নিজের এলাকার সামাজিক সমস্যামূলক কোনাে বিষয় নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশের উপযােগী প্রতিবেদন তৈরি
২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ৮ম সপ্তাহে বাংলা ২য় পত্র ৪র্থ অ্যাসাইনমেন্ট নিজের এলাকার সামাজিক সমস্যামূলক কোনাে বিষয় নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশের উপযােগী প্রতিবেদন তৈরি নিয়ে আজকে আলোচনা করবো। এইচএসসি ২০২২ অষ্টম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট এর সাথে প্রকাশিত উচ্চমাধ্যমিক বাংলা ২য় পত্র গুরুত্বপূর্ণ অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান করতে গিয়ে এটি তোমাদের কাজে আসবে।
এখানে আমরা প্রথমে ৮ম সপ্তাহে ২০২২ সালের এইচএসসি বাংলা ২য় পত্র অ্যাসাইনমেন্ট সম্পর্কে জানবো এবং পরে নির্দেশনাগুলো অনুসরণ করে তা সমাধান করার চেষ্টা করবো।
এইচএসসি পরীক্ষা ২০২২ অষ্টম সপ্তাহ বাংলা ২য় পত্র অ্যাসাইনমেন্ট
নিচের ছবিতে এইচএসসি পরীক্ষা ২০২২ অষ্টম সপ্তাহ বাংলা ২য় পত্র অ্যাসাইনমেন্ট খুব ভালোভাবে লক্ষ্য করি এবং তা সমাধান করার চেষ্টা করি।
অ্যাসাইনমেন্ট: নিজের এলাকার সামাজিক সমস্যামূলক কোনাে বিষয় নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশের উপযােগী প্রতিবেদন তৈরি;
শিখনফল/বিষয়বস্তু:
ক. ব্যবহারিক জীবনে ভাষাশিক্ষার প্রয়ােজনীয়তার বিভিন্ন দিক বর্ণনা করতে পারবে;
খ. চিঠিপত্র, দলিল-দস্তাবেজ, স্মারকলিপি, চাকরির দরখাস্ত, প্রতিবেদন, সারসংক্ষেপ, বক্তৃতা ইত্যাদি লিখতে পারবে;
নির্দেশনা (সংকেত/ধাপ/পরিধি):
১. প্রতিবেদন লেখার যথাযথ কাঠামাে অনুসরণ করা;
২. বিষয়টি সামাজিক সমস্যামূলক ও নিজের এলাকার হওয়া;
৩. প্রাসঙ্গিক তথ্য-উপাত্ত যুক্ত করতে পারা;
৪. বানান ঠিক রাখা;
৫. ভাষা ও উপস্থাপনভঙ্গি আকর্ষণীয় হওয়া;
এইচএসসি পরীক্ষা ২০২২ অষ্টম সপ্তাহ বাংলা ২য় পত্র অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান
আশা করছি এর মধ্যে তোমরা সংক্ষিপ্ত পাঠসূচীতে উল্লেখিত শিখনফল অনুযায়ী এইচএসসি পরীক্ষা ২০২২ অষ্টম সপ্তাহ বাংলা ২য় পত্র অ্যাসাইনমেন্ট অধ্যয়ন করে নিয়েছো। চলো তাহলে উপরোক্ত নির্দেশনার আলোকে আমরা নিজের এলাকার সামাজিক সমস্যামূলক কোনাে বিষয় নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশের উপযােগী প্রতিবেদন তৈরি করার চেষ্টা করি।
আমরা অ্যাসাইনমেন্টটি লেখার সময় অবশ্যই নির্দেশনায় দেওয়া বিষয়গুলো ভালোভাবে অনুসরণ করবো যাতে শিক্ষক মূল্যায়নে সর্বোচ্চ নম্বর প্রদান করেন।
নিজের এলাকার সামাজিক সমস্যামূলক কোনাে বিষয় নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশের উপযােগী প্রতিবেদন তৈরি
ব্যবহারিক জীবনে ভাষাশিক্ষার প্রয়ােজনীয়তার বিভিন্ন দিক এবং চিঠিপত্র, দলিল-দস্তাবেজ, স্মারকলিপি, চাকরির দরখাস্ত, প্রতিবেদন, সারসংক্ষেপ, বক্তৃতা ইত্যাদি লিখার পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করে তোমাদের জন্য নিজের এলাকার সামাজিক সমস্যামূলক কোনাে বিষয় নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশের উপযােগী প্রতিবেদন তৈরি করে দিলাম।
তোমরা এটি সরাসরি কপি না করে নিজের ভাষায় সুন্দরভাবে একটি সুন্দর সমাধান তৈরি করবে।
প্রতিবেদনের প্রকৃতি: সংবাদ প্রতিবেদন
প্রতিবেদনের শিরোনাম- যানজট একটি ভয়াবহ সমস্যা
সরজমিনে তদন্তের স্থানঃ ফেনী ট্রাংক রোড স্থানের রাস্তাঘাট
