এবার সমগ্র বাংলাদেশ ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষনা – আইন অমাণ্যকারীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা
এবার সমগ্র বাংলাদেশ ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষনা – স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
সমগ্র বাংলাদেশকে এবার করোনা ভাইরাসের ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষনা করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সাম্প্রতিক সময়ে করোনা পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে। ধীরে ধীরে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে এই প্রাণঘাতী
ভাইরাস। এর করাল গ্রাস থেকে বাঁচতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে বাংলাদেশ সরকার। কিন্তু করোনা ভাইরাসের নিয়ন্ত্রণ কোনভাবেই ঠেকানো সম্ভব হচ্ছেনা।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যখন করোনা ভাইরাসের আঘাতে পর্যদস্ত সেখানে বাংলাদেশের অবস্থা আরও করুণ হতে পারে।
করোনা ভাইরাস দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়লে আজ ১৬ এপ্রিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক সারা বাংলাদেশকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষনা করেছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক ঘোষনাপত্রে বলা হয়- যেহেতু, মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিকট প্রতীয়মান হয়েছে যে,
বিশ্বব্যাপি করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারী আকারে বিস্তার লাভ করায় লক্ষ লক্ষ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে ও লক্ষাধিক লোক মৃত্যুবরণ করেছে এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে। হাঁচি কাশি ও পরস্পর মেলামেশার কারণে এ রোগের বিস্তার লাভ ঘটে। এখন পর্যন্ত বিশ্বে এ রোগের কোন প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী এ রোগের একমাত্র প্রতিষেধক হতে পারে পরস্পরকে নির্দিষ্ট দূরত্বে অবস্থান করা এবং
যেহেতু,জনসাধারণের একে অপরের সাথে মেলামেশা নিষিদ্ধ করা ছাড়া সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব নয় এবং
যেহেতু, বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় এই রোগের সংক্রমণ ঘটেছে।
সেহেতু, সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ,নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৬১ নং আইন) এর ১১ (১) ধারার ক্ষমতাবলে সমগ্র বাংলাদেশকে সংক্রমণের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে ঘোষনা করা হলো।
সংক্রমিত এলাকায় জনসাধারণকে নিন্মলিখিত নির্দেশনাবলী কঠোরভাবে অনুসরণ করার জন্য অনুরোধ করা হলো:
১) করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রশমনে জনগণকে অবশ্যই ঘরে অবস্থা করতে হবে। অতীব জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাহিরে বের হওয়া যাবেনা;
২) এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় যাতায়াত কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হলো;
৩) সন্ধ্যা ৬:০০ টা হতে সকাল ৬:০০ ঘটিকার মধ্যে কেউ ঘরের বাহিরে যেতে পারবেনা;
এ আদেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে উপরে বর্ণিত আইনে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এছাড়া স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট সরকারী প্রশাসন ও কর্তৃপক্ষের সহায়তা নিয়ে আইনের সংশ্লিষ্ট ধারাগুলো প্রয়োগ করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করবে।
যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে অদ্য ১৬ এপ্রিল ২০২০ তারিখে মহাপরিচালকের ক্ষমতাবলে এ আদেশ জারী করা হলো;