সর্বশেষ আপটেড

কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে শিশুদের সুষ্ঠু সামাজিকীকরণে সৃষ্ট বাধা এবং দূরীকরণের উপায়

সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী বন্ধুরা, আশা করছি তোমরা খুব ভালো আছো। আজ তোমাদের সাথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি। এই আর্টিকেলে তোমাদের জন্য রয়েছে ৭ম শ্রেণির ১৬তম সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের ৩য় অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর/ সমাধান : কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে শিশুদের সুষ্ঠু সামাজিকীকরণে সৃষ্ট বাধা এবং দূরীকরণের উপায়।

সপ্তম শ্রেণির ১৬তম সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট

শ্রেণি: সপ্তম; বিভাগ: সকল; বিষয়: বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়; অ্যাসাইনমেন্ট নম্বর: ০৩

অ্যাসাইনমেন্ট :

কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে তােমার মতাে শিশুদের সুষ্ঠু সামাজিকীকরণে কী ধরনের বাধা সৃষ্টি হয়েছে তা চিহ্নিত কর এবং এই বাধাগুলাে দূরীকরণে পরিবার, সমাজ ও বিদ্যালয়ের কাছ থেকে কী ধরনের সহযােগিতা প্রত্যাশা কর তা ব্যাখ্যা কর।

এই নির্ধারিত কাজটি করার সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলাে বিবেচনায় নিতে হবে।

  • ক. সামাজিকীকরণের সুস্পষ্ট ধারণা প্রদান করবে।
  • খ. শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ অভিজ্ঞতা প্রদান করবে।
  • গ. এই পরিস্থিতিতে যে ধরনের বাধার সম্মুখীন হয়েছে তা নির্দিষ্ট করবে।
  • ঘ. প্রত্যাশাগুলাে বাস্তব প্রেক্ষাপটে তুলে ধরবে।

৭ম শ্রেণির ১৬তম সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের ৩য় অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর/ সমাধান

ক) সামাজিকীকরনের সুস্পষ্ট ধারণাঃ

মৌলিক ধারণা

মানব শিশু ভূমিষ্ঠ হবার পর তাকে সামাজিক পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে টিকে থাকার প্রয়োজনে অনেক কিছু শিখতে হয়। এ শিক্ষণ প্রক্রিয়া জন্মের পর থেকে শুরু হয় এবং তার জীবনব্যাপি চলতে থাকে। শিশুর এ শিক্ষণ প্রক্রিয়ায় প্রথমে তার মা-বাবা, পরিবারের সদস্যরা, প্রতিবেশি, আত্মীয়-স্বজন এবং পরবর্তীতে তার শিক্ষক, সহযোগী, চেনা অচেনা অনেকেই খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এ শিক্ষণ প্রক্রিয়া মানব শিশুকে ভাষা, আচার আচরণ, প্রথা পদ্ধতি, মূল্যবোধ, আদব-কায়দা ইত্যাদি সম্পর্কে অবহিত করানোর মাধ্যমে তাকে সামাজিক মানুষ হয়ে উঠতে সহায়তা করে।

জীবনব্যাপি চলতে থাকা এই শিক্ষণ প্রক্রিয়াকেই সামাজিকীকরণ বলে। সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ায় ব্যক্তি মূলত: সংস্কৃতি সম্পর্কে অবহিত হয়। সামাজিকীকরণ প্রসঙ্গে মনোবিজ্ঞানী বোগারডাস (Bogardus) eলেছেন, “সামাজিকীকরণ হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে ব্যক্তি জনকল্যাণের নিমিত্তে একত্রে নির্ভরযোগ্য আচরণ করতে শেখে। এটি করতে গিয়ে সামাজিক আত্মনিয়ন্ত্রণ, দায়িত্ব ও সুসামঞ্জস্য ব্যক্তিত্বের অভিজ্ঞতা লাভ করে।” Kingsley Davis তার Human society গ্রন্থে বলেছেন, “যে প্রণালীতে মানব শিশু পূর্ণাঙ্গ সামাজিক মানুষে পরিণত হয় তাই সামাজিকীকরণ। “

কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে শিশুদের সুষ্ঠু সামাজিকীকরণে সৃষ্ট বাধা এবং দূরীকরণের উপায়

Ogburn and Nimkoff বলেছেন, “যে পদ্ধতিতে ব্যক্তি নিজ নিজ মানবগোষ্ঠীর ব্যবহারিক মূল্যবোধের সাথে সামঞ্জস্য প্রতিষ্ঠায় সক্ষম হয়, তাই সামাজিকীকরণ।” তাদের মতে, সামাজিকীকরণ ব্যতীত সমাজে জীবন-যাপন করা সম্ভব নয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে একটা মেয়ে শিশু তার মা দাদিমা কিংবা বোনকে অনুকরণ করে এবং কীভাবে কন্যা, বোন, বান্ধবী, স্ত্রী কিংবা মা হয়ে উঠবে সেটা ধীরে ধীরে রপ্ত করে। তার চারিপাশের ঘনিষ্ঠ জনও সেভাবেই তাকে বেড়ে উঠতে সহায়তা করে। যেমন তার জন্মদিনে তাকে পুতুল কিংবা রান্নার খেলনা হাড়ি-পাতিল ইত্যাদি উপহার দেয়। পক্ষান্তরে, ছেলে শিশু অনুকরণ করে তার বাবাকে, ভাইকে কিংবা পরিবারের কোনো পুরুষ সদস্যকে এবং সে পুত্র, ভাই, বন্ধু, স্বামী কিংবা বাবা হয়ে উঠার প্রক্রিয়া ধীরে ধীরে রপ্ত করে। সে খেলনা হিসেবে পায় ফুটবল, রেসের গাড়ি-ঘোড়া, রোবোট মানব কিংবা পেশীবহুল পুরুষের প্রতিবিম্ব যা সমাজে তার ভূমিকা নির্ধারণ করতে উৎসাহিত করে।

সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া

মানুষের জীবন প্রক্রিয়া একই সাথে শারীরিক ও সামাজিক এবং প্রাকৃতিকভাবে গড়ে উঠে। শিশুরা যে পরিবেশ বেড়ে উঠে সেই পরিবেশের সংস্কৃতি ও মানুষের বিভিন্ন ধরনের ব্যবহার ও সামাজিকীকরণের ক্ষেত্রে আমৃত্যু জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে কোনো না কোনো কিছু শিখছে। সামাজিকীকরণ একটি প্রক্রিয়া যা প্রতিটি পর্যায়ে চলতে থাকে। উদাহরণ হিসেবে আমরা বলতে পারি বড়দের সালাম দেওয়া শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক আসলে দাঁড়ানো এগুলো আমরা জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে শিখেছি আর তার প্রকাশ ঘটাচ্ছি। আনন্দ ও দুঃখের বহিঃপ্রকাশ প্রত্যেক সমাজ একই হলেও এক্ষেত্রে সামাজিকীকরণের ভূমিকা রয়েছে।

খ) নিচে আমার সামাজিকীকরণ সম্পর্কে নিজ অভিজ্ঞতা

আমরা প্রতিনিয়ত নানান ভাবে নানান কিছু জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত শিখছি আর এটা হচ্ছে সামাজিকীকরন। এটা একটা জীবনব্যাপী প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা সমাজ, পরিবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে সবসময় নানান কিছু শিখছি। শুধু ছোট বেলায় নয়,,বৃদ্ধ অথবা যুবক অবস্থায় ও সামাজিকীকরণ হতে পারে। এটি যেকোনো সময় যেকোনো ভাবে ঘটতে পারে। কারও থেকে নতুন কিছু শিখা এক ধরণের সামাজিকীকরণ।

সামাজিক নীতি ও সামাজিকীকরণ

শিশুর সামাজিকীকরণের ক্ষেত্রে সামাজিক নীতি বিভিন্ন ভূমিকা পালন করে থাকে। বহির্বিশ্বে বিশেষ শিশু প্রতিপালনের ক্ষেত্রে উন্নত দেশগুলো বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকে।

