তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিস্তারে বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের নতুন দিক উন্মোচন
প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ, আশা করছি সবাই ভালো আছো। তোমরা কি ৮ম শ্রেণি একাদশ সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এর বাছাইকরা নমুনা উত্তর সম্পর্কে ধারণা নিতে চাচ্ছো? কিংবা এসাইনমেন্টটি কিভাবে প্রস্তুত করতে হয় সে সম্পর্কে জানতে আগ্রহী? তাহলে বলবো তোমরা ঠিক ওয়েবসাইটে এসেছো। তোমাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটিতে রয়েছে ৮ম শ্রেণি একাদশ সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এর বাছাইকরা নমুনা উত্তর- “তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিস্তারে বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের নতুন দিক উন্মোচন”– শীর্ষক প্রতিবেদন।
৮ম শ্রেণি একাদশ সপ্তাহ এ্যাসাইনমেন্ট তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (ICT)
২০২১ সালের অষ্টম শ্রেণির একাদশ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট এ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইসিটি পাঠ্য বইয়ের প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট নির্ধারণ করা হয়েছে প্রথম অধ্যায় প্রত্যহ জীবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি থেকে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক প্রণীত অষ্টম শ্রেণির একাদশ সপ্তাহের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস এর আলোকে শিক্ষার্থীরা ব্যক্তি জীবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, কর্ম ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং সমাজ জীবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সংক্রান্ত পাঠসমূহ অধ্যায়ন করার পর একাদশ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট সম্পন্ন করবে।
নিচের ছবিতে অষ্টম শ্রেণির একাদশ সপ্তাহে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক অ্যাসাইনমেন্ট বিস্তারিত উল্লেখ করা হলোঃ
শ্রেণিঃ ৮ম, বিষয়ঃ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, অ্যাসাইনমেন্ট নং-০১, অধ্যায় ও শিরোনাম: ০১ (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি গুরুত্ব)
অ্যাসাইনমেন্টঃ “তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিস্তারের ফলে বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের নতুন দিক উন্মোচিত হয়েছে”- উক্তিটির আলোকে একটি প্রতিবেদন লিখ।
নির্দেশনাঃ
প্রতিবেদনটি তৈরীর ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে-
১। প্রারম্ভিক অংশ : মূল শিরোনাম, প্রাপকের নাম ঠিকানা, সূত্র বিষয়ের সংক্ষিপ্তসার নির্দেশক কথা।
২। প্রধান অংশ : বিষয় সম্পর্কে ভূমিকা, মূল প্রতিবেদন (উৎপাদনশীলতা, দক্ষ কর্মী, নতুন কর্মের খাতসমূহ, কর্মপ্রত্যাশীদের জন্য আইসিটির ভূমিকা, ঘরে বসে আয়), উপসংহার ও সুপারিশ।
৩। পরিশিষ্ট : তথ্যনির্দেশ ও আনুষঙ্গিক বিষয়াদি।
৮ম শ্রেণি একাদশ সপ্তাহ এ্যাসাইনমেন্ট তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (ICT) এর বাছাইকরা উত্তর
অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য একাদশ সপ্তাহের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (ICT) বিষয় এর অ্যাসাইনমেন্ট লেখার নির্দেশনা অনুসরণ করে একটি বাছাই করা নমুনা উত্তর প্রস্তুত করে দেয়া হলো। এটি অনুযায়ী অষ্টম শ্রেণীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (ICT) বিষয়ের এসাইনমেন্ট এর উত্তর লিখলে তোমাদের সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়ার নিশ্চয়তা রয়েছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিস্তারে বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের নতুন দিক উন্মোচন
তারিখঃ