প্রতিবেদনের তৈরির সময়ঃ সকাল ১০টা তারিখ-৫/৯/২০২১
ভয়াবহ যানজট জীবনের স্বাভাবিক গতিকে স্তব্ধ করে দিচ্ছে
সড়কপথে যখন সড়ক ব্যবহারকারী যানবাহনের সংখ্যা সড়কের ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত বৃদ্ধি পায়, তখন যানবাহনগুলো স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারে না, এরকম অবস্থাকে যানজট বলা হয়।
যানজটের বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে গাড়ির স্বাভাবিকের তুলনায় ধীর গতি, দীর্ঘ যাত্রাকাল, যানবাহনের দীর্ঘ সারি, শব্দদূষণ ইত্যাদি। দুর্ঘটনা যানযটের একটি প্রধান কারণ। যানজটের কারণে শ্রমঘণ্টার অপচয় হয় এবং কিছু ক্ষেত্রে অপরাধের বৃদ্ধি ঘটে।
যানজটের কারণে সড়কে, মহাসড়কে যানজট সময়ই কেড়ে নিচ্ছে না, নাগরিক জীবনেও ডেকে আনছে নানা দুর্ভোগ। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে কর্মকর্তা-কর্মচারী, শ্রমিক, পথচারী সবাই আজ সর্বগ্রাসী যানজটের শিকার। এখন নির্ধারিত সময়ে গন্তব্য পৌছানোর কোনো নিশ্চয়তা নেই। নাগরিক জীবনে মানুষের অন্তহীন কাজ।
জীবন ও জীবিকার তাগিদে সবাইকে ছুটতে হয় অফিস আদালত, হাসপাতাল ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে। ছাত্রছাত্রী যাচ্ছে স্কুল-কলেজে ৷ কিন্ত পথে নামলেই যানজট দৈত্যের মতো পথ আগলে দাঁড়াচ্ছে। যানজটের ভিড়ে একবার আটকে গেলে কখন তা থেকে মুক্তি পাওয়া তা বলা মুশকিল। রোগীসহ অ্যাম্বুলেন্স যখন যানজটে আটকে পড়ে তখন ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
যানজট মোকাবেলা এবং ট্রাফিক ব্যবস্থা সুশৃঙ্খল করার জন্য বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। কিন্তু এতে সমস্যার তেমন কোনো অগ্রগতি হচ্ছে না। বরং এটি একটি স্বাভাবিক ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। এর কারণে ব্যস্ত শহরের কার্যক্রম একটা দীর্ঘ সময় ধরে অচল থাকে।
যানজটের কারণ
১। স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবার পর বাংলাদেশের সড়ক পথের যথেষ্ট উন্নতি সাধিত হলেও তা প্রয়োজনের অপ্রতুল। সীমত রাস্তাঘাটের তুলনায় যানবাহনের সংখ্যাধিক্যই যানজটের অন্যতম কারণ।
২। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা, অপিরকল্পিত ও ভারসাম্যহীন নগরায়ন, যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধিসহ নানা কারণে যানজট ও পরিস্থিতি ক্রমেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
৩। দেশের সড়ক ব্যবস্থাপনা অর্থাৎ সড়কগুলোর কার্যকর ও উনয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাব।
৪। আবাসন সংকট ও নগরায়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রাস্তাঘাটের সংস্কার ও নগরা সঙ্গে তাল মিলিয়ে রা ও উন্নয়ন না হওয়া।
৫। অপরিকল্পিতভাবে ওয়াসা, ডেসা, গ্যাস, টেলিফোন, টেলিগ্রাফ এবং বিজ্ঞাপন বিলবোর্ডসহ নানা কারণে প্রায়ই জনবহুল রাস্তাসহ আবাসিক রাস্তাতেও খোঁড়াখুঁড়ি করে। খোঁড়াখুঁড়ি পর পুনরায় রাস্তা মেরামত না করা।
৬। রাস্তায় ওভারব্রিজের স্বল্পতা, ট্রাফিক আইন না মানা এবং রাস্তার নিয়ম মেনে না চলা, আধাপাকা ও কাচা রাস্তায় অতিরিক্ত মাল ও যাত্রী বোঝাই যানবাহন চলাচল করা, পার্কিং করা ইত্যাদি।
৭। টেকসই ও পরিকল্পিত রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, সংস্কারের অভাব।
