সর্বশেষ আপটেড

প্রাচীন বাংলার মানচিত্রে জনপদসমূহ চিহ্নিত করে সেখানকার ভৌগলিক অবস্থার প্রেক্ষিতে জনপদ গড়ে উঠার কারণ সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন

৯ম শ্রেণির মানবিক বিভাগের সুপ্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ, আশা করছি খুবই ভালো আছো। আজ তোমাদের নবম শ্রেণির ১৩তম সপ্তাহের বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা অ্যাসাইনমেন্ট এর সমাধান/ উত্তর-প্রাচীন বাংলার মানচিত্রে জনপদসমূহ চিহ্নিত করে সেখানকার ভৌগলিক অবস্থার প্রেক্ষিতে জনপদ গড়ে উঠার কারণ সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন সম্পর্কে ধারণা দিবোl

আমরা নবম শ্রেণির ১৩তম সপ্তাহের বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা অ্যাসাইনমেন্ট এর দেওয়া নির্দেশনা সমূহ যথাযথভাবে অনুসরণ করে প্রশ্নে উল্লেখিত নির্দেশনাসমূহ ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করব যাতে তোমাদের অ্যাসাইনমেন্ট লিখতে সুবিধা হয়।

শ্রেণির ১৩তম সপ্তাহের বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা অ্যাসাইনমেন্ট

নবম শ্রেণি ১৩তম সপ্তাহের বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা অ্যাসাইনমেন্ট

অ্যাসাইনমেন্ট:

প্রাচীন বাংলার মানচিত্রে জনপদসমূহ চিহ্নিত করে সেখানকার ভৌগলিক অবস্থার প্রেক্ষিতে জনপদ গড়ে উঠার কারণ সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন লিখ; (১৫০-২০০ শব্দ)

নির্দেশনা (সংকেত/ ধাপ/ পরিধি):

১। মানচিত্র A4 সাইজের সাদা কাগজ কিংবা ক্যালেন্ডারের উল্টো পৃষ্ঠায় (পূর্ণ পৃষ্ঠা) স্কেল হিসেব করে অংকন করতে হবে;

২। জনপদগুলাের ছবি বিভিন্ন পত্রিকা, বই, গুগল এবং ইউটিউবের সহায়তায় সংগ্রহ করে প্রবন্ধে সংযােজন করা যেতে পারে;

৩। তােমার পাঠ্যপুস্তকের দ্বিতীয় অধ্যায় থেকে এ সম্পর্কিত ধারণা নেওয়া যেতে পারে;

নবম শ্রেণির ১৩তম সপ্তাহের বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা অ্যাসাইনমেন্ট এর সমাধান/ উত্তর

তারিখঃ
বরাবর
প্রধান শিক্ষক
জি.এম.হাট উচ্চ বিদ্যালয়
ফুলগাজী,ফেনী

বিষয়ঃ প্রাচীন বাংলার মানচিত্রে জনপদসমূহ চিহ্নিত করে সেখানকার ভৌগলিক অবস্থার প্রেক্ষিতে জনপদ গড়ে উঠার কারন সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন।

জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে,আপনার আদেশ নং ম.উ.বি. ২৫৬-৮ তারিখঃ……..অনুসারে “বারিমণ্ডলের ধারনাসহ সমুদ্রতলদেশের ভূমিরূপ ও সম্পদ সম্পর্কে বিশ্লেষন ” শীর্ষক প্রতিবেদন নিম্নে দেওয়া হলো।

প্রাচীন বাংলার জনপদ সম্পর্কিত প্রতিবেদন

বাংলার প্ৰাচীন জনপদসমূহ

প্ৰাচীনযুগে বাংলা নামে কোনো অখণ্ড রাষ্ট্ৰ ছিল না। বাংলার বিভিন্ন অংশ তখন বঙ্গ, পুণ্ড্ৰ, গৌড়, হরিকেল, সমতট, বরেন্দ্ৰ এরকম প্ৰায় ১৬টি জনপদে বিভক্ত ছিল।বাংলার বিভিন্ন অংশে অবস্থিত প্ৰাচীন জনপদগুলোর সীমা ও বিস্তৃতি সঠিকভাবে নির্ণয় করা অসম্ভব। কেননা বিভিন্ন সময়ে এসব জনপদের সীমানা হ্ৰাস অথবা বৃদ্ধি পেয়েছে।বাংলার জনপদগুলোর মধ্যে প্ৰাচীনতম হলো পুণ্ড্ৰ।

