পল্লী সাহিত্যের উপাদানসমূহের নাম ও বাক্য গঠন
বন্ধুরা, আজ তোমাদের জন্য ৯ম শ্রেণির ৫ম এসাইনমেন্ট বাংলা বিষয়ের পল্লী সাহিত্য প্রবন্ধের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাখ্যা নিয়ে আলোচনা করবো। এই আলোচনা থেকে তুমি পল্লী সাহিত্যের উপাদানসমূহের নাম ও দুটি উপাদান নিয়ে বাক্য গঠন করতে পারবে। তোমাদের জন্য আজকের আলোচনা থেকে তুমি পল্লী সাহিত্যের উপাদানসমূহের নাম ও বাক্য গঠন করতে পারবে।
এ্যাসাইনমেন্ট/নির্ধারিত কাজ:
পল্লী সাহিত্যের ৫ টি উপাদানের নাম উল্লেখ করে তোমার পছন্দের যে কোন ২ টি উপাদান সম্পর্কে ১০ টি করে বাক্য লেখ।
উত্তর- পল্লী সাহিত্যের ৫ টি উপাদানের নাম ও ২ টি উপাদান সম্পর্কে ১০ টি করে বাক্য-
- নিম্নে পল্লী সাহিত্যের ৫ টি উপাদানের নাম হল –
১.পল্লী গান,
২.প্রবাদবাক্য,
৩.রুপকথা ও উপকথা,
৪.ডাক ও খনার বচন,
৫.ঘুমপাড়ানির গান ও ছড়া। - পল্লী সাহিত্যের উপাদান গুলোর মধ্যে আমার পছন্দের দুটি উপাদান হচ্ছে-
১.ঘুমপাড়ানির গান বা ছড়া এবং
২.খনার বচন
ঘুমপাড়ানির গান বা ছড়া ও খনার বচন সম্পর্কে দশটি করে বাক্য লেখা হলো-
ঘুমপাড়ানিগানও_ছড়া:-
১.ঘুমপাড়ানির গান এক ধরনের সংগীত,
যা শিশুদের ঘুম পাড়ানোর জন্য শোনানো হয়ে থাকে।
২.গবেষকদের মতে, পৃথিবীর প্রথম ঘুমপাড়ানি গানটি
লেখা হয়েছিল ৪০০০ বছর আগে।
৩.প্রাচীন ব্যাবিলনের(বর্তমান ইরাক অঞ্চল) অজ্ঞাত এক
গীতিকার এ ধরনের গান রচনা করেছেন।
৪.লন্ডনে অবস্থিত ব্রিটিশ মিউজিয়ামে প্রাচীনতম ঘুমপাড়ানি গানটির প্রাচীন ফলকটি সংরক্ষিত রয়েছে।
৫.বিশেষজ্ঞ রিচার্ড ড্রামবিল বলেন, প্রাচীন ঘুমপাড়ানির গানে ভীতিকর বিষয়বস্তুর প্রাধান্য ছিল।
৬.সুপ্রাচীন কাল থেকেই বিশ্বের সকল দেশের সংস্কৃতিতে ঘুমপাড়ানির গানের দেখা পাওয়া যায। যেমন- আমাদের দেশের মায়ের ঘুম পাড়ানি গান; যা আমাদের শৈশবের স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়।
৭.”ঘুমপাড়ানি মাসি পিসি মোদের বাড়ি এসো” বা, ”খোকা ঘুমালো পাড়া জুড়ালো বর্গি এলো দেশে” ইত্যাদি। এগুলো সরস প্রাণের জীবন্ত উৎস।
৮.আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা কথায় কথায় ছড়া কাটতে থাকে । রোদের সময় বৃষ্টি হলে ঝংকার দিয়ে বলে- “রোদ হচ্ছে বৃষ্টি হচ্ছে খেঁকশিয়ালের বিয়ে হচ্ছে”।
৯.শুধু মা-ই নয়; বাবা, বড় ভাই-বোনেরাও ঘুমপাড়ানির গান গেয়ে বাচ্চাদের ঘুম পাড়ান।
১০.ঘুমপাড়ানি গান এবং বিভিন্ন রকম ছড়া আমাদের দেশের পল্লী সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ। এ সম্পদ সংরক্ষণ করা আমাদের সবার দায়িত্ব।
খনার_বচন:-
নিম্নে খনার বচন সম্পর্কে দশটি বাক্য লেখা হলো-
১.খনার বচন আনুমানিক অষ্টম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যে রচিত। সম্ভবত সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত দ্বিতীয় বিক্রমাদিত্যর রাজত্বকালে।
২.খনার বচন মূলত কৃষিভিত্তিক ছড়া।
৩.অনেকের মতে খনা নান্নি জ্যোতির্বিদ্যায় পারদর্শী এক বিদুষী বাঙালি নারী।
৪.খনার বচন গুলো চার ভাগে বিভক্ত। যথা-
i) কৃষিকাজের প্রথা ও কুসংস্কার,
ii) কৃষিকাজ ফলিত ও জ্যোতির্বিজ্ঞান,
iii) আবহাওয়া জ্ঞান,
iv)শস্যের যত সম্পর্কিত উপদেশ।
৫.খনার ভবিষ্যৎবাণীগুলি খনার বচন নামে বহুল পরিচিত।
৬.ধান, কলা ও গরুকে খনার বচনে তুলনামূলভাবে বেশি গুরুত্ব দিয়ে অধিক সংখ্যক বচন রচিত হয়েছে।
৭.মাটি,আবহাওয়া, ধতুর অদলবদল, মেঘ-বৃষ্টির শ্রেনিকরণ ও সময় নির্ঘণ্ট, আবহাওয়ার আন্দাজ, দুর্যোগ ও প্রাকৃতিক পরিবর্তনের আগাম প্রস্তুতি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও দুঃসময়ের আগাম হিসাবনিকাশ, প্রাকৃতিক নির্দেশনা ইত্যাদি নিয়ে খনার বচন রয়েছে।
৮.খনা সম্পর্কে বাংলা ও উড়িয়া ভাষায় কিংবদন্তী আছে।
৯.অজস্র খনার বচন যুগ-যুগান্তর ধরে গ্রাম বাংলার জনজীবনের সাথে মিশে আছে।
১০.খনার বচনের একটি উদাহরণ হলোঃ পূর্ণিমা অমাবস্যায় যে ধরে হাল, তার দুঃখ হয় চিরকাল।
এই ছিল তোমাদের জন্য নবম শ্রেণির ৫ম এসাইনমেন্ট এর বাংলা বিষয়ের উত্তর; আশা করছি তোমরা নবম শ্রেণির ৫ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট এর পল্লী সাহিত্যের উপাদানসমূহের নাম ও বাক্য গঠন উত্তর দিতে পারবে।
তোমাদের জন্য এই তথ্যটি দিয়েছে, খাদিজাতুল স্বর্ণা, কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজ।
নিয়মিত বাংলা নোটিশ ডট কম ভিজিট করুন এবং ফেসবুক পেইজ Like & Follow করে রাখুন; ইউটিউবে আপডেট পেতে বাংলা নোটিশ ইউটিউব চ্যানেলটি Subscribe করে রাখুন।
ভালো হয়েছে। তবে আরও একটু ভালো হওয়া উচিত ছিল !
rrrr