সর্বশেষ আপটেড

ভ্রমণের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে ১৫০ শব্দের একটি নিবন্ধ রচনা

প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ, আশা করছি সবাই ভালো আছো। তোমরা কি ৬ষ্ঠ শ্রেণি ৯ম সপ্তাহের বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট এর উত্তর সম্পর্কে ধারণা নিতে চাচ্ছো? কিংবা এসাইনমেন্টটি কিভাবে প্রস্তুত করতে হয় সে সম্পর্কে জানতে আগ্রহী? তাহলে বলবো তোমরা ঠিক ওয়েবসাইটে এসেছো। তোমাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটিতে রয়েছে- ভ্রমণের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে ১৫০ শব্দের একটি নিবন্ধ রচনা।

৬ষ্ঠ শ্রেণির ৯ম সপ্তাহের বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট

নবম সপ্তাহের ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা চারুপাঠ অ্যাসাইনমেন্ট নেয়া হয়েছে গদ্যাংশে ভ্রমণকাহিনী নীলনদ আর পিরামিডের দেশ থেকে। নবম সপ্তাহের ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা বিষয়ে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস অধ্যয়ন করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বাংলার সংস্কৃতি ও লোকসংস্কৃতি সম্পর্কে ধারণা ব্যক্ত করা এবং দেশ ও জাতির ইতিহাস ও ঐতিহ্যের পরিচয় দিতে পারা এত করার পর অ্যাসাইনমেন্ট লিখবে।

এর আগে প্রথম সপ্তাহে ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা এসাইনমেন্ট হিসেবে সাধুরীতির কয়েকটি বৈশিষ্ট্য সর্বনাম, অব্যয় পদ, তৎসম শব্দের উদাহরণ এবং পঞ্চম সপ্তাহে মিনু গল্প অবলম্বনে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন সহপাঠির প্রতি আচরণ কেমন হওয়া উচিত নির্ধারণ করা হয়েছিল।

নবম সপ্তাহে ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারণ করা বাংলা বিষয়ের তৃতীয় এসাইনমেন্ট বিস্তারিত বাংলা নোটিশ ডটকমের পাঠকদের জন্য দেওয়া হলো।

শ্রেণী ষষ্ঠ, অ্যাসাইনমেন্টের ক্রমঃ ৩, পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত পার্ট নম্বর ও বিষয়বস্তুঃ নীলনদ আর পিরামিডের দেশ (ভ্রমণ কাহিনী);

অ্যাসাইনমেন্টঃ নিজের ভ্রমণের অভিজ্ঞতা অথবা কারো কাছ থেকে শোনা একটি ভ্রমণ কাহিনী বর্ণনা দিয়ে ১৫০ শব্দের একটি নিবন্ধ রচনা করো।

অ্যাসাইনমেন্ট লেখার নির্দেশনাঃ তোমার পাঠ্য বইয়ের ১৪ পৃষ্ঠার নীলনদ আর পিরামিডের দেশ নামক ভ্রমণ কাহিনীটি পড়বে।

যেভাবে মূল্যায়ন করা হবেঃ

১. বিষয়বস্তুর সঠিকতা ও ধারাবাহিকতা, তথ্য, তত্ত্ব, ধারণা, ইত্যাদি পাঠ্যপুস্তক এর সাথে সঙ্গতিপূর্ণ এবং লেখায় লক্ষনীয় মাত্রায় নিজস্বতা ও সৃজনশীলতা থাকলে অতি উত্তম হিসেবে বিবেচিত হবে।

২. বিষয়বস্তুর সঠিকতা ও ধারাবাহিকতা, তথ্য, তত্ত্ব, ধারণা, ইত্যাদি পাঠ্যপুস্তক এর সাথে সঙ্গতিপূর্ণ এবং লেখায় আংশিক নিজস্বতা ও সৃজনশীলতা থাকলে উত্তম হিসেবে বিবেচিত হবে।

