তুমি আজকে যেসব খাবার খেয়েছ, নিচের ছক অনুযায়ী তার একটি তালিকা তৈরি কর
৬ষ্ঠ শ্রেণি ১৪তম সপ্তাহের গার্হস্থ্য বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট এর উত্তর/ সমাধান নিয়ে আজকের আর্টিকেলটি। এই পোস্ট শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে আশা করা যায়, গার্হস্থ্য বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট সম্পর্কিত সকল তথ্য আপনি জানতে পারবেন আমাদের এখান থেকে। অ্যাসাইনমেন্টের শিরোনাম- তুমি আজকে যেসব খাবার খেয়েছ, নিচের ছক অনুযায়ী তার একটি তালিকা তৈরি কর।
কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বাের্ড (এনসিটিবি) কর্তৃক প্রণয়নকৃত ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ২০২১ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যসূচির আলােকে নির্ধারিত গ্রিড অনুযায়ী ১৪তম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।
৬ষ্ঠ শ্রেণি ১৪তম সপ্তাহের গার্হস্থ্য বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট
অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ:
১। তুমি আজকে যেসব খাবার খেয়েছ, নিচের ছক অনুযায়ী তার একটি তালিকা তৈরি কর।
তালিকা অনুসারে তােমার গ্রহণকৃত খাবারগুলােকে নিম্নলিখিত খাদ্য উপাদান অনুযায়ী শ্রেণি বিভাগ কর।
ক. শর্করা। খ. আমিষ। গ. স্নেহ। ঘ. ভিটামিন। ঙ. খনিজ লবণ। চ.পানি।
২। তােমার বাসায় খাদ্য তৈরি এবং পরিবেশন স্থানের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কেমন হওয়া উচিত বলে তুমি মনে কর।
৩। খাদ্য তৈরি এবং পরিবেশনে পরিচ্ছন্নতা না থাকলে সেটা তােমার স্বাস্থ্যের উপর কেমন প্রভাব ফেলবে তা বর্ণনা কর।
নির্দেশনা (সংকেত/ধাপ/পরিধি):
- ১। বিষয়বস্তু সম্পর্কে শিক্ষার্থীকে সঠিক ধারণা দিন।
- ২। অ্যাসাইনমেন্ট (নির্ধারিত কাজ) প্রদান করুন।
- ৩। কাজটি নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন করে জমা দিতে উৎসাহিত করুন।
৬ষ্ঠ শ্রেণি ১৪তম সপ্তাহের গার্হস্থ্য বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট এর উত্তর/ সমাধান
১. নিম্নে ছকের মাধ্যমে আমার দৈনিক খাদ্য তালিকা তুলে ধরা হলো এবং কোন খাদ্য কোন উপাদানের মধ্যে পড়ে তা দেখানো হলোঃ
সকালে :
খাদ্য – উপাদান
রুটি – শর্করা
ডিম, দুধ, মিষ্টি – প্রোটিন
আলু ভাজি – শর্করা।
দুপুরে :
খাদ্য – উপাদান
ভাত – শর্করা
মাছ, মাংস – প্রোটিন
শাকসবজি – ভিটামিন
রাতে :
খাদ্য – উপাদান
ভাত – শর্করা
মাছ, ডিম – প্রোটিন
শাকসবজি – ভিটামিন
পানি – পানি
২.বাসায় খাদ্য তৈরি এবং পরিবেশন স্থানের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা যেমন হওয়া উচিত
খাদ্য গ্রহণের সাথে দেহের পুষ্টির সম্পর্ক গভীর। আমরা একটু লক্ষ করলে দেখতে পাই যে, মানুষ যদি বেশ কিছুদিন ঠিকমতো খাদ্য গ্রহণ করতে না পারে তা হলে তাদের শরীর ধীরে ধীরে দুর্বল হতে থাকে, রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা কমে যায়, শরীর বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়, মেধা শক্তি কমে যায়।এক কথায় বলা যায় যে, অপুষ্টি দেখা যায় এবং এই অবস্থা দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। আবার প্রয়োজনের চাইতে বেশি খাদ্য গ্রহণ করলে অতিপুষ্টি দেখা যায়, যেমন শরীরের ওজন বেশি বেড়ে যায়। বিভিন্ন ধরনের রোগ যেমন- উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ইত্যাদি রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। অন্য দিকে সঠিক পরিমাণে পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণের ফলে দেহের যথাযথ পুষ্টি অবস্থা বজায় থাকে।
যখন পর্যাপ্ত পরিমাণে ও দেহের চাহিদা অনুযায়ী খাদ্য গ্রহণ করা হয় তখন দেহ কাজ করা ক্ষমতা লাভ করে, রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, সহজে রোগে আক্রান্ত হয় না, মেধার যথাযথ বিকাশ ঘটে দীর্ঘায়ু লাভ করা যায় ও দেহের স্বাভাবিক পুষ্টিগত অবস্থা বজায় থাকে।