বাংলা প্ৰাচীন জনপদসমূহের তালিকা

প্রাচীনকালে বাংলার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অঞ্চলগুলাের নাম দেয়া হয়েছিল জনপদ। চতুর্থ শতক হতে গুপ্ত যুগ, গুপ্ত পরবর্তী যুগ, পাল, সেন প্রভৃতি আমলের উল্কীর্ণ শিলালিপি ও সাহিত্য গ্রন্থে প্রাচীন বাংলার ১৬ টি জনপদগুলাের নাম পাওয়া যায় (বাংলায় ছিল ১০টি)। বঙ্গ, গৌড়, সমতট, হরিকেল, চন্দ্রদ্বীপ, রাঢ়, পুণ্ড ও বারিন্দ্রী প্রভৃতি নামে জনপদ ছিল।

পুন্ড্র

‘পৌন্দ্রিক শব্দ থেকে ‘পু নামের উৎপত্তি। এর অর্থ- আখ বা চিনি। বাংলাদেশের সর্বপ্রাচীন জনপদ হলাে পুণ্ড্র। বগুড়া, রাজশাহী, রংপুর ও দিনাজপুর জেলার অবস্থানভূমিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠে পুণ্ড্র জনপদ। প্রাচীন পুণ্ড রাজ্যের রাজধানী ছিল পুণ্ড্রবর্ধন বা পুণ্ড্রনগর। সম্রাট অশােকের রাজত্বকালে প্রাচীন পুণ্ডু রাজ্যের স্বাধীনতা বিলুপ্ত হয়। বর্তমান অবস্থান বগুড়া জেলার মহাস্থানগড়। বৈদিক সাহিত্য ও মহাভারতে এ জাতির উল্লেখ আছে। পাল রাজারা উত্তরবঙ্গকে তাদের পিতৃভূমি মনে করত। সেজন্য এর নামকরণ করেছিল বারিন্দ্রী। এই বারিন্দ্রী থেকে বরেন্দ্র শব্দের উৎপত্তি। বর্তমান করতােয়া নদীর পশ্চিম তীরের লালমাটি সমৃদ্ধ অঞ্চলই বরেন্দ্রভূমি নামে পরিচিত। গঙ্গা ও করতােয়া নদীর পশ্চিমাংশের মধ্যবর্তী অংশকে রামায়ণে বারিন্দ্রীমণ্ডল বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

গৌড়

বাংলার জনপদ গুলােকে শশাঙ্ক গৌড় নামে একত্রিত করেন। পাণিনির গ্রন্থে সর্বপ্রথম গৌড়ের উল্লেখ পাওয়া যায়। কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র’ গ্রন্থে এ জনপদের শিল্প ও কৃষিজাত দ্রব্যের উল্লেখ পাওয়া যায়। হর্ষবর্ধনের শিলালিপি হতে প্রমাণিত হয় যে, সমুদ্র উপকূল হতে গৌড় দেশ খুব বেশি দূরে ছিল না। সাত শতকে গৌড়রাজ শশাঙ্কের রাজধানী ছিল মুর্শিদাবাদ জেলার কর্ণসুবর্ণ। বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও এর সন্নিকটের এলাকা গৌড় রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল। আধুনিক এ লদহ, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম ও বর্ধমানের কিছু অংশ গৌড়ের সীমানা মনে করা হয়।

বঙ্গ

বৃহত্তর ঢাকা, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, বরিশাল, পাবনা, ফরিদপুর নােয়াখালী, বাকেরগঞ্জ ও পটুয়াখালীর নিম্ন জলাভূমি এবং পশ্চিমের উচ্চভূমি যশাের, কুষ্টিয়া, নদীয়া, শান্তিপুর ও ঢাকার বিক্রমপুর সংলগ্ন অঞ্চল ছিল বঙ্গ জনপদের অন্তর্গত। পাঠান আমলে সমগ্র বাংলা বঙ্গ নামে ঐক্যবদ্ধ হয়। পুরানাে শিলালিপিতে ‘বিক্রমপুর’ ও ‘নাব্য’ নামে দুটি অংশের উল্লেখ রয়েছে। প্রাচীন বঙ্গ ছিল একটি শক্তিশালী রাজ্য। ঐতরেয় আরণ্যক’ গ্রন্থে বঙ্গ নামে উল্লেখ পাওয়া যায়। এছাড়া রামায়ণ, মহাভারতে এবং কালিদাসের ‘রঘুবংশ’ গ্রন্থে ‘বঙ্গ’ নামের উল্লেখ পাওয়া যায়।

সমতট

চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাং এর বিবরণ অনুযায়ী সমতট ছিল বঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ পূর্বাংশের একটি নতুন রাজ্য। মেঘনা নদীর মােহনাসহ বর্তমান কুমিল্লা ও নােয়াখালী অঞ্চল সমতটের অন্তর্ভুক্ত। কুমিল্লা জেলার বড় কামতা সমতট রাজ্যের রাজধানী ছিল বলে জানা যায়। কুমিল্লা ময়নামতিতে পাওয়া প্রাচীন নিদর্শনের মধ্যে অন্যতম ‘শালবন বিহার।

