সর্বশেষ আপটেড

বর্ণিত আপ্যায়নের সাথে বর্তমান সময়ের অতিথি আপ্যায়নের সাদৃশ্য বৈসাদৃশ্য

প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ, আশা করছি সবাই ভালো আছো। তোমরা কি ৭ম শ্রেণির ৯ম সপ্তাহের বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট ২০২১ এর উত্তর সম্পর্কে ধারণা নিতে চাচ্ছো? কিংবা এসাইনমেন্টটি কিভাবে প্রস্তুত করতে হয় সে সম্পর্কে জানতে আগ্রহী? তাহলে বলবো তোমরা ঠিক ওয়েবসাইটে এসেছো। তোমাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটিতে রয়েছে- বর্ণিত আপ্যায়নের সাথে বর্তমান সময়ের অতিথি আপ্যায়নের সাদৃশ্য বৈসাদৃশ্য।

৭ম শ্রেণি ৯ম অ্যাসাইনমেন্ট ২০২১ বাংলা

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড এনসিটিবি কর্তৃক প্রণীত সপ্তম শ্রেণীর ধারাবাহিক অ্যাসাইনমেন্ট এর মধ্যে এটি বাংলা ( সপ্তবর্ণা) পাঠ্য বইয়ের তৃতীয় অ্যাসাইনমেন্ট।

এর আগে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বাংলা বিষয়ের প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট যৌক্তিকতা নিরুপণ: নিচে উল্লিখিত অংশটি সাধুরীতিতে রচিত উপযুক্ত কারণ দেখিয়ে তার যৌক্তিকতা তুলে ধরা প্রকাশিত হয়েছিল ২০২১ সালের ৭ম শ্রেণির ১ম সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট এর সাথে।

এবং ৭ম শ্রেণি ৫ম সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট ২০২১ এর সাথে বাংলা বিষয়ের দ্বিতীয় এসাইনমেন্ট সমাজের বিভিন্ন শ্রমজীবি মানুষের অবদান এবং তাদের মূল্যায়ন করার কৌশল প্রকাশিত হয়েছিল।

সপ্তম শ্রেণীর সকল এসাইনমেন্ট প্রকাশের ধারাবাহিকতায় বাংলা নোটিশ ডটকমের পাঠকদের জন্য নবম সপ্তাহে নির্ধারিত বাংলা সপ্তবর্ণা পাঠ্য বইয়ের তৃতীয় এসাইনমেন্ট বিস্তারিত উল্লেখ করা হলো। 

শ্রেণী সপ্তম, বিষয়: বাংলা (সপ্তবর্ণা), অ্যাসাইনমেন্ট নং: ৩

অধ্যায় ও শিরোনামঃ পদ্য (কবিতা), পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত পার্ট নম্বর ও বিষয়বস্তু: কবি জসীম উদ্দীন রচিত আমার বাড়ি;

এসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজঃ সাহিত্য পর্যালোচনা

  • আমার বাড়ি কবিতায় বন্ধুকে আপ্যায়নের জন্য কি কি আয়োজন ও খাবারের কথা উল্লেখ আছে?
  • কবিতায় বর্ণিত আপ্যায়নের সাথে বর্তমান সময়ের অতিথি আপ্যায়নের সাদৃশ্য-বৈসাদৃশ্য নিজের পারিবারিক অভিজ্ঞতার আলোকে লিখ।

অ্যাসাইনমেন্ট লেখার নির্দেশনাঃ পাঠ্যপুস্তক নিজের অভিজ্ঞতার সমন্বয়ে লিখবে।

৭ম শ্রেণি ৯ম অ্যাসাইনমেন্ট ২০২১ বাংলা এর বাছাইকরা উত্তর

শতভাগ মূল্যায়ন নির্দেশনা অনুসরণ করে তোমাদের জন্য সপ্তম শ্রেণীর বাংলা বিষয়ের তৃতীয় এসাইনমেন্ট পারিবারিক অভিজ্ঞতার আলোকে কবিতায় বর্ণিত আপ্যায়নের সাথে বর্তমান সময়ের অতিথি আপ্যায়নের সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য চিহ্নিত করে একটি বাছাই করার নমুনা উত্তর প্রস্তুত করে দেয়া হলো।

বর্ণিত আপ্যায়নের সাথে বর্তমান সময়ের অতিথি আপ্যায়নের সাদৃশ্য বৈসাদৃশ্য।

‘আমার বাড়ি’ কবিতায় বন্ধুকে আপ্যায়নের জন্য যে যে আয়োজন ও খাবারের কথা উল্লেখ আছে তা নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ

কবি জসীমউদ্দীনের ‘হাসু’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ‘আমার বাড়ি’ কবিতায় কবি তার বন্ধুকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন আপ্যায়ন করার জন্য। এটি হচ্ছে তার শহরের বন্ধুকে গ্রামের বাড়িতে আপ্যায়ন করার আমন্ত্রণ। তিনি মূলত তার বন্ধুকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি তাকে বিভিন্নভাবে আপ্যায়ন করবেন বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি তার বন্ধুকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নিতে চেয়েছেন। তিনি তার বন্ধুকে পিঁড়িতে বসতে দিতে চান এবং গাছপালার ডালের মাধ্যমে বাতাস করতে চান। এছাড়াও অতিথিকে আপ্যায়ন করতে চান পানি বা শরবত খাইয়ে এবং শাইল ধানের খই, শবরী কলা এবং গামছা বাঁধা দই দিয়ে।

