জাতীয়

করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ সুখবর

করোনাভাইরাস এর করালগ্রাসে ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদের সহায়তার জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে ৭০০ কোটি টাকার তহবিল গঠন করা হয়েছে।

করোনা ভাইরাসের কারণে যে সকল রেমিটেন্স যোদ্ধা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বা চাকরি হারিয়েছেন তাঁদেরকে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কোন সুদ ছাড়াই প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে অর্থ দেওয়া হবে।

প্রবাসীদের বিশেষ প্রয়োজনে তহবিলের অর্থের পরিমাণ বাড়ানো হবে বলে সরকার ঘোষণা দিয়েছে ওই তহবিল হতে বিদেশ ফেরত প্রবাসীদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য ৪% সুদে ঋণ প্রদান করবে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক।‌

প্রবাসীদের ঋণদান কর্মসূচি এবং আর্থিক প্রণোদনা বিষয়ে আগামী রোববার বাংলাদেশ ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড এর সাথে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা রয়েছে।

এবং ওই দিন থেকেই ঋণদান কর্মসূচি চালু করা হবে। এর বাইরে সরকারি খাতে উন্নয়ন ও বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংক এবং ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে অর্থায়নকারী সংস্থা পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন পিকেএসএফ থেকে আলাদা ঋণ কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে এছাড়াও প্রবাসীদের জন্য এসব প্রতিষ্ঠানে চলমান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

সূত্রের মাধ্যমে জানা যায় কোন আমলের কারণে চাকরি চ্যুত হয়ে বা অন্য কোন কারণে প্রবাস থেকে বাংলাদেশে চলে আসা রেমিটেন্স যোদ্ধাদের সহজশর্তে এবং কম সুদে ঋণ দেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে ২০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।

এবং এছাড়াও ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড থেকে আরও ২০০ টাকা দেওয়া হয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে মোট ৭০০ কোটি টাকা সুদ বিহীন ভাবে ব্যাংকে দেওয়া হয়েছে।

পরনে ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদের বিকল্প কর্মসংস্থান তৈরি ক্ষুদ্র ও মাঝারি ধরনের ব্যবসা করার জন্য ৪% সুদে ঋণ দেয়া হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে।

এই ঋণের বিপরীতে গ্রেস পিরিয়ড থাকবে; প্রতি জন ঋণ পাবে ২ থেকে ৫ লক্ষ টাকা।

বৈশ্বিক মহামারির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীরা যেন দ্রুত বিকল্প কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারে এবং নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করতে পারে এ জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এমন যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

প্রাথমিকভাবে প্রত্যেক ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীকে ২ থেকে ৫ লক্ষ টাকা ঋণ প্রদান করা হবে এবং পরবর্তীতে ব্যবসায় ভালো করতে পারলে প্রয়োজনে আরো ঋণও নিতে পারবেন তারা।

এদিকে করোনা ভাইরাসের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ছয় লাখের বেশি বাংলাদেশি বাংলাদেশে ফেরত এসেছেন এবং যাদের অধিকাংশই বেকার। বেকার প্রবাসীদেরকে কর্মসংস্থানের জন্য বিভিন্ন ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থার পক্ষ থেকেও ঋণ দানের ব্যবস্থা করা হবে।

প্রবাসীদের যেসব খাতে ঋণ দেয়া হবে তার মধ্যে বিশেষ করে থাকবে কৃষি খামার, মাঝারি ধরনের কৃষি শিল্প, মুরগির খামার, মৎস্য চাষ, বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট, তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর, একটি বাড়ি একটি খামার, নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ক্ষুদ্র কুটির শিল্প, গরু মোটাতাজাকরণ, খাদ্য উৎপাদনকারী খামার প্রকল্পে ঋণ দেয়া হবে।

ঋণ সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য সবার আগে পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজ টি লাইক এবং ফলো করে রাখুন।

আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা নোটিশ ডট কম এর প্রকাশক ও সম্পাদক জনাব আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া। জন্ম ১৯৯৩ সালের ২০ নভেম্বর, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায়। বাবা আবদুল গফুর ভূঁইয়া এবং মা রহিমা বেগম। এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে আবদুল্লাহ আল আরিয়ান বয়স ৫ বছর। মেয়ে ফাবিহা জান্নাত বয়স ১ বছর। আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া এর শিক্ষাজীবন আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে ২০১৮ সালে ম্যানেজমেন্ট এ স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি উত্তরা ইউনিভার্সিটি ঢাকা থেকে বিপিএড সম্পন্ন করেন। আজিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শুরু। এরপর আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজ লাকসাম উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কিছুদিন ক্লাস করার পর। পারিবারিক কারণে নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজ এ কিছুদিন রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করার পর ভালো না লাগায় পুনরায় ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ছাত্র জীবনে তিনি নানা রকম সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। কর্মজীবন কর্মজীবনের শুরুতে তিনি আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় যোগদেন। বেশ কিছুদিন পর তিনি ২০১৯ সালে উন্নত ভবিষ্যতের আশায় কুয়েত পারি জমান। কিন্তু সেখানকার কাজের পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় পুনরায় আবার বাংলাদেশে ফিরে এসে পূর্বের পদে কাজে যোগদান করে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন। এছাড়াও তিনি স্বপ্ন গ্রাফিক্স এন্ড নেটওয়ার্ক নামে একটি মাল্টিমিডিয়া এবং প্রিন্টিং প্রেস প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধীকারী সেই সাথে স্বপ্ন ইশকুল নামক একটি কম্পিউটার ট্রেণিং ইনস্টিটিউট এর মালিকানায় আছেন যেখানে তিনি নিজেই ক্লাস পরিচালনা করেন। লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্ম ছাত্র অবস্থায় তিনি লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্মের সাথে জড়িত আছেন। ২০১১ সালে রাইটার্স এসোসিয়েশন এর ম্যাগাজিনে তার প্রথম লেখা বন্ধু চিরন্তন প্রকাশিত হয়। এর পর তিনি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Close

অ্যাডস্ ব্লকার পাওয়া গেছে!

দয়া করে আমাদের সাপোর্ট করার জন্য আপনার এডস্ ব্লকার ডিজেবল করে পেইজটি রিলোড করুন! ধন্যবাদ