রাঢ়

রাঢ় বাংলার একটি প্রাচীন জনপদ। ভাগীরথী নদীর পশ্চিম তীর হতে গঙ্গা নদীর দক্ষিণাঞ্চল রাঢ় অঞ্চলের অন্তর্গত। অজয় নদী রাঢ় অঞ্চলকে দুই ভাগে ভাগ করেছে। উত্তর রাঢ় বর্তমান মুর্শিদাবাদ জেলার পশ্চিমাংশ সমগ্র বীরভূম জেলা এবং বর্ধমান জেলার কাটোয়া মহকুমা দক্ষিণ রাঢ় বর্ধমানে দক্ষিণাংশ হুগলি বহুলাংশ এবং হাওড়া জেলা।

হরিকেল

সপ্তম শতকের লেখকেরা হরিকেল নামে একটি জনপদের বর্ণনা করেছেন। চীনা ভ্রমণকারী ইৎ সিং বলেছেন, হরিকেল ছিল পূর্ব ভারতের শেষ সীমায়। ত্রিপুরার শৈলশ্রেণির সমান্তরাল অঞ্চল সিলেট হতে চট্টগ্রাম পর্যন্ত হরিকেল বিস্তৃত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রক্ষিত দুইটি শিলালিপিতে হরিকেল সিলেটের সঙ্গে সমর্থক বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

তাম্রলিপ্ত

তাম্রলিপ্ত নামক জনপদ হরিকেল ও রাঢ়ের দক্ষিণে অবস্থিত ছিল বলে ধারণা করা হয়। তাম্রলিপ্ত প্রাচীন বাংলার একটি বিখ্যাত বন্দর ছিল। বর্তমান মেদিনীপুর জেলার তমলুকই এলাকাই ছিল তাম্রলিপ্ত জনপদের কেন্দ্রস্থল। পেরিপ্লাস’ নামক গ্রন্থে এবং টলেমি, ফা-হিয়েন, হিউয়েন সাং ও ইৎ সিংয়ের বিবরণে এই তাম্রলিপ্ত জনপদের নাম বন্দর হিসেবে উল্লেখ আছে। সপ্তম শতক হতে এটা দণ্ডভুক্তি নামে পরিচিত হতে থাকে। আট শতকের পর হতেই তাম্রলিপ্ত বন্দরের সমৃদ্ধি নষ্ট হয়ে।

চন্দ্রদ্বীপ/বাকলা

‘আইন-ই-আকবরী’ গ্রন্থে উল্লেখিত বাকলা পরগণা বর্তমান বরিশাল জেলার অন্তর্গত। মধ্যযুগে বর্তমানে বরিশাল জেলাই ছিল চন্দ্রদ্বীপের মূল ভূখণ্ড ও প্রাণকেন্দ্র। এ প্রাচীন জনপদটি বালেশ্বর ও মেঘনার মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত ছিল। পাল যুগে এটি ত্রৈলােক্যচন্দ্রের শাসনাধীন ভূখণ্ডরূপে শাসিত হতাে।

আর্যপূর্ব যুগে বাংলা

বঙ্গদেশে জনবসতির প্রাথমিক তথ্য পাওয়া না গেলেও প্রস্তর যুগ, নব্য প্রস্তর যুগ এবং তাম্র যুগের কিছু অস্ত্রশস্ত্রের সন্ধান মেলে এখানে। খ্রিষ্টের জন্মের প্রায় দেড় হাজার বছর আগে এখানে এক সুসভ্য জাতির বাস ছিল বলে পণ্ডিতরা অনুমান করেন। এরা চাষাবাদ, পশু শিকার ও পশুপালন করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করত। এরা পাথর ও তামা ব্যবহার করত এবং ইট পাথরের ভিটার উপর প্রশস্ত ঘর তৈরি করত। প্রাচীন পুণ্ড্র ও বঙ্গজাতি আর্যপূর্ব যুগের মানুষ ছিল বলে ধারণা করা হয়।

আর্যপূর্ব যুগে বাংলার অধিবাসীরা সভ্যতার দিক থেকে যথেষ্ট উন্নত ছিল। কৃষিকাজ, নৌকা নির্মাণ, বয়ণশিল্প, ধাতুশিল্প প্রভৃতি আর্যপূর্ব যুগের লােকেরাই বাংলায় প্রথম প্রচলন করেন। কুমার, কামার, সূত্রধর, তাম্রকার স্বর্ণকার, মণিকার, বাসারী, শাখারী ইত্যাদি পেশাদারদের কারিগরি কাজে এরা সুদক্ষ ছিল।।