প্রকৃতির সান্নিধ্যে কেমন করে অতিথির প্রাণ জুড়াবে এর এক নিবিড় পরিচয় আছে পল্লী কবি জসীম উদ্দীন রচিত এই কবিতাটিতে। কবি তার বন্ধুকে ছায়াময় গাছের নিচে শান্ত নিরিবিলি জায়গা ঘুমাতে দিবেন। কবি তার বন্ধুর সাথে সারাদিন খেলাধুলা করবে, গল্পগুজব করবে। কবির সাথে সাথে যেন অতিথি আপ্যায়ন করতে গাছ, ফুল এবং পাখিরাও উন্মুক্ত হয়ে আছে ।

নিজের পারিবারিক অভিজ্ঞতার আলোকে বর্তমান সময়ে অতিথি আপ্যায়নের ক্ষেত্রে সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য নিম্নে উপস্থাপন করা হলোঃ

কবিতায় উল্লিখিত আপ্যায়নের সাথে আমার নিজের পারিবারিক জীবনের আপ্যায়নের অভিজ্ঞতার তেমন একটা সাদৃশ্য নেই বললেই চলে।

কারন, আমার বাড়িতে অতিথি আসলে সাধারণত চা-বিস্কুট, চানাচুর, নুডলস, বিরিয়ানি, পাস্তা, মিষ্টি, পিঠা, ফলমূল যেমন-আপেল, কমলা ইত্যাদি দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের মাছ-মাংস, শাক-সবজি ও ফলমূল এর ব্যবস্থা করে থাকি।

সাদৃশ্য বলতে গেলে বলা যায় যে, বর্তমান সময়ে আমরা অতিথিকে বিভিন্ন ধরনের ফুলের মালা বা ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করে নিই।

আর বৈসাদৃশ্য বলতে গেলে বলা যায় যে,বর্তমান সময়ে আমরা অতিথি বন্ধুর সাথে বেশি খেলাধুলা করি না বরং টিভি দেখি কিংবা ভার্চুয়াল জগত নিয়ে থাকি। ফলে প্রকৃতি দেখার সুযোগ আমাদের হয় না।

উপরিউক্ত সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য থেকে বলতে পারি যে, পূর্বে বাঙ্গালীদের অতিথি বন্ধুকে আপ্যায়নের যে একটা ঐতিহ্য ছিল সেটা এখনো কিছুটা বিদ্যমান রয়েছে। পূর্বের মত অতিথি আপ্যায়ন না করা হলেও অতিথি আপ্যায়নে কোনো কিছুর ত্রুটি রাখা হয় বলে আমার মনে হয় না।

এই ছিল তোমাদের ৭ম শ্রেণি ৯ম অ্যাসাইনমেন্ট ২০২১ বাংলা এর বাছাইকরা উত্তর-

বর্ণিত আপ্যায়নের সাথে বর্তমান সময়ের অতিথি আপ্যায়নের সাদৃশ্য বৈসাদৃশ্য।

আরো দেখুন-

প্রতি সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এবং বাংলা নোটিশ ডটকমের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। নিয়মিত অ্যাসাইনমেন্ট ডাউনলোড করার জন্য  BanglaNotice.com, SoftDows.com এবং dshe.gov.bd এর ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। সেইসাথে এসাইনমেন্ট সংক্রান্ত সকল আপডেট সবার আগে পাওয়ার জন্য বাংলার নোটিশ এর ফেসবুক পেজটি লাইক এবং ফলো করে রাখুন।

আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা নোটিশ ডট কম এর প্রকাশক ও সম্পাদক জনাব আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া। জন্ম ১৯৯৩ সালের ২০ নভেম্বর, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায়। বাবা আবদুল গফুর ভূঁইয়া এবং মা রহিমা বেগম। এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে আবদুল্লাহ আল আরিয়ান বয়স ৫ বছর। মেয়ে ফাবিহা জান্নাত বয়স ১ বছর। আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া এর শিক্ষাজীবন আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে ২০১৮ সালে ম্যানেজমেন্ট এ স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি উত্তরা ইউনিভার্সিটি ঢাকা থেকে বিপিএড সম্পন্ন করেন। আজিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শুরু। এরপর আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজ লাকসাম উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কিছুদিন ক্লাস করার পর। পারিবারিক কারণে নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজ এ কিছুদিন রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করার পর ভালো না লাগায় পুনরায় ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ছাত্র জীবনে তিনি নানা রকম সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। কর্মজীবন কর্মজীবনের শুরুতে তিনি আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় যোগদেন। বেশ কিছুদিন পর তিনি ২০১৯ সালে উন্নত ভবিষ্যতের আশায় কুয়েত পারি জমান। কিন্তু সেখানকার কাজের পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় পুনরায় আবার বাংলাদেশে ফিরে এসে পূর্বের পদে কাজে যোগদান করে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন। এছাড়াও তিনি স্বপ্ন গ্রাফিক্স এন্ড নেটওয়ার্ক নামে একটি মাল্টিমিডিয়া এবং প্রিন্টিং প্রেস প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধীকারী সেই সাথে স্বপ্ন ইশকুল নামক একটি কম্পিউটার ট্রেণিং ইনস্টিটিউট এর মালিকানায় আছেন যেখানে তিনি নিজেই ক্লাস পরিচালনা করেন। লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্ম ছাত্র অবস্থায় তিনি লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্মের সাথে জড়িত আছেন। ২০১১ সালে রাইটার্স এসোসিয়েশন এর ম্যাগাজিনে তার প্রথম লেখা বন্ধু চিরন্তন প্রকাশিত হয়। এর পর তিনি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Close

অ্যাডস্ ব্লকার পাওয়া গেছে!

দয়া করে আমাদের সাপোর্ট করার জন্য আপনার এডস্ ব্লকার ডিজেবল করে পেইজটি রিলোড করুন! ধন্যবাদ