গ) করোনা-১৯ পরিস্থিতির কারনে সামাজিকীকরণে যেসব বাধার সম্মুখীন হয়েছে

সামাজিকীকরনে প্রভাব ফেলে এরকম উপাদানের তালিকা নিম্নরূপঃ

পরিবার

মানুষের জীব সামগ্রিক জীবনের সামাজিকীকরণ প্রথমে পরিবার থেকে শুরু হয়। নবজাতক শোনা, দেখা, স্বাদ নেওয়া সহ বিভিন্ন বিষয় প্রথমে পরিবার থেকে শিখে থাকে। পরিবারের সদস্যরা সামাজিক পরিবেশের ক্ষেত্রে বড় ধরনের ভূমিকা পালন করে। সব সমাজ ও পরিবার সামাজিকীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বিভিন্ন ধরনের আদব কায়দা, নীতি নৈতিকতা এবং শিক্ষার প্রথম ধাপ পরিবার থেকে শিশু শিখে থাকে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

সামাজিকীকরণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা রয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠার থেকে ব্যক্তি বিভিন্ন নৈতিক জ্ঞান লাভ করে। একজন দ্বাম্বিক তাত্ত্বিক পর্যবেক্ষণ করেন যে, স্কুল কলেজ অর্থাৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাজের পুরস্কার এবং শাস্তির বিষয়টা আছে সেটার প্রথম পরিচয় ঘটে থাকে। শিশুরা সময়ের সাথে সাথে বেশি বাস্তববাদী হয়ে উঠে সেটা শারীরিক মানবিক ও সামাজিক সক্ষমতাকেও বুঝিয়ে থাকে।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ অনেক ব্যয়বহুল তার পরেও সেখানে দেখা যায় যে মেধাবী শিক্ষার্থীরা এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য সুবিধা পেয়ে থাকে। একই সাথে কম দক্ষ শিক্ষার্থীরা এই সব সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়। সামাজিকীকরণে পরিবারের এর সাথে সাথে সঙ্গী ও সহপাঠীরাও ভূমিকা পালন করে থাকে। পরিবার থেকে বেরিয়ে শিশুরা একই বয়সী শিশুর সাথে একই সামাজিক যোগ্যতা ভাগ করে । এক অপরের সাথে মিথস্ক্রিয়ার ফলে ব্যবহার আচরণে সঙ্গী ও সহপাঠীর পরিবর্তন আসে।

গণমাধ্যম ও প্রযুক্তি

গণমাধ্যম ও প্রযুক্তি শিশুর সামাজিকীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। রেডিও, টেলিভিশন, রেকর্ডগান এবং ইন্টারনেরট এগুলো সামাজিকীকরণের সাথে জড়িত। বর্তমানে ইন্টারনেট টেলিভিশনের থেকে বেশি সামাজিকীকরণে ভূমিকা পালন করছে। বিভিন্ন ধরনের টেলিভিশন অনুষ্ঠান এমনকি ব্যবসায়িক অনুষ্ঠান উঠতি বয়সীদের সাথে বিভিন্ন অপরিচিত সংস্কৃতি ও জীবনযাপন এর ধরনের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়।

কর্মক্ষেত্র

একটি পেশায় কী ধরনের ব্যবহার যথাপোযুক্ত সেটা মানবিক সামাজিকীকরণের গুরুত্বপূর্ণ একটি পর্যায়। সহকর্মীর কাছে থেকেও বিভিন্ন বিষয় আদান প্রদান হয়ে থাকে। যখন একটা পেশা থেকে আরেকটি পেশায় কেউ যোগদান করে পেশাগত
সামাজিকীকরণ প্রত্যেকের কর্মক্ষেত্র বড় পরিবর্তন আনে ও চলতে থাকে। প্রযুক্তিগত দক্ষতাও সামাজিকীকরণে ভূমিকা পালন করছে।