বরাবর
প্রধান শিক্ষক
জি.এম.হাট উচ্চ বিদ্যালয়
ফুলগাজী,ফেনী
বিষয়ঃ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিস্তারের ফলে বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের নতুন দিক উন্মোচন।
জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে,আপনার আদেশ নং ম.উ.বি. ২৫৬-৮ তারিখঃ১১-৮-২০২১ অনুসারে “তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিস্তারের ফলে বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের নতুন দিক উন্মোচিত হয়েছে” শীর্ষক প্রতিবেদন নিম্নে দেওয়া হলো।
“তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিস্তারের ফলে বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের নতুন দিক উন্মোচিত হয়েছে”
ভূমিকাঃ
যন্ত্র বা কৌশল ব্যবহার করে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ ও প্রয়োজনীয় কাজ সম্পাদন করাই হচ্ছে প্রযুক্তি। প্রতিদিন আমরা নানা কাজে বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করি। প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে আরও উন্নত, সহজ এবং আরামদায়ক করেছে। যেমন – বর্তমানে আমাদের মোবাইলের শব্দ শুনে ঘুম ভাঙ্গে। কিন্তু কিছুদিন আগেও আমাদের সকাল বেলা মোরগের ডাক এবং পাখির কিচিরমিচির শব্দে ঘুম ভাঙ্গত।
আমরা প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্তে প্রযুক্তির ওপর নির্ভর হয়ে পড়ছি। তাই বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে যাতে এগুলো পরিবেশ দূষণের কারন না হয়।আমাদের জীবনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার হয়। যেমন – বাসস্থান, যাতায়াত, শিক্ষা, কৃষি, চিকিৎসা, খেলাধুলা ও বিনোদন ইত্যাদি।
নিম্নে এসব ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা দেওয়া হলো –
- ১. মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ঘরে বসেই পরীক্ষার ফলাফল জানা যায়।
- ২. মোবাইল ফোন ব্যবহার করে টাকা পাঠানো ও গ্রহণ করা যায়।
- ৩. অনলাইন ও ইন্টারনেট ব্যবহারে ঘরে বসেই চাকরির দরখাস্ত করা যায় এবং পরীক্ষার প্রবেশপত্র অনলাইন থেকে প্রিন্ট করা যায়।
- ৪. অনলাইন টিকিটিং সিস্টেমের মাধ্যমে ঘরের বাইরে বা স্টেশনে না গিয়েই ট্রেনের এবং প্লেনের টিকিট কেনা যায়।
- ৫. অনলাইনে ইন্টারনেটের সহায়তায় সব ধরনের পত্রিকা (যা ইন্টারনেটে থাকে) পড়া যায়।
- ৬. ইন্টারনেটে ঘরে বসেই প্রয়োজনীয় পণ্যের অর্ডার দেওয়া এবং বিল পরিশোধ করা যায়।
- ৭. এক স্থান থেকে অন্য স্থানে টাকাপয়সা পাঠানো যায়।
- ৮. ই-বুক সুবিধা পাওয়া যায়।
উৎপাদনশীলতাঃ
তথ্য-প্রযুক্তির বিকাশের ফলে সমাজের বিভিন্ন স্তরে নানা ধরনের পরিবর্তন এসেছে। মানুষ সব ক্ষেত্রে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার প্রয়োজনেই শিখে নিচ্ছে। প্রযুক্তির বিকাশের শুরুর দিকে ধারণা করা হতো স্বয়ংক্রিয়করণ ও প্রযুক্তির প্রয়োগের ফলে বিশ্বব্যাপী কাজের পরিমাণ কমে যাবে এবং বেকারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু বিকাশের এ ধারায় দেখা গেছে কিছু সনাতনী কাজ বিলুপ্ত হয়েছে, বেশ কিছু কাজের ধারায় পরিবর্তন এসেছে। তবে অসংখ্য নতুন কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
এক গবেষণায় জানা গেছে, প্রতি এক হাজার ইন্টারনেট সংযোগের ফলে নতুন ৮০টি কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়। তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহারের কারণে একজন কর্মী অনেক বেশি দক্ষ হয়ে ওঠে। বিপজ্জনক অনেক কাজ শ্রমিকরা যন্ত্র দিয়ে করায় বিভিন্ন কারখানায় নানা রকম কাজের জন্য রোবট বা স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র ব্যবহার করা হয়। এসব যন্ত্র নিয়ন্ত্রণ মানুষই করে থাকে। এতে সময় বাঁচে। কাজ নিখুঁত ও সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়। এতে উৎপাদনশীলতা বাড়ে। এর কারণ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সংযুক্তি। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রয়োগে উৎপাদনশীলতায় এ বৃদ্ধিকে বাঙালি শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. ইকবাল কাদির সংজ্ঞায়িত করেছেন এভাবে সংযুক্তিই উৎপাদনশীলতা (Connectivity is productivity) অর্থাৎ প্রযুক্তিতে জনগণের সংযুক্তি বাড়লে তাদের উৎপাদনশীলতা বাড়ে।
