সর্বশেষ আপটেড

আমি যে কারণে স্কাউটিং কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে চাই

সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী বন্ধুরা, আশা করছি তোমরা খুব ভালো আছো। আজ তোমাদের সাথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি। এই আর্টিকেলে তোমাদের জন্য রয়েছে ৭ম শ্রেণির ১৮তম সপ্তাহের শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর/ সমাধান : আমি যে কারণে স্কাউটিং কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে চাই তার ব্যাখ্যা।

কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বাের্ড (এনসিটিবি) কর্তৃক প্রণয়নকৃত ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট শিক্ষার্থীদের জন্য ২০২১ খ্রিঃ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যসূচির আলােকে নির্ধারিত গ্রিড অনুযায়ী ১৮তম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে প্রকাশিত হয়েছে।

৭ম শ্রেণির ১৮তম সপ্তাহ শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য অ্যাসাইনমেন্ট

অ্যাসাইনমেন্ট :

মাহিম ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে অধ্যয়নকালীন সময়ে বিদ্যালয়ের মাঠে কিছু তাবু খাটানো দেখে তার কৌতুহল সৃষ্টি হয়। সে তাবুর কাছে গিয়ে জানতে পারল স্কাউটিং ক্যাম্প হচ্ছে। ক্যাম্পিংয়ে উপদল পদ্ধতি দেখে তার ভালো লাগলো। সে স্কাউটিং এ ভর্তি হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করল। তুমি কি কারণে স্কাউটিং কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে চাও তা ব্যাখ্যা কর।

নির্দেশনা :

  • স্কাউট বন্ধুর সহায়তা
  • পাঠ্যপুস্তক ইন্টারনেটের সাহায্য।

৭ম শ্রেণির ১৮তম সপ্তাহের শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর/ সমাধান

মাহিম ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে অধ্যয়নকালীন সময়ে | বিদ্যালয়ের মাঠে কিছু তাবু খাটানো দেখে তার – কৌতুহল সৃষ্টি হয়। সে তাবুর কাছে গিয়ে জানতে পারল স্কাউটিং ক্যাম্প হচ্ছে। ক্যাম্পিংয়ে উপদল পদ্ধতি দেখে তার ভালো লাগলো। সে স্কাউটিং এ ভর্তি হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করল। আমি যে কারণে স্কাউটিং কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে চাই তা নিচে ধাপে ধাপে ব্যাখ্যা কর হলঃ

স্কাউটের ধারণাঃ

স্কাউটিং একটি অরাজনৈতিক সেবামূলক সংগঠন। বিশ্বব্যাপী এর পরিচিতি রয়েছে। বালকদের স্কাউট এবং বালিকাদের গাইড বলা হয়। রবার্ট স্টিফেনসন স্মিথ লর্ড ব্যাডেন পাওয়েল স্কাউটিং ও গাইড আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি জাতিতে ইংরেজ ও পেশায় একজন সৈনিক ছিলেন। ১৮৫৭ সালের ২২শে ফেব্রুয়ারি তারিখে তিনি ইংল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন। স্কাউটিং ও গাইড পদ্ধতিতে বালক-বালিকাদের নৈতিক চরিত্র গঠনে এর কার্যকর ভূমিকায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্কাউটিং ও গার্ল গাইড আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। গাইড আন্দোলনের জন্য তিনি তার বোন এগনেস ব্যাডেন পাওয়েল ও তার স্ত্রী অলিভ ব্যাডেন পাওয়েলকে দায়িত্ব প্রদান করেন। তাঁরা গাইড আন্দোলনকে সাফল্যজনকভাবে পরিচালিত করে সর্বত্র এর প্রসার ঘটান। বাংলাদেশে স্কাউটিং ও গার্ল গাইড কর্মসূচি চালু হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পরপর ১৯৭২ সালে। এসব কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নের ফলে দেশের বালক-বালিকাদের মধ্যে মানবিক মূল্যবোধের উন্মেষ ও উন্নয়ন ঘটানো এবং তাদেরকে সমাজ-সচেতন দৃষ্টিভঙ্গির অধিকারী হিসেবে গড়ে উঠতে সাহায্য করছে।

স্কাউট ও গার্ল গাইডগণ জনসেবামূলক বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পাদন করে থাকে। স্কাউটিং ও গার্ল গাইডিং মূলনীতির ওপর ভিত্তি করে স্লোগান প্রচার করা হয়। এই স্লোগান হচ্ছে:

প্রতিদিন কারো না কারো উপকার করা। যেমন :

  • ১. রাস্তা থেকে ইট, পাথর, কাঁটা, কলার খোসা তুলে ফেলা। কারো জিনিস পড়ে গেলে তা তুলে দেওয়া।
  • ২.অন্ধ ও শিশুকে রাস্তা পার হতে সাহায্য করা।
  • ৩.রাস্তার কোনো ছোট গর্ত ভরাট করে দিয়ে লোক চলাচলে সাহায্য করা।
  • ৪.আহত ব্যক্তিকে দ্রুত চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য হাসপাতালে নেওয়া।
  • ৫.বন্যায় ত্রাণকাজে সহায়তা করা ইত্যাদি।

