তথ্য ভান্ডারমাদ্রাসা অ্যাসাইনমেন্ট

শস্য পর্যায়ের সুফল পেতে হলে শস্য পর্যায়ের ব্যবহার

প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ, আজ আলোচনা করবো শস্য পর্যায়ের ধারণা, শস্য পর্যায় প্রযুক্তির ব্যবহার ও সুবিধা নিয়ে। আজকের আলোচনার চৌম্বক তথ্য হলো- শস্য পর্যায়ের সুফল পেতে হলে শস্য পর্যায়ের ব্যবহার।

উঁচু, মাঝারি উঁচু, মাঝারি নিচু বিভিন্ন ধরনের ফসলি জমি খণ্ডে খণ্ডে ভাগ করে গনি মিয়া দুই মৌসুমে পরপর দুই বছর বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদন করেন।

  1. নিম্নলিখিত ফসলগুলো দিয়ে গনি মিয়া কোন ধরনের শস্য পর্যায় অবলম্বন করবেন তা চার্টের সাহায্যে তুমি উপস্থাপন কর- পাট, আউশ, গোলআলু, ফুলকপি, বাঁধাকপি, আখ, মাষকলাই, মুগ, সরিষা ও গম।

  2. শস্য পর্যায় কি?

  3. উপরিউক্ত ফসল নির্বাচনের ক্ষেত্রে শস্য পর্যায় বিষয়গুলো কিভাবে গুরুত্ব পায়?

  4. ভূমি উন্নয়নে শস্য পর্যায় কিভাবে ভূমিকা রাখে?

  5. শস্য পর্যায়ের সুফল পেতে হলে গণি মিয়ার শস্য পর্যায়ের ব্যবহার কতটুকু যুক্তিসঙ্গত? ব্যাখ্যা করো।

১.

নিম্নলিখিত ফসলগুলো দিয়ে গনি মিয়া কোন ধরনের শস্য পর্যায় অবলম্বন করবেন তা চার্টের সাহায্যে উপস্থাপন করা হলো-

গনি মিয়ার উঁচু, মাঝারি উঁচু, মাঝারি নিচু বিভিন্ন ধরনের ফসলি জমি রয়েছে। এ থেকে বুঝা যায়, গনি মিয়া পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও জেলার এবং দিনাজপুরের উত্তর-পশ্চিম অংশের কৃষি পরিবেশ-১ এর অন্তর্ভুক্ত।

এখানকার কৃষকরা পাট, আউশ, গোলআলু, ফুলকপি, বাঁধাকপি, আখ, মাষকলাই, মুগ, সরিষা ও গম চাষ করেন। কৃষকেরা বৃষ্টিপাত নির্ভর ফসল ফলান, আবার সেচনির্ভর ফসলও ফলান।

গনি মিয়া রবি, খরিপ-১ এবং খরিপ-২ মৌসুমভিত্তিক পাট, আউশ, গোলআলু, ফুলকপি, বাঁধাকপি, আখ, মাষকলাই, মুগ, সরিষা ও গম ইত্যাদি ফসল ফলাবেন। এগুলো ফলানোর জন্য কৃষক বছরভিত্তিক নিম্নোক্ত শস্যপর্যায় গ্রহণ করতে পারেন।

১ম বছর-
খণ্ড-১
রবি : আউশ
খরিপ-১ : পাট
খরিপ-২ : পতিত

খণ্ড-২
রবি : সরিষা, ফুলকপি,
খরিপ-১ : মুগ
খরিপ-২ : আখ

খণ্ড-৩
রবি : গোল আলু, বাঁধাকপি
খরিপ-১ : মাষকলাই
খরিপ-২ : গম

২য় বছর-
খণ্ড-১
রবি : গোল আলু, বাঁধাকপি
খরিপ-১ : মাষকলাই
খরিপ-২ : গম

খণ্ড-২
রবি : সরিষা, ফুলকপি,
খরিপ-১ : মুগ
খরিপ-২ : আখ

খণ্ড-৩
রবি : আউশ
খরিপ-১ : পাট
খরিপ-২ : পতিত
শস্য পর্যায়ক্রমে দেখা যায় যে, প্রথম বছরে যেভাবে ফসল উৎপাদন শুরু হয়েছিল, দ্বিতীয় বছরে আবার সেভাবেই শেষ হচ্ছে।

২.

শস্য পর্যায় একটি উন্নত কৃষি প্রযুক্তি। এর দ্বারা মাটির স্বাস্থ্য ভালো থাকে, ফসল ভালো হয়, অধিক ফলন হয়।

রোগ-পোকা কম হয় এবং সারের কার্যকারিতা ভালো হয়। প্রযুক্তি হিসেবে শস্য পর্যায়ের ব্যবহার সব দেশেই প্রচলিত।

মাটির উর্বরতা বজায় রেখে একখণ্ড জমিতে শস্য ঋতুর বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন ফসল উৎপাদন করার নাম শস্য পর্যায়।

অর্থাৎ একই জাতের ফসল একই জমিতে বারবার উৎপাদন না করে অন্য জাতের ফসল উৎপাদন করাই হচ্ছে শস্য পর্যায়। যেমন- গভীরমূলী ফসল উৎপাদনের পর অগভীরমূলী জাতীয় ফসলের আবাদ করা উচিত।

ফলে পোকা-মাকড় ও রোগ-পোকার উপদ্রব কম হয়।

শস্য পর্যায়ের সুফল পেতে হলে শস্য পর্যায়ের ব্যবহার

৩.

শস্য পর্যায় এর জন্য এমন ফসল নির্বাচন করতে হবে যাতে নিচে উল্লিখিত বিষয়গুলো গুরুত্ব পায়-

  • পরপর একই ফসলের চাষ না করা ;
  • একই শিকড় বিশিষ্ট ফসলের চাষ না করা ;
  • ফসলের পুষ্টি চাহিদা কম বেশি অনুযায়ী নির্বাচন করা ;
  • ফসলের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা ;
  • সবুজ সার যেমন- ধইঞ্চা চাষ করা ;
  • গবাদিপশুর খাবারের জন্য ঘাসের চাষ করা ;
  • খাদ্যশস্য ও অর্থকরী ফসলের চাষ করা।

 

৪.

ভূমি উন্নয়নে শস্য পর্যায় যেভাবে ভূমিকা রাখে-

শস্য পর্যায় একটি উন্নত কৃষি প্রযুক্তি। এর দ্বারা মাটির স্বাস্থ্য ভালো থাকে, ফসল ভালো হয়, অধিক ফলন হয়। রোগ-পোকা কম হয় এবং সারের কার্যকারিতা ভালো হয়।

মাটির উর্বরতা বজায় রেখে একখণ্ড জমিতে শস্য ঋতুর বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন ফসল উৎপাদন করার নাম শস্য পর্যায়।

বিভিন্ন জাতের ফসল উৎপাদন হয় বলে মাটিতে গাছের পুষ্টি বজায় থাকে। শস্য পর্যায় এর ফলে মাটিতে নাইট্রোজেন যুক্ত হয়। এভাবে শস্যপর্যায় ভূমি উন্নয়নে ভূমিকা রাখে।

 

৫.

শস্য পর্যায়ের সুফল পেতে হলে গনি মিয়ার শস্যপর্যায়ের ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে যুক্তিসঙ্গত। ব্যাখ্যা করা হলো –

আমাদের দেশের কৃষকরা জেনে অথবা না জেনে শস্যপর্যায় প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসছেন। বৈজ্ঞানিক যুক্তি হয়তো তারা দিতে পারবেন না।

কিন্তু এতটুকু জ্ঞান তাদের আছে যে, একই ফসল একই জমিতে বছরের পর বছর চাষ করলে ফলন কমে যায়। মাটির উর্বরতা কমে যায়। পোকামাকড় ও রোগবালাইসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়।

কৃষকেরা তাদের জমিতে ফসল ফলান সেগুলোকে রবি, খরিপ-১, খরিপ-২ এই তিন ভাগে ভাগ করেছেন।

কাজেই কৃষক প্রথমত মৌসুম অনুযায়ী কি ফসল চাষ করবেন তা নির্ধারণ করেন। দ্বিতীয়তঃ কোন জমিতে কি ফসল ফলাবে তাও নির্ধারণ করেন।

শস্য পর্যায় এর বিধি অনুযায়ী কৃষকের জমিকে খণ্ডে খণ্ডে ভাগ করার প্রয়োজন পড়ে। আর খণ্ডগুলোর আকার সমান রাখার নির্দেশ রয়েছে।

কিন্তু বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশের কৃষকদের জমি বিভিন্ন খন্ডে ভাগ করে ভাগ হয়ে আছে যা আকারে সমান নাও হতে পারে। কৃষকদের অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করেই তারা জমি ও ফসল নির্বাচন করেন।

উপরোক্ত আলোচনা ও পূর্ববর্তী প্রশ্নের আলোকে বলা যায়, শস্য পর্যায় এর সুফল পেতে হলে গণি মিয়ার শস্য পর্যায় এর ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে যুক্তিসঙ্গত।

আরো দেখুন-

সকল স্তরের শিক্ষা সংক্রান্ত সঠিক তথ্য, সরকারি-বেসরকারি চাকুরি বিজ্ঞপ্তি, চাকুরির পরীক্ষা, এডমিট কার্ড,

পরীক্ষার রুটিন, সরকারি বেসরকারি বৃত্তি, উপবৃত্তি ও প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত তথ্য সবার

আগে পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজটি Follow করে রাখুন।

ইউটিউবে সর্বশেষ আপডেট পেতে বাংলা নোটিশ ডট কম এর ইউটিউব চ্যানেলটি Subscribe করে রাখুন।

আপনার প্রতিষ্ঠানের যেকোন বিজ্ঞপ্তি, খবর, নোটিশ ও জাতীয় রাজনৈতিক বিষয়ে লেখা প্রকাশ করতে চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা নোটিশ ডট কম এর প্রকাশক ও সম্পাদক জনাব আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া। জন্ম ১৯৯৩ সালের ২০ নভেম্বর, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায়। বাবা আবদুল গফুর ভূঁইয়া এবং মা রহিমা বেগম। এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে আবদুল্লাহ আল আরিয়ান বয়স ৫ বছর। মেয়ে ফাবিহা জান্নাত বয়স ১ বছর। আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া এর শিক্ষাজীবন আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে ২০১৮ সালে ম্যানেজমেন্ট এ স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি উত্তরা ইউনিভার্সিটি ঢাকা থেকে বিপিএড সম্পন্ন করেন। আজিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শুরু। এরপর আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজ লাকসাম উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কিছুদিন ক্লাস করার পর। পারিবারিক কারণে নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজ এ কিছুদিন রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করার পর ভালো না লাগায় পুনরায় ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ছাত্র জীবনে তিনি নানা রকম সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। কর্মজীবন কর্মজীবনের শুরুতে তিনি আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় যোগদেন। বেশ কিছুদিন পর তিনি ২০১৯ সালে উন্নত ভবিষ্যতের আশায় কুয়েত পারি জমান। কিন্তু সেখানকার কাজের পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় পুনরায় আবার বাংলাদেশে ফিরে এসে পূর্বের পদে কাজে যোগদান করে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন। এছাড়াও তিনি স্বপ্ন গ্রাফিক্স এন্ড নেটওয়ার্ক নামে একটি মাল্টিমিডিয়া এবং প্রিন্টিং প্রেস প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধীকারী সেই সাথে স্বপ্ন ইশকুল নামক একটি কম্পিউটার ট্রেণিং ইনস্টিটিউট এর মালিকানায় আছেন যেখানে তিনি নিজেই ক্লাস পরিচালনা করেন। লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্ম ছাত্র অবস্থায় তিনি লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্মের সাথে জড়িত আছেন। ২০১১ সালে রাইটার্স এসোসিয়েশন এর ম্যাগাজিনে তার প্রথম লেখা বন্ধু চিরন্তন প্রকাশিত হয়। এর পর তিনি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Close

অ্যাডস্ ব্লকার পাওয়া গেছে!

দয়া করে আমাদের সাপোর্ট করার জন্য আপনার এডস্ ব্লকার ডিজেবল করে পেইজটি রিলোড করুন! ধন্যবাদ