দক্ষ কর্মীঃ
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিপুল বিকাশের ফলে সমাজের বিভিন্ন স্তরে নানা ধরনের পরিবর্তন সূচিত হয়েছে। এর বিকাশের শুরুর দিকে ধারণা করা হতো, স্বয়ংক্রিয়করণ এবং প্রযুক্তির প্রয়োগের ফলে বিশ্বব্যাপী কাজের পরিমাণ কমে যাবে এবং বেকারের সংখ্যা বেড়ে যাবে; কিন্তু পরবর্তী সময় দেখা গেছে, তথ্য-প্রযুক্তির বিকাশের ফলে কিছু কিছু সনাতনী কাজ বিলুপ্ত হয়েছে বা বেশ কিছু কাজের ধারা পরিবর্তন হয়েছে বটে, তবে অসংখ্য নতুন কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তথ্য-প্রযুক্তির বিকাশের ফলে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে টিকে থাকার জন্য কর্মীরা নিজেদের ক্রমাগত দক্ষ করে নেয়, ফলে দক্ষতা উন্নয়নের কর্মসূচিগুলোতে প্রতিনিয়ত পরিবর্তন সাধিত হচ্ছে।
কর্মের খাতসমূহ ও কর্ম প্রত্যাশিদের জন্য আইসিটির ভূমিকাঃ
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিপুল বিকাশের ফলে সমাজের বিভিন্ন স্তরে নানা ধরনের পরিবর্তন সূচিত হয়েছে। এর বিকাশের শুরুর দিকে ধারণা করা হতো স্বয়ংক্রিয়করণ ও প্রযুক্তির প্রয়োগের ফলে বিশ্বব্যাপী কাজের পরিমাণ কমে যাবে এবং বেকারের সংখ্যা বেড়ে যাবে; কিন্তু পরবর্তী সময়ে দেখা গেছে, তথ্য-প্রযুক্তির বিকাশের ফলে কিছু কিছু সনাতনী কাজ বিলুপ্ত হয়েছে বা বেশ কিছু কাজের ধারা পরিবর্তন হলেও অসংখ্য নতুন কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
শুধু কর্মসৃজন নয়, কর্মপ্রত্যাশীদের কাজের সুযোগ প্রাপ্তিতেও ইন্টারনেট ও তথ্য-প্রযুক্তির বড় ভূমিকা রয়েছে। আগে যেকোনো ধরনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের নোটিশ বোর্ড, বড় বড় সরকারি প্রতিষ্ঠানের দেয়ালে সেঁটে দেওয়া হতো। আইসিটি ও ইন্টারনেটের বিকাশের ফলে বর্তমানে ইন্টারনেটে জবসাইট নামে নতুন এক ধরনের সেবা চালু হয়েছে। এসব জবসাইটে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান সরাসরি তাদের বিজ্ঞপ্তি প্রচার করতে পারে। এ ছাড়া এরূপ কোনো কোনো সাইটে কর্মপ্রত্যাশীরা নিজেদের নিবন্ধিত করে রাখতে পারে। উল্লেখযোগ্য খাত সমূহঃ www.freelancer.com,,www.upwork.com,,www.elance.com.
উপসংহার:
তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা যে শুধুমাত্র আমাদের নিজের জীবনটাকে সহজ করতে পারি তা নয়, আমরা কিন্তু আমাদের দেশটাকে ও পাল্টে ফেলতে পারি। জ্ঞান হচ্ছে পৃথিবীর সম্পদ, আর যে দেশের মানুষ লেখাপড়া শিখে শিক্ষিত, যারা জ্ঞান চর্চা করে সেই দেশ হচ্ছে সম্পদশালী দেশ। তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি শেখার দরজার সবার জন্য খোলা।
তাই আমরা যত তাড়াতাড়ি এই প্রযুক্তি শিক্ষা নিতে পারবো, ততো তাড়াতাড়ি আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে পারব এবং দেশকে সম্পদশালী করে গড়ে তুলতে পারব।
প্রতিবেদকের নাম ও ঠিকানাঃ
নামঃশাখাওয়াত হোসেন
৮ম শ্রেণি, রোলঃ০১
জি.এম.হাট উচ্চ বিদ্যালয়, ফুলগাজী,ফেনী
আশা করছি তোমরা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহারের ক্ষেত্র ও সুবিধা সমূহ বিষয়ে ভালভাবে ধারণা লাভ করতে পেরেছো;
আরো দেখুন-
প্রতি সপ্তাহে সকল স্তরের অ্যাসাইনমেন্ট সংক্রান্ত সকল তথ্য পাওয়ার জন্য বাংলা নোটিশ এর ফেসবুক পেজটি লাইক এবং ফলো করে রাখুন ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করে রাখুন এবং প্লেস্টোর থেকে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপটি ডাউনলোড করে রাখুন।