৮। জনসাধারণের যাতায়াতের জন্যে ২৫% ফুটপাত থাকার কথা, কিন্তু তা না থাকা।
৯। ট্রাফিক আইন না মানা, আইনের প্রতি অবজ্ঞা, ফিটনেসবিহীন গাড়ি চালনা, ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকা, প্রশিক্ষণের অভাব ইত্যাদি।
১০। নাগরিক সচেতনতার অভাব। যানজট নিয়ে বিভিন্ন সময়ে আলোচনা, সেমিনার এবং পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি হয়েছে। এর কারণ এবং নিরসনের উপায়গুলো চিহ্নিত হয়েছে। কিন্তু যানজট নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে বা সাফল্য অর্জিত হতে দেখা যায়নি।
যানজট কমানোর জন্য যেসকল পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে:
যানজট নিরসনে গৃহীত পদক্ষেপ:
১। অবৈধ রিকশার দৌরাত্ম্য কমাতে হবে;
২। যত্রতত্র গড়ে ওঠা এলোপাতাড়ি বাজার, মার্কেট বিপণি না করা;
৩। যত্রতত্র যানবাহন থামিয়ে লোক ওঠা-নামা না করা;
৪। অবৈধ পার্কিং বন্ধ করা; হকার মুক্রসিং কমিয়ে দেওয়া;
৫। ফুটপাতগুলো হকার মুক্ত করা;
৬। বেশির ভাগ রাস্তাকে ওয়ানওয়ে করা ও ক্রসিং কমিয়ে দেওয়া।
৭। রাজধানীতে রাস্তা খোঁড়াখুঁডির বন্ধ করা;
৮। যে কোনো স্ট্রাকচার নির্মাণের আগে প্রতিটা গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে বহুমুখী ফ্লাইওভার (ইন্টারসেকস সিস্টেম) নির্মাণ করা, যাতে যে কোনো মোড়ে কোনো গাড়ি ট্রাফিক সিগন্যাল ছাড়া নিজের পথে চলতে পারে।
৯। এছাড়া ট্রাফিক সিগন্যাল বাতিগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে না চালিয়ে প্রতিটি পয়েন্টে উপ-নিয়ন্ত্রণ কক্ষ অথবা রিমোর্ট সিস্টেম করলে কিছুটা যানজট নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব;
১০। শহরের ব্যস্ত এলাকার বাস টার্মিনাল উঠিয়ে দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ;
১১। রাজধানীর অভ্যন্তরে প্রতিষ্ঠিত শিল্প-কারখানাগুলোকে শহরের বাইরে নিয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট স্থানে স্থাপন করতে হবে;
১২। শহর থেকে কিছু হাসপাতাল, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, অফিস আদালত শহরের বাইরে নিয়ে যেতে হবে।
নাগরিক জীবনকে স্বচ্ছন্দ, সাবলীল ও গতিশীল করে তুলতে যানজট সমস্যার সমাধান অবশ্যই করতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন সরকারের সদিচ্ছা ও সময়োপযোগী সুন্দর বিজ্ঞানসম্মত পরিকল্পনা ও তার দ্রুত বাস্তবায়ন।
আমার মনে হয় এটা এমন কোনো সমস্যা নয় যা একেবারেই অসাধ্য। আশা করি উপযুক্ত পদক্ষেপসমূহ বিবেচনায় নিলে দ্রুত যানজট নিরসন হবে।
বন্ধুরা এইছিল তোমাদের জন্য এইচএসসি ২০২২ ৮ম সপ্তাহের বাংলা ২য় পত্র অ্যাসাইনমেন্ট নিজের এলাকার সামাজিক সমস্যামূলক কোনাে বিষয় নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশের উপযােগী প্রতিবেদন তৈরি।
উত্তরদাতা, শাখাওয়াত হোসেন, ফেনী।
৮ম সপ্তাহে ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষার সকল অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান
[ninja_tables id=”11781″]প্রতি সপ্তাহে সকল স্তরের অ্যাসাইনমেন্ট সংক্রান্ত সকল তথ্য পাওয়ার জন্য বাংলা নোটিশ এর ফেসবুক পেজটি লাইক এবং ফলো করে রাখুন ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করে রাখুন এবং প্লেস্টোর থেকে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপটি ডাউনলোড করে রাখুন।
আপনার জন্য আরও কিছু তথ্যঃ