সর্বশেষ আপটেড

চারপাশের পশু-পাখির প্রতি দায়িত্ব নিরূপণ

প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ, আশা করছি তোমরা খুবই ভালো আছো। তোমরা কি ৮ম শ্রেণির ১ম সপ্তাহের বাংলা এসাইনমেন্টের উত্তর বা সমাধান সম্পর্কে ধারণা নিতে চাচ্ছো? কিংবা এসাইনমেন্টটি কিভাবে প্রস্তুত করতে হয় সে সম্পর্কে জানতে আগ্রহী? তাহলে বলবো তোমরা ঠিক ওয়েবসাইটে এসেছো। তোমাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটিতে রয়েছে ৮ম শ্রেণির ১ম সপ্তাহের বাংলা এসাইনমেন্ট সমাধান ২০২২– চারপাশের পশু-পাখির প্রতি দায়িত্ব নিরূপণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোকপাত করা হয়েছে। এখান থেকে শুরু হচ্ছে-

৮ম শ্রেণির ১ম সপ্তাহের বাংলা এসাইনমেন্ট

৮ম শ্রেণির ১ম সপ্তাহের বাংলা এসাইনমেন্ট সমাধান ২০২২

পশু-পাখির তালিকা তৈরি

পাখিপশু
১। হাঁস,
২। ময়ুর,
৩। কোকিল,
৪। মাছরাঙা,
৫। টিয়া,
৬। পোচা,
৭। বক,
৮। বেনেবউ,
৯। ফিঙে,
১০। ময়না,
১১। শালিক
১২। চিতা,
১। মহিষ,
২। ষাঁড় বাছুর,
৩। বিড়াল,
৪। গাভী,
৫। হরিণ,
৬। কুকুর,
৭। হাতি,
৮। শিয়াল,
৯। খরগােশ,
১০| শকুর
১১। ঘােড়া,
১২। চিতা,
১৩। সিংহ,
১৪। বানর,
১৫। কুকুর
১৬। খরগােশ,
১৭। ইঁদুর,
১৮। গণ্ডার,
১৯। কাঠবিড়াল,
২০। বাঘ

পশু-পাখির প্রতি আচরণ

পশুপাখিরও ভালােভাবে বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে। তাই পশুপাখির প্রতি আমাদের উচিত যত্নবান হওয়া, পশুপাখির প্রতি মনের মাঝে ভালবাসা তৈরি করা ও পশু-পাখির প্রতি সহনশীলতা সৃষ্টি করা। পশুপাখি পৃথিবীতে অন্যতম উপাদান, পৃথিবীতে মানুষের |

যেমন সব কিছুতে অধিকার রয়েছে তেমন পশুপাখিদেরও সব কিছুতে অধিকার রয়েছে। অবলা জীব বলেই কোন প্রাণীকে দূরে ঠেলে দিয়ে ভালাে ব্যবহার থেকে বঞ্চিত করা ঠিক নয়। কারণ, মহান সৃষ্টিকর্তা মানুষকে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে সৃষ্টি করে জ্ঞান ও বিবেক দান করেছেন।

অন্যান্য সৃষ্ট জীবসমূহকে সঠিকভাবে যত্ন, রক্ষণাবেক্ষণ করা মানুষের দায়িত্ব ও কর্তব্য। | প্রত্যেক ধর্মই জীব প্রেমকে পুণ্যের কাজ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। | জীব জগতের মধ্যেই সৃষ্টিকর্তার মহত্ত্ব প্রকাশিত হয়। তাই গরিব-দুঃখী মানুষের দুঃখ মােচন, পীড়িত জীব জন্তুর সেবা এবং সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কল্যাণে সেবার হাত বাড়িয়ে দিয়েই স্রষ্টার সেবা করা যায়। জীব প্রেমেই রয়েছে ঈশ্বর প্রেমের প্রকৃত পথ। তাই আমাদের উচিত পশুপাখির প্রতি যত্নশীল আচরণ করা, পশুপাখিদের বাসস্থান, তাদের খাদ্য ও নিরাপত্তা প্রদান করা।

অতিথির স্মৃতি গল্পে পশুর প্রতি নির্মমতার যে চিত্র আছে তার বিবরণ

অতিথির স্মৃতি গল্পে অতিথি অর্থাৎ কুকুরের প্রতি অনেক নির্মম আচরণ করেছিল। মালির বউ ‘অতিথির স্মৃতি গল্পের লেখক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় দেওঘরে বায়ু পরিবর্তনের জন্য গিয়েছিলেন। একদিন বৈকালিক ভ্রমণে গিয়ে পথের একাকিত্ব দূর করতে একটা কুকুরকে অন্ধকার পথে তার বাড়ি পর্যন্ত নিয়ে আসেন। গেট খুলে লেখক তাকে ‘অতিথি’ বলে ভেতরে ডাকলেও সে বাইরে দাঁড়িয়ে লেজ নাড়তে থাকে। অপরিচিত পরিবেশ বলে হঠাৎ করে সে কিছুতেই ভেতরে ঢােকার ভরসা পায় না।