স্কাউটিং ও এর মূলমন্ত্র ও প্রতিজ্ঞা— স্কাউট সদস্য ব্যাজ পেতে হলে এ বিষয়ের মূলনীতি ও প্রতিজ্ঞা জানতে ও বুঝতে হয়। মূলমন্ত্র, চিহ্ন, সালাম এগুলো স্কাউটিং এর সাধারণ বিষয়।

মূলনীতি :-

স্কাউট আন্দোলন তিনটি মূলনীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত। যথা :

  • ১. স্রষ্টার প্রতি কর্তব্য পালন।
  • ২. অপরের প্রতি কর্তব্য পালন।
  • ৩. নিজের প্রতি কর্তব্য পালন।

স্কাউটের প্রতিজ্ঞা :

প্রত্যেক স্কাউটকে স্কাউট হিসেবে দীক্ষা নেয়ার সময় একটি প্রতিজ্ঞা নিতে হয়। প্রতিজ্ঞাটি হলঃ

  • ১। আল্লাহ ও দেশের প্রতি কর্তব্য পালন।
  • ২। প্রতিদিন কারো না কারো উপকার করা।
  • ৩। স্কাউট নীতিমালা মেনে চলতে যথাসাধ্য চেষ্টা করা।

স্কাউটিং এর আইন :

স্কাউটিং আইন সুনাগরিক হওয়ার ভিত্তি তৈরি করে। স্কাউটিং আইন অনুসরণে একটি বিস্তারিত নীতিমালা রয়েছে যা একজন স্কাউটকে অবশ্যই মেনে চলতে হয়। স্কাউটিংয়ের সাতটি আইনের প্রতিটির আলাদা তাৎপর্য রয়েছে। যেমন-

  • ১। স্কাউট আত্মমর্যাদায় বিশ্বাসী। স্কাউট কখনোই তার আত্মমর্যাদা ভঙ্গ করে না।
  • ২। স্কাউট সকলের বন্ধু। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে স্কাউট সকলকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করে।
  • ৩। স্কাউট বিনয়ী ও অনুগত। সুখে-দুঃখে, আপদে-বিপদে সর্বদাই স্কাউটরা একে অপরকে সাহায্য ও বিনয় প্রদর্শন করে।
  • ৪। স্কাউট জীবের প্রতি সদয়। একজন স্কাউট সাধ্যমতো প্রাণীদের কষ্ট লাঘব ও যন্ত্রণা হতে রক্ষা করবে।
  • ৫। স্কাউট সদা প্রফুল্ল। স্কাউট সকল কাজকর্ম হাসিমুখে করে থাকে।
  • ৬। স্কাউট মিতব্যয়ী। একজন স্কাউট কখনোই অপচয় করে না। সে মিতব্যয়িতার সাথে জীবন পরিচালনার অভ্যাস গড়ে তোলে।
  • ৭। স্কাউট চিন্তায়, কথায় ও কাজে নির্মল। স্কাউটরা এমন কোনো কাজ করে না যা অন্যের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

স্কাউট এর এসব কর্মসূচি ও লক্ষ্য ও প্রতিজ্ঞা আমাকে মুগ্ধ করে। তাদের এসব আত্মদানকারী কর্মসূচি আমাকে দেশপ্রেম বোধ জাগ্রত করে।

আমি যে কারণে স্কাউটিং কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে চাই-

স্কাউটিং এমন একটি আন্তর্জাতিক, শিক্ষামূলক ও অরাজনৈতিক আন্দোলন- যার মাধ্যমে শিশু, কিশোর ও যুবকদের শারীরিক, মানসিক, সামাজিক, বুদ্ধিভিত্তিক ও আধ্যাত্মিকভাবে যোগ্য করে গড়ে তোলা হয়। এটি বিশ্বের একমাত্র সংগঠন, যেখানে যোগদান করতে হলে আত্মশুদ্ধি পালন করতে হয়। আগ্রহীদের অতীত জীবনের সব বদঅভ্যাস পরিত্যাগ করার শপথ নিতে হয়। মদ, জুয়া, যৌনতা, শঠতা ও নাস্তিকতা নামের পাঁচটি শিলাখণ্ড থেকে জীবনতরীকে রক্ষা করতে হয়। স্কাউট-প্রতিজ্ঞা অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করতে হয়। স্কাউট-প্রতিজ্ঞাটি হল-

আমি আমার আত্মমর্যাদার ওপর নির্ভর করে প্রতিজ্ঞা করছি যে, আল্লাহ ও আমার দেশের প্রতি কর্তব্য পালন করতে, সর্বদা ওপরকে সাহায্য করতে ও স্কাউট আইন মেনে চলতে আমি আমার যথাসাধ্য চেষ্টা করব।”

