করোনায় শিক্ষার্থীদের বেতন আদায়ের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশনা
করোনায় শিক্ষার্থীদের বেতন আদায়ের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশনা: শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ৩০ দিনের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ও ছাত্রছাত্রীদের কাছে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে অ্যাসাইনমেন্ট। নির্ধারিত কাজ বা অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়ার সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীদের থেকে বেতন আদায় করছেন; বিদ্যালয় বন্ধ থাকার পরও করোনায় শিক্ষার্থীদের বেতন আদায়ের বেতন আদায় নিয়ে অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ সহ বেতন না দেওয়ার বিষয়ে ভিন্ন মত পোষণ করছেন।
বিশেষ কোনো নির্দেশনা না থাকায় শিক্ষক-অভিভাবকরা দ্বিধায় আছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বেতন আদায় করবেন কিনা এবং অভিভাবকগণ শিক্ষার্থীদের বেতন দিবেন কিনা এই বিষয়ে মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী একটি অনলাইন সাংবাদিক সম্মেলনে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরেন।
করোনাকালীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের বেতন মওকুফের হবে কিনা বা শিক্ষকরা বেতন আদায় করবেন কিনা তা নিয়ে অনলাইন কনফারেন্সে শিক্ষা মন্ত্রী মন্তব্য করেন।
শিক্ষার্থীদের বেতন আদায় প্রসঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো অমানবিক আচরণ করছে উল্লেখ করে সাংবাদিকরা বেতন আদায় প্রসঙ্গে অভিভাবকরা কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য পাবে কিনা সে বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন-
বেতন আদায় প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য:
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো ফি আদায় করতে না পারলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদি দেওয়া সম্ভব হবেনা।
সেইসাথে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দৈনন্দিন খরচ গুলো মেটাবার জন্য শিক্ষার্থীদের থেকে ফি আদায় না করলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো কোথায় টাকা পাবে।
অর্থনৈতিক সংকটের কারণে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেলে শিক্ষার্থী ও শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য একটা ভয়ানক সমস্যার সৃষ্টি হবে যেটা মোটেই কাম্য নয়।
সেজন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর চাকা সচল রাখার জন্য অভিভাবকদেরকে বিষয়টি বিবেচনা করার পরামর্শ দেন মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী।
সেইসাথে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে যে সকল অভিভাবক করোনা সংকটের কারণে চরম আর্থিক সংকটের মধ্যে পড়েছে তাদের দিকটি মানবিক ভাবে বিবেচনা করার পরামর্শ দেন তিনি।
তিনি আরও উল্লেখ করেন সকল পেশার মানুষ আর্থিক সংকটের মধ্যে পড়েনি; যেমন- সরকারি কর্মচারীরা কোনভাবেই আর্থিক টানাপোড়েন পড়তে হয়নি সেই সাথে বেশ কিছু ব্যবসায়ী ছাড়া বাকি সবাই মোটামুটি উপার্জনের মধ্যেই ছিলেন।
বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানে চাকুরীজীবী যারা আছেন তারাও কোনো ক্ষতির সম্মুখীন হননি মর্মে শিক্ষা মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
যাদের কোভিড-১৯ সময় আয়ের এর ক্ষেত্রে কোন রকম প্রভাব পড়েনি অথবা আর্থিক সংকটে পড়েন নি তাদের ক্ষেত্রে বেতন-ভাতা বা অন্যান্য ফি মওকুফের বিষয়টি প্রযোজ্য হবে না।
কারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বেতন ফি আদায় করতে না পারলে তাদের প্রতিষ্ঠানে চালানো মুশকিল হয়ে যাবে।
শিক্ষা মন্ত্রী আরো বলেন যে সকল অভিভাবক মারাত্মকভাবে করোনা ভাইরাসের কারণে সংকটের মধ্যে পড়েছেন তারা স্কুল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে তাদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা অথবা মওকুফের ব্যবস্থা করে নিবেন।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ফি মওকুফ সবার জন্য প্রযোজ্য নয়। তবে ক্রিয়া ফি, মিলাদ মাহফিলের ফ্রীসহ অন্যান্য যেসকল ফি বিদ্যালয় খোলা থাকলে কেবল প্রযোজ্য হত সেসকল ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে খুব শীঘ্রই নির্দেশনা জারি করা হবে মর্মে উল্লেখ করা হয়।
বেতন আদায়ের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী যে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কোভিড-১৯ এর কারণে চরম ক্ষতিগ্রস্ত অভিভাবকদের ব্যাপারে শিথিলতা না দেখালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অবগত করার পরামর্শ দিয়েছেন তাহলে মন্ত্রণালয় থেকে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে নির্দেশনা দেওয়া হবে।
দেশের শিক্ষা, চাকরি, ব্যবসা, প্রশিক্ষণ সহ যেকোনো তথ্য সবার আগে পেতে বাংলা নোটিশ ডট কম ফেসবুক পেইজ লাইক করে রাখুন এবং ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করে রাখুন।