উহান ভাইরাস থেকে কোভিড- 19, মূলত বায়ুবাহিত রোগ হলেও এটি ছড়াচ্ছে মানুষের স্পর্শে হাতের ছোঁয়ায় অথবা ব্যবহৃত কোন জিনিস যেটা অনেক মানুষই বারবার ব্যবহার করে থাকে ।
এটি মূলত করেনা গ্রুপের একটি বিশেষ ভাইরাস এর আগে সার্চ ভাইরাস আরো বেশি ভয়ঙ্কর ভাইরাস ছিল বলে বর্তমান বিজ্ঞানীরা ধারণা করছে ।
এটি এক প্রকার ইনফ্লুয়েঞ্জা যা গতানুগতিক ইনফ্লুয়েঞ্জার ছেড়ে তিনগুণ বেশি ক্ষতিকর। কথা হচ্ছে পৃথিবীর ৬০-৭০ দেশে ছড়িয়ে পড়লেও বাংলাদেশে এই রোগের রোগী সনাক্তকরণ হয়নি অথবা এটাকে ব্যাপকভাবে প্রচার করতে দিচ্ছে না। তবে যদি তাই হয় এটাও এক ধরনের ভালো ।
কারণ এখন যদি দু চারজন রোগী পাওয়া যায় তাহলে এই সময়ের জ্বরাক্রান্ত যেকোনো মানুষ করোনা সন্দেহে অযথা হাসপাতালগুলোতে ভিড় করবে। এতে যদি দু চারজন রোগী ওইসব হাসপাতালে থেকে থাকে ওদের থেকে ভালো মানুষের অথবা ভালো রোগীরা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। আমাদের পাশের দেশ ভারতেও এ পর্যন্ত বেশ কয়েক জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে করোনাভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়ে।
দিল্লি এবং আগ্রায় ৮ থেকে ১০জনের শরীরে এই ভাইরাসের সন্ধান মিলছে। করোনা আতঙ্কে ইরানে মসজিদে মানুষ জুমার নামাজ আদায় করেনি একসাথে এমন খবর পাওয়া গেছে মিডিয়াতে। অন্যদিকে আজ বৃহস্পতিবার একদিনে ইতালিতে 28 জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে এবং সেখানকার ইস্কুল অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বলা হচ্ছে । অস্ট্রেলিয়া ও ওয়াশিংটনে এই রোগী শনাক্তকরণ করা গেছে। লন্ডনে বইমেলা বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে করোণা আতঙ্কে।
এএফপি এর সংবাদ মতে সারা বিশ্বে এই পর্যন্ত তিন হাজারের অধিক মানুষ করোনা ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে । জার্মানিতে আক্রান্ত 150 জন। অনির্দিষ্টকালের জন্য স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে জার্মানির সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ নর্থ rhine-westphalia।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আজ জানিয়েছেন যেভাবে দেশে সংক্রামক ছড়াচ্ছে তাতে আরও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন । তার কথায় আগামী কয়েকদিনে পরিস্থিতি আরো জটিল হতে পারে।
বলা হচ্ছে বিশেষজ্ঞগণের মতে, অতি তাপমাত্রায় করোনাভাইরাস বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারে না সেজন্য বিশ্বের যেসব দেশে যেখানে তাপমাত্রা 30 ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি তাপমাত্রা থাকে সেখানে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম । সিঙ্গাপুরের তাপমাত্রা বর্তমানে 33 ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা হলেও সেইখানে বেশকয়েকজন করোনা ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে এমন খবর পাওয়া গেছে ।
আমাদের দেশের বর্তমান তাপমাত্রা 30 ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রার কম কোথাও কোথাও আরো কম । এইরকম পরিস্থিতিতে আমরা কতটুকু শঙ্কামুক্ত অবস্থায় আছি । আমরা এমনিতেই একটু কম সচেতন মানুষ এবং অধিক ঘনবসতির দেশ রাস্তাঘাটে,শপিংমলে, রেলস্টেশন বাস টার্মিনাল ,লঞ্চ টার্মিনাল,মেলা, ওয়াজ মাহফিল ও খেলাধুলা এইসব স্থানে ব্যাপক জনসমাবেশ হয়ে থাকে।
আক্রান্ত হলে একইসাথে হাজার হাজার মানুষ এই ভাইরাস দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমাদের অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ, জনবহুল এলাকা এড়িয়ে চলা, ভালো করে হাত ধুয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা এবং সর্বক্ষণ সতর্ক থাকা যথাসম্ভব পরিষ্কার মাস্ক ব্যবহার করা এছাড়াও বিশেষজ্ঞ ডাক্তার গনের বিভিন্ন পরামর্শ মতো আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাপন করা হতে পারে আমাদের জন্য এই ক্ষতিকর ভাইরাস থেকে মুক্তি লাভের উপায় এবং সর্বদা আল্লাহর উপর ভরসা রাখা।