লেখক কুকুরটিকে সব সময় খাবার দিত এবং সেই বাড়ির কর্মচারীদেরকে নির্দেশ দিয়েছিল তাকে খাবার দিতে কিন্তু অতিরিক্ত খাবারের সবথেকে বড় অংশীদার দাবি করে সে কুকুরকে খাবার না দিয়ে তাকে মেরে ধরে বের করে দেয়। অতিথির স্মৃতি গল্পের এই ঘটনাটি খুবই নির্মম ও হৃদয়বিদারক ছিল।

পশু-পাখির প্রতি যে ধরনের দায়িত্ব পালন করা উচিত

মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব আর সেজন্যই সৃষ্টির অন্যান্য পশুপাখির প্রতি রয়েছে মানুষের দায়িত্ব।পশুপাখির প্রতি মানুষের কিছু দায়িত্ব নিম্নে তুলে ধরা হলােঃ

১। পশুপাখির নিরাপত্তা প্রদানঃ পশুপাখি, মানুষ ও প্রকৃতি নিয়েই পৃথিবী। পশুপাখির জীবন | সুরক্ষার জন্য সমস্ত ব্যবস্থা করা, পশুপাখি যে স্থানে থাকে তাকে সেই স্থানেই থকাতে দিতে হবে। পশুপাখিকে অন্যায় ভাবে হত্যা করা যাবে না বরং তাদেরকে ভালবাসা দিয়ে পুশতে হবে, নিজের অনুগত করতে হবে, প্রতিটা পশুপাখি মানুষের অনুকরন প্রিয় তাদের কে সহানুভতি দেখাইলে তারা মানুষের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে মানুষের সাথে নিজেকে মিশে ফেলে। তবে একটা কথা মাথায় রাখতে হবে ভাল মন্দ নিয়েই পৃথিবীতে সবকিছু চলে, পশুপাখির মধ্যেও তেমন রয়েছে তাই সবার অধিকার সমান সব পশুপাখি কে সমান চোখে দেখতে হবে। পশুপাখির স্বাস্থ্য সেবা ও যত্ন সমুহ করতে হবে।

২। পশুপাখিদের স্বাধীনতা প্রদানঃ পৃথিবীতে সব কিছুই নিজের গতিতে চলতে ভালবাসে এবং নিজের স্বাধীনতা অনুযায়ী চলতেই প্রফুল্লতা অনুভব করে। তাই পশুপাখিদের ক্ষেত্রেও স্বাধীনতা আছে। কোনও পােষা প্রাণী যখন এটি খাচ্ছে বা তার খাবার বা পানি দূরে টেনে তুলবে তখন কখনই বিরক্ত করা যাবে না। কুকুর বা বিড়ালটিকে জ্বালাতন করা যাবে না বা এর লেজ বা কান টানা টানি করা যাবে না। ঘুমন্ত অবস্থায় কোনও পােষা প্রাণীকে কখনই বিরক্ত করা যাবে না। খেলনা বা হাড়টিকে বিড়াল বা কুকুরের কাছ থেকে দূরে নিয়ে যাবে বা প্রাণীর নাগালের বাইরে রাখা যাবে না। প্রতিটা সময় তাদের কে সহানুভুতি দিয়ে তাদের নিজের গতিতে চলতে সাহায্য করতে হবে।

চারপাশের পশু-পাখির প্রতি দায়িত্ব নিরূপণ

৩। পশুপাখির স্বাস্থ্য সেবা প্রদানঃ পৃথিবী সৃষ্টি থেকে পশুপাখি ও মানুষ সবকিছুতে অসুস্থ্যতা রয়েছে। তাই পশুপাখি অসুস্থ্য হইলে তার সেবা করতে হবে। পশুপাখি স্বাস্থ্যের উপর নজরদারি করতে হবে এবং পশুপাখির রােগের | প্রকোপ রােধ করা এমন কি প্রয়ােজন হলে চিকিৎসা করতে হবে। সুস্থ্যতা অমুল্য সম্পদ তাই পশুপাখি কে সুস্থ রাখতে মানুষের ভুমিকা পালন করতে হবে।

৪।পশুপাখিদের খাবার সরবরাহ প্রতিটা প্রাণী তার শরীরে শক্তি সঞ্চার করতে খাবার খায়। তাই পশুপাখিও তাদের শক্তি সঞ্চার করতে খাবার খায়। সেই খাবার যদি ঠিক মত সরবরাহ করা হয় তবে তাদের শরীর স্বাস্থ্য ভাল থাকে।

প্রকৃতি তে পশুপাখি ছাড়া মানায় না তাই প্রকৃতি সুন্দর কে ধরে রাখতে পশুপাখি কে সুস্থ্য রাখতে হবে। তাই সঠিক সময় তাদের খাদ্য সরবরাহ করে তাদের শক্তি সঞ্চার করার জন্য মানুষ কে সাহায্য করতে হবে। মানুষ যদি সাহায্য সহযােগিতা করে তবেই পশুপাখি সুন্দর ভাবে জীবনযাপন করতে পারবে। তাই সর্বপরি এটাই বলবাে আসুন পশুপাখির পাশে দাঁড়াই, সুন্দর। | পরিবেশ গড়তে দশে মিলে হাত বাড়াই। পশুপাখি কে আপন করুন প্রকৃতিকে ভালবাসুন।

এটিই তোমাদের ৮ম শ্রেণির ১ম সপ্তাহের বাংলা এসাইনমেন্ট সমাধান ২০২২– চারপাশের পশু-পাখির প্রতি দায়িত্ব নিরূপণ।

আরো দেখুন-

সকল স্তরের শিক্ষা সংক্রান্ত সঠিক তথ্য, সরকারি-বেসরকারি চাকুরি বিজ্ঞপ্তি, চাকুরির পরীক্ষা, এডমিট কার্ড, পরীক্ষার রুটিন, সরকারি বেসরকারি বৃত্তি, উপবৃত্তি ও প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত তথ্য সবার আগে পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজটি Follow করে রাখুন। ইউটিউবে সর্বশেষ আপডেট পেতে বাংলা নোটিশ ডট কম এর ইউটিউব চ্যানেলটি Subscribe করে রাখুন। আপনার প্রতিষ্ঠানের যেকোন বিজ্ঞপ্তি, খবর, নোটিশ ও জাতীয় রাজনৈতিক বিষয়ে লেখা প্রকাশ করতে চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা নোটিশ ডট কম এর প্রকাশক ও সম্পাদক জনাব আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া। জন্ম ১৯৯৩ সালের ২০ নভেম্বর, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায়। বাবা আবদুল গফুর ভূঁইয়া এবং মা রহিমা বেগম। এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে আবদুল্লাহ আল আরিয়ান বয়স ৫ বছর। মেয়ে ফাবিহা জান্নাত বয়স ১ বছর। আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া এর শিক্ষাজীবন আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে ২০১৮ সালে ম্যানেজমেন্ট এ স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি উত্তরা ইউনিভার্সিটি ঢাকা থেকে বিপিএড সম্পন্ন করেন। আজিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শুরু। এরপর আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজ লাকসাম উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কিছুদিন ক্লাস করার পর। পারিবারিক কারণে নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজ এ কিছুদিন রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করার পর ভালো না লাগায় পুনরায় ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ছাত্র জীবনে তিনি নানা রকম সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। কর্মজীবন কর্মজীবনের শুরুতে তিনি আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় যোগদেন। বেশ কিছুদিন পর তিনি ২০১৯ সালে উন্নত ভবিষ্যতের আশায় কুয়েত পারি জমান। কিন্তু সেখানকার কাজের পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় পুনরায় আবার বাংলাদেশে ফিরে এসে পূর্বের পদে কাজে যোগদান করে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন। এছাড়াও তিনি স্বপ্ন গ্রাফিক্স এন্ড নেটওয়ার্ক নামে একটি মাল্টিমিডিয়া এবং প্রিন্টিং প্রেস প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধীকারী সেই সাথে স্বপ্ন ইশকুল নামক একটি কম্পিউটার ট্রেণিং ইনস্টিটিউট এর মালিকানায় আছেন যেখানে তিনি নিজেই ক্লাস পরিচালনা করেন। লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্ম ছাত্র অবস্থায় তিনি লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্মের সাথে জড়িত আছেন। ২০১১ সালে রাইটার্স এসোসিয়েশন এর ম্যাগাজিনে তার প্রথম লেখা বন্ধু চিরন্তন প্রকাশিত হয়। এর পর তিনি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Close

অ্যাডস্ ব্লকার পাওয়া গেছে!

দয়া করে আমাদের সাপোর্ট করার জন্য আপনার এডস্ ব্লকার ডিজেবল করে পেইজটি রিলোড করুন! ধন্যবাদ