একদিনের খাদ্য তালিকায় যে যে খাদ্য ছিল তার ছক পূরণ
৯ম শ্রেণির সুপ্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ, আশা করছি খুবই ভালো আছো। কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী বিকল্প পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের পাঠ্যক্রম মূল্যায়নের লক্ষ্যে প্রকাশিত নবম শ্রেণীর ১৪তম সপ্তাহে এসাইনমেন্ট যা ৩১শে আগস্ট ২০২১ খ্রিঃ তারিখে ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট মাউশি অধিদপ্তর সাইটে প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষ। আজ তোমাদের নবম শ্রেণি ১৪তম সপ্তাহের গার্হস্থ্য বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান নিয়ে আলোচনার চেষ্টা করবো। অ্যাসাইনমেন্টের শিরোনাম হবে- একদিনের খাদ্য তালিকায় যে যে খাদ্য ছিল তার ছক পূরণ।
নবম শ্রেণি ১৪তম সপ্তাহের গার্হস্থ্য বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট
অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ: তােমার একদিনের খাদ্য তালিকায় কোন কোন খাদ্য ছিল তা নিচের ছক অনুযায়ী উপস্থাপন কর।
খাদ্যের নাম : শর্করা জাতীয় খাদ্য
সকাল-দুইটা রুটি
দুপুর-ভাত
রাত-ভাত
খাদ্য উপাদানঃ শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট
খাদ্যের কাজঃ
১৷ শক্তি উৎপাদনে – কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাদ্যের প্রধান কাজ হল শক্তি উৎপাদন করা। 1 গ্রাম কার্বোহাইড্রেটের সম্পূর্ণ দহনে 4.0 cal তাপশক্তি উৎপন্ন হয়।
২৷ কোষ্টবদ্ধতা দূরীকরণে – শাকসবজিতে সঞ্চিত সেলুলোজ জাতীয় খাদ্য কোষ্টবদ্ধতা দূর করে।
৩৷ রক্ত শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে – প্রাণীদেহের যকৃৎ ও পেশীতে সঞ্চিত গ্লাইকোজেন প্রয়োজনে গ্লুকোজে রূপান্তরিত হয়ে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে।
৪৷ বিশেষ গুরুত্ব – শর্করা খাদ্য প্রোটিন ও ফ্যাট সংশ্লেষে অংশ গ্রহন করে। এই জাতীয় খাদ্য প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে পারে। সেই কারণে শর্করা খাদ্য কে “ প্রোটিন বাঁচোয়া খাদ্য “ বলে।
অভাবজনিত অবস্থাঃ
তাপশক্তির ঘাটতি হয়, কাজ করার ক্ষমতা কমে যায় কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা যায়।
খাদ্যের নাম : প্রোটিন জাতীয় খাদ্য
সকাল- একটি ডিম
দুপুর -ডাল
রাত -ডাল
খাদ্যের উপাদান -আমিষ
খাদ্যের কাজঃ
আমিষের কাজ মূলত দেহের বৃদ্ধি, ক্ষয়পূরণ, কোষ গঠন, তাপশক্তি উৎপন্ন, রক্ত তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণ করা। আমিষ এনজাইমে রূপান্তরিত হয় আর এনজাইম কোষে সংঘটিত সব বিক্রিয়ার অনুঘটক হিসেবে কাজ করে।
অভাবজনিত অবস্থাঃ
বৃদ্ধি ব্যাহত হয়, দেহের ক্ষয়পূরণ সহজে হয় না।
খাদ্যের নাম : স্নেহপদার্থ
সকাল -এক চামচ তেল
বিকাল -এককাপ বাদাম
দুপুর- 1 চামচ তেল
রাত- 1 চামচ তেল
উপাদান : স্নেহপদার্থ
খাদ্যের কাজঃ
তাপ নিয়ন্ত্রণ ও তাপশক্তি উৎপন্ন।
অভাবজনিত অবস্থাঃ
দ্রবণীয় ভিটামিনের অভাব সৃষ্টি করতে পারে না ফলে চামড়া খসখসে ও শুকনা হয় চর্মরোগ বৃদ্ধি পায়।
খাদ্যের নাম : শাক সবজি
সকাল- ফল, শাকসবজি
বিকাল- ফল
রাত-সবজি
উপাদানঃ ভিটামিন
খাদ্যের কাজঃ
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, স্বাভাবিক পুষ্টি বজায়, দেহের বৃদ্ধি সাধন।
অভাবজনিত অবস্থাঃ
বিভিন্ন প্রকারের ভিটামিন রয়েছে যার অভাবে বিভিন্ন ধরনের রোগ হয়। মূলত সব রোগের বেশিরভাগ রোগ ভিটামিনের অভাবেই হয়।
খাদ্যের নাম- পানি
উপাদানঃ পানি
খাদ্যের কাজঃ
কোষের স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখা, পরিপাক ও শোষণ এর সাহায্য করা, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা।
অভাবজনিত অবস্থাঃ
পানিশূন্যতা দেখা যায়।
খাদ্যের নাম : ডাল, সামুদ্রিক মাছ
উপাদানঃ লৌহ ও আয়োডিন
খাদ্যের কাজঃ
ক্ষুধাহীনতা দূর করা, দেহের বৃদ্ধি করা, চেহারার উজ্জলতা বৃদ্ধি করা, কাজ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করা, থাইরয়েড গ্রন্থির কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
অভাবজনিত অবস্থাঃ
ক্ষুধাহীনতা, বর্ধন ব্যাহত, চেহারা ফ্যাকাশে কাজ করার ক্ষমতা হ্রাস, গলগন্ড, থাইরয়েড গ্রন্থির কর্মক্ষমতা হ্রাস।
এই ছিল তোমাদের নবম শ্রেণি ১৪তম সপ্তাহের গার্হস্থ্য বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান– একদিনের খাদ্য তালিকায় যে যে খাদ্য ছিল তার ছক পূরণ।
৯ম শ্রেণির অন্যান্য বিষয়ের উত্তর দেখুন-
[ninja_tables id=”11682″]আরো দেখুন-
সকল স্তরের শিক্ষা সংক্রান্ত সঠিক তথ্য, সরকারি-বেসরকারি চাকুরি বিজ্ঞপ্তি, চাকুরির পরীক্ষা, এডমিট কার্ড, পরীক্ষার রুটিন, সরকারি বেসরকারি বৃত্তি, উপবৃত্তি ও প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত তথ্য সবার আগে পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজটি Follow করে রাখুন। ইউটিউবে সর্বশেষ আপডেট পেতে বাংলা নোটিশ ডট কম এর ইউটিউব চ্যানেলটি Subscribe করে রাখুন। আপনার প্রতিষ্ঠানের যেকোন বিজ্ঞপ্তি, খবর, নোটিশ ও জাতীয় রাজনৈতিক বিষয়ে লেখা প্রকাশ করতে চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।