অমর একুশে গ্রন্থমেলা শুরু হয়েছে আজ
ভাষা আন্দোলনের চেতনায় ঋদ্ধ অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০ শুরু হচ্ছে আজ। বেলা ৩টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একুশে গ্রন্থমেলার উদ্বোধন করবেন। মুজিববর্ষ উপলক্ষে এবারের বইমেলা উৎসর্গ করা হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। আলোচনা পর্ব থেকে সাজসজ্জা- বইমেলার সবকিছুতেই গুরুত্ব পাবেন বঙ্গবন্ধু। অমর একুশে গ্রন্থমেলা আজ থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বইমেলা চলবে। পাঠক-প্রকাশক-লেখকের এ মিলনমেলায় হারিয়ে যাবে লাখো লাখো মানুষ।
এ বিষয়ে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলাজুড়ে উদ্ভাসিত হবেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমাদের চেতনা, স্বপ্ন ও আগামী দিনের কার্যক্রম প্রতিভাত করতে এবারের মেলা উৎসর্গ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধুকে। বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত বঙ্গবন্ধুর ওপর রচিত ২৬টি গ্রন্থ নিয়ে মাসজুড়ে আলোচনা হবে। ২ ফেব্রুয়ারি মেলার উদ্বোধনী দিনে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর লেখা তৃতীয় গ্রন্থ ‘আমার দেখা নয়াচীন’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করবেন। যার প্রকাশকও বাংলা একাডেমি।
তিনি বলেন, চলতি বছর থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৩ বছরের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বাংলা একাডেমি। যার মধ্যে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী রয়েছে। এ সময় বঙ্গবন্ধুর ওপর নানা বিষয়ে একশ’ গ্রন্থ প্রকাশ করবে বাংলা একাডেমি।
এবার স্মরণকালের সবচেয়ে বড় আকারে বইমেলা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। মেলার আয়তন সাড়ে আট লাখ বর্গফুট। মেলায় সৃজনশীল প্রকাশনা সংস্থাগুলো থাকবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে। যেখানে ৪৩৪টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে ৬৯৮টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বাংলা একাডেমি অংশে ১২৬টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭৯টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সব মিলে ৫৬০টি প্রতিষ্ঠানকে ৮৭৩টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি বাংলা একাডেমিসহ ৩৩টি প্রকাশনা সংস্থাকে ৩৪টি প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
এবারই প্রথম সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তৈরি করা হয়েছে লিটল ম্যাগ চত্বর। একই স্থানে শিশু চত্বরও করা হয়েছে। মেলা চলাকালীন শিশু প্রহর ঘোষণা হবে। এবারের মেলায় বাংলা একাডেমিসহ অংশগ্রহণকারী সব প্রতিষ্ঠান ২৫ শতাংশ কমিশনে বই বিক্রি করবে। মেলায় প্রবেশের জন্য বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে তিনটি পথ এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য ছয়টি পথ থাকছে। সে সঙ্গে থাকছে লেখক বলছি, গ্রন্থ উন্মোচনের আয়োজন।
মেলার সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ বলেন, গত বছর নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন এক হাজার পুলিশ সদস্য। এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দেড় হাজারে। সে সঙ্গে আনসার সদস্যের সংখ্যাও বেড়েছে। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের কারণে মেলা ১ দিন পিছিয়ে শুরু হলেও মেলার সময়সীমা বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। কারণ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষের আয়োজনের কারণে সোহরওয়ার্দী উদ্যান ৩ মার্চ ছেড়ে দিতে হবে।
শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির বিকাশ একাউন্ট সম্পর্কিত সমস্যার সমাধান
করোনাভাইরাস আতঙ্ক প্রসঙ্গে ড. জালাল আহমেদ বলেন, করোনাভাইরাসের বিষয়ে এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় সতর্কতা অবলম্বন করা হবে। আমাদের বৈঠকগুলোতে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তারা সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। ঢাকার সিভিল সার্জন কার্যালয়ও আমাদের সাহায্য করবে।
শিক্ষা সংক্রান্ত সকল তথ্য পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে কানেক্ট হোন