শােন একটি মুজিবরের থেকে কবিতাটিতে ৭ই মার্চের ভাষণের প্রতিচ্ছবি পরিলক্ষিত হয়
১৩ তম সপ্তাহে ২০২১ সালের সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলা পাঠ্যবই থেকে পর্দানশীন গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার রচিত শোনো একটি মুজিবরের থেকে চতুর্থ এসাইনমেন্ট শােন একটি মুজিবরের থেকে ” কবিতাটিতে ৭ই মার্চের ভাষণের প্রতিচ্ছবি পরিলক্ষিত হয়; এই মতের পক্ষে যৌক্তিকতা তুলে ধরা সংক্রান্ত একটি বাড়ির কাজ প্রদান করা হয়েছে। সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী বন্ধুদের জন্য ১৩ তম সপ্তাহে বাংলা চতুর্থ এসাইনমেন্ট এর সমাধান সংক্রান্ত একটি নমুনা আর্টিকেল নিয়ে এলাম।
আশা করছে শিক্ষার্থীরা এই প্রবন্ধটি অনুসরণের মাধ্যমে শোনো একটি মুজিবরের থেকে কবিতাটিতে সাতই মার্চের ভাষণের প্রতিচ্ছবি পরিলক্ষিত হয় সংক্রান্ত উক্তিটির সঠিক যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করতে পারবে এবং ফলাফল অর্জন করতে পারবে।
সপ্তম শ্রেণী ১৩ তম সপ্তাহ অ্যাসাইনমেন্ট বাংলা
কোভিড-১৯ এর কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ বন্ধ থাকায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার আলোকে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড ২০২১ সালের সপ্তম শ্রেণীর সংক্ষিপ্ত সিলেবাস এর আলোকে বাংলা পাঠ্যবই থেকে চতুর্থ এসাইনমেন্ট নির্ধারণ করেছে পদ্যাংশ গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার রচিত শোনো একটি মুজিবরের থেকে।
নিচের ছবিতে ২০২১ সালের ১৩ তম সপ্তাহে ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বাংলা বিষয়ের চতুর্থ এসাইনমেন্ট দেয়া হয়েছে দেখে নাও
অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ:
যৌক্তিকতা নিরুপণ ‘’শােন একটি মুজিবরের থেকে” কবিতাটিতে ৭ই মার্চের ভাষণের প্রতিচ্ছবি পরিলক্ষিত হয়; এই মতের পক্ষে যৌক্তিকতা তুলে ধর;
নির্দেশনা (সংকেত/ ধাপ/পরিধি):
শিক্ষার্থী যথাযথ যুক্তি দিয়ে ও তথ্য দিয়ে যৌক্তিকতা তুলে ধরবে;
সপ্তম শ্রেণী ১৩ তম সপ্তাহ বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান
গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের রচিত শোনো একটি মুজিবরের থেকে কবিতাটি ভালোভাবে অধ্যায়ন করার পর এবং ২০২১ সালের সপ্তম শ্রেণির বাংলা বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্টে দেওয়া মূল্যায়ন রুবিক্স ও নির্দেশনা সমূহ অনুস্বরণ করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জন্য শোনো একটি মুজিবরের থেকে কবিতাটিতে সাতই মার্চের ভাষণের প্রতিচ্ছবি পরিলক্ষিত হয় এই মতামতের পক্ষে যৌক্তিকতা তুলে ধরা হলো।
৭ম শ্রেণি ১৩ তম সপ্তাহ বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর
শ্রেণিঃ ৭ম, বিষয়ঃ বাংলা, সপ্তাহঃ ১৩তম, অ্যাসাইনমেন্ট নংঃ ৪
শিরোনামঃ “শোন একটি মুজিবের থেকে” কবিতার বিষয়বস্তু আলোচনা
যৌক্তিকতা নিরূপণঃ “শোন একটি মুজিবুরের থেকে” কবিতাটিতে ৭ই মার্চের ভাষনের প্রতিচ্ছবি পরিলক্ষিত হয়,নিচে এই মতের পক্ষে যৌক্তিকতা তুলে ধরা হলো;
শোন একটি মুজিবরের থেকে- গানটির পেছনের কথা
১৯৭১ সালের এপ্রিলে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণটির মাঝে প্রথম আকাশবাণী কলকাতা কেন্দ্র থেকে রাতে ‘সংবাদ পরিক্রমা’য় বাজানো হয়েছিল একটি গান।
গানটা ছিল ”শোন একটি মুজিবরের থেকে লক্ষ মুজিবরের কন্ঠস্বরের ধ্বনি প্রতিধ্বনি আকাশে বাতাসে ওঠে রণি… বাংলাদেশ, আমার বাংলাদেশ।”
গানটির পেছনের গল্পটি নিয়ে বিবিসির অমিতাভ ভট্টশালীর সাথে কথা বলছিলেন অংশুমান রায়ের বড় ছেলে ভাস্কর রায়, যিনি নিজেও একজন লোকসঙ্গীত শিল্পী।