৩. বিষয়বস্তুর সঠিক কথা থাকলেও ধারাবাহিকতার অভাব, তথ্য, তত্ত্ব, ধারণা ইত্যাদি পাঠ্যপুস্তক এর সাথে আংশিকভাবে সংগতিপূর্ণ এবং লেখা সামান্য মাত্রায় নিজস্বতা ও সৃজনশীলতা থাকলে ভালো হিসেবে বিবেচিত হবে।

৪. বিষয়বস্তুর ধারাবাহিকতা সঠিকতা তথ্য তথ্য ইত্যাদি পাঠ্যপুস্তক এর সাথে সংগতিপূর্ণ নয় এবং নিজস্ব ধারাবাহিকতা না থাকলে অগ্রগতি প্রয়োজন হিসেবে চিহ্নিত হবে।

ভ্রমণের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে ১৫০ শব্দের একটি নিবন্ধ রচনা।

নিজের ভ্রমণের অভিজ্ঞতা অথবা কারো কাছ থেকে শোনা একটি ভ্রমণ কাহিনীর বর্ণনা দিয়ে ১৫০ শব্দের মধ্যে একটি নিবন্ধ রচনা করো।

৬ষ্ঠ শ্রেণির ৯ম সপ্তাহের বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট এর উত্তর

সুন্দরবন ভ্রমণ

ভ্রমণ আমাদের বর্তমান জীবনের এমন একটি অংশ যাকে অস্বীকার করে কোনোভাবেই ভালো থাকা যায় না। ভ্রমণ আমাদের ক্লান্তি ও গ্লানিতে ভরে ওঠা মনকে পুনরায় কোন এক জাদুকাঠির ছোঁয়ায় সতেজ করে তোলে। আমি আদ্যোপান্ত একজন ভ্রমণপিপাসু বাঙালি।

প্রত্যেক বছর কোথাও-না-কোথাও ব্যস্ত জীবন থেকে কিছুদিনের মুক্তি খুঁজে নেওয়ার উদ্দেশ্যে আমি ছুটে যাই। তেমনই আমার এই বছরের ভ্রমণ গন্তব্য মোহময়ী সুন্দরবন। আমাদের গন্তব্য সুন্দরবনের যাত্রা শুরু হয় শিয়ালদা স্টেশন থেকে। এইখান থেকে লোকাল ট্রেনে চেপে ক্যানিং স্টেশন হয়ে বাস কিংবা অটোতে আমরা পৌছে গেছিলাম সোনাখালি লঞ্চঘাট। সেখান থেকে লঞ্চে করে সুন্দরবনের বুকে একটু একটু করে আমাদের প্রবেশ শুরু। লঞ্চে ওঠার পর থেকেই মুহূর্তে মুহূর্তে চারপাশের দৃশ্য বদলে যেতে থাকে।

বেশ খানিকটা যাওয়ার পর দেখা যায় বিভিন্ন ধরনের নাম-না-জানা গাছ, পাখিদের মিষ্টি আওয়াজ নদীর দুপাশ থেকে কানে ভেসে আসে। লঞ্চ থেকে জলের দিকে চোখ পড়তেই দেখতে পেলাম বিখ্যাত গাঙ্গেয় ডলফিন বা চলতি ভাষায় যাকে বলা হয় শুশুক। তারপর লঞ্চ থেকে যখন নামলাম তখন সূর্য প্রায় পশ্চিম গগনে ঢলে পড়ার মুখে। শীতের দিন বলে একটু শীত শীত করতে লাগলো। সুন্দরবন প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যে ভরপুর। আমাদের যে গাইড তার কাছ থেকেই জানতে পারলাম ভারত-বাংলাদেশ এই দুই দেশ জুড়ে বিস্তৃত সুন্দরবনে প্রায় ৩৫০ প্রজাতির উদ্ভিদ পাওয়া যায়। এর মধ্যে অধিকাংশই ম্যানগ্রোভ জাতীয় উদ্ভিদ। পৌঁছনোর পরেরদিন জঙ্গল সাফারিতে বেরিয়ে দেখতে পেলাম ঘন বনের ফাঁক দিয়ে সূর্যের আলো এসে পড়েছে মাটিতে।

ভ্রমণের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে ১৫০ শব্দের একটি নিবন্ধ রচনা