স্কাউটের ৭টি আইন রয়েছে, যেগুলো সর্বদা মেনে চলতে হয়। এগুলো হল-

  • ১. স্কাউট আত্মমর্যাদায় বিশ্বাসী
  • ২. স্কাউট সবার বন্ধু
  • ৩. স্কাউট বিনয়ী ও অনুগত
  • ৪. স্কাউট জীবের প্রতি সদয়
  • ৫. স্কাউট সদা প্রফুল্ল
  • ৬. স্কাউট মিতব্যয়ী
  • ৭. স্কাউট চিন্তা, কথা ও কাজে নির্মল।

স্কাউটের ৩টি মূলনীতি রয়েছে, যেগুলো সদা-সর্বদা অনুসরণ করতে হয়। এগুলো হল-

  • ১. সৃষ্টিকর্তার প্রতি কর্তব্য
  • ২. নিজের প্রতি কর্তব্য এবং
  • ৩. অপরের প্রতি কর্তব্য।

উপরোক্ত প্রতিজ্ঞা, আইন ও মূলনীতি সঠিকভাবে প্রতিপালনের মাধ্যমে স্কাউটিংয়ের মূলমন্ত্র- সেবা প্রদানই হল স্কাউটিংয়ের উদ্দেশ্য। এরপরও যদি জিজ্ঞেস করেন, স্কাউটিং কেন করব- অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সঙ্গে একমত পোষণ করে বলব, কে বলেছে আপনাকে করতে! স্কাউটিং সেই করবে, যার সমাজ ও রাষ্ট্রের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করার মানসিকতা থাকবে; দেশকে ভালোবাসবে, দেশের মানুষকে ভালোবাসবে।

এই ছিল তোমাদের ৭ম শ্রেণির ১৮তম সপ্তাহের শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর/ সমাধান : আমি যে কারণে স্কাউটিং কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে চাই তার ব্যাখ্যা।

আপনার জন্য আরো কিছু তথ্য…

সকল স্তরের শিক্ষা সংক্রান্ত সঠিক তথ্য, সরকারি-বেসরকারি চাকুরি বিজ্ঞপ্তি, চাকুরির পরীক্ষা, এডমিট কার্ড, পরীক্ষার রুটিন, সরকারি বেসরকারি বৃত্তি, উপবৃত্তি ও প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত তথ্য সবার আগে পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজটি Follow করে রাখুন। ইউটিউবে সর্বশেষ আপডেট পেতে বাংলা নোটিশ ডট কম এর ইউটিউব চ্যানেলটি Subscribe করে রাখুন। আপনার প্রতিষ্ঠানের যেকোন বিজ্ঞপ্তি, খবর, নোটিশ ও জাতীয় রাজনৈতিক বিষয়ে লেখা প্রকাশ করতে চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা নোটিশ ডট কম এর প্রকাশক ও সম্পাদক জনাব আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া। জন্ম ১৯৯৩ সালের ২০ নভেম্বর, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায়। বাবা আবদুল গফুর ভূঁইয়া এবং মা রহিমা বেগম। এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে আবদুল্লাহ আল আরিয়ান বয়স ৫ বছর। মেয়ে ফাবিহা জান্নাত বয়স ১ বছর। আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া এর শিক্ষাজীবন আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে ২০১৮ সালে ম্যানেজমেন্ট এ স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি উত্তরা ইউনিভার্সিটি ঢাকা থেকে বিপিএড সম্পন্ন করেন। আজিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শুরু। এরপর আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজ লাকসাম উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কিছুদিন ক্লাস করার পর। পারিবারিক কারণে নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজ এ কিছুদিন রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করার পর ভালো না লাগায় পুনরায় ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ছাত্র জীবনে তিনি নানা রকম সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। কর্মজীবন কর্মজীবনের শুরুতে তিনি আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় যোগদেন। বেশ কিছুদিন পর তিনি ২০১৯ সালে উন্নত ভবিষ্যতের আশায় কুয়েত পারি জমান। কিন্তু সেখানকার কাজের পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় পুনরায় আবার বাংলাদেশে ফিরে এসে পূর্বের পদে কাজে যোগদান করে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন। এছাড়াও তিনি স্বপ্ন গ্রাফিক্স এন্ড নেটওয়ার্ক নামে একটি মাল্টিমিডিয়া এবং প্রিন্টিং প্রেস প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধীকারী সেই সাথে স্বপ্ন ইশকুল নামক একটি কম্পিউটার ট্রেণিং ইনস্টিটিউট এর মালিকানায় আছেন যেখানে তিনি নিজেই ক্লাস পরিচালনা করেন। লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্ম ছাত্র অবস্থায় তিনি লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্মের সাথে জড়িত আছেন। ২০১১ সালে রাইটার্স এসোসিয়েশন এর ম্যাগাজিনে তার প্রথম লেখা বন্ধু চিরন্তন প্রকাশিত হয়। এর পর তিনি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Close

অ্যাডস্ ব্লকার পাওয়া গেছে!

দয়া করে আমাদের সাপোর্ট করার জন্য আপনার এডস্ ব্লকার ডিজেবল করে পেইজটি রিলোড করুন! ধন্যবাদ