আর্য জাতি

যারা ইন্দো-ইউরােপীয় ভাষা গােষ্ঠীর ইন্দো-ইরানীয় আর্যভাষা তথা ল্যাটিন, গ্রিক, জার্মান, ফরাসি ভাষায় কথা বলতাে তারা আর্যজাতি। এদের বসবাস ছিল ইউরাল পর্বতের দক্ষিণের তৃণভূমি অঞ্চলে তথা ককেশাস অঞ্চল। এরা সনাতন ধর্মাবলম্বী ছিল এবং এদের ধর্মগ্রন্থের নাম ‘ঋকবেদ। আফগানিস্তানের খাইবার গিরিপথ দিয়ে খ্রিষ্টপূর্ব ১৫০০ অব্দে আর্যগণ ভারতবর্ষে প্রবেশ করে। ভারতবর্ষে প্রবেশের চৌদ্দশত বছর পর খ্রিষ্টপূর্ব ১০০ অব্দে আর্যগণ বাংলায় প্রবেশ করে। এসময় বঙ্গদেশ অস্ট্রিক জাতির প্রভাবাধীন ছিল। প্রায় আটশত বছর তথা মৌর্য ও গুপ্ত শাসনামল পর্যন্ত বঙ্গদেশে আর্যীকরণ ঘটেছিল বলে ধারণা করা হয়।

এই ছিল তোমাদের নবম শ্রেণির ১৩তম সপ্তাহের বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা অ্যাসাইনমেন্ট এর সমাধান/ উত্তর-প্রাচীন বাংলার মানচিত্রে জনপদসমূহ চিহ্নিত করে সেখানকার ভৌগলিক অবস্থার প্রেক্ষিতে জনপদ গড়ে উঠার কারণ সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন

নবম শ্রেণির ১৩তম সপ্তাহের অন্যান্য অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর দেখুন-

[ninja_tables id=”11143″]

আরো দেখুন-

প্রতি সপ্তাহে সকল স্তরের অ্যাসাইনমেন্ট সংক্রান্ত সকল তথ্য পাওয়ার জন্য বাংলা নোটিশ এর ফেসবুক পেজটি লাইক এবং ফলো করে রাখুন ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করে রাখুন এবং প্লে-স্টোর থেকে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপটি ডাউনলোড করে রাখুন।

আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা নোটিশ ডট কম এর প্রকাশক ও সম্পাদক জনাব আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া। জন্ম ১৯৯৩ সালের ২০ নভেম্বর, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায়। বাবা আবদুল গফুর ভূঁইয়া এবং মা রহিমা বেগম। এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে আবদুল্লাহ আল আরিয়ান বয়স ৫ বছর। মেয়ে ফাবিহা জান্নাত বয়স ১ বছর। আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া এর শিক্ষাজীবন আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে ২০১৮ সালে ম্যানেজমেন্ট এ স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি উত্তরা ইউনিভার্সিটি ঢাকা থেকে বিপিএড সম্পন্ন করেন। আজিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শুরু। এরপর আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজ লাকসাম উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কিছুদিন ক্লাস করার পর। পারিবারিক কারণে নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজ এ কিছুদিন রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করার পর ভালো না লাগায় পুনরায় ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ছাত্র জীবনে তিনি নানা রকম সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। কর্মজীবন কর্মজীবনের শুরুতে তিনি আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় যোগদেন। বেশ কিছুদিন পর তিনি ২০১৯ সালে উন্নত ভবিষ্যতের আশায় কুয়েত পারি জমান। কিন্তু সেখানকার কাজের পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় পুনরায় আবার বাংলাদেশে ফিরে এসে পূর্বের পদে কাজে যোগদান করে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন। এছাড়াও তিনি স্বপ্ন গ্রাফিক্স এন্ড নেটওয়ার্ক নামে একটি মাল্টিমিডিয়া এবং প্রিন্টিং প্রেস প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধীকারী সেই সাথে স্বপ্ন ইশকুল নামক একটি কম্পিউটার ট্রেণিং ইনস্টিটিউট এর মালিকানায় আছেন যেখানে তিনি নিজেই ক্লাস পরিচালনা করেন। লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্ম ছাত্র অবস্থায় তিনি লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্মের সাথে জড়িত আছেন। ২০১১ সালে রাইটার্স এসোসিয়েশন এর ম্যাগাজিনে তার প্রথম লেখা বন্ধু চিরন্তন প্রকাশিত হয়। এর পর তিনি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Close

অ্যাডস্ ব্লকার পাওয়া গেছে!

দয়া করে আমাদের সাপোর্ট করার জন্য আপনার এডস্ ব্লকার ডিজেবল করে পেইজটি রিলোড করুন! ধন্যবাদ