ভালো স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য নিয়মিত পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণের পাশাপাশি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পুষ্টির সাথে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার গভীর সম্পর্ক রয়েছে। নিচের চিত্রে দেখতে পাই যে,অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাবার রান্না ও খাওয়া হলে দেহ রোগাক্রান্ত হয় ও পুষ্টি প্রাপ্তি ব্যাহত হয়, অন্যদিকে পরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাবার রান্না ও খাওয়া হলে দেহে যথাযথ পুষ্টি প্রাপ্তি ঘটে।
এখানে পরিবেশের পরিচ্ছন্নতা বলতে খাদ্যদ্রব্য কাটাবাছার স্থান, খাদ্যদ্রব্য ধোওয়ার কাজে ব্যবহৃত পানি ও ধোওয়ার জায়গা, রান্না ও খাদ্য পরিবেশনের জন্য ব্যবহৃত তৈজসপত্র, রান্নার পর খাদ্যদ্রব্য রাখার স্থান, খাওয়ার জায়গা, যিনি রান্না ও পরিবেশন করেন তার ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা, খাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত খাদ্য ঢেকে সংরক্ষণ, যিনি খাদ্য গ্রহণ করেন তার ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা ইত্যাদি সকল বিষয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাকেই বোঝায়।
৩. খাদ্য তৈরি এবং পরিবেশনে পরিচ্ছন্নতা না থাকলে সেটা আমার স্বাস্থ্যের উপর যেমন প্রভাব ফেলবে
বিভিন্ন রোগ জীবাণুর উৎস হলো অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ। আর এই অপরিচ্ছন্ন পরিবেশেই খাদ্য বিভিন্ন ধরনের রোগ জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত হয়। আর এই সংক্রমিত খাদ্য গ্রহণ করলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ সৃষ্টি হয়। যেমন- কোনো শিশুর মা তার জন্য পুষ্টিকর খাবারের ব্যবস্থা করলেন। কিন্তু শিশুটি অপরিচ্ছন্ন হাতে খাবার খাওয়ার কারণে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলো। এর ফলে তার শরীর থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান বের হয়ে গেল এবং শরীর দুর্বল হয়ে গেল। এই অবস্থায় অর্থাৎ শিশুটির দুর্বল শারীরিক অবস্থায় রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা কম থাকার কারণে পুনরায় বিভিন্ন ধরনের রোগ জীবাণু দ্বারা শিশুটির আক্রান্ত হওয়ার আশংকা অনেক বেশি বেড়ে যায়।
অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে যে, একবার অসুস্থ হওয়ায় শরীর দুর্বল থাকে বলে পুনরায় জীবাণু দ্বারা আক্রমণের আশংকা অনেক বেশি হয় এবং এই সময় যথাযথ পুষ্টিকর খাদ্য ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ এই দুইটি বিষয় নিশ্চিত করতে না পারলে বার বার অসুস্থ হওয়ার আশংকাও বেড়ে যায়। বিষয়টি অনেকটা চক্রাকারে ঘুরতে থাকে। একে অপুষ্টি ও অপরিচ্ছন্নতার ক্ষতিকর চক্র বলে।
পরিশেষে বলা যায় যে, খাদ্য প্রস্তুত থেকে শুরু করে খাদ্য গ্রহণ পর্যন্ত প্রতিটি পর্যায়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখলে খাদ্য জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক কমে যাবে। এইজন্য খাদ্য প্রস্তুত ও খাওয়ার আগে সকলেরই উচিত সাবান দিয়ে খুব ভালো করে হাত ধুয়ে নেওয়া। তাতে জীবাণু দ্বারা রোগ সৃষ্টির আশংকা অনেক কমে যাবে।
এটিই তোমাদের ৬ষ্ঠ শ্রেণি ১৪তম সপ্তাহের গার্হস্থ্য বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট এর উত্তর/ সমাধান– তুমি আজকে যেসব খাবার খেয়েছ, নিচের ছক অনুযায়ী তার একটি তালিকা তৈরি কর।
আরো দেখুন-
সকল স্তরের শিক্ষা সংক্রান্ত সঠিক তথ্য, সরকারি-বেসরকারি চাকুরি বিজ্ঞপ্তি, চাকুরির পরীক্ষা, এডমিট কার্ড, পরীক্ষার রুটিন, সরকারি বেসরকারি বৃত্তি, উপবৃত্তি ও প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত তথ্য সবার আগে পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজটি Follow করে রাখুন। ইউটিউবে সর্বশেষ আপডেট পেতে বাংলা নোটিশ ডট কম এর ইউটিউব চ্যানেলটি Subscribe করে রাখুন। আপনার প্রতিষ্ঠানের যেকোন বিজ্ঞপ্তি, খবর, নোটিশ ও জাতীয় রাজনৈতিক বিষয়ে লেখা প্রকাশ করতে চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।