শোন একটি মুজিবরের থেকে’ কবিতাটি পাঠের উদ্দেশ্য হলো—শিক্ষার্থীদের বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করা।
শোনো একটি মুজবুিরের থেকে’ কবিতাটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর বর্তমানের তরুণ প্রজন্মের কাছে এক বিস্ময়মাখা চরিত্র। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ এই নেতার। ডাকে লক্ষাধিক মানুষ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে,তার কথায় লক্ষাধিক মানুষ প্রণ দিতে পারে, দেশের প্রতি ভালােবাসা ও আত্মত্যাগের এমন নজির এ প্রজন্মের সবাইকে শিহরিত করে তােলে।
তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (সােহরাওয়ার্দী উদ্যান) দেওয়া। সেই ভাষণের প্রতিটি লাইন যেন অনবদ্য উদ্দীপনা সৃষ্টিকারী, চিরভাস্বর অমর কবিতার ছত্র…. তার কবিতার এসব লাইনগুলো আজও বিভিন্ন ভাবে মানুষকে উজ্জীবিত করে।
তার ভাষনের উল্লেখ যোগ্য ১০টি বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপঃ
১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ ঢাকার তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে স্বাধীনতাকামী লক্ষ লক্ষ মানুষের উপস্থিতিতে বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে ভাষণ প্রদান করেছিলেন, সময়ের পরিক্রমায় তা আজ বিশ্ব সম্প্রদায়ের সম্পদ হিসেবে বিবেচিত।
এই ভাষণের রয়েছে বহুমুখী বৈশিষ্ট্য:
প্রথমত: বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ ছিল নির্যাতিত একটি জাতির করণীয় ও নির্দেশনামূলক ভাষণ। যার মাধ্যমে একটি জাতি স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য উজ্জীবিত হয়েছিল।
দ্বিতীয়ত: এই ভাষণে একটি উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে- এর কাব্যিকতা; শব্দশৈলী ও বাক্যবিন্যাসে তা হয়ে উঠেছে গীতিময়ী ও শ্রবণে চতুর্দিকে অনুরণিত। তাই বিশ্বখ্যাত নিউজউইক ম্যাগাজিন ৭ই মার্চের ভাষণের জন্যই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাজনীতির কবি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
তৃতীয়ত: ১ হাজার ১০৫টি শব্দের সমন্বয়ে গঠিত ও মাত্র ১৮ মিনিট, মতান্তরে ১৯ মিনিটের বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণটি ছিল সম্পূর্ণই অলিখিত। এই ভাষণটি ছিল তার বিশ্বাস ও লক্ষ্যের প্রতিফলন।
চতুর্থত: পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ১২টি ভাষায় ভাষণটি অনুবাদ করা হয়।
পঞ্চমত: বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ইতিহাসের ম্যাগনাকার্টার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) যে ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন, সে ভাষণটি পৃথিবীর সর্বকালের শ্রেষ্ঠ ভাষণগুলোর মধ্যে অন্যতম ভাষণ হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন ঐতিহাসিক দলিলে জায়গা করে নিয়েছে।
ষষ্ঠত: আড়াই হাজার বছরের বিশ্ব ইতিহাসে সবচেয়ে অধিক প্রভাব বিস্তারকারী ৪১ জন সামরিক-বেসামরিক জাতীয় বীরের বিখ্যাত ভাষণ নিয়ে ব্রিটিশ ইতিহাসবিদ Jacob F Field, ২০১৩ সালে লন্ডন থেকে ‘We Shall Fight on The Beaches: The Speeches That Inspired History’ শিরোনামে একটি গ্রন্থ প্রকাশ করেন, যেখানে আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট (মেসিডোনিয়া, প্রাচীন গ্রিস), জুলিয়াস সিজার (রোম), অলিভার ক্রমওয়েল (ইংল্যান্ড), জর্জ ওয়াশিংটন (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র), নেপোলিয়ন বোনাপার্ট (ফ্রান্স), আব্রাহাম লিংকন (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র), ভ্লাদিমির লেনিন (রাশিয়া), মাও সেতুং (গণচীন) প্রমুখ নেতাদের বিখ্যাত ভাষণের পাশাপাশি স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণ অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