ধর্ম

ধর্ম পারিবারিক বন্ধন সুদৃঢ় করার ক্ষেত্রে চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করে। সমাজের মানুষের ধর্মীয় আদর্শ, জীবনধারার উপর ধর্ম ভূমিকা পালন করে থাকে। সঠিক জীবনধারার লক্ষে ধর্মের গুরুত্ব অপরিসীম।

রাষ্ট্র ও সরকার ব্যবস্থা

রাষ্ট্র ও প্রচলিত সরকার ব্যবস্থা সামাজিকীকরণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রাষ্ট্র একটি কর্তৃত্বমূলক প্রতিষ্ঠান। রাষ্ট্রের বিভিন্ন সুনির্দিষ্ট নিয়মনীতি থাকে যা রাষ্ট্রের সদস্য বা জনগণকে মেনে চলতে হয়। অন্যথায় শাস্তির ব্যবস্থা থাকে। শিশু ছোটবেলা থেকে এই সমস্ত বিষয় ও জীবনযাপনের নিয়মের সাথে পরিচালিত হয়ে উঠে। সবশেষে এটাই প্রতীয়মান যে , রাষ্ট্র ও সরকার ব্যবস্থা শিশুর সামাজিকীকরণে ভূমিকা পালন করে।

প্রতিবেশী

পরিবারের পরে শুরু হয় প্রতিবেশীদের সাথে চলাফেরা। তাদের সাথে সামাজিকীকরন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়।

করোনার কারণে যেসব উপাদানের সামাজিকীকরন হয় নি তা নিম্নরূপঃ

১. প্রতিবেশী

২. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

৩. সহপাঠী -বন্ধবান্ধব

৪. কর্মক্ষেত্রে

৫. গণমাধ্যম

৬. সামাজিক প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি।

ঘ) শিশুর সুষ্ঠ সামাজিকীকরণে যেসব প্রত্যাশা প্রয়োজন

বর্তমান পরিস্থিতিতে পরিবার ছাড়া সামাজিকীকরণে কোনো উপাদান ভূমিকা রাখতে পারছে না।যদিও গণমাধ্যমে সবাই জড়িয়ে পড়ছে কিন্তু তা তাদের নেতিবাচক সামাজিকীকরণের বিস্তার করছে।এক্ষেত্রে একটি শিশুর সুষ্ঠু সামাজিকীকরণের জন্য সকল ইপাদান কে সক্রিয় ভাবে এগিয়ে আসতে হবে।আবার, বর্তমান পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে বলা যায়, এটি একেবারেই অসম্ভব কারণ করোনা ভাইরাসের কারনে সবাই ঘরের মধ্যে আবদ্ধ। তাই,,তাদের সুষ্ঠু বিকাশের স্বার্থে অন্যান্যা উপাদান নিজ থেকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর মধ্যে সামাজিকীকরণের প্রভাব ব্যাপক বিস্তার করে।তাই,যতদূর সম্ভব তা খুলে দিয়ে তাদের বিকাশের কথা বিবেচনা করতে হবে।কিন্তু তা যদি সম্ভব না হয়,, বিকল্প ব্যবস্থার কথা চিন্তা করতে হবে।

সামাজিক প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে রয়েছে মসজিদ,মক্তব,বিভিন্ন ক্লাব ইত্যাদি। এগুলো করোনার কারনে বন্ধ থাকলেও সুষ্ঠু বিকাশ ও প্রযুক্তির অপব্যবহার থেকে একটি শিশুকে রক্ষা করতে হবে বা তা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

আমাদের পরিবারের কাছে চাওয়ার কিছু নেই।কারন সবাই জানে পরিবার হলো সামাজিকীকরণের ১টি অন্যতম প্রধান ভূমিকা পালন করে। কিন্তু অন্য সকল উপাদান করোনার কারণে ভূমিকা রাখতে পারছেনা।তাই, আমাদেরকে শিশুর সুষ্ঠু বিকাশের কথা বিবেচনা করে শিশু তাদের সামাজিকীকরণে প্রভাব বিস্তারকারী উপাদান গুলোর করণীয় উল্লেখপূর্বক উপস্থাপন করা হলো এবং এ পরিস্থিতিতে উত্তরনের জন্য উপাদান গুলোর সাথে সম্পৃক্ত সকলের কাছে যেসব প্রত্যাশা প্রয়োজন তা ব্যাখ্যা করা হলো।

