করোনার বন্ধে ব্যাংক কর্মকর্তাদের জন্য সুখবর দিল বাংলাদেশ ব্যাংক
করোনার বন্ধে ব্যাংক কর্মকর্তাদের জন্য সুখবর দিল বাংলাদেশ ব্যাংক: করোনা ভাইরাসের পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ যেন স্থবির হয়ে পড়েছে। দেশের সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান যেখানে বন্ধ সেখানে ব্যাংকে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কে ব্যাংকে থেকে লেনদেন পরিচালনা করার নির্দেশ দিয়েছেন সরকার।
সেই আলোকে ব্যাংকে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা ভাতা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও ব্যাংকে উপস্থিত কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ এই বিশেষ প্রণোদনা পাবেন।
গত ১২ এপ্রিল বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সকল তফসিলী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক/প্রধান নিবার্হী কে পত্র প্রেরণ করে ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি কালীন ব্যাংকে কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীগণ কে বিশেষ প্রণোদনা ভাতা প্রসঙ্গে চিঠিতে বলা হয়-
বাংলাদেশ ব্যাংক হতে ২২ মার্চ ২০২০ তারিখে জারিকৃত বিআরপিডি সার্কুলার ৫ এর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।
উক্ত সার্কুলার এর মাধ্যমে নোবেল কোন ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এর কারণে এ কমিউনিটি ট্রানস্মিশন রোধকল্পে ব্যাংকগুলোকে 16 দফা নির্দেশনা প্রদান পূর্বক সেগুলো যথাযথভাবে অনুসরণ এর পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।
পরবর্তীতে উক্ত সার্কুলারের অনুবৃত্তি ক্রমে 8 এপ্রিল 2020 তারিখে জারিকৃত বিআরপিডি সার্কুলার লেটার ন 13 এর মাধ্যমে আগত বিভিন্ন ভাতা গ্রহণকারী সহ গ্রাহক দর্শনার্থীও সাক্ষাৎপ্রার্থী কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ ব্যাংকে আগমন করার পর যাতে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখেন সে বিষয়টি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তা গ্রহণ করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
এতদ্বসত্ত্বেও, ব্যাংকিং দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কিছু সংখ্যক ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে করো না ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ প্রেক্ষিতে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি কালীন ব্যাংকিং খাতকে সচল রাখতে যারা তাদের জীবন ও পরিবারকে ঝুঁকিতে রেখেও সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন তাদের দায়িত্ব পালনের স্বীকৃতিস্বরূপ বিশেষ প্রণোদনা প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
এ লক্ষ্যে, আর্থিক প্রণোদনা প্রদানের জন্য নিম্নরূপ নীতিমালা অনুসরণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হলো-
১. ব্যাংকে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ যারা সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি কালীন ব্যাংকের সশরীরে গমন পূর্বক ব্যাংকিং কার্যক্রমে অংশগ্রহণের মাধ্যমে দায়িত্ব পালন করছেন বা করেছেন তারা বিশেষ প্রণোদনা ভাতা প্রাপ্য হবেন;
২. সাধারণ ছুটি কালীন কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীগণ কমপক্ষে 10 কার্যদিবস স্বশরীরে উপস্থিত থাকলে তা পূর্ণ মাস হিসেবে গণ্য হবে। তবে 10 কার্যদিবসের কম সশরীরে উপস্থিত কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকলে সে ক্ষেত্রে আনুপাতিক হারে ভাতা প্রাপ্ত হবেন;
৩. ব্যাংকে স্থায়ী-অস্থায়ী ও চুক্তিভিত্তিক সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারীগণ এই সুবিধার অন্তর্ভুক্ত হবেন;
৪. কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ তাদের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ মাসিক বিশেষ প্রণোদনা হিসেবে প্রাপ্য হবেন। যেসব অস্থায়ী চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মূল বেতন আলাদাভাবে নির্ধারিত নেই তারা মাসিক মোট বেতন ভাতার 65% মাসিক বিশেষ প্রণোদনা ভাষা হিসেবে প্রাপ্য হবেন।
তবে এসব ক্ষেত্রে এই বিশেষ প্রণোদনা ভাতার পরিমাণ মাসিক ন্যূনতম 30 হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ 1 লক্ষ টাকা হবে।
৫. সাধারণ ছুটি শুরু হওয়া তারিখ হতে মাস গণনা শুরু হবে। প্রতি 30 দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পর পুনরায় নতুন মাস গণনা শুরু হবে। এই নির্দেশনা ও সরকার ঘোষিত অসাধারণ ছুটির মেয়াদ কাল পর্যন্ত বলবত থাকবে।
এটি নিঃসন্দেহে ব্যাংকারদের জন্য একটি সুখবর।
আপনার জন্য আরও কিছু তথ্যঃ
সকল স্তরের শিক্ষা সংক্রান্ত সঠিক তথ্য, সরকারি-বেসরকারি চাকুরি বিজ্ঞপ্তি, চাকুরির পরীক্ষা, এডমিট কার্ড, পরীক্ষার রুটিন, সরকারি বেসরকারি বৃত্তি, উপবৃত্তি ও প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত তথ্য সবার আগে পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজটি Follow করে রাখুন।
ইউটিউবে সর্বশেষ আপডেট পেতে বাংলা নোটিশ ডট কম এর ইউটিউব চ্যানেলটি Subscribe করে রাখুন।
আপনার প্রতিষ্ঠানের যেকোন বিজ্ঞপ্তি, খবর, নোটিশ ও জাতীয় রাজনৈতিক বিষয়ে লেখা প্রকাশ করতে চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন
দেশের অন্যতম প্রিয় অনলাইন পোর্টাল সর্বদাই সত্য ও বস্তুনির্ভর তথ্য প্রকাশে বদ্ধপরিকর। আপনার যেকোন অভিযোগ আপত্তি ও পরামর্শ সাদরে গ্রহণ করা হবে।
ক্যাটাগরি ভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেখুন–
আমরা বাংলাদেশ আনসার বিভিন্ন ব্যাংকে কর্মরত আছি,যেমন-জনতা ব্যাংক,অগ্রনী ব্যাংক,সোনালী ব্যাংক ও অন্যান ব্যাংকে ঝুঁকি নিয়ে ডিউটি পালন করছি,আমরা কি প্রনোদনা পাব না,জানতে চাই,বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বলা হয়েছে ৩/ব্যাংকে অস্থায়ী,চুক্তিবিত্তিক সবাই প্রনোদনার আওতায় পরবে, আমরা তো পাচ্ছি না,আমাদেরকে দিচ্ছে না ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।