সপ্তমত: এছাড়া ২০১৫ সালে কানাডার একজন অধ্যাপক সারা বিশ্বের ঐতিহাসিক ভাষণ নিয়ে একটা গ্রন্থ প্রকাশ করেছিলেন, যেখানে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণও ছিল।
অষ্টমত: সর্বশেষে ইতিহাসের পাতায় ৭ মার্চের ভাষণকে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য (ওয়ার্ল্ড ডকুমেন্টরি হেরিটেজ) হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো। ফলে বঙ্গবন্ধুর ভাষণটি এখন শুধু বাঙালি জাতিরই নয় বরং পুরো বিশ্ব মানবতার সম্পদ।
নবমত: বঙ্গবন্ধুর ভাষণটি ছিল কালোত্তীর্ণ। এ ভাষণ কোনো নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নয়। এটি সর্বকালের, সকল সময়ের। কেননা, যুগে যুগে এই ভাষণ পৃথিবীর যেকোনো স্থানের স্বাধীনতাকামীদের প্রেরণাদায়ী।
দশমত: বলা হয়, সারা বিশ্বে সর্বাধিকবার প্রচারিত ও শ্রবণকৃত ভাষণ হলো ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চে বঙ্গবন্ধুর প্রদত্ত ভাষণ;
১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্তিকামী বাঙালি জাতিকে মুক্তির বাণী শুনিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান৷ ৭ই মার্চের সেই ভাষণেরই সফল পরিণতি স্বাধীন বাংলাদেশ৷ ৪৭ বছরেও ১৮ মিনিটের সেই ভাষণের আবেদন এতটুকু কমেনি৷
বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণ অনেক ভাষায় অনুবাদ হয়েছে। গবেষণা হয়েছে। পাঠ্যপুস্তকেও ঠাঁই পেয়েছে। গত বছরের ৩০ অক্টোবর বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক এ ভাষণকে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো৷ গবেষকরা বলছেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের একটি বড় বৈশিষ্ট্য হলো এর সার্বজনীনতা এবং মানবিকতা৷ যে-কোনো নিপীড়িত জনগোষ্ঠীর জন্য এই ভাষণ সব সময়ই আবেদন সৃষ্টিকারী৷
এই ভাষণে গণতন্ত্র, আত্মনিয়ন্ত্রণ, স্বাধিকার, মানবতা এবং সব মানুষের কথা বলা হয়েছে৷ ফলে এই ভাষণ দেশ-কালের গণ্ডি ছাড়িয়ে সার্বজনীন হয়েছে৷ আর একজন মানুষ একটি অলিখিত বক্তৃতা দিয়েছেন, যেখানে স্বল্প সময়ে কোনো পুনরুক্তি ছাড়াই একটি জাতির স্বপ্ন , সংগ্রাম আর ভবিষ্যতের দিক নির্দেশনা দিয়েছেন৷
তিনি বিশ্বাসের জায়গা থেকে কথা বলেছেন৷ সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য ভাষায় কথা বলেছেন৷ সবচেয়ে বড় কথা, বঙ্গবন্ধু সাধারণ মানুষের চাওয়া-পাওয়া বুঝতে পেরেছেন৷ তাঁরা যা চেয়েছেন, বঙ্গবন্ধু তা-ই তাঁদের কাছে তুলে ধরেছেন৷ ফলে এই ভাষণটি একটি জাতির প্রত্যাশার আয়নায় পরিণত হয়৷
এই ভাষণই একটি জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করেছে৷ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালেও এই ভাষণ প্রেরণা জুগিয়েছে৷ আর এতবছর পরও মানুষ তাঁর ভাষণ তন্ময় হয়ে শোনেন৷
১৯৭১ সালের এই দিনে বিশাল জনসমুদ্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিকামী বাঙালি জাতিকে মুক্তির বাণী শোনান৷ এই দিনে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দি উদ্যান) মহান নেতা বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম৷” তিনি বলেন, ‘‘রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেবো, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো, ইনশাআলাহ!”
বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণে অলক্ষ্যেই যেন রচনা হয়ে যায় বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ
লাখোবাঙালি ৭ মার্চের সেই দিনটিতেই যেন যুদ্ধে যাওয়ার মানসিক প্রস্তুতি নিয়েছিলেন, আড়াই সপ্তাহ পরে ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ইপিআরে সশস্ত্র হামলা করায় তাদের এই মানসিক প্রস্তুতি শরীরি ভাষায় রূপান্তরিত হতে বেশি সময় লাগেনি।
সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতের শরণার্থী শিবিরগুলােতে গিয়েই তরুণ-যুবক ও মধ্যবয়সীরা প্রত্যক্ষ যুদ্ধে যাওয়ার তালিকায় নাম লেখান।
শোনো একটি মুজিবরের থেকে’ কবিতায় বলা হয়েছে যে ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ কালরাতে এই দেশে হানাদার পাকিস্তানি সেনাবাহিনী নির্বিচারে বাঙালি জনগণের ওপর হত্যাযজ্ঞের সূচনা করলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘােষণা দেন।
এর ফলে ২৬ মার্চের ১ম প্রহরে দেশের মধ্য রাজনৈতিক মোকাবেলা ও যুদ্ধ করার জন্য স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়ে, যার যা কিছু আছে তা নিয়ে,প্রস্তুত থাকতে বলছে। সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলার লাখ লাখ মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
তার আগে ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণেও তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তিনি এই ভাষনে যে যে বিষয় উল্লেখ করেছেন তা উপরে দেওয়া হলো। ২৬ মার্চ তাঁকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানের কারাগারে দীর্ঘ ৯ মাস বন্দি করে রাখলেও তাঁর স্বাধীনতার ডাক কোটি বাঙালির স্বাধীনতার আকাঙক্ষা হয়ে বেজেছে চারদিকে।
পাকিস্তানবিরােধী সব সংগ্রাম-আন্দোলনে সারা। দেশেই প্রচার করা ভাষণ-বক্তৃতা। মুক্তিযােদ্ধাসহ স্বাধীনতাকামী সব মানুষের মধ্যে উদ্দীপনা সৃষ্টি করে।
শোন একটি মুজিবরের থেকে’ কবিতায় বলা হয়েছে যে ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ কালরাতে এই দেশে হানাদার পাকিস্তানি সেনাবাহিনী নির্বিচারে বাঙালি জনগণের ওপর হত্যাযজ্ঞের সূচনা করলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।
তাঁর সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলার লাখ লাখ মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এর আগে ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণেও তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। ২৬ মার্চ তাঁকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানের কারাগারে দীর্ঘ ৯ মাস বন্দি করে রাখলেও তাঁর স্বাধীনতার ডাক কোটি বাঙালির স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা হয়ে বেজেছে চারদিকে।
পাকিস্তানবিরোধী সব সংগ্রাম-আন্দোলনে সারা দেশেই প্রচার করা হতো তাঁর ভাষণ-বক্তৃতা। মুক্তিযোদ্ধাসহ স্বাধীনতাকামী সব মানুষের রক্তে-চেতনায় তা প্রণোদনা জাগাত।
অন্যদিকে উদ্দীপকে শুধু বাংলার প্রকৃতির চিরায়ত সৌন্দর্য ও ফসলের সম্ভারের কথা বলা হয়েছে, যা ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ কবিতার একটিমাত্র দিক।
উপর্যুক্ত বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তাই বলা যায়, উদ্দীপকটি ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ কবিতার খণ্ডচিত্র মাত্র।
ঐতিহাসিক ভাষণের সেই ধারাবাহিকতায় ২৬ মার্চ ১৯৭১ জাতির পিতা ঘোষণা করেন বাঙালি জাতির বহুকাঙ্খিত স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দীর্ঘ ন’মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা অর্জন করি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। আমাদের স্বাধীনতা অর্জনে তাই ৭ মার্চের ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম।
বন্ধুরা এই ছিল তোমাদের জন্য ১৩ তম সপ্তাহে ৭ম শ্রেণির বাংলা চতুর্থ অ্যাসাইনমেন্ট যৌক্তিকতা নিরুপণ ‘’শােন একটি মুজিবরের থেকে” কবিতাটিতে ৭ই মার্চের ভাষণের প্রতিচ্ছবি পরিলক্ষিত হয়; এই মতের পক্ষে যৌক্তিকতা তুলে ধর; সংক্রান্ত সমাধান সহায়ক প্রবন্ধ।
উত্তরদাতা, শাখাওয়াত হোসেন, ফেনী;
১৩ তম সপ্তাহে সপ্তম শ্রেণির অন্যান্য বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান
আপনার জন্য আরও কিছু তথ্যঃ
প্রতি সপ্তাহে সকল স্তরের অ্যাসাইনমেন্ট সংক্রান্ত সকল তথ্য পাওয়ার জন্য বাংলা নোটিশ এর ফেসবুক পেজটি লাইক এবং ফলো করে রাখুন ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করে রাখুন এবং প্লেস্টোর থেকে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপটি ডাউনলোড করে রাখুন।