বিভিন্ন নাম না জানা গাছ, পাখিদের আওয়াজ আর অদ্ভূত এক মায়াবী নিস্তব্ধতা সমগ্র প্রকৃতিকে যেন ঘিরে রেখেছে। এরইমধ্যে শ্বাসমূল আর ঠেস মূল যুক্ত গাছগুলি পরিবেশকে আরো মায়াবী করে তুলেছে। পথে চলতে চলতে চোখে পড়ল বিভিন্ন ধরনের অত্যন্ত সুন্দর সুন্দর সব ফুল আর লতা গুল্ম। গাইডের থেকে শুনলাম এই জঙ্গলে বহু ধরনের ভেষজ উদ্ভিদ পাওয়া যায়। সবচেয়ে মনমুগ্ধকর গাছ গুলির মধ্যে চোখে পড়ল বিখ্যাত সুন্দরী, গরান ও গেওয়া গাছ।

সুন্দরবনের জঙ্গলের আরেকটি সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য এবং অবিচ্ছেদ্য অংশ হলো এখানকার প্রাণীকুল। সুন্দরবনের স্থলভাগ বিভিন্ন ধরনের প্রাণীদের স্বর্গরাজ্য। এদের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হলো রয়েল বেঙ্গল টাইগার। যদিও বর্তমানে বাঘের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়ার দরুন সহজে বাঘ চোখে পড়ে না।

জঙ্গল সাফারির প্রথম দিনে আমরাও বাঘ দেখতে পাইনি। তবে চোখে যা পড়েছিল তা কোনো অংশে কম নয়। দূর থেকে আমরা দেখেছিলাম সুন্দরবনের বিখ্যাত চিত্রা হরিণের পাল জল খেতে এসেছে নদীর ধারে; গাছের ডাল থেকে উড়ে যাচ্ছে অদ্ভূত সুন্দর রঙের পাখিরা।এছাড়া চোখে পড়ল গোসাপ, বন বিড়াল আরো কত কি। চলতে চলতে লোকমুখে জানতে পারলাম সুন্দরবনের জঙ্গলে অত্যন্ত সুদর্শন কিন্তু ভয়ংকর বিষাক্ত বহু সাপ রয়েছে। তাদের থেকে সাবধান থাকার জন্য ভ্রমণের সময় সঙ্গে গাইড এবং কার্বলিক অ্যাসিড রাখা বাধ্যতামূলক।বাঙালি একদিকে যেমন ভ্রমণপিপাসু, আরেকদিকে তেমন খাদ্যরসিকও বটে। তাই ভ্রমণে গিয়ে স্থানীয় রসনার স্বাদ না নিলে সেই ভ্রমণ অসম্পূর্ণ থেকে যায়। এই উদ্দেশ্যেই সুন্দরবনের বিভিন্ন খাবার চেখে দেখতে গিয়ে অভিভূত হয়ে পড়লাম।

ভ্রমণের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে ১৫০ শব্দের একটি নিবন্ধ রচনা

এখানকার স্থানীয়দের মাটির হাঁড়িতে রান্না করা বন মোরগের মাংসের ঝোলের স্বাদ কোনদিন ভুলতে পারবোনা। তাছাড়া জলবিহারের দিন লঞ্চের রান্না হওয়া কাঁকড়ার ঝোলও ছিল অনবদ্য। এছাড়া এখানকার বন থেকে সংগ্রহ করা খাটি মধুর কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করতে হয়। বাকি দিনগুলিতে বিভিন্ন ধরনের টাটকা সুস্বাদু মাছ আমাদের রসনা তৃপ্তি ঘটিয়েছিল।
এইভাবে কয়েকটি দিন সুন্দরবনে প্রকৃতির কোলে কাটিয়ে আমরা পুনরায় নিজেদের জীবনে ফিরে এলাম। ফিরে আসার জন্য আমরা বেছে নিয়েছিলাম জলপথকে। অর্থাৎ সুন্দরবন থেকে সরাসরি লঞ্চে করে পুনরায় শহরে ফিরে আসা। সেই অভিজ্ঞতাও অদ্ভুত সুন্দর ছিল।

