গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে কারুশিল্পের ব্যবহার এবং তার নান্দনিক দিক

প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, তোমরা কেমন আছো? আশা করছি ভালো আছো। আজকের টপিকে গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে কারুশিল্পের ব্যবহার এবং তার নান্দনিক দিক নিয়ে আলোচনা করবো। এই আর্টিকেলটি অনুসরণ করে গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে কারুশিল্পের ব্যবহার এবং তার নান্দনিক দিক সম্পকের্ জানতে সক্ষম হবে।

৮ম শ্রেণি ৪র্থ এ্যাসাইনমেন্ট চারু ও কারুকলা

২০২১ শিক্ষাবর্ষের অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রমে অষ্টম শ্রেণীর চতুর্থ সপ্তাহের জন্য নির্ধারিত কারণে চারু ও কারুকলা বিষয় থেকে একটি অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হয়েছে। 

অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান বিষয়ের সাথে চারু ও কারুকলা বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্ট সম্পন্ন করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট শ্রেণি শিক্ষকের নিকট জমা দিবে। 

এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ:

গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে কারুশিল্পের ব্যবহার এবং তার নান্দনিক দিকগুলি মূল্যায়ন কর।

সংকেত:

  • ০১। কোন্ কোন্ ক্ষেত্রে কারুশিল্পের ব্যবহার করা হয় তা চিহ্নিত কর। (যেমন: কুলা, ডালা)
  • ০২। কী কী উপকরণ ও কীভাবে নান্দনিক রূপ দেয়া হয় তা’ উল্লেখ কর।

নির্দেশনা: তােমার দেখা কোন গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানের অভিজ্ঞতার আলােকে লিখ।

তোমরা কোন ভাবেই এটিকে হুবহু কপি করবে না। তবে এর থেকে তথ্য সংগ্রহ করে নিজের মেধা মননকে কাজে লাগিয়ে উত্তর লেখার চেষ্টা করবে।

নির্ধারিত কাজ : গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে কারুশিল্পের ব্যবহার এবং তার নান্দনিক দিকগুলি মূল্যায়ন করো।

সংকেত- ১. কোন কোন ক্ষেত্রে কারুশিল্পের ব্যবহার করা হয় তা চিহ্নিত কর। (যেমন : কুলা, ডালা…)
২. কি কি উপকরণ ও কিভাবে নান্দনিক রূপ দেয়া হয় তা উল্লেখ করো।

৮ম শ্রেণি ৪র্থ এ্যাসাইনমেন্ট চারু ও কারুকলা নমূনা উত্তর

তোমাদের সুবিধার্থে অষ্টম শ্রেণীর চারু ও কারুকলার প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট অর্থাৎ চতুর্থ সপ্তাহের নির্ধারিত কাজ নিয়ে একটি নমুনা উত্তর প্রস্তুত করে দেয়া হলো। এটি অনুসরণ করে তোমরা অষ্টম শ্রেণির চারু ও কারুকলা বিষয় থেকে নেওয়া গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে কারুশিল্পের ব্যবহার এবং তার নান্দনিক দিক সম্পর্কে জানতে পারবে। 

গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে কারুশিল্পের ব্যবহার এবং তার নান্দনিক দিক

গায়ে হলুদ বাঙালি জাতির বহুল প্রচলিত উৎসবের মধ্যে একটি। এই উৎসব বহুকাল বংশ পরম্পরায় চলে আসছে। আর গায়ে হলুদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো হলুদ। এটি ছাড়া গায়ে হলুদ কল্পনা করা যায় না। এছাড়াও বিভিন্ন জিনিসপত্র করা হয়, কারুশিল্পের ব্যবহার এবং নান্দনিকভাবে জিনিসগুলোকে ফুটিয়ে তোলা হয়।

আমার দেখা গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে যে সব উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল সেগুলো হলো –


১. কুলা,

২. ডালা,

৩. বাটি,

৪. ফলমূল,

৫. হলুদের পোশাক,

৫. গায়ে হলুদ নেমপ্লেট ইত্যাদি।

উপরিউক্ত জিনিসগুলো নানারকম কারুকাজ করে নান্দনিক রূপ দেয়া হয়ে থাকে। নিচে যেভাবে জিনিসপত্র গুলোতে নানারকম কারুকাজ করে নান্দনিক রূপ দেয়া হয় তা বর্ণনা করা হলো :

ডালা- হলুদের ডালা দিয়েই শুরু হয় বিয়ের প্রথম পর্ব। আর সেখানে থাকে বর-কনেকে দেয়া উপহার সামগ্রীসহ আরো অনেক কিছু্। প্রথমদিকে শুধু বেতের ঢালাই প্রচলন ছিল। এখন সুদৃশ্য পলি অথবা কাপড় দিয়ে মোড়া বিভিন্ন সুন্দর সুন্দর ডালা পাওয়া যায়। সঙ্গে লেইসফিতা জড়িয়ে ডালায় আনা হচ্ছে নতুনত্ব। মাছের ও পোশাকের ডালা রঙিন সেলোফেন পেপার এবং নানা রঙের নেটের কাপড় পেচিয়ে চারপাশে সোনালী রঙের ফিতা দিয়ে বেঁধে সাজানো হয়। ফলে এটি অনেক সুন্দর লাগে।

কুলা- এখনকার বিয়ের গায়ে হলুদের কুলায় থাকে নতুনত্ব। যেখানে থাকে বিভিন্নভাবে নকশা করা কারুকাজ। কুলার চারদিক বিভিন্ন রঙের কাপড় দিয়ে মোড়ানো থাকে এবং ভিতরে বিভিন্ন পাতা, ফুল ইত্যাদি নকশা করা থাকে যা দেখতে অনেক সুন্দর লাগে।

