিক্ষাজীবন আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে ২০১৮ সালে ম্যানেজমেন্ট এ স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি উত্তরা ইউনিভার্সিটি ঢাকা থেকে বিপিএড সম্পন্ন করেন। আজিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শুরু। এরপর আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজ লাকসাম উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কিছুদিন ক্লাস করার পর। পারিবারিক কারণে নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজ এ কিছুদিন রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করার পর ভালো না লাগায় পুনরায় ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ছাত্র জীবনে তিনি নানা রকম সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। কর্মজীবন কর্মজীবনের শুরুতে তিনি আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় যোগদেন। বেশ কিছুদিন পর তিনি ২০১৯ সালে উন্নত ভবিষ্যতের আশায় কুয়েত পারি জমান। কিন্তু সেখানকার কাজের পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় পুনরায় আবার বাংলাদেশে ফিরে এসে পূর্বের পদে কাজে যোগদান করে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন। এছাড়াও তিনি স্বপ্ন গ্রাফিক্স এন্ড নেটওয়ার্ক নামে একটি মাল্টিমিডিয়া এবং প্রিন্টিং প্রেস প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধীকারী সেই সাথে স্বপ্ন ইশকুল নামক একটি কম্পিউটার ট্রেণিং ইনস্টিটিউট এর মালিকানায় আছেন যেখানে তিনি নিজেই ক্লাস পরিচালনা করেন। লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্ম ছাত্র অবস্থায় তিনি লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্মের সাথে জড়িত আছেন। ২০১১ সালে রাইটার্স এসোসিয়েশন এর ম্যাগাজিনে তার প্রথম লেখা বন্ধু চিরন্তন প্রকাশিত হয়। এর পর তিনি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন।

Related Articles

2 Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Close

অ্যাডস্ ব্লকার পাওয়া গেছে!

দয়া করে আমাদের সাপোর্ট করার জন্য আপনার এডস্ ব্লকার ডিজেবল করে পেইজটি রিলোড করুন! ধন্যবাদ