প্রকৃতির এই পরম আশ্রয়ে ওই কয়েকটি দিন আমার পরবর্তী সারা বছরের জন্য বাঁচার রসদ জুগিয়ে দিল। সেজন্যই হয়তো আজও রাতে শহরের ঘরের নরম বিছানায় ঘুমাতে গেলে লঞ্চে কাটানো রাতের সেই জোছনাময় জঙ্গলের কথা কিংবা ট্রি-হাউজের জানালা থেকে পূর্ণিমার রাতে বাঘ দেখার স্মৃতি মনে ভেসে আসে। এখানেই ভ্রমণের প্রকৃত সার্থকতা।

এই ছিল তোমাদের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ৯ম সপ্তাহের বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট এর উত্তর- ভ্রমণের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে ১৫০ শব্দের একটি নিবন্ধ রচনা।

আরো দেখুন-

তোমাদের অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ সম্পন্ন করার জন্য বাংলা নোটিশ ফেসবুক গ্রুপে দেশের বিভিন্ন নামকরা বিদ্যালয়ের অভিজ্ঞ শিক্ষক ও মেধাবী শিক্ষার্থীরা নিয়মিত আলোচনা করছে।

তুমিও যোগ দিয়ে বিভিন্ন তথ্য পেতে পারো- গ্রুপ লিংক- facebook.com/groups/ banglanotice নিয়মিত বাংলা নোটিশ ডট কম ভিজিট করুন এবং ফেসবুক পেইজ Like & Follow করে রাখুন; ইউটিউবে আপডেট পেতে বাংলা নোটিশ ইউটিউব চ্যানেলটি Subscribe করে রাখুন।

আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা নোটিশ ডট কম এর প্রকাশক ও সম্পাদক জনাব আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া। জন্ম ১৯৯৩ সালের ২০ নভেম্বর, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায়। বাবা আবদুল গফুর ভূঁইয়া এবং মা রহিমা বেগম। এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে আবদুল্লাহ আল আরিয়ান বয়স ৫ বছর। মেয়ে ফাবিহা জান্নাত বয়স ১ বছর। আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া এর শিক্ষাজীবন আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে ২০১৮ সালে ম্যানেজমেন্ট এ স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি উত্তরা ইউনিভার্সিটি ঢাকা থেকে বিপিএড সম্পন্ন করেন। আজিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শুরু। এরপর আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজ লাকসাম উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কিছুদিন ক্লাস করার পর। পারিবারিক কারণে নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজ এ কিছুদিন রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করার পর ভালো না লাগায় পুনরায় ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ছাত্র জীবনে তিনি নানা রকম সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। কর্মজীবন কর্মজীবনের শুরুতে তিনি আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় যোগদেন। বেশ কিছুদিন পর তিনি ২০১৯ সালে উন্নত ভবিষ্যতের আশায় কুয়েত পারি জমান। কিন্তু সেখানকার কাজের পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় পুনরায় আবার বাংলাদেশে ফিরে এসে পূর্বের পদে কাজে যোগদান করে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন। এছাড়াও তিনি স্বপ্ন গ্রাফিক্স এন্ড নেটওয়ার্ক নামে একটি মাল্টিমিডিয়া এবং প্রিন্টিং প্রেস প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধীকারী সেই সাথে স্বপ্ন ইশকুল নামক একটি কম্পিউটার ট্রেণিং ইনস্টিটিউট এর মালিকানায় আছেন যেখানে তিনি নিজেই ক্লাস পরিচালনা করেন। লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্ম ছাত্র অবস্থায় তিনি লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্মের সাথে জড়িত আছেন। ২০১১ সালে রাইটার্স এসোসিয়েশন এর ম্যাগাজিনে তার প্রথম লেখা বন্ধু চিরন্তন প্রকাশিত হয়। এর পর তিনি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Close

অ্যাডস্ ব্লকার পাওয়া গেছে!

দয়া করে আমাদের সাপোর্ট করার জন্য আপনার এডস্ ব্লকার ডিজেবল করে পেইজটি রিলোড করুন! ধন্যবাদ