গায়ে হলুদের পোশাক- আমাদের দেশের গায়ে হলুদের প্রচলিত পোশাকের মধ্যে রয়েছে হলুদ পাঞ্জাবি এবং হলুদ রঙের শাড়ি। আত্মীয়-স্বজনরা কমবেশি সবাই হলুদ পাঞ্জাবী পড়ে, যাতে লতাপাতা ইত্যাদির কিছু কারুকাজ থাকে এবং শাড়ির ক্ষেত্রে মেয়েদের থাকে হলুদ শাড়ি। হলুদের শাড়ির পাড় হয় সাধারণত লাল রঙের, যাতে কিছু কারুকাজও করা থাকে। তবে বর হলুদে গেঞ্জি এবং লুঙ্গি পড়ে থাকে।

গায়ে হলুদ নেমপ্লেট- বর ও কনে উভয় পক্ষের গায়ে হলুদে বর-কনের নাম অনুসারে নেমপ্লেট টাঙ্গানো হয়, যা বিভিন্নভাবে ডিজাইন করা হয়। সেখানে থাকে গায়ে হলুদের সাজ এবং গায়ে হলুদ লেখায় বৈচিত্রতা।

ফলমূল- গায়ে হলুদে বর-কনের সামনে বিভিন্ন ফলমূল যেমন- কলা, আপেল ইত্যাদিতে কারুকাজ করা হয়। এসব ফল নানাভাবে কেটে তাতে নতুন রূপ দেয়া হয়, যা সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

বন্ধুরা এই ছিল তোমাদের ৮ম শ্রেণী চতুর্থ সপ্তাহের চারু ও কারুকলা বিষয়ের নমুনা উত্তর। এখানে গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে কারুশিল্পের ব্যবহার এবং তার নান্দনিক দিকসমূহ নিয়ে একটি আলোচনা দেওয়া হয়েছে।

অষ্টম শ্রেণির ৪র্থ এ্যাসাইনমেন্ট এর অন্যান্য বিষয়ের উত্তর:

প্রতিসপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট এবং অ্যাসাইনমেন্ট সংক্রান্ত যেকোন সহযোগিতা পেতে নিচের Download From PlayStore বাটনে ক্লিক করে বাংলা নোটিশ ডট কম এন্ড্রয়েড অ্যাপটি ডাউনলোড করে নাও।

তোমাদের অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ সম্পন্ন করার জন্য বাংলা নোটিশ ফেসবুক গ্রুপে দেশের বিভিন্ন নামকরা বিদ্যালয়ের অভিজ্ঞ শিক্ষক ও মেধাবী শিক্ষার্থীরা নিয়মিত আলোচনা করছে। তুমিও যোগ দিয়ে বিভিন্ন তথ্য পেতে পারো- গ্রুপ লিংক- facebook.com/groups/banglanotice

নিয়মিত বাংলা নোটিশ ডট কম ভিজিট করুন এবং ফেসবুক পেইজ Like & Follow করে রাখুন; ইউটিউবে আপডেট পেতে বাংলা নোটিশ ইউটিউব চ্যানেলটি Subscribe করে রাখুন।

বাংলা নোটিশ এর প্রশ্ন উত্তর অংশে যোগদিয়ে তোমার মনে থাকার কি কোন বিশেষ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারো। যোগ দেওয়ার জন্য নিচের প্রশ্নোত্তর বাটনে ক্লিক করুন। 

আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা নোটিশ ডট কম এর প্রকাশক ও সম্পাদক জনাব আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া। জন্ম ১৯৯৩ সালের ২০ নভেম্বর, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায়। বাবা আবদুল গফুর ভূঁইয়া এবং মা রহিমা বেগম। এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে আবদুল্লাহ আল আরিয়ান বয়স ৫ বছর। মেয়ে ফাবিহা জান্নাত বয়স ১ বছর। আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া এর শিক্ষাজীবন আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে ২০১৮ সালে ম্যানেজমেন্ট এ স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি উত্তরা ইউনিভার্সিটি ঢাকা থেকে বিপিএড সম্পন্ন করেন। আজিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শুরু। এরপর আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজ লাকসাম উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কিছুদিন ক্লাস করার পর। পারিবারিক কারণে নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজ এ কিছুদিন রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করার পর ভালো না লাগায় পুনরায় ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ছাত্র জীবনে তিনি নানা রকম সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। কর্মজীবন কর্মজীবনের শুরুতে তিনি আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় যোগদেন। বেশ কিছুদিন পর তিনি ২০১৯ সালে উন্নত ভবিষ্যতের আশায় কুয়েত পারি জমান। কিন্তু সেখানকার কাজের পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় পুনরায় আবার বাংলাদেশে ফিরে এসে পূর্বের পদে কাজে যোগদান করে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন। এছাড়াও তিনি স্বপ্ন গ্রাফিক্স এন্ড নেটওয়ার্ক নামে একটি মাল্টিমিডিয়া এবং প্রিন্টিং প্রেস প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধীকারী সেই সাথে স্বপ্ন ইশকুল নামক একটি কম্পিউটার ট্রেণিং ইনস্টিটিউট এর মালিকানায় আছেন যেখানে তিনি নিজেই ক্লাস পরিচালনা করেন। লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্ম ছাত্র অবস্থায় তিনি লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্মের সাথে জড়িত আছেন। ২০১১ সালে রাইটার্স এসোসিয়েশন এর ম্যাগাজিনে তার প্রথম লেখা বন্ধু চিরন্তন প্রকাশিত হয়। এর পর তিনি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Close

অ্যাডস্ ব্লকার পাওয়া গেছে!

দয়া করে আমাদের সাপোর্ট করার জন্য আপনার এডস্ ব্লকার ডিজেবল করে পেইজটি রিলোড করুন! ধন্যবাদ