এই ছিল তোমাদের ৭ম শ্রেণির ১৬তম সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের ৩য় অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর/ সমাধান : কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে শিশুদের সুষ্ঠু সামাজিকীকরণে সৃষ্ট বাধা এবং দূরীকরণের উপায়।

আরো দেখুন-

সকল স্তরের শিক্ষা সংক্রান্ত সঠিক তথ্য, সরকারি-বেসরকারি চাকুরি বিজ্ঞপ্তি, চাকুরির পরীক্ষা, এডমিট কার্ড, পরীক্ষার রুটিন, সরকারি বেসরকারি বৃত্তি, উপবৃত্তি ও প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত তথ্য সবার আগে পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজটি Follow করে রাখুন। ইউটিউবে সর্বশেষ আপডেট পেতে বাংলা নোটিশ ডট কম এর ইউটিউব চ্যানেলটি Subscribe করে রাখুন। আপনার প্রতিষ্ঠানের যেকোন বিজ্ঞপ্তি, খবর, নোটিশ ও জাতীয় রাজনৈতিক বিষয়ে লেখা প্রকাশ করতে চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা নোটিশ ডট কম এর প্রকাশক ও সম্পাদক জনাব আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া। জন্ম ১৯৯৩ সালের ২০ নভেম্বর, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায়। বাবা আবদুল গফুর ভূঁইয়া এবং মা রহিমা বেগম। এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে আবদুল্লাহ আল আরিয়ান বয়স ৫ বছর। মেয়ে ফাবিহা জান্নাত বয়স ১ বছর। আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া এর শিক্ষাজীবন আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে ২০১৮ সালে ম্যানেজমেন্ট এ স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি উত্তরা ইউনিভার্সিটি ঢাকা থেকে বিপিএড সম্পন্ন করেন। আজিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শুরু। এরপর আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজ লাকসাম উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কিছুদিন ক্লাস করার পর। পারিবারিক কারণে নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজ এ কিছুদিন রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করার পর ভালো না লাগায় পুনরায় ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ছাত্র জীবনে তিনি নানা রকম সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। কর্মজীবন কর্মজীবনের শুরুতে তিনি আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় যোগদেন। বেশ কিছুদিন পর তিনি ২০১৯ সালে উন্নত ভবিষ্যতের আশায় কুয়েত পারি জমান। কিন্তু সেখানকার কাজের পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় পুনরায় আবার বাংলাদেশে ফিরে এসে পূর্বের পদে কাজে যোগদান করে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন। এছাড়াও তিনি স্বপ্ন গ্রাফিক্স এন্ড নেটওয়ার্ক নামে একটি মাল্টিমিডিয়া এবং প্রিন্টিং প্রেস প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধীকারী সেই সাথে স্বপ্ন ইশকুল নামক একটি কম্পিউটার ট্রেণিং ইনস্টিটিউট এর মালিকানায় আছেন যেখানে তিনি নিজেই ক্লাস পরিচালনা করেন। লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্ম ছাত্র অবস্থায় তিনি লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্মের সাথে জড়িত আছেন। ২০১১ সালে রাইটার্স এসোসিয়েশন এর ম্যাগাজিনে তার প্রথম লেখা বন্ধু চিরন্তন প্রকাশিত হয়। এর পর তিনি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Close

অ্যাডস্ ব্লকার পাওয়া গেছে!

দয়া করে আমাদের সাপোর্ট করার জন্য আপনার এডস্ ব্লকার ডিজেবল করে পেইজটি রিলোড করুন! ধন্যবাদ