অনলাইন শিক্ষা

একটি সবুজ প্রকল্পের প্রস্তাবনা প্রণয়ন

আপনি যদি একটি সবুজ প্রকল্পের প্রস্তাবনা প্রণয়ন করতে চান এবং এই সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা অনুযায়ী একটি প্রকল্প সাজাতে চান তাহলে সঠিক স্থানেই আছেন। এখানে আমরা সঠিক গাইডলাইন অনুসরণ করে একটি ‘একটি সবুজ প্রকল্পের প্রস্তাবনা প্রণয়ন’ করবো এবং প্রকল্পের সমস্যা নির্বাচন, প্রস্তাবনা প্রস্তুত এবং অনুষ্ঠান সূচী তৈরির মাধ্যমে কাজগুলো করবো।

অষ্টম শ্রেণির ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন ২০২৪ এর জীবন ও জীবিকা পাঠ্যবইয়ে অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষায় এমন একটি কাজ থাকতে পারে। যদি আপনি ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী হন অথবা এর সাথে জড়িত শিক্ষক বা অভিভাবক হয়ে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেল আপনার খুব কাজে আসবে আশা করছি।

একটি সবুজ প্রকল্পের প্রস্তাবনা প্রণয়ন

আমাদের চারপাশে এমন অনেক সমস্যা রয়েছে, যা আমরা বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে সমাধান করতে পারি। এখানে কয়েকটি ক্ষেত্র উল্লেখ করা হয়েছে। জোড়ায় আলোচনার মাধ্যমে তোমার পরিচিত এবং পছন্দ অনুযায়ী নিচের তালিকার যেকোনো একটি ক্ষেত্র থেকে সমস্যা খুঁজে নাও।

এরপর উক্ত সমস্যা সমাধানের জন্য নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে একটি সবুজ প্রকল্পের প্রস্তাবনা কীভাবে তৈরি করা যায়, তাও আলোচনা করে মূল তথ্যগুলো খাতায় নোট রাখো।

এরপর নিচের নির্দেশনা অনুযায়ী নিজ নিজ খাতায় সবুজ প্রকল্পের জন্য প্রস্তাবনা প্রণয়ন করো। তবে এই প্রকল্প যেন পরিবেশবান্ধব হয় এবং এর মাধ্যমে পরিবেশের টেকসই সংরক্ষণ সম্ভব হয়, তা অবশ্যই বিবেচনায় রাখতে হবে।

সমস্যার ক্ষেত্র

ক্রমসমস্যার ক্ষেত্র
১.বিদ্যালয় ও আশেপাশের পরিবেশ;
২.নিজ এলাকার কৃষি;
৩.বায়ু/বিদ্যুৎ/ পানি/সৌর জ্বালানি শক্তি;
৪.স্থানীয় সামাজিক/অর্থনৈতিক পরিবেশ;
৫.নিজ প্রতিষ্ঠানের পাঠাগার/বিজ্ঞানাগার/ক্যান্টিন;
অষ্টম শ্রেণি জীবন ও জীবিকা অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষায় নির্ধারিত একটি সবুজ প্রকল্পের প্রস্তাবনা প্রণয়ন এর জন্য সমস্যার ক্ষেত্রসমূহ;

(নিচের পয়েন্টগুলো ধারাবাহিকভাবে উল্লেখ করে এককভাবে প্রকল্পটির জন্য একটি প্রস্তাবনা প্রণয়ন করতে হবে)

আরও পড়ুনঃ প্রাণী শ্রেণিবিন্যাসের ভিত্তি ও প্রাণিজগতের প্রধান পর্বগুলাে পর্যালােচনা

ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন ২০২৪ এর সকল শ্রেণির বিষয়-ভিত্তিক প্রশ্ন ও নমুনা উত্তর পেতে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে যোগ দাও;

একটি সবুজ প্রকল্পের প্রস্তাবনা তৈরি: ১ম অংশ

১. নির্বাচিত সমস্যার বর্ণনা (যে সমস্যা সমাধানের জন্য প্রকল্পটি তৈরি করা হচ্ছে, তার বিবরণ দিতে হবে

২. যৌক্তিকতা (কেন এই প্রকল্পটি নেওয়া হচ্ছে, তার যৌক্তিক কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে

৩. প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট পেশা সনাক্তকরণ (এই প্রকল্পের সাথে জড়িত বিভিন্ন খাতভিত্তিক পেশার নাম, দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে উক্ত পেশার চাহিদা কেমন, এবং উক্ত চাহিদা পূরণের জন্য কী ধরনের দক্ষতা অর্জন করা প্রয়োজন, তা উল্লেখ করতে হবে।)

আরও পড়ুনঃ আমার মধ্যে একজন আত্মমর্যাদাবান মানুষ হিসেবে যেসকল বৈশিষ্ট্য আছে

২য় অংশ: একটি সবুজ প্রকল্পের প্রস্তাবনা তৈরি

৪. ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রস্তাবিত সমাধান (সমস্যাটি সমাধানের জন্য প্রকল্পে কী ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে, সেগুলোর নাম ও বর্ণনা, ব্যবহৃত প্রযুক্তির মধ্যে কোনগুলো ভবিষ্যৎ/নতুন প্রযুক্তি, তা চিহ্নিত করতে হবে

এবং এগুলোর মাধ্যমে কীভাবে সমস্যাটির সমাধান করা হবে, তা সম্পর্কে বিজ্ঞানভিত্তিক এবং যুক্তিনির্ভর প্রস্তাব উপস্থাপন করতে হবে।)

৫. প্রকল্পকেন্দ্রিক সম্ভাব্য নতুন পেশার দক্ষতা অন্বেষণ (প্রকল্পে যেসব প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রস্তাবনা দেওয়া হবে, সেগুলোর সাথে জড়িত এবং ভবিষ্যতে সৃষ্টি হতে পারে, এমন কয়েকটি পেশার নাম, উক্ত পেশার জন্য কী কী দক্ষতা প্রয়োজন হতে পারে, এর ইতিবাচক ও ঝুঁকিপূর্ণ দিক, এবং উক্ত দক্ষতা অর্জনের উপায়গুলো ব্যাখ্যা করতে হবে।)

৬. পরিবেশের উপর প্রকল্পটির প্রভাব নির্ণয় (টেকসই এবং দুষণমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে নির্বাচিত প্রকল্পের ভূমিকা উল্লেখ করতে হবে।

৭. সমাজ বা মানব কল্যাণে প্রকল্পটির ভূমিকা উপস্থাপন (এই প্রকল্প স্থানীয় সমাজ ও মানুষের জন্য কী কী উপকার করবে, তা বর্ণনা করতে হবে।)

আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করার জন্য শিল্প-চারুকলা চর্চা গুরুত্বপূর্ণ

ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন ২০২৪ এর সকল শ্রেণির বিষয়-ভিত্তিক প্রশ্ন ও নমুনা উত্তর পেতে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে যোগ দাও;

অনুষ্ঠানসূচি তৈরি

৪. সবার তৈরিকৃত এই প্রকল্প প্রস্তাবনা উপস্থাপন করার জন্য তোমাদের প্রতিষ্ঠানে কী ধরনের আয়োজন/ইভেন্ট করা যেতে পারে? উক্ত ইভেন্টের জন্য একটি অনুষ্ঠানসূচি তৈরি করো।

সপ্তম শ্রেণি জীবন ও জীবিকা ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন এর নমুনা সমাধান

এই পর্যায়ে আমরা এনসিটিবি’র দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী এবং উপরোক্ত বিষয়গুলোর আলোকে সপ্তম শ্রেণি জীবন ও জীবিকা ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন এর নমুনা সমাধান অর্থ্যাৎ একটি সবুজ প্রকল্পের প্রস্তাবনা প্রণয়ন করবো।

আমি বিশ্বাস করি এটি ফলো করলে তুমি এই বছর ৭ম শ্রেণির অর্ধ-বার্ষিক বা ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন পরীক্ষায় অত্যন্ত ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারবে।

বিদ্যালয় ও আশেপাশের পরিবেশ সবুজ প্রকল্পের প্রস্তাবনা

 বিদ্যালয় ও আশেপাশের পরিবেশ সবুজ প্রকল্পের প্রস্তাবনা

১ম অংশ

১. নির্বাচিত সমস্যার বর্ণনা: বিদ্যালয় ও আশপাশের পরিবেশে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও দূষণ একটি বড় সমস্যা। প্লাস্টিক, কাগজ, এবং অন্যান্য বর্জ্য সঠিকভাবে নিষ্পত্তি না হওয়ায় পরিবেশ দূষিত হচ্ছে এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে।

২. যৌক্তিকতা: এই প্রকল্পটি নেওয়া হচ্ছে কারণ বিদ্যালয় ও আশপাশের পরিবেশকে দূষণমুক্ত ও স্বাস্থ্যকর রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নতি ও পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা পরিবেশের টেকসই সংরক্ষণ করতে পারি।

৩. প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট পেশা সনাক্তকরণ: এই প্রকল্পের সাথে জড়িত পেশাগুলোর মধ্যে রয়েছে:

  • পরিবেশ বিজ্ঞানী: পরিবেশের উপর গবেষণা ও সমাধান প্রদান।
  • বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ: বর্জ্য সংগ্রহ, নিষ্পত্তি ও পুনর্ব্যবহার।
  • প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ: নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও প্রয়োগ।

দেশীয় ও আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে এই পেশাগুলোর চাহিদা ক্রমবর্ধমান। এই চাহিদা পূরণের জন্য পরিবেশ বিজ্ঞান, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও প্রযুক্তি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন প্রয়োজন।

২য় অংশ

৪. ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রস্তাবিত সমাধান: সমস্যাটি সমাধানের জন্য নিম্নলিখিত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে:

ক.স্মার্ট বর্জ্য বিনসেন্সরযুক্ত বর্জ্য বিন যা বর্জ্য পূর্ণ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংকেত পাঠাবে।
খ.পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্রযুক্তিপ্লাস্টিক ও কাগজ পুনর্ব্যবহার করার জন্য উন্নত প্রযুক্তি।
গ.সৌরশক্তি চালিত বর্জ্য নিষ্পত্তি ইউনিট:সৌরশক্তি ব্যবহার করে বর্জ্য নিষ্পত্তি করা হবে।

এই প্রযুক্তিগুলোর মাধ্যমে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নত হবে এবং পরিবেশ দূষণ কমবে।

৫. প্রকল্পকেন্দ্রিক সম্ভাব্য নতুন পেশার দক্ষতা অন্বেষণ: প্রকল্পে ব্যবহৃত প্রযুক্তির সাথে জড়িত পেশাগুলোর মধ্যে রয়েছে:

ক.স্মার্ট বর্জ্য বিন প্রযুক্তিবিদ: সেন্সর ও প্রযুক্তি পরিচালনা।

খ. পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ: পুনর্ব্যবহার প্রক্রিয়া উন্নয়ন।

গ. সৌরশক্তি প্রযুক্তিবিদ: সৌরশক্তি ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ।

এই পেশাগুলোর জন্য প্রযুক্তিগত দক্ষতা, সমস্যা সমাধান দক্ষতা ও পরিবেশ সচেতনতা প্রয়োজন। দক্ষতা অর্জনের উপায়গুলো হলো প্রশিক্ষণ, কর্মশালা ও বাস্তব অভিজ্ঞতা।

৬. পরিবেশের উপর প্রকল্পটির প্রভাব নির্ণয়: এই প্রকল্পটি টেকসই ও দূষণমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নত হওয়ায় পরিবেশ দূষণ কমবে এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্রযুক্তি ব্যবহারে প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ হবে।

৭. সমাজ বা মানব কল্যাণে প্রকল্পটির ভূমিকা উপস্থাপন: এই প্রকল্পটি স্থানীয় সমাজ ও মানুষের জন্য অনেক উপকার বয়ে আনবে। বিদ্যালয় ও আশপাশের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর থাকবে, যা শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মান উন্নত করবে। এছাড়া, পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্রযুক্তি ব্যবহারে পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে।

ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন ২০২৪ এর সকল শ্রেণির বিষয়-ভিত্তিক প্রশ্ন ও নমুনা উত্তর পেতে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে যোগ দাও;

নিজ এলাকার কৃষি সমস্যা সমাধানে সবুজ প্রকল্পের প্রস্তাবনা

১ম অংশ

১. নির্বাচিত সমস্যার বর্ণনা: বাংলাদেশের কৃষি খাতে প্রধান সমস্যা হলো ফসলের উৎপাদন কমে যাওয়া এবং জমির উর্বরতা হ্রাস পাওয়া। এছাড়া, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ফসলের ক্ষতি ও পানির অভাবও একটি বড় সমস্যা।

২. যৌক্তিকতা: এই প্রকল্পটি নেওয়া হচ্ছে কারণ কৃষি বাংলাদেশের অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ফসলের উৎপাদন বাড়ানো এবং জমির উর্বরতা রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি। নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা এই সমস্যাগুলোর সমাধান করতে পারি।

৩. প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট পেশা সনাক্তকরণ: এই প্রকল্পের সাথে জড়িত পেশাগুলোর মধ্যে রয়েছে:

কৃষি বিজ্ঞানী: ফসলের উন্নয়ন ও গবেষণা।

জলবায়ু বিশেষজ্ঞ: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নির্ণয় ও সমাধান।

প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ: নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও প্রয়োগ।

দেশীয় ও আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে এই পেশাগুলোর চাহিদা ক্রমবর্ধমান। এই চাহিদা পূরণের জন্য কৃষি বিজ্ঞান, জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রযুক্তি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন প্রয়োজন।

২য় অংশ

৪. ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রস্তাবিত সমাধান: সমস্যাটি সমাধানের জন্য নিম্নলিখিত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে:

ড্রোন প্রযুক্তি: ফসলের স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ ও সঠিক সময়ে সার প্রয়োগ।

স্মার্ট সেচ ব্যবস্থা: মাটির আর্দ্রতা মাপার সেন্সর ব্যবহার করে সঠিক সময়ে পানি সরবরাহ।

জেনেটিক্যালি মডিফাইড ফসল: উচ্চ ফলনশীল ও রোগ প্রতিরোধী ফসল উদ্ভাবন।

এই প্রযুক্তিগুলোর মাধ্যমে ফসলের উৎপাদন বাড়বে এবং জমির উর্বরতা রক্ষা হবে।

৫. প্রকল্পকেন্দ্রিক সম্ভাব্য নতুন পেশার দক্ষতা অন্বেষণ: প্রকল্পে ব্যবহৃত প্রযুক্তির সাথে জড়িত পেশাগুলোর মধ্যে রয়েছে:

ড্রোন অপারেটর: ড্রোন পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ।

স্মার্ট সেচ প্রযুক্তিবিদ: সেচ ব্যবস্থা পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ।

জেনেটিক্যালি মডিফাইড ফসল বিশেষজ্ঞ: জেনেটিক গবেষণা ও উন্নয়ন।

এই পেশাগুলোর জন্য প্রযুক্তিগত দক্ষতা, সমস্যা সমাধান দক্ষতা ও পরিবেশ সচেতনতা প্রয়োজন। দক্ষতা অর্জনের উপায়গুলো হলো প্রশিক্ষণ, কর্মশালা ও বাস্তব অভিজ্ঞতা।

৬. পরিবেশের উপর প্রকল্পটির প্রভাব নির্ণয়: এই প্রকল্পটি টেকসই ও দূষণমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে। ফসলের উৎপাদন বাড়বে এবং জমির উর্বরতা রক্ষা হবে, যা পরিবেশের জন্য উপকারী।

৭. সমাজ বা মানব কল্যাণে প্রকল্পটির ভূমিকা উপস্থাপন: এই প্রকল্পটি স্থানীয় সমাজ ও মানুষের জন্য অনেক উপকার বয়ে আনবে। কৃষকদের আয় বাড়বে এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। এছাড়া, নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারে পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে।

ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন ২০২৪ এর সকল শ্রেণির বিষয়-ভিত্তিক প্রশ্ন ও নমুনা উত্তর পেতে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে যোগ দাও;

বায়ু/বিদ্যুৎ/ পানি/সৌর জ্বালানি শক্তি সমস্যায় সবুজ প্রকল্পের প্রস্তাবনা

১ম অংশ

১. নির্বাচিত সমস্যার বর্ণনা: বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে প্রধান সমস্যা হলো বিদ্যুতের অভাব এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের ঘাটতি। এছাড়া, প্রচলিত বিদ্যুৎ উৎপাদন পদ্ধতিগুলো পরিবেশ দূষণ করে।

২. যৌক্তিকতা: এই প্রকল্পটি নেওয়া হচ্ছে কারণ বিদ্যুৎ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুতের অভাব দূর করা এবং পরিবেশ দূষণ কমানো সম্ভব।

৩. প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট পেশা সনাক্তকরণ: এই প্রকল্পের সাথে জড়িত পেশাগুলোর মধ্যে রয়েছে:

বিদ্যুৎ প্রকৌশলী: বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ।

পরিবেশ বিজ্ঞানী: পরিবেশের প্রভাব নির্ণয় ও সমাধান।

প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ: নবায়নযোগ্য শক্তি প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও প্রয়োগ।

দেশীয় ও আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে এই পেশাগুলোর চাহিদা ক্রমবর্ধমান। এই চাহিদা পূরণের জন্য বিদ্যুৎ প্রকৌশল, পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন প্রয়োজন।

২য় অংশ

৪. ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রস্তাবিত সমাধান: সমস্যাটি সমাধানের জন্য নিম্নলিখিত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে:

সৌর প্যানেল: সৌর শক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন।

বায়ু টারবাইন: বায়ু শক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন।

স্মার্ট গ্রিড: বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য উন্নত প্রযুক্তি।

এই প্রযুক্তিগুলোর মাধ্যমে বিদ্যুতের অভাব দূর হবে এবং পরিবেশ দূষণ কমবে।

৫. প্রকল্পকেন্দ্রিক সম্ভাব্য নতুন পেশার দক্ষতা অন্বেষণ: প্রকল্পে ব্যবহৃত প্রযুক্তির সাথে জড়িত পেশাগুলোর মধ্যে রয়েছে:

সৌর প্যানেল টেকনিশিয়ান: সৌর প্যানেল স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণ।

বায়ু টারবাইন অপারেটর: বায়ু টারবাইন পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ।

স্মার্ট গ্রিড ইঞ্জিনিয়ার: স্মার্ট গ্রিড পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ।

এই পেশাগুলোর জন্য প্রযুক্তিগত দক্ষতা, সমস্যা সমাধান দক্ষতা ও পরিবেশ সচেতনতা প্রয়োজন। দক্ষতা অর্জনের উপায়গুলো হলো প্রশিক্ষণ, কর্মশালা ও বাস্তব অভিজ্ঞতা।

৬. পরিবেশের উপর প্রকল্পটির প্রভাব নির্ণয়: এই প্রকল্পটি টেকসই ও দূষণমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে। নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে, যা পরিবেশের জন্য উপকারী।

৭. সমাজ বা মানব কল্যাণে প্রকল্পটির ভূমিকা উপস্থাপন: এই প্রকল্পটি স্থানীয় সমাজ ও মানুষের জন্য অনেক উপকার বয়ে আনবে। বিদ্যুতের অভাব দূর হবে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। এছাড়া, নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারে পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে।

ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন ২০২৪ এর সকল শ্রেণির বিষয়-ভিত্তিক প্রশ্ন ও নমুনা উত্তর পেতে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে যোগ দাও;

আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা নোটিশ ডট কম এর প্রকাশক ও সম্পাদক জনাব আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া। জন্ম ১৯৯৩ সালের ২০ নভেম্বর, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায়। বাবা আবদুল গফুর ভূঁইয়া এবং মা রহিমা বেগম। এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে আবদুল্লাহ আল আরিয়ান বয়স ৫ বছর। মেয়ে ফাবিহা জান্নাত বয়স ১ বছর। আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া এর শিক্ষাজীবন আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে ২০১৮ সালে ম্যানেজমেন্ট এ স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি উত্তরা ইউনিভার্সিটি ঢাকা থেকে বিপিএড সম্পন্ন করেন। আজিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শুরু। এরপর আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজ লাকসাম উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কিছুদিন ক্লাস করার পর। পারিবারিক কারণে নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজ এ কিছুদিন রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করার পর ভালো না লাগায় পুনরায় ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ছাত্র জীবনে তিনি নানা রকম সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। কর্মজীবন কর্মজীবনের শুরুতে তিনি আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় যোগদেন। বেশ কিছুদিন পর তিনি ২০১৯ সালে উন্নত ভবিষ্যতের আশায় কুয়েত পারি জমান। কিন্তু সেখানকার কাজের পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় পুনরায় আবার বাংলাদেশে ফিরে এসে পূর্বের পদে কাজে যোগদান করে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন। এছাড়াও তিনি স্বপ্ন গ্রাফিক্স এন্ড নেটওয়ার্ক নামে একটি মাল্টিমিডিয়া এবং প্রিন্টিং প্রেস প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধীকারী সেই সাথে স্বপ্ন ইশকুল নামক একটি কম্পিউটার ট্রেণিং ইনস্টিটিউট এর মালিকানায় আছেন যেখানে তিনি নিজেই ক্লাস পরিচালনা করেন। লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্ম ছাত্র অবস্থায় তিনি লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্মের সাথে জড়িত আছেন। ২০১১ সালে রাইটার্স এসোসিয়েশন এর ম্যাগাজিনে তার প্রথম লেখা বন্ধু চিরন্তন প্রকাশিত হয়। এর পর তিনি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Close

অ্যাডস্ ব্লকার পাওয়া গেছে!

দয়া করে আমাদের সাপোর্ট করার জন্য আপনার এডস্ ব্লকার ডিজেবল করে পেইজটি রিলোড করুন! ধন্যবাদ