একাডেমিক

মিয়োসিস প্রফেজ-১ এর উপপর্যায় পর্যালোচনা

চলমান কোভিড-১৯ অতিমারির কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মােতাবেক পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের শিখন কার্যক্রমে পুরােপুরি সম্পৃক্তকরণ ও ধারাবাহিক মূল্যায়নের আওতায় আনয়নের জন্য এইচএসসি ২০২২ ১১শ সপ্তাহের জীববিজ্ঞান ১ম পত্র অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান সম্পর্কিত ধারণা দেওয়ার নিমিত্তে আজকের আর্টিকেলে এইচএসসি ২০২২ জীববিজ্ঞান ১ম পত্র এসাইনমেন্ট সমাধান- মিয়োসিস প্রফেজ-১ এর উপপর্যায় পর্যালোচনা করার চেষ্টা করবো।

এইচএসসি ২০২২ জীববিজ্ঞান ১ম পত্র এসাইনমেন্ট

এসাইনমেন্টঃ মিয়োসিস প্রফেজ-১ এর উপপর্যায় পর্যালোচনা

নির্দেশনা :

  1. মিয়োসিস প্রফেজ-১ এর বাইভেলেন্ট সৃষ্ঠির উপপর্যায়টির চিহ্নিত চিত্র অঙ্কন
  2. চিত্রসহ ক্রসিং ওভারের কৌশল ও গুরুত্ব
  3. মিয়োসিস প্রফেজ-১ এর শেষের দুইটি উপপর্যায়ের মধ্যে ভিন্নতা ছকের মাধ্যমে উপস্থাপন

এইচএসসি ২০২২ জীববিজ্ঞান ১ম পত্র এসাইনমেন্ট সমাধান

ভূমিকা: মায়ােসিস- ১ এ ক্রোমােজোম সংখ্যা অর্ধেক হয়ে যায় বলে একে হ্রাসমূলক (reductional) বিভাজনও বলা হয়। মায়ােসিস কোষ বিভাজনে মায়ােসিস- ১ সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এ পর্যায়ে ডিপ্লয়েড (2n) কোষের ক্রোমােজোম সংখ্যা হ্রাস পেয়ে অর্ধেক হয় এবং সমসংস্থ (homologous) ক্রোমােজোমের মধ্যে পারস্পরিক অংশের বিনিময় (crossing over) হয়। মায়ােসিস- ১ কে পুনরায় প্রােফেজ- ১, প্রােমেটাফেজ- ১, মেটাফেজ- ১, অ্যানাফেজ-১ ও টেলােফেজ-১ এ ভাগ করা হয়।

প্রােফেজ-১-এ পর্যায়টি দীর্ঘস্থায়ী। এ পর্যায়ে নিউক্লিয়াসটি আকারে বৃদ্ধি পায় এবং ক্রোমােজোমের DNA এর পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ হয়। এ পর্যায়টিকে পাঁচটি উপ-পর্যায়ে ভাগ করা হয়েছে। যথা-

  • (ক) লেন্টোটিন।
  • (খ) জাইগােটিন
  • (গ) প্যাকাইটিন
  • (ঘ) ডিপ্লোটিন এবং
  • (ঙ) ডায়াকাইনেসিস

১. বাইভেলেন্ট সৃষ্টির উপপর্যায় চিহ্নিত চিত্রসহ ব্যাখ্যাকরণঃ

প্রােফেজ-১ বিভাজনের জাইগােটিন উপপর্যায়ে বাইলেন্ট সৃষ্টি হয়। নিম্নে জাইগােটিন উপপর্যায় চিত্রসহ ব্যাখ্যা করা হলােঃ

জাইগােটিন উপ-পর্যায়ে সমসংস্থ বা হােমােলােগাস (homologous) ক্রোমােজোমগুলির পরস্পরের মধ্যে আকর্ষণ ঘটে। হােমােলােগাস ক্রোমােজোমদ্বয়ের মধ্যে পরস্পর আকর্ষণের ফলে একটি জোড়ার সৃষ্টি হয়। হােমােলােগাস ক্রোমােজোমদ্বয়ের একটি মাতা থেকে এবং অন্যটি পিতা’ থেকে আসে। হােমােলােগাস ক্রোমােজোমের এ জোড়া সৃষ্টি ক্রোমােজোমদ্বয়ের এক প্রান্ত হতে আরম্ভ হয়ে অন্য প্রান্তে শেষ হতে পারে, বা সেন্ট্রোমিয়ারদ্বয়ের মধ্যে আরম্ভ হয়ে দুদিকে ক্রমান্বয়ে বিস্তার লাভ করতে পারে, অথবা ক্রোমােজোমের স্থানে স্থানে আরম্ভ হতে পারে।

হােমােলােগাস ক্রোমােজোমদ্বয়ের পরস্পরের সাথে জোড়া সৃ করাকে সিন্যাপসিস (synapsis) বলে। হােমােলােগাস। ক্রোমােজোমের প্রত্যেকটি জোড়াকে এক একটি বাইভেলেন্ট (bivalent) বলে। কাজেই কোষে যতগুলি ক্রোমােজোম থাকবে তার অর্ধেক সংখ্যক বাইভেলেন্ট সৃষ্টি হবে। নিউক্লিয়ার মেমব্রেন ও নিউক্লিওলাস এ উপ- পর্যায়ে দেখা যায়। গঠনের দিক থেকে একই প্রকার অর্থাৎ আকার, আকৃতি, ক্রোমােমিয়ারের অবস্থান ও সংখ্যা প্রভৃতি দিক একই প্রকার ক্রোমােজোম জোড়াকে সমসংস্থ বা হােমােলােগাস (homologous)। ক্রোমােজোম বলে এবং এদের একটিকে অপরটির হােমােলগ (homologous) বলে। হােমােলােগাস ক্রোমােজোমের এ জোড়া সৃষ্টি ক্রোমােজোমদ্বয়ের এক প্রান্ত হতে আরম্ভ হয়ে অন্য প্রান্তে শেষ হতে পারে, বা সেন্ট্রোমিয়ারদ্বয়ের মধ্যে আরম্ভ হয়ে দুদিকে ক্রমান্বয়ে বিস্তার লাভ করতে পারে, অথবা ক্রোমােজোমের স্থানে স্থানে আরম্ভ হতে পারে।

২. চিত্রসহ ক্রসিং ওভারের কৌশল ও গুরুত্ব ব্যাখ্যাকরণঃ

মিয়ােসিস কোষ বিভাজনের প্রােফেজ-১ এর প্যাকাইটিন উপপর্যায়ে হােমােলােগাস ক্রোমােজোমের দুটি ননসিস্টার ক্রোমাটিডের মধ্যে জীনের অংশের বিনিময়কে ক্রসিংওভার (crossing over) বলে। ক্রসিংওভার যেভাবে নতুন বৈশিষ্ট্য সৃষ্টি করে, মিয়ােসিস কোষ বিভাজনের প্যাকাইটিন উপদশায় ক্রসিংওভারের সময় প্রথমে দুটি নন-সিস্টার ক্রোমাটিড একই স্থান বরাবর ভেঙে যায়। পরে একটির এক অংশের সাথে অপরটির অন্য অংশ পুনরায় জোড়া লাগে। ফলে কায়াজমা সৃষ্টি হয়। শেষ পর্যায়ে প্রান্তীয়করণের মাধ্যমে ক্রোমাটিডের বিনিময় শেষ হয়।

এর ফলে ক্রোমাটিডের মধ্যে অংশের বিনিময় ঘটে, সাথে সাথে জিনেরও বিনিময় ঘটে। জিন-এর বিনিময়ের ফলে চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের বিনিময় হয়, ফলে জীবে নতুন বৈশিষ্ট্য সৃষ্টি হয়। ক্রসিংওভারের কৌশল: প্রথমে দুটি নন সিস্টার ক্রোমাটিড একইস্থান বরাবর ভেঙ্গে যায়। পরে একটির এক অংশের সাথে অপরটির অন্য অংশ পুনরায় জোড়া লাগে। ফলে কায়েজমা সৃষ্টি হয়। শেষ পর্যায়ে প্রান্তীয়করণের মাধ্যেমে ক্রোমাটিডের অংশের বিনিময় ঘটে, সাথে সাথে জীনের অংশেরও বিনিময় ঘটে।

ক্রসিং ওভারের গুরুত্ব (Significance of crossing over):

১) ক্রসিং ওভার এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে জিনগুলাে ক্রোমােজোমে সরল রেখায় সজ্জিত থাকে।

২) একটি জিনের দুটি অ্যালিল হােমােলােগাস ক্রোমােজোমের একই লােকাসে অবস্থান করে এই তত্ত্বটিও ক্রসিং ওভার পদ্ধতির মাধ্যমে প্রমাণিত হয়।

৩) ক্রসিং ওভার পদ্ধতিতে জিনের পুনঃসংযােজন ঘটে এবং এর ফলে রিকম্বাইন্ড গ্যামেটগুলি মিলিত হয়ে অপত্যের মধ্যে নতুন জিনের প্রকাশ ঘটে। অর্থাৎ, ক্রসিং ওভার এর জন্যই জিন নতুন চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের থেকে অপত্যের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য পৃথক হয়।

৩. মিয়োসিস প্রফেজ-১ এর শেষের দুইটি উপপর্যায়ের মধ্যে ভিন্নতা

এই ছিল তোমাদের এইচএসসি ২০২২ জীববিজ্ঞান ১ম পত্র এসাইনমেন্ট সমাধান- মিয়োসিস প্রফেজ-১ এর উপপর্যায় পর্যালোচনা।

আরো দেখুন-

সকল স্তরের শিক্ষা সংক্রান্ত সঠিক তথ্য, সরকারি-বেসরকারি চাকুরি বিজ্ঞপ্তি, চাকুরির পরীক্ষা, এডমিট কার্ড, পরীক্ষার রুটিন, সরকারি বেসরকারি বৃত্তি, উপবৃত্তি ও প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত তথ্য সবার আগে পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজটি Follow করে রাখুন। ইউটিউবে সর্বশেষ আপডেট পেতে বাংলা নোটিশ ডট কম এর ইউটিউব চ্যানেলটি Subscribe করে রাখুন। আপনার প্রতিষ্ঠানের যেকোন বিজ্ঞপ্তি, খবর, নোটিশ ও জাতীয় রাজনৈতিক বিষয়ে লেখা প্রকাশ করতে চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Close

অ্যাডস্ ব্লকার পাওয়া গেছে!

দয়া করে আমাদের সাপোর্ট করার জন্য আপনার এডস্ ব্লকার ডিজেবল করে পেইজটি রিলোড